নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মরে গিয়ে হৃদয় আবিস্কার করল যে সে ভারমুক্ত। তার হৃদয় আর নেই। সে ছোট্ট একটা লাফ দিয়ে বাতাসের উপর উঠল। নিজের ক্ষমতায় সে অবাক হয়ে গেছিল। সে হা হা করে হেসে উঠল। তারপর ফিরে এল নার্সটির কাছে। সেই নার্সটি, যাকে সে নিজের মৃত্যুশয্যায় দেখেছিল। ভরন্ত বুকে তার নির্লজ্জ দৃষ্টিতে যুবতী নার্সটির কুঁকড়ে যাওয়া দেখে উদগ্র হয়ে উঠত সে। সে মৃত্যুশয্যা নিয়ে ভাবেনি যতটা নার্সটির শরীরের চড়াই উৎরাই নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভেবেছিল।
কিন্তু এখন নার্সটি তাকে দেখতে না পেলেও সে ভালোভাবেই দেখতে পেল তাকে। হৃদয় অবাক হয়ে আবিষ্কার করল সে এখন যেভাবেই তাকিয়ে থাকুক নার্সটি তার থেকে চোখ সরিয়ে নিচ্ছে না। কাজের মধ্যে নার্সটি যেদিকে নিজের চোখদুটো নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়কে শুধু সেদিকে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। মাঝে কয়েকবার নার্সের সাথে চোখাচুখিও হল তার। নার্স না বুঝলেও হৃদয় বুঝল। তার বুকের মধ্যে কামনার আগুন বেড়ে উঠছিল। হৃদয় না থাকায় সে আগুনের বিস্তার হয়েছিল বেশী। অবশেষে ডিউটির পর অন্ধকার রাস্তা দিয়ে নার্সটি যখন ফিরছে তখন তার পিছু নিল হৃদয়। সে ভেবেছিল সে মেয়েটিকে একা পাবে এই নির্জন রাস্তায়। সে ভুল ভাবেনি। তার উদগ্র কামনার আগুন তাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে জ্বালানি করছিল। সে নিজেকে রুখতে পারল না। সেই অন্ধকার নির্জন রাস্তায় সে নিজের পোশাক টান মেরে খুলতে গিয়ে আবিষ্কার করল মৃত্যুর পর পোশাকের বাহুল্য থাকে না। আরো খুশী হল সে। কেননা খাটনি বেঁচে গেল তার। অন্ততঃ তেমনই মনে করল সে। হৃদয়ের এখন হৃদয় নেই। হৃদয় ভেবে দেখেছিল দ্রুত। অর্থাৎ মেয়েটির যন্ত্রণাকাতর আর্তনাদে হৃদয় বিগলিত হবার যে কথাটা শোনা যায় তা হৃদয়কে ফেস করতে হবে না। এটা তার উদ্দেশ্যসিদ্ধিতে একটা ভালো দিক। আবার তার পক্ষে এক লাফে বাতাসে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া কেউ তাকে দেখতে পায় না। ফলে বাইচান্স মেয়েটির চিৎকারে কেউ যদি ছুটে আসে তবে তার কোন ভয় নেই। আবার পোশাকের ঝামেলাও নেই। আনন্দে আত্মহারা হৃদয় মৃত্যুকে ভালোবেসে ফেলল। ক্ষুধাতুর বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ল মেয়েটির উপর। আর তারপরই সে আবিষ্কার করল ..
... হৃদয় আবিষ্কার করল তার হৃদয়ের মতোই, শরীরটাও নেই। মেয়েটির শরীর ভেদ করে চলে গেল তার বাহুবেষ্টনী। বারবার। ত্বক নেই। তাই নারীদেহের স্পর্শ সে অনুভব করতে পারল না, মাংসপেশী নেই, তাই সবলে বেষ্টন করতে পারল না। আসলে.... হৃদয় হঠাৎ বুঝল সে আসলে নেই...
.
নেই-কে ভালোবাসতে পারেনি সে, আজও। অথচ একমুহূর্তের জন্য হলেও সে মৃত্যুকে ভালোবেসেছিল। শরীর। ক্ষুধা। আশা। যন্ত্রণার লেনা এবং দেনা... ডায়ালেক্টিক্স। জীবন ও অজীবনের পরতে পরতে থাকা দ্বন্দ্ব নিয়ে আজও হৃদয় সেই দান্দ্বিক চিন্তন প্রসেসে ঘুরে ঘুরে হারাচ্ছে, পাচ্ছে, খুঁজছে... ফের হারিয়ে যাচ্ছে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
টাইপ করে সময় নষ্ট করেছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: নার্স এর পেছনে না ছুটে কোনো বেশ্যার কাছে গেলেই ভালো করতো।