নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একঘেয়ে বৃষ্টিটা আবার শুরু হয়েছে।11 বছরের ছেনুর হাফপ্যান্ট ভিজে যাচ্ছে ভেজা চট এ বসে থাকতে থাকতে। চটটা পাড়ার একটা কুকুরের জন্য ফ্ল্যাট এর একটা ন্যাকাষষ্ঠী দিদিমনি পেতে দিয়ে গেছে। বিষ্টিতে কুকুরটার বসার জায়গা নেই বলে। হিহিহি। যেন জানে না যে এই চটও ভিজবে, এখানেও কুকুরের একই কষ্ট হবে।
"ভাগ বাঞ্চত" বলে ক্যাঁৎ করে পেটে লাথি মেরে ছেনু তুলে দিয়েছে কুত্তাটাকে। "এটা আমাদের বারান্দা বাঁ"। হোক না লোকের দখলি জমির উপর তৈরী আধখ্যাঁচড়া ভীতের উপর বানানো বেড়ার ঘর, তার বাইরে ভীতের অব্যবহৃত অংশের উপর বাঁশ দিয়ে ত্রিপল টানিয়ে বারান্দার অভিনয়, তাও তো এটা ছেনুর মায়েরই। তার মানে ছেনুরই। তবেএএএহ? "বড়লোকদের কুত্তাছিনালির মা চুদি" -- গজগজ করতে করতে ছেনু বসল ওই বারান্দায়। এখানে বসাটা সময়বিশেষে কতটা দরকার, সেটা ছেনু ছাড়া কেউ বুঝবে না।
ছেনুকে বারান্দায় কান পেতে বসতে হয় যখন মায়ের ঘরে কাস্টমার ঢোকে। এই সময়ে ছেনু ডেনড্রাইট শোঁকেনা। তার থেকেও বড় নেশা করে। টাকার কল্পনা।
ঘর থেকে মায়ের আহঃ উহঃ ভেসে আসে, সস্তার কাঁচের চুড়ির ছনছন যত দ্রুত হয়, ছেনুর ধারণা কাস্টমার তত মজা পাচ্ছে। আগে মা ধাবার সামনে দাঁড়াতো, 100-200 যা পেত, নিত।এখন এই বেড়ার ঘরটা করায় 500 - 800 টাকা নেয়। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা ভদ্দরলোকও আসে। টাকা দেওয়ার পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছেনুর হাতে কখনো 20 টাকা , কখনো 50 টাকা দেয়। মাল পড়ে যাওয়ার পর ভদ্দরলোকের বাচ্চাদের খুব অপরাধবোধ হয় তো। তাই প্রায়শ্চিত্ত করে ছেনুকে টাকা দিয়ে। কিংবা হয়তো নিজের মনের কাছে নিজে মহান সাজে। "আহা, এইসব লোকগুলো নিজের বউকে চুদে নিশ্চয় অনেক টাকা দেয়। এর ছেলেমেয়েরা কী টাকার আশায় এদের শোবার ঘরের বাইরে বসে?" -- ভাবে ছেনু।
আবার টেটিয়া কাস্টমার দেখলে ছেনু ঘরে বসে যায় কাজ হবার আগেই। ওর মা বলে, "ছেলের জ্বর হয়েছে গো বাবু,এরে এখুন বের করা যাবে নে" , তখুন কাস্টমাররা 100 টাকার পাত্তিও হাতে দিয়ে দেয়। দৌড়ে গিয়ে মোড়ের দোকান থিকে ডেনড্রাইট, আহাহা। কী মজা।
মা খুব দুক্ষু করে। বলে, ছেনু মেয়েছেলে হলে এদ্দিনে ব্যবসা জমে যেত। কিন্তু ছেনু ব্যাটাছেলে, ব্যাটাছেলে বাচ্চাদের গায়ে লোম উঠে গেলে আর বাবু জোটে না তেমন। মা রোজ ছেনুকে ল্যাংটো করে দেখে যে ছেনুর গায়ে লোম গজানো শুরু হল কিনা। তাহলে সম্বৎসরে যে কয়েকটা বাবু আসে ছেনুর পোঁদ মারতে, তারা আর আসবে না। খুব লাগে, কিন্তু অনেক টাকা দেয় ওরা....
ছেনুর রেট ওর মায়ের থেকেও বেশি। ভায়াগ্রা না খেয়ে 1200 টাকা, ভায়াগ্রা খেয়ে 2000 টাকা।
ঘর থেকে ছনছন শব্দ ভেসে আসছে, খুব জোরে। প্রায় 15 মিনিট হয়ে এল। বোধ হয়, কাস্টমার ভায়াগ্রা কেস। ভায়াগ্রা কেস হলেই বেশি টাকা। মনে মনে মুরগির মাংসের দোকানে চলে গেল ছেনু। আজ রাতে মাংসভাত ভোজ হবে।
ওই দেখো, কুত্তাটা আবার আশেপাশে শুঁকতে শুঁকতে আসছে, কী জ্বালা মাইরি।
নাঃ, ডেনড্রাইট একটা মারতেই হবে দেখছি। সেদিন লাইনপারের রমাদির বাপ বলছিল, রমাদিকে আরবে বেচে দিয়েছে। 1 লাখ টাকা পেয়েছে।
ভাবতে হচ্ছে...... এই শালার মা মাগীটা ছেনুর পোঁদ মেরে কামানো পয়সাও নিজের কাছে রেখে দেয়। গুনে গুনে হাত খচ্চা দেয়, এভাবে চলে নাকি?
প্লাস্টিকটায় মুখ ভরে একটা টান দিল ছেনু। মাথাটা হাল্কা না হলে মাকে আরবে বেচার প্ল্যান কীকরে কষবে? বুড়ি মাগীকে বেচে 70 হাজার তো পেয়েই যাবে বোধ হয়। তাই না?
২| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: অশালীন।
৩| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আহা! কষ্টে ভরা ছেনুদের জীবন!
রান্ডি পাড়ার বাস্তব চিত্র দাদা।
কখনো কি দেখা হয়েছে ছেনু বা
তার মায়ের সাথে!
৪| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১:৫৯
অধীতি বলেছেন: বাস্তবতা
৫| ২১ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাস্তবাতা আছে কিন্তু চটি গল্প না লেখাই ভালো।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪০
লেখার খাতা বলেছেন: সামু ব্লগ চটি হল কখন?