নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার জন্য ভালোবাসা।

গেছো দাদা

গেছো দাদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য নয় : বিশ্বব্রহ্মান্ড কত বড়ো হতে পারে ?!!!

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

আমাদের এই ৯৩ বিলিয়ন diameter এর observable ইউনিভার্স এ প্রায় দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে এবং প্রতিটি গ্যালাক্সিতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ট্রিলিয়ন গ্রহ বা নক্ষত্র আছে। অর্থাৎ, মোট গ্রহ-নক্ষত্রের সংখ্যা প্রায় ছয় ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন বা ছয় সেপ্টিলিয়ন(6×10^24)। যদি পুরো চীনকে প্রায় বিশ ফিট উঁচু বালিতে ঢেকে দেয়া যায় তাহলেও বালির পরিমান হবে প্রায় ছয় সেপ্টিলিয়ন!!! আর এটিকে আমাদের observable ইউনিভার্স হিসেবে কল্পনা করলে, এর একটি বালুর কনা আমাদের পৃথিবী!!!তাহলে, আমাদের অবস্থান কোথায়!!!এখন আমরা যদি বলি সারা observable universe এর কোথাও প্রাণ নেই পৃথিবী ছাড়া, তাহলে এটা বলা হয় যে, সাগর থেকে ২/৪ বালতি জল তুলে বলা দেখ সাগরে তিমি নেই। Real universe এর কথা ত ছেরেই দিলাম।observable universe এর আয়তন 93 billion light year। তার বাইরে কি আছে কেউ জানে না।হয়তো কোনদিনই জানতে পারবে না,কারণ physics এর limitation আছে।হয়তো এর বাইরে আরও 3 trillion গ্যালাক্সি আছে বা কিছুই নেই।অন্য কোন stucture অথবা Other Universe ও থাকতে পারে বা কিছু না ও থাকতে পারে এর(observable universe )বাইরে । এমনও হতে পারে observable universe টাই real universe,এর বাইরে আর কিছুই নেই। এক বিজ্ঞানীর মতে real universe, observable universe এর থেকে প্রায় ১৫০^২১ গুন বড়।হতে পারে observable universe এর বাইরের কোন গ্রহে life, civilization দুটিই আছে ।Multiple Universe বা Other universe এর ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। আমাদের universe এর আলো পৃথিবীতে আসার সীমানা পৃথিবী থেকে 14 বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স দূরে অবস্থিত,কারণ 14 বিলিয়ন ইয়ার্স আগেই প্রথম আলোর জন্ম হয়েছিল সবকিছুর সাথে big bang এর ফলে। কিন্তু আমরা তার বাহিরের গ্যালাক্সিগুলোকেও দেখি কারণ আলোর রেডশিপ্ট। 14-46 বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স দূরের গ্যালাক্সি যারা ডার্ক এনার্জির প্রভাবে আমাদের থেকে বহু দূরে সরে গেছে একদিন তাদের আলোও আমাদের অবজারভেবল ইউনিভার্সে প্রবেশ করবে আর আমাদের নিকট মনে হবে তারা আমাদের 14 বিলিয়ন বছরের সময় সীমার বা তার নিকটতেই বাস করছে। 61 বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স দূর থেকে আমাদের মহাবিশ্বে আলো আসার পূর্বেই আমরা ধবংস হয়ে যাব, অতএব 61 বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স দূরের গ্যালাক্সিগুলোতে এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকলেও এবং তারা আমাদেরকে সিগনাল প্রেরণ করলেও আমাদের কোনোদিন দেখা হবেনা।dark energy কি সেটাও জানা সম্বব হয়নি।4 billion year পরে Andromeda Galaxy আর Milkey way Galaxy এক হয়ে যাবে।ধরলাম তার নাম হবে Milkeymeda Galaxy। আর বাকি Galaxy গুলি অনেক দূরে সরে যাবে dark energy এর কারণে। সেই গ্যালাক্সি গুলো থেকে আর আলো আসবে না পৃথিবীতে,কারণ সেইসব গ্যালাক্সি আর Milkeymeda গ্যালাক্সির মধ্যবর্তী স্পেস এর প্রসারণ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হবে। তখন Milkeymeda গ্যালাক্সির কেউ যদি বলে Milkeymeda গ্যালাক্সি ছাড়া আরও Galaxy আছে universe এ, তখন সবাই তাকে পাগল বলবে।তখন Milkeymeda গ্যালাক্সিই হবে তাদের কাছে universe। তারা কোনদিনই জানতে পারবে না আরও 2 trillion গ্যালাক্সি আছে তাদের এই so called universe এর বাইরে।ঠিক যেমন এখন আমরা জানি ৯৩ বিলিয়ন light year distance এর বাইরে আর কিছুই নেই।1921 সালের আগে পর্যন্ত আমরাও জানতাম শুধু 1 লাখ light year এর মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিটাই আমাদের real universe, তার বাইরে আর কিছুই নেই।১৯২১ সালে বিভিন্ন টেলিস্কোপ সেই ভুল ভেঙে দেয়।তবে দেখা গেছে মহাবিশ্ব এর একদম প্রান্তের গ্যালাক্সি গুলো খুব দ্রুত universe এর বাইরের দিকে ছুটে চলেছে, মনে হয়, ৯৩ বিলিয়ন light year এর বাইরের কিছু যেন তাদের আকর্ষণ করছে।তাই ৯৩ বিলিয়ন light year এর বাইরে কিছু থাকার সম্ভাবনাই বেশী।observable universe এর 75% পদার্থই dark matter দিয়ে তৈরি।dark matter আলোর সাথে interact করে না তাই দেখা যায় না বা কোন machine দিয়ে detect করা যায় না।শুধুমাত্র gravity দিয়েই feel করা যায় dark matter। বাকি 25% জিনিস আমরা দেখতে পাই,gravity দিয়ে feel করি এবং মেশিন দিয়ে detect করতেও পারি ।এই 25% visible জিনিস নিয়েই আমাদের জানা এই visible universe.মানে observable universe এর 75% জিনিস আজও মানুষের অজানা।আর energy কে হিসেবে নিলে ৭০% dark energy, ২৫% dark matter, আর only ৫% visible matter। আমাদের Milkey Way Galaxy এর ৮৫% জিনিস dark matter দিয়ে তৈরি।মানে আমাদের Galaxy এর ৮৫% জিনিস মানুষের অজানা।এখন dark matter এর তৈরি প্রাণী(life form) যদি পৃথিবীতে থাকে বা পৃথিবীতে যাতায়াত করে তা আমরা জানতেও পারবো না।হতে পারে সেই সব প্রাণী এমন কিছু দেখে যা আমরা দেখি না।হতে পারে কুকুর বা বাদুড় তাদের sense করতে পারে । ভবিষ্যতে dark matter কে identify করা যেতে পারে,dark energy কেও জানা যেতে পারে,কিন্তু observable এর বাইরে কি আছে সেটা জানা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

গণবিবেক বলেছেন: জাস্ট অসাম .

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

গেছো দাদা বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আলোর গতি নিয়নন্ত্র করা গেলেই কেল্লা ফতে। সেটা হয়তো কোনো একদিন সম্ভব হয়ে যাবে।

মহাবিশ্ব কত বড়, কেউ জানে না।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: এক কথায় অনবদ্য লেখা! তবে এর মধ্যে হাজার লক্ষ কোটি ট্রিলিয়ন যদি কিন্তু আছে :)

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

নতুন বলেছেন: মহাবিস্বে প্রান অবশ্যই আছে।

যদি একবার এই পৃথিবিতে প্রানের উত্পত্তি হতে পারে তবে অন্য কোথাও অবশ্যই হতে পারে।

হয়তো সেই প্রানের ধরন আলাদা।

আর চোখ বুঝলে মহাবিশ্বের যেই বিশালতা আমরা কল্পনা করতে পারি মহাবিশ্বর বাস্তবতা তার চেয়েও আরো বড়।

এই রহস্যের ভেদ আমরা দেখে যেতে পারবো না এটা একটা আফসোস থাকবে।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ৯৩ বিলিয়ন ডায়ামিটার মানে কী? একক (আলোকবর্ষ) বাদ পড়েছে।
পুরো চীনকে বালি দিয়ে ঢেকে দিলে বালির পরিমাণ হবে ছয় সেপ্টিলিয়ন, এখানে একক কী?
Milkey way -< Milky Way
Melkeymeda -< Milkomeda / Milkdromeda

প্রচুর আকর্ষণীয় তথ্য সন্নিবিষ্ট, তবে বাংলা-ইংরেজি আর কিছু ভুলে কিছু জট লেগে গেছে।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ব , নেমন্তন্নে যাচ্ছি ।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বস্তুজগৎ ছাড়াও ভিন্ন ডাইমেনশনের জগত থাকতে পারে যেটা আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য না।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানীরা জানে।সম্প্রসারণের গতিও জানে।আমাদের প্রয়োজন নাই তাই জানি না।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,




বিশ্বব্রহ্মান্ড কত বড়ো, এর হদিশ আমরা কেউই জানিনে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও আছেন ধাঁধাঁর মধ্যে, ব্রহ্মান্ডের বিশালত্ব নিয়ে।
এই দৃশ্যমান ব্রহ্মান্ড নিয়েও আছে সন্দেহ। এটা কি আসলেই বাস্তবে আছে, নাকি এই ব্রহ্মান্ড একটা " সিম্যুলেশন"; এটা নিয়েও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কাইজ্জায় লিপ্ত। কাইজ্জায় লিপ্ত ব্রহ্মান্ডের আরও অনেক কিছু নিয়েই।
তাই ব্রহ্মান্ডের বিশালত্ব নিয়ে মাথা খারাপ না করে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড যে কতো রহস্যময় আর দৃষ্টিনন্দন তা দেখে মাথা ঠান্ডা করি।
এখানে লিংক দিলুম -----[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/30048705|“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]]

আপনিও এমন কিছু পোস্ট থাকলে দিন।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,




আগে লিংকটি ঠিকঠাক আসেনি তাই -
[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/30048705|“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]]

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা,





:( :((

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিশ্বব্রহ্মান্ড কত বড়ো হতে পারে? এর উত্তর জানা নেই, আমার কল্পনারও বাইরে।

গেছোদাদা, আপনার এই পোস্টটা পড়ে ভাবনার সাগরে হাবুডিুবু খাচ্ছি। এত ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক নিয়ে কল্পনার ঘুড়ি আর কতটা উঁচুতেই বা উড়াতে পারি? ১৪ বিলিয়ন ইয়ার্স মানে ১৪০০ কোটি গুণন ১৮৬০০০=??? বছর! বাপরে বাপ, চিন্তাও করতে পারি না অংকের ফলাফল। যাহোক, তবুও বলবো, আপনার এ পোস্টটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় বোধ হয়েছে আমার কাছে, কেননা এ পোস্টের তথ্যগুলো পাঠককে ভাবাবে, ভাবতে শেখাবে। এসব বিষয়ে যারা আমার চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন, তারা নিশ্চয়ই এতে অনেক ভাবনার খোরাক পাবেন।



১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মহাবিশ্ব ভালোবাসি।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি?
মন্তব্যের উত্তর দিবেনে না ?

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

বুনোগান বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে। বিজ্ঞান সম্পর্কিত পোস্ট আরো বেশী বেশী আসা উচিৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.