নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবীন্দ্রসংগীত লিখতে গেলে প্রথমে অ, আ, ক, খ ইত্যাদি বর্ণগুলো এবং স্ক, হ্য, ক্ষ ইত্যাদি যুক্তবর্ণগুলো লেখা শিখে নিতে হবে। রবীন্দ্রনাথের ‘সহজ পাঠ’ অথবা রবীন্দ্রনাথের বাবার বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ’ বইগুলো থেকে সহজেই এগুলো শিখে নেওয়া যেতে পারে।
এটা লেখা অভ্যাস হয়ে গেলে তারপর রবীন্দ্রসংগীত লেখা শুরু করা যেতে পারে। এর জন্য মূল উপকরণ রবীন্দ্রসংগীতে ব্যবহৃত কিছু শব্দ বা শব্দবন্ধ। তবে সেগুলো সংগ্রহ করার আগে জানতে হবে আপনি যে রবীন্দ্রসংগীতটা লিখতে চান, সেটা কোন্ পর্যায়ের। প্রেম-পূজা-প্রকৃতি-বিচিত্র ইত্যাদি অনেকগুলো পর্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত অলরেডি বাজারে আছে। আপনার রবীন্দ্রসংগীতটাকেও ওগুলোর মধ্যেই ফিট করতে হবে। নতুন কোনো পর্যায়, যেমন সুমন পর্যায়, অনুপম পর্যায়, অরিজিৎসিং পর্যায় ইত্যাদি এক্ষেত্রে অ্যালাউড নয়।
ধরে নেওয়া যাক আপনি প্রেম পর্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত লিখতে চান। যে পর্যায়েরই চান, আপনাকে জোগাড় করতে হবে অন্যূন হাফ ডজন রবীন্দ্রসংগীত, যার অর্ধেক সেই পর্যায়ের হ’লে ভালো হয়। মানে প্রেম পর্যায়ের লিখতে হলে প্রেম পর্যায়ের তিনখানা আর বাদবাকি পর্যায়গুলো থেকে বাকি তিনখানা জোগাড় করুন।
ধরে নিচ্ছি আপনি জোগাড় করেছেন এইগুলো –
প্রেম পর্যায় থেকেঃ
১। আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো
২। তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম
৩। ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে
পূজা পর্যায় থেকে
৪। আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে দোলাও
প্রকৃতি পর্যায় থেকে
৫। আকাশভরা সূর্য-তারা বিশ্বভরা প্রাণ
বিচিত্র পর্যায় থেকে
৬। দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না
তাহলে আপনার ইনগ্রেডিয়েন্টস রেডি। এবার দরকার রেসিপি। রান্না করার আগে সবজি যেমন দরকার অনুযায়ী খোসা ছুলিয়ে কেটেকুটে ধুয়ে দরকারে কিছু মশলা মাখিয়ে মজাতে হয়, রবীন্দ্রসংগীত লিখতে হ’লেও এই গানগুলো থেকে খোসা বাদ দিয়ে এক একটা গান থেকে পাঁচটা করে বাছাই করা শব্দ বা শব্দবন্ধ তুলে আনতে হবে। কিছুদিন প্র্যাকটিশ করতে থাকলেই এই ব্যাপারটাতে আপনি পোক্ত হয়ে যাবেন। আপনার সুবিধার্থে আমি কয়েকটা উদাহরণ সাজিয়ে দিচ্ছি নীচে। এগুলো সবই ওপরের ওই রবীন্দ্রসংগীত কেটেকুটেই তুলে আনা।
১। পরান, সুখের সন্ধানে, হৃদয়মাঝে, রহিব বিলীন, দীর্ঘ রজনী
২। নিবিড় নিভৃত, পূর্ণিমানিশীথিনী, জীবন যৌবন, করুণ আঁখি, অঞ্চলছায়া
৩। ভ্রমর, মাধবী, ফুল-জাগানো, দেয় বুলায়ে, কাজ ভুলায়ে
৪। আপন হাতের দোলে, কথার পাকে, বাঁশির ডাকে, খেলার সাথী, খেলার সে ঢেউ
৫। বিশ্বভরা প্রাণ, হিল্লোল, ভুবন দোলে, চমক লেগে, আমার গান
৬। সোনার খাঁচায়, কান্নাহাসির বাঁধন, ছায়ার পাখি, স্বপন, আকাশ-পারে
কানাঘুষোয় শুনেছেন নিশ্চয় যে রবীন্দ্রসংগীতের যে বাণী, তাতে সাধারণভাবে ছন্দ আর অন্ত্যমিল নিখুঁতভাবে বজায় থাকে। ছন্দটা করায়ত্ত করা অতটা সহজ না হলেও অন্ত্যমিলটা অপেক্ষাকৃত অকঠিন। তবে খাঁচায়-এর সঙ্গে পাছায়, হাতের দোলের-র সঙ্গে ব্যোমভোলে বা আকাশ-পারে-র সঙ্গে ‘বাঁশের ঝাড়ে’ মিল দিতে যাবেন না, ওগুলো অরাবীন্দ্রিক। এটা বুঝতে হ’লে হাল আমলের আধুনিক বাংলা গান শোনা যথাসম্ভব কমিয়ে দিন।
তো আর অপেক্ষা কীসের? এবার এই শব্দগুলো ব্যবহার করে লিখে ফেলুন যা মন চায়। কী বলছেন? একপিস এগজাম্পল না দিলে ধরতে পারছেন না? ঠিক হ্যায়।
ছায়ার পাখি উঠল ডাকি নিবিড় নিভৃত হিল্লোলে
দীর্ঘ রজনী পার হয়ে আজি ফুল জাগানোর কল্লোলে।।
ভুবন দোলে বাঁশির ডাকে;
হৃদয়মাঝে পাইনে তাকে!
পূর্ণিমানিশীথিনী কোন বাঁকে আকাশ-পারে যায় চলে।।
মাধবীকুঞ্জে ভ্রমর যে আজ দেয় বুলায়ে তার গীতি।
খেলার সে ঢেউ চমক লাগায় দেয় ভুলায়ে বার-তিথি।
অঞ্চলছায়া কেটে দিয়ে যায় কান্নাহাসির কোন বাঁধন।
রহিবে বিলীন তার সনে আজি করুণ আঁখির গুঞ্জরণ।
আপন হাতের দোলে যে স্বপন
সুখের সন্ধানে করে বিপণন,
আমার এ গান জীবন যৌবন সঁপে দিয়ে যাই তার কোলে।।
দেখুন, ওপরের পাঁচ-ছয়ে তিরিশটার মধ্যে পঁচিশটা কাজে লাগিয়ে দিয়েছি। সুতরাং এটা রবীন্দ্রসংগীত।
এবার এতে সুর লাগিয়ে গাইবেন? তাহলে আগে আপনাকে জানতে হবে কোন তালে গাইবেন। দাদরা-কাহারবা-তেওড়া-ঝাঁপতালেই রবীন্দ্রসংগীতের নাইন্টি পার্সেন্ট। এর মধ্যে একটা পছন্দ করে আগে সেটা অন্নু মালিকের মতো টেবিল বাজানো প্র্যাকটিশ করে নিন। অভ্যাস হয়ে গেলে আমি ফের এসে শিখিয়ে দেব’খন, ঠিক আছে?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
গেছো দাদা বলেছেন: আপনার মতো মানুষেরা বাংলাদেশে বিরল। বেশিরভাগই তো আবাল ছাগু ! আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৫
গেছো দাদা বলেছেন: একি ? রম্যে এখনো কোনো কমেনট নেই ! বিষয় টা গাজা নিয়ে হলে এতখনে কমেনটে গালাগালির বন্যা বইতো ! হা হা হা।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৮
কামাল১৮ বলেছেন: মোনায়েম খান দুঃখ করে আমাদের সংঙ্গীত লেখকদের বলেছিলেন,তোমরা রবীন্দ্র লিখতে পারো না।কি আবোল তাবল লেখ।এই লেখাটা সেই সময় ছাপা হলে কেউ কেউ চেষ্টা করে দেখতে পারতো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
গেছো দাদা বলেছেন: ইন ফ্যাকট, লেখার সময় এটা আমার মাথায় ছিলো। হা হা হা।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি জল্লাদ মোদীর আবর্জনা, রবীঠাকুরকে আলোচলায় এনে বিজেপি'র জল্লাদের আচরণ ঢাকার প্রচেষ্টা?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৬
গেছো দাদা বলেছেন: @কামাল১৮ । এই জে একটা আবাল ছাগুর নমুনা দেখেন। এতবার লfথাই, তবুও বারবার লাথ খেতে আসে আমার কাছে !! হা হা হা।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
গেছো দাদা বলেছেন: সবাই মনে হয়,গাজা য় গেছে যুদ্ধ করতে। সেজন্যই মন্তব্য কারীর আকাল পড়েছে।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: গেছো দাদা দিন দিন আপনার ভাষা ভয়ানক অশালীন হয়ে পড়ছে।
লাগাম দিন। ভদ্রতা বজায় চলুন। ব্লহ তো শিক্ষিত মানূষদের জন্য।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি আবোল-তাবোল না লিখে , কিছু রবিন্দ্রসংগীত লিখলেও পারেন। ঝটপট গিতান্জলী গাইতে গাইতে সোনার তরীতে উঠে পড়ুন। নোবেল হাতছাড়া হলো বলে !
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হোসেইনী ব্রাহ্মণ নিয়ে আপনার চমৎকার একটা লেখা পড়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: তথ্য বহুল একটি সুন্দর লেখা।ঐ মোল্লা ছোল্লা বাদ দিয়ে এমন লেখা লিখুন।