নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড - সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড - থার্ড ওয়ার্ল্ড !!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

বর্তমান গ্লোবাল বিশ্বে'র সমতা ভেঙ্গে কিভাবে বড়-ছোট বিভাজন তৈরী'র উদ্দেশ্যে বিশ্বে কিভাবে মানসিক ডমিনেশন চলে তার একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা বলি।



আমরা সবাই ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড (ধনী / শক্তিশালী) - সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড (স্বচ্ছল / মোটামুটি) - থার্ড ওয়ার্ল্ড (দরিদ্র / দূর্বল) ক্ল্যাসিফিকেশনগুলো জানি। ( যা সম্পূর্ণ ভুল)



এই বিভাজনটা আসলে কোল্ড ওয়ারের সময়কালীন একাডেমিয়াতে ব্যাবহৃত হয়।



ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড বলতে বুঝানো হতো ন্যাটো সদস্য, মার্কিন - পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো'কে। যাদের রাজনীতি মূলত গণতান্ত্রিক ।



সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড বলা হতো, সোভিয়েত ইউনিয়ন- কমিউনিস্ট ব্লকের দেশগুলো'কে। যারা ছিল সমাজতান্ত্রিক।



কোল্ড ওয়ারে'র প্রধান এই দুই গ্রুপের বাইরের অন্য সব দেশই ছিল থার্ড ওয়ার্ল্ড। যারা না ন্যাটো সংশ্লিষ্ট না কমিউনিস্ট। দারিদ্রতার সাথে এই থার্ড ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরীর কোন রিলেশন ছিল না। অস্ট্রিয়-সুইজারল্যান্ড- গালফের ধনী দেশগুলোও ছিল থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি।







"ছবিটা উইকি থেকে নেয়া, কোল্ড ওয়ারে'র সময় বিশ্ব বিভাজনে'র চিত্র।



ছবি'র 'নীল রঙ্গা' দেশগুলো ফার্স্টওয়ার্ল্ড, 'লাল গুলো' সেকেন্ড, আর 'সবুজগুলো' থার্ড ওয়ার্ল্ড। যা কিনা আমাদের পাসপোর্টের রঙ্গেও প্রতিফলিত হতো।"

----------------



কোল্ড ওয়ার শেষ হবার পর বিগত কয়েক দশক ধরে এই টার্মিনোলজিগুলো ইনভ্যালিড হয়ে গেলেও মানুষ এখনো এগুলো ধরে রাখতে আগ্রহী। তাই অর্থনীতি'র ক্লাসিফিকেশন অনুযায়ী, পশ্চিমা পুঁজিবাদি ও ধনী দেশগুলো'কে "কোর কান্ট্রিজ" না বলে বলে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড, যারা পশ্চিমাদের পুঁজিবাদের সহায়ক, যেমন গালফ দেশগুলো বা সাউথ আফ্রিকা- কোরিয়া'কে "সেমি পেরিফেরি" না বলে, বলে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড। আর দরিদ্র ও পুঁজিবাদীদের হাতে শোষিত দেশগুলো'কে "পেরিফেরি" না ডেকে বলে, থার্ড ওয়ার্ল্ড!



কারন, ফার্স্ট- সেকেন্ড - থার্ড ওয়াল্ড ডেফিনিশনের ভেতরই এক ধরনের বড়-ছোট ভেদাভেদ, প্রতিযোগীতার আবহাওয়া তৈরী হয়। কিন্তু ইকোনমি'র কোর-সেমি পেরিফেরি- পেরিফেরি বললে তখন পরিষ্কার হয়ে যায় কে শোষন করছে আর কে শোষিত হচ্ছে!



সুতরাং, ডমিনেটিভ মানসিকতার নগ্ন সত্যে'র উপর বিভাজনের সুগার কোটিং চালিয়ে দিয়ে, শোষিত ও শোষকের আদিরূপটা সহজের ঢেকে দেয়া হলো!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভালো তো! সত্যি জানতাম না।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

জেনো বলেছেন: দারুন লিখেছেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

মাক্স বলেছেন: জানতাম না জেনে ভালো লাগলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: জানাতে পেরে আমারো খুব ভাল লাগলো

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

শিপন মোল্লা বলেছেন: আমি আসলে ভাই জানতাম না দারন। ধন্যবাদ শিয়ার করার জন্য। পোস্টে প্লাস।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বোধ হবার পর থেকেই এ শ্রেণীবিভাগকে ঘৃণা করে এসেছি। নিজেকে কে তৃতীয় শ্রেণী মনে করতে চায়? তাছাড়া আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিলো এটি তথাকথিত ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড দেশগুলোর বানানো বিভাজন।

বিষয়টি নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই নি। আজ আসল বিষয়টি জেনে স্বস্তি পেলাম। আপনাকে ধন্যবাদ +

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

ব্যাপারটা কিন্তু এভাবেই কাজ করে, আপনি-আমি যেমন থার্ড ক্লাসে পড়ে কষ্ট পেয়েছি, কনফিডেন্স হারিয়েছি, তেমনই ফার্স্ট ক্লাসের নাগরিকেরা আত্মশ্লাঘা বোধ করেছে, কনফিডেন্স গেইন করেছে। বিভাজনটা খুবই গভীর এবং ব্যাপক। এভাবেই ওয়ার্ল্ড অর্ডার তৈরী হয় :(

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০১

রিওমারে বলেছেন: তবে সাম্পতিক সময়ে অর্থনইতিক অবস্থার বিবেচনায় ১ম ২য় ৩য় ওয়ার্ল্ড কাউন্ট করা হয় বোধহয়।।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এই ধারনা আসলে পাবলিক মেন্টালিটিতেই আছে। তবে বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে :(

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

দূর্যোধন বলেছেন: কৈ জানি দেখলাম, শুন্য আরন্যক সম্ভবত শেয়ার করছিলো একটা ছবি - দাসত্ব ততক্ষনই চালায়া নেয়া সোজা,যতক্ষন পর্যন্ত দাস টের না পায় এইটা দাসত্ব । বিভাজনের বিষয়টাও একই রকম দেখতাছি ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলেই। আর এসবের জন্য ব্যাবহার হয় সফট পাওয়ার। ঐটা নিয়াও লেখবো আগামীতে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.