নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের উৎপত্তি

২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৯

কোন একজনের পোষ্টে হাসান কালবৈশাখীর করা নিচের মন্তব্যটি আমার ভালো লেগেছে। আপনারা পড়ে মতামত দিতে পারেন।

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হোমোসেপিয়েন্সের আবির্ভাব ২-৩ লাখ বছর শেষদিকে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, মাদুর বোনা কাপড় বোনা পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। নিমনাঙ্গে মাদুর বা কাপড় দিয়ে ঢাকে। তখনো ঈশ্বর ভাবনা আসে নি।
অনেক পর আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কোন নেতা প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। এভাবেই মুলত ঈশ্বর ভাবনা।

এরপর ছোট ছোট উপাসনা পর্বত উপাসনা সুর্য উপাসনা ইত্যাদি ধর্মের মত আবির্ভাব মানে হাজার ছোট ধর্মের ভেতরে যেগুলো টিকে গেল , সেগুলোই বড় ধর্ম হয়ে গেল।
৬ হাজার বছর আগে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভারতে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুছার ইহুদিজম, ইষ্ট এশিয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর পুর্ব ভারতে বৌধ্যিজম। মধ্যপ্রাচ্যে দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
একপর আরবে ইসলাম আসে এই সেদিন। মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।

কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা ডাকাত দল গঠন করে, মরুভুমির ছোট ছোট ডাকাত দলকে ঐক্যবদ্ধ করে। ডাকাতি বা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে, এসব কে যুদ্ধ বলা যায়? মরুভুমির গ্রাম থেকে বিতারিত আরেক গ্রামে আশ্রয়, চাচা মামা আত্নীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে মারামারিকেই বিশাল ধর্মযুদ্ধ বলা হচ্ছে। তাহলে তো চরমানাই চর দখল লাঠিয়াল, আটরশীতে গদি দখলও যুদ্ধ।
এভাবেই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, ডাকাত দল তৈরি করে। স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে ডাকাত দলের সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এর আগে মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে পরে নিজেকে
দৃশ্বমান ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে। বা তলোয়ারের ভয় দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা আধুনিক বিজ্ঞান বর্ননা করে ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল আবির্ভাব পরবর্তি কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন জঙ্গলে গুহায় কাটিয়ে গেছে।


আমার অবাক লাগছে, বাংলাদেশের মতো ধর্মবর্বর দেশেও হাসান কালবৈশাখীর মতো মানুুষ আছেন !!
আপনাদের দেখেই একটু হলেও মনে আশা জাগে।
হাসান কালবৈশাখী দাদাকে আমার শ্রদ্ধা জানাই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার ভাবনাচিন্তা আধুনিক।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৬

গেছো দাদা বলেছেন: ঠিক

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে তো হাসান আছেন, কলকাতার অবস্হা কি, হনুমান আছেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৪

গেছো দাদা বলেছেন: ভয়াবহ

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম বিষয়টাই একটা বর্বর চিন্তা চেতনা।সেটা যে ধর্মই হোক।কেউ খায় গোমুত্র কেউবা উটমুত্র।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫

গেছো দাদা বলেছেন: কিছুটা সহমত।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৪

সাসুম বলেছেন: ধর্মের বিবর্তন, বর্তমানের ধর্মের মডারেশান এবং আগামি দিনের ধর্ম

এই লিংক দেখতে পারেন সময় করে। লিখেছিলাম বেশ আগে। চিন্তার আরো কিছু খোরাক পাবেন।

ধর্ম জিনিষ টা বেশ ভোলাটাইল। আর এর চেয়ে ভোলাটাইল হল ধার্মিকের ধর্ম চলে যাওয়ার ভয়। এই কারনে জোর করে অস্ত্রের মুখে কিংবা পরকালে আগুনে পোড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্মে ধরে রাখতে চায় ধার্মিক রা। ধর্ম আর খোদা নিয়ে প্রশ্ন তুল্লেই কল্লা ফেলতে চলে আসে ধার্মিক রা, কারন তাদের অবচেতন মনে তারাও জানে ও মানে এই অলৌকিক জিনিষ এর কোন অস্তিত্ব নাই।

এই লিখাটাও পড়তে পারেন।
ধর্ম কে কেন কায়েম করতে হয় এবং ধর্মের শেষ কোথায় গিয়ে হতে পারে।



যাই হোক- কাল্বোশেখীর চিন্তা ভাবনা খারাপ না এদিক থেকে। খালি এক আন্ধা বর্বর আওয়ামী আনুগত্য বাদ দিলে সে্ বেশ মুক্ত চিন্তার মানুষ। বাট দিন শেষে মানুষ আপনাকে বিচার করবে আপনার কাজ আর কথা দিয়ে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

গেছো দাদা বলেছেন: সেভ রাখলাম। সময় করে পড়ব।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩১

তানভির জুমার বলেছেন: নাস্তিকরা অনেকটা কলুর বলদের মত শুধু ব্রেইন আর গায়ে গতরে খাটে শেষ ফলাফল জিরো। এরা নিজেদের নুংরা ব্রেইনে বানানো কিছু কাল্পনিক গল্প/ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সামনে এনে ধর্মকে ডিফেন্ড করতে চায়. মূলত এরা ধর্ম কি এইটাই জানে না। আর উপ-মহাদেশের নাস্তিকরা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। ইসলাম ধর্ম কি, ধর্ম কিভাবে কাজ করে, কিভাবে এতসব ধর্ম তৈরী হল- এইসব বিষয়ে কিছুটা ধারনা পাওয়ার জন্য ড্যানিয়েল হাকিকাতজু (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকার্থী ) এর কিছু ভিডিও আছে ইউটিউবে চাইলে দেখতে পারেন। যারা অনেক বেলী লিবারেল, সেকুলার তারাও কিছু চিন্তার খোরাক পাবেন।

লিংক

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

গেছো দাদা বলেছেন: এটা মানি যে ভবিষ্যতে গোটা বিশ্ব হয় ইসলাম যুুক্ত হবে আর নাহয় ইসলাম মুক্ত হবে।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী উন্নন চিন্তা ভাবনার মানুষ। আধুনিক মানুষ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

গেছো দাদা বলেছেন: সহমত

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দাদা আপনি লিখেছেন, আমার অবাক লাগছে, বাংলাদেশের মতো ধর্মবর্বর দেশেও হাসান কালবৈশাখীর মতো মানুষ আছেন!!

আমি বিশ্বাস করি আপনি যা লিখেছেন তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন আর তাই লিখেছেন। তবে এটা কি একটা দেশ সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা হলো?

সারা দুনিয়ায় প্রতিটা দেশেই কিছু চরমপন্থী মানুষ আছে ,আরো আছে ধর্মীয় গোড়ামীতে আক্রান্থ কিছু মানুষ । কিন্তু তাই বলে তারই একটা দেশের পরিচয় নয় এবং একটা দেশকে ঢালাও ভাবে ধর্মবর্বর দেশ দেশ বলা কি ব্যক্তি স্বাধীনতার (কথা ও লেখার স্বাধীনতার )পরিপন্থী নয় ?

কাউকে শ্রদ্ধা জানানো, সম্মান করার জন্য মনের বিশালতা জরূরী এবং তা আপনার আছে বলেই মনে করি তবে একজনকে শ্রদ্ধা জানাতে ও সম্মান করতে গিয়ে আপনি পুরো একটি দেশ - জাতিকে অসম্মান করলেন - এটা কতটুকু অসম্মানের ,তাকি দাদা আপনি বুঝতে পারছেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

গেছো দাদা বলেছেন: আপনাকে দুঃখ দিয়ে আমি নিজেই দুঃখিত।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সাসুম বলেছেন আওয়ামী আনুগত্য বাদ দিতে। কেন ভাই আওয়ামীলীগের অপরাধটা কি?
আমি আওয়ামীসমর্থন অন্তত স্বীকার করি, ব্লগের শিবির সদস্যরা কি কখনো স্বীকার করে?
আওয়ামী লীগ বাদে অন্য একটি ধর্মনিরোপেক্ষ দল দেখান যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিন বাংলাদেশ মানে। আমি পক্ষত্যাগ করবো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৪

গেছো দাদা বলেছেন: আপনার স্বাধীন মতের জন্য আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

আমি নই বলেছেন: রেন্ডিয়া নিয়ে চিন্তা করেন, আমাদের নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৩

গেছো দাদা বলেছেন: একসাথে ধর্মবর্বর ও দেশবর্বর। ধিক্কার।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৪

দংশন বলেছেন: ধর্মের চাহিদা/প্রয়োজনীয়তা মানুষের জীবনে অথবা সমাজের জন্য আগেও ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। যত দিন পর্যন্ত এক গ্লাস ধর্মের সাথে এক চিমটি নাস্তিকতা মিশায়ে পান করবে ততদিন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক কাজ করবে। যখনি গ্লাস পুরাটাই ধর্ম দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে তখনই এটার বিষবাষ্প ছড়াতে শুরু করে। তখন গরুর বিষ্টা উটের বিষ্টাও এদের কাছে অমৃত লাগে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫

গেছো দাদা বলেছেন: পারফেক্ট।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩৫

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: একসাথে ধর্মবর্বর ও দেশবর্বর। ধিক্কার।[/sb

ধিক্কারটা আগে নিজেকে দেন। দেশবর্বর শব্দটাও আপনার জন্যই ভালো মানায়, উদ্দেশ্যপ্রনিত ভাবে আমারদেশকে ছোট করার জন্য। ধর্মীয় বর্বতায় আপনারা বিশ্বের অন্যতম অগ্রজ, সুতরাং নিজের চরকায় তেল দ্যান।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১০

গেছো দাদা বলেছেন: প্রকৃৃত মালাউন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.