নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ফরেন পলিসি'র দিক পরিবর্তন--- সিদ্ধান্তটা কার?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৮

বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের যুগে আন্তর্জাতিক রাজনীতি একটা বড় প্রেক্ষাপট। আমাদের মত দেশের জন্য তো অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু!



বিশ্বে পরিস্কার ২টি বিভাজন আছে, মোটামুটি ১টি মোটা দাগে বিভক্ত এই বিশ্ব।



১- পশ্চিমা।

২- পশ্চিমা বিরোধী।

-----------------------------



একটা গণতান্ত্রিক দেশের ফরেন পলিসিতে সে দেশের জনমতেরই প্রতিফলন ঘটে।



কোল্ড ওয়ার শেষ হবার পর, মানে ৯০'র দশক থেকে বাংলাদেশ প্রধানত পশ্চিমা ব্লকেই আছে (ছিল)।



বিভিন্ন দাতাসংস্থা এবং পাবলিক ও সরকারি রিলেশনই তার প্রমান।



বর্তমান সরকারে'র আমলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে'র প্রধান ব্যাবসা ও উন্নয়ন সহযোগী পশ্চিমাদের সাথে বাংলাদেশের দুরত্ব বাড়ছে, এবং পশ্চিমাদের বিরোধী শিবিরের সাথে ঘনিষ্টতা বাড়ছে!



গ্রামীন ব্যাংকের ঘটনার পর বিশ্বব্যাংকের সাথে টানাপোড়েনের মাঝেই বেলারুশের একঘরে প্রেসিডেন্টের আগরমন-ভিয়েতনামে প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং সর্বশেষ রাশিয়া সফরে ঋন করে বিরাট বাজেটের অস্ত্র ক্রয় বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা না।



এটা বাংলাদেশের ফরেন পলিসিতে অতি পরিষ্কার টার্ন।



আমাদের বাংলাদেশ যে পরিষ্কারভাবে অক্ষ পরিবর্তন করছে, এটা কার মতামতে'র ভিত্তি'তে করছে?



আতংকের ব্যাপার হলো, এই পরিবর্তনটা স্বতস্ফুর্ত বা লাভ-ক্ষতি'র হিসাব থেকে হচ্ছে না, বরং বর্তমান সরকারের সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্কে ক্রমাগত ব্যাক্তিগত মতবিরোধ থেকে হচ্ছে।





পশ্চিমাদের সাথে আমাদের আদর্শিক কোন দ্বন্দ নেই, আমরা মুক্ত বাজার অর্থনীতি'র বাজার চালাই, গণতান্ত্রিক রাজনীতি করি, ধর্মনিরপেক্ষ আইন মানি।



আমাদের প্রধান ব্যাবসায়ী পার্টনার পশ্চিমা ও তাদের সহযোগী আরব-পূর্ব এশিয়ান দেশগুলো, এমনকি আমাদের দেশের জনগণও পড়তে বা বসবাসের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতেই রয়েছে এবং যাচ্ছে, তবে কেন আমরা একনায়ক কেন্দ্রিক সাবেক সোভিয়েত ব্লকে'র সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করছি?



এমনকি সংসদেও এই বিদেশনীতি'র পরিবর্তন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি! তাহলে দেশ ও জাতি'র ভবিষ্যত নিয়ে এত বড় সিদ্ধান্তটা আসছে কোথা থেকে? কার কাছ থেকে?



এই ব্যাপক পরিবর্তন যারা ভোগ করবে সেই জনগণের কেন কোন ভূমিকাই নেই এত বড় একটা পরিবর্তনে???

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৪

রাজদ্রোহী বলেছেন: মূল পয়েন্টটা মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত বিরোধ ই।রাশিয়ার মত পতিত শক্তির চেয়ে চীনের সাথে গাটছড়া বাধাটাই বরং কিছুটা লাভজনক ছিল।তবে আওয়ামী লীগ যে তার পুরনো মিত্র ভারতকে চটাতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: একদম ঠিক। আশ্চর্য্যের ব্যাপার, দেশ ও জাতি'র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এতবড় একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেল কোনপ্রকারের বিশ্লেষন ছাড়াই, জনবিচ্ছিন্নভাবে এবং ব্যাক্তিগত কারনে মতবিরোধের ফলে একক সিদ্ধান্তে!!!

২০১৩ সালে এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের ৮ম বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে অকল্পনীয়!

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩২

উড়োজাহাজ বলেছেন: রাজরাজদের কায়-কারবার, বোঝা বড়ই মুশকিল। ধরা খেলে আমাদের উপর দিয়েই যাবেক্ষণ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধরাটা আমরাই খাবো নিশ্চিত কারন আমাদের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগী পশ্চিমারাই, আমাদের জনগণও পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সম্পর্কে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং আমাদের বিগত ২২ বছরের অতীত ফরেন রিলেশন পশ্চিমা কেন্দ্রিক।

সমস্যা হলো, ওদের কায়-কারবারটাও বুঝতে পারছি, সেজন্যই এত দুশ্চিন্তা হচ্ছে!

দেশটা তো একজন ব্যাক্তি নয়, এমনকি একটা সরকারও নয়। দেশের পররাষ্ট্রনীতি খুবই সেনসিটিভ বিষয়!

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪১

সংশপ্তক২০১৩ বলেছেন: অফটপিকঃ আপনি জিয়াকে পছন্দ করেন?জিয়াকে কেনো শহীদ জিয়া বলা হয় দয়া করে জবাব দিন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি জিয়া'কে অত্যন্ত পছন্দ করি। কারন তিনি বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, দৃঢ় ও জনসাধারনের নেতা ছিলেন।

শহীদ জিয়া বলে তার অনুরাগীরা, তাকে হত্যা করা হয়েছিল বিধায়।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি এই বিশেষনটা ব্যাবহারের পক্ষে না, জিয়া অথবা মেজর জিয়া বেটার।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

সুখোই-৩৫ বলেছেন: আপনার হিসাবে ভুল আছে। বাংলাদেশ পশ্চিমা পক্ষে ছিল, পশ্চিমা পক্ষেই আছে।

হাসিনা এখানে ভারতকে অনুসরণ করছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকা, পশ্চিমপন্থী হওয়া। কিন্তু সামরিকভাবে পশ্চিমাদের নাগালের বাইরে থাকা।

আমরা অর্থনীতির ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের সাথে ছিলাম, ভবিষ্যতেও তাইই থাকব। কিন্তু সামরিক ক্ষেত্রে আমরা নিজস্বতার দিকে এগুবো, যেমন ভারত এগুচ্ছে। ভারত কিন্তু রাশিয়া থেকেও অস্ত্র কিনে আবার ইসরাইল থেকেও অস্ত্র কিনে। অর্থনৈতিক গাটছড়া বাধা আর সামরিক গাটছড়া বাধা এককথা নয়। সামরিক ক্ষেত্রে আমরা কোন পক্ষ অবলম্বন করবো না।

কথা হচ্ছে, সামরিক পদক্ষেপগুলোর প্রভাব অর্থনীতির ক্ষেত্রেও পরবে। হ্যা পরাই স্বাভাবিক। কিছু করার নাই। ভারতের পারমানবিক কর্মসূচির সময় আমেরিকা ভারতের উপর স্যাংশন বসাইছিল। কিন্তু ভারত তার দূর্বল অর্থনীতি নিয়াও কারও তাবেদারি না করে শক্ত হাতে এগিয়ে গিয়েছে। ঐদিকে পাকিস্তান আমেরিকার তাবেদারি করে এখন কোন অবস্থায় আছে তা আমরা সবাই জানি। কথা হচ্ছে কষ্ট কিছুটা হবেই, ত্যাগ কিছুটা করতে হবেই। সামরিক দিক দিয়ে কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া চলবে না। সামরিক আর অর্থনৈতিক দুইটা ক্ষেত্রকে আলাদা রাখতে হবে। পররাষ্ট্রনীতিকে সোজা হিসাব, ব্যাবসা করতে চাইলে কর, আমার দোকানে স্বাগতম, কিন্তু আমার ঘরে কি আছে সেটা বিষয়ে নাক গলানোর অভদ্রটা করবে না। এখন থেকে শক্ত না হলে আরও একশ বছর যাবে তাবেদারি করতে করতে। ভারতের কিন্তু পারমানবিক বোমাও বানানো হয়েছে আবার আমেরিকা স্যাংশনও উঠিয়ে নিয়েছে। স্বাধীন ও স্বার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতিই কাম্য। নেহেরু সবসময় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাখতে চেয়েছে। অন্য কোন দেশ যেন সামরিক কারণে ভারতকে অর্থনৈতিক হুমকি দেখাতে না পারে সেটাই ছিল নেহেরুর লক্ষ্য। এই কিছুদিন আগেও আমেরিকা যখন ইরানের উপর স্যাংশন বসাল, ভারত তখন ইরান থেকে আরও বেশী তেল কিনার চুক্তি করল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সার্বভৌম ভারতের নেহেরুর নীতি ভারত এক্ষেত্রে প্রযোগ করল। আমেরিকা গাইগুই করলেও শেষপর্যন্ত কিছু করতে পারে নাই।

আমাদেরও সে পথে আগানো দরকার। মাথা নীচু করে রাখলে সারাজীবনই মাথা নীচু থাকবে। মাথা উচু করে চলা শুরু করতে হবে। সোনার শেকল পরে আর কতদিন? ভাত কাপড়ই শেষ কথা নয়, স্বাধীনতা বলেও একটা কথা আছে। খাচায় বন্দি বাঘের চেয়ে মুক্ত কুকুরের জীবন অনেক ভাল।

আজ হোক কাল হোক আপনাকে সামরিক দিক থেকে পশ্চিমা অর্থনৈতিক চাপকে অগ্রাহ্য করতে হবে। সারা জীবন এভাবে পশ্চিমা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পিছনে দৌড়ানো সম্ভব না। কমদামে জিনিস দিতে পারলে সবাই কিনে, চায়না থেকে তো ঠিকই ব্যাবসা করছে আমেরিকা। পা চেটে আর কতদিন? ভাতের চিন্তার খাতিরে পা চাটার পরে একসময় পোলাওয়ের চিন্তা আসবে। তখন আবার লোকজন বলবে পোলাওয়ের খাতিরে সামরিক দিক থেকে নির্ভরশীল হোওয়া উচিত, নতুবা বিস্বাদ সাদা ভাত খেতে হবে।

আমি হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি সমর্থন করি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতি'র জন্য আপনার আকাঙ্খাকে সাধুবাদ ও সমর্থন।

কিন্তু কিছুটা অতিরঞ্জন হচ্ছে আপনার এ্যানালাইসিসে।

প্রথমত, বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত এবং বাংলাদেশের অবস্থান এক না। ভারত তার জনসংখ্যা, আয়তন এবং বাজারের আকৃতির কারনেই স্বতন্ত্র থাকার কিছু প্রাকৃতিক সুবিধা পায়। যেটা আমাদের নাই।

দ্বিতীয়ত, ভারত অতীতে কোনদিনই পশ্চিমা ব্লকে ছিল না, সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর থেকে এবং মুক্তবাজার নীতি গ্রহনের পর থেকে ধীরে ধীরে পশ্চিমা কোরামে ঢুকছে, কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উল্টো ঘটছে। তাই, ভারত দ্বৈতনীতি অবলম্বন করে পশ্চিমাদের যেমন খুশী করছে, আমাদের দ্বৈতনীতি তাদের অখুশী করবে।

তৃতীয়ত, সামরিক শক্তি বিবেচনায় ভারত আর আমাদের কোন প্রকারেরই তুলনা চলে না। সামরিক শক্তি ভারতের পররাষ্ট্রনীতি'র একটা স্তম্ভ, আর আমাদের জন্য শুধুই লোক দেখানো বিলাসিতা, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি'র মেইন ফোকাসই হলো সুবিধা আদায়। তাই ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ফলো করার কোন প্রকারের যৌক্তিকতা নাই।

ভারতের সাথে পার্থক্যগুলো বাদ দিয়ে দেখলেও শুরুতেই দেখতে হবে আমাদের স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি গ্রহনের সুযোগ আছে কি না? বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় যেটা নিশ্চিতভাবেই নাই।

এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ ধরনের পলিসি টার্ণ কিসের ফসল? যদি জনমতের বহিঃপ্রকাশ হতো তাহলে চিন্তার কিছু ছিল না। কিন্তু পরিবর্তনটা আতংকজনক হয়ে গেছে কারন, এই পলিসি চেঞ্জটা পুরিপুরি বর্তমান সরকারে'র ব্যাক্তিগত কিছু সমস্যা কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের সাথে ঘটে যাওয়া মনোমালিন্যের ফসল!

আবারো ভারতের উদাহরন দিয়েই বলি, ভারতের পররাষ্ট্রনীতি'র ধারাবাহিকতা চলে এসেছে সেই নেহেরু'র আমল থেকে কংগ্রেসের অধীনে এবং মাঝখানে বিজেপিও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই চলেছে, কোন একক ব্যাক্তি ইচ্ছায় পলিসি চেঞ্জ হয় নাই।

বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক (সম্ভাব্য) পরিবর্তন কার মতে হচ্ছে?

একটা গণতান্ত্রিক দেশে'র ভবিষ্যত ও ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে অবস্থান কি হবে সেটা কারো একক সিদ্ধান্তে হতে পারে না।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

সুখোই-৩৫ বলেছেন: ঠিকাছে বুঝলাম। শেখ হাসিনার সাথে ইউনুসের মনোমালিন্য যেভাবে দেখছেন, আমি কিন্তু একটু ভিন্নভাবে দেখি। নোবেল পুরষ্কার পেয়ে তিনি নিঃসন্দেহে বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। স্বাধীন বাংলার প্রথম নোবেল বিজয়ী বাঙালী হিসেবে তিনি ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু উনি যখন রাজনীতিতে নামতে চাইলেন, তখনই শুরু হল সব সমস্যা। উনাকে কিন্তু রাজনীতিতে নামার আগা পর্যন্ত হাসিনা খালেদা দুইজনই সম্মানের চোখে দেখেছেন, দুইজনই উনাকে নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন বাকী সব দেশবাসীর সাথে। প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে উনি ছিলেন আমাদের জন্য একটা রত্ন। ইউরি গ্যাগারিন যখন প্রথম মহাকাশ বিজয় করে আসলো তখন সে সোভিয়েত ইউনিয়নের একটা সম্পদ হয়ে দাঁড়ায়। তার নিরাপত্তার খাতিরে তাকে আর কোন মহাকাশ অভিযানে অংশ নিতে দেওয়া হয় নাই। কারণ যতদিন সে বেচে থাকে ততদিনই সোভিয়েতদের একটা জীবন্ত গৌরব বেচে থাকবে। সোভিয়েতরা যে তার মহাকাশ অভিযান নিষিদ্ধ করে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল তার প্রমাণ মিলে যখন বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেলেন। সোভিয়েতদের আসলে উচিত ছিল তাকে বিমান চালনা থেকেও বিরত রাখা। নতুবা এত অল্প বয়সে তিনি মারা যেতেন না, এমনকি এখনও হয়তো এই গৌরব বেচে থাকতো। একজন ব্যাক্তি যখন এইরকম ইতিহাসে স্থান করে নেয়, যখন সে সম্পূর্ণ একটা জাতির সম্পদ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাকে খুব সাবধানে চলতে হয়। ড, ইউনুস ছিলেন দল মত উর্ধে পুরোও বাঙালী জাতির গৌরব। তাকে নিয়ে প্রতিটি বাঙ্গালির গর্ব করার কথা। সে বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তিনি যখন রাজনীতিতে নেমে কোন দল গঠন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তখনই প্রথম আঘাতটা আসে। মার্কিনীদের ভুরি ভুরি নোবেল লরিয়েট আছে, ওদের ডেমোক্রাট ওবামা নোবেল পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলেও কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমাদের যায় আসে। তার উপর পশ্চিমারা যেভাবে ড, ইউনুসের উপর আগ্রহ দেখালো, তাতে সন্দেহেরই উদ্রেক হয়। উনি একজন নোবেল বিজয়ী, আমি একজন গন্ডমূর্খ হয়ে যদি এসব বুঝি, উনি তো আমার আগেই বোঝেন যে রাজনীতিতে নামা উনার জন্য কতটা মর্যাদাহানিকর। তারপরেও কেন উনি এ কাজ করতে গেলেন? কেন পশ্চিমারা উনার প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন দিল? পশ্চিমারা স্বার্থ ছাড়া কাউকে এক পয়সাও দেয় না। পশ্চিমা রাজনীতি হল "গিভ এন্ড টেক" রাজনীতি, বন্ধুত্বের কোন দাম বা আদর্শের কোন স্থান সেখানে নাই। ইউনুসকে দিয়ে পশ্চিমাদের কিসের এত স্বার্থ?

গ্রামীন ব্যাংকের সদস্যের যে রাজনৈতিক মহড়ার জন্য ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছিল দলে দলে সে কথা নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। কি কারনে এইরকম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আধা-গোপনীয়তার মাধ্যমে এত গ্রামীন ব্যাংক সদস্যকে ঢাকা নিয়ে আসা হল? ড, ইউনুস কি কারনে গ্রামীন ব্যাংককে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করতে চাইলেন, যেখানে তার প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ সামাজিক একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ শিক্ষা দেওয়া হয় না?

এসব কারনেই গ্রামীন ব্যাংক থেকে ড, ইউনুসকে আলাদা করাটা হাসিনার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। আমি নিশ্চিত যে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে উনিও একই কাজ করতেন। অথবা সরাসরি গুন্ডা বাহিনী নামিয়ে শায়েস্তা করতেন কিনা সেটার সম্ভাবনাও বাদ দেয়া যায় না। তবে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে গ্রামীন ব্যাংক কর্মীদের মারধোর করার থেকে কিছুটা অপবাদ মাথায় নিয়ে ড, ইউনুসকে গ্রামীন ব্যাংক থেকে আলাদা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। মারপিট হলে তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হত, গুন্ডা রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত হতাম, এর থেকে সংঘাতবিহীন মতাদর্শিক অপবাদ অনেক ভাল।

এবার বানিজ্যিক দিক থেকে আসি। বর্তমানে অবস্থা এরকম যে, আমেরিকা আর ইউরোপ মিলে ঠাটানি দেয় বিজিএমইএ-কে আর বিজিএমইএ ঠাটানি দেয় সরকারকে। গার্মেন্টস কর্মীরা কি অবস্থায় আছে তা আমরা ভাল করেই জানি। কয় টাকা তারা বেতন পায় আর কিভাবে তারা আগুনে পুড়ে মরে তাও আমরা দেখেছি। পয়সা সব মালিকের পকেটেই যায়। কোটা উঠিয়ে দিলে মালিকের লাভের গুড় কিছু কমবে, শ্রমিকের বা সরকারের কিছুই হবে না। এখানে দ্বন্দ আমেরিকা আর সরকারের নয়, এখানে দ্বন্দ বিজিএমইএ আর সরকারের। সরকার সবচেয়ে বড় ভুলটা করছে বিজিএমইএ ভবনটা বানাতে দিয়ে। এই ভবনের কারনে এরা এখন একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট হয়ে দাড়িয়েছে। এরা এতই ক্ষমতাবান হয়ে দাড়িয়েছে যে সরকারও এদের সাথে পারে না। ব্যাবসায়ীরা যখন আলাদা ছিল, তখনই ভাল ছিল। এখন সব একসাথে বসার একটা জায়গা পেয়ে সিন্ডিকেট বানানো শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি এ কারনেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

ভারত, চিন, মায়ানমার, আমেরিকা, ইউরোপের থেকে বড় হুমকি হল এই বিজিএমইএ। আমেরিকার বাংলাদেশে সরকার পরিবর্থনে যতটা না ক্ষমতা এদের ক্ষমতা তার থেকেও বেশী।

পররাষ্ট্রনীতিতে এরাই এখন বড় ভূমিকা নিয়ে দাঁড়াবে। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট তাদের ব্যাবসার ক্ষতি হয় এমন কোন পদক্ষেপ হাসিনা হোক আর খালেদা হোক কাউকেই নিতে দিবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি এরা নিয়ন্ত্রণ করে। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা দরকার। সে কারনেও পশ্চিমা বিরোধী নীতির দরকার আছে।


বিষয়গুলি অনেক জটিল আর একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কযুক্ত। আরও অনেক জিনিস আছে এখানে। লিখে লিখে আসলে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এখানেও একটা কিন্তু আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র চলতেছে, ঐ দেশের কোটি কোটি মানুষকে জিম্মি করে রেখে রাজনীতিবিদেরা নিজেদের আবেগ- স্বার্থ'কে প্রায়োরিটি দিয়ে রাজনীতি করতেছে না। তাই ঐসব দেশে নোবেল লর‌্যিয়েটদের রাজনীতিতে আসার দরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মত ইন্টারন্যাশনালি অবহেলিত এবং আর্থিক সংকটে থাকা দূর্নীতিগ্রস্থ দেশের ক্ষেত্র ভিন্ন। এখানে একজন ইমেজ সম্পন্ন মানুষই পারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। পরিবারের হাত থেকে বের করে আনতে। ডঃ ইউনুসের রাজনীতিতে আগমন আমাদের দেশটাকে ৫০ বছর এগিয়ে দিত। কিন্তু দূর্নীতিবাজেরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করছে!

বিজিএমইএ'র বিষয়টা আরো আতংকজনক! রাষ্ট্রের সরকার আর অর্থনীতি'র অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি গ্রুপের মাঝে যদি স্বার্থের সংঘর্ষ হয় তাহলে এর সরাসরি এফেক্ট পড়বে বাজারে এবং তার সরাসরি ভুক্তভোগী তো হবে জনগণই!

যে কোন পার্সপেক্টিভেই বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত ভ্রান্ত বলেই প্রতিফলিত হচ্ছে!

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৮

বীরেনদ্র বলেছেন: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্বিচিমা বিরোধী কিছু নেই। ইউরোপ আমেরিকা রাশিয়া চীন সবাই বাজারের প্রতিযোগিতায় ব্যাস্ত।ইউরোপ আমেরিকা সবাই ভারতের বাজার দখল করতে ব্যাস্ত, যেমনভাবে চীনের বাজারে সবচে' বেশী বিনিয়োগকারী দেশ হল যুক্তরাস্ট্র। অল্প কিছুদিন আগের কথা আমেরিকা ভারতের কাছে এফ-১৮ বিক্রি করতে চেয়েছিল কিছু সীমাবদ্ধতা রেখে ভারত বিকল্প হিসেবে ইউরোফাইটার কিনছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে কিনছে "রাফায়েল। এরপর আমেরিকা ভারতকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এফ-৩৫ বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে।

কিন্তু এখনও ভারতের অস্ত্রের প্রধান যোগানদাতা রাশিয়া। সেই রাশিয়ার কাছ থেকেই আবার অস্ত্র কেনে চীন।
পশ্চিমা বা আমেরিকা বিরোধী কোন পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ লাগবান হবে না কারন হল তারাই বাংলাদেশের প্রধান বাজার। আমেরিকা বাংলাদেশের ৩৫% পন্যের আমদানীকারক দেশ। এখন জি,এস,পি সুবিধা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে, ফলে বাংলাদেশের রফতানী কারকরা আতংকের মধ্যে আছে।

একটা ব্যাপার পরিস্কার যে স্নায়ুযুদ্ধযুগের সে মেরুকরন এখন নেই। আমেরিকার একাধিপত্য যা এখনো টিকে আছে তা ক্রমশঃ চ্যালেঞ্জের সম্মূখীন হচ্ছে ব্রিকস দেশ গুলোর কাছ থেকে। সুতরাং অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী ভাগ হতে যাচ্ছে অনেক মেরুতে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হবার পর মেরুকরন একদম নেই তা না।

লিবেরাল ডেমোক্রেসি বা কোর ওয়েস্টার্ন বা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো'র সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর বহুমাত্রিক পার্থক্য ও বিভেদ রয়েই গেছে।

বাংলাদেশের পক্ষে পশ্চিমাবিরোধী ( ন্যাটো / ওয়েস্ট কোর) অবস্থানে যাওয়া কোনভাবেই লাভজনক নয়। আর এই বিরোধীতা যদি হয় জনবিচ্ছিন্নভাবে কারো একক সিদ্ধান্তে তবে তো তা রীতিমত ক্রাইম!

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: বিগত জোট সরকারের আমলে রাশিয়া থেকে বিটিআর ৮০ আর এম আই ১৭ হেলিকপ্টার কেনা হয়েছিল। সেই সম্বন্ধে আপনার মতামত কি বিশদ ভাবে জানতে আগ্রহী।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: রাশিয়া অস্ত্রের ব্যাবসায়ী, ওদের কাছ থেকে জোট সরকারের আমলে অস্ত্র কেনা বিশেষ ঘটনা না।

শুধুমাত্র অস্ত্রের ছোট চালান কেনা আর ভিয়েতনাম-বেলারুশের পর রাশিয়ার কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদী ঋন নিয়ে অস্ত্র+পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরী'র চুক্তি করার ভেতর ব্যাপক পার্থক্য।

সরকার যদি পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক খারাপ না করে এর চেয়ে বড় চালান কিনতো, পারমানবিক বিদ্যুতের চুক্তি করতো তাহলে সেটারে ফরেন পলিসি ডাইভার্সিফিকেশন বলেই গণ্য করতাম। কিন্তু বিশেষ সময়ে এই মুভমেন্ট বিশেষ দুশ্চিন্তার জন্ম দিছে।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১০

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: চীন থেকে এই সরকারের আমলে ট্যাঙ্ক কেনা হয়েছে, এটা ছাড়াও ২০০৩ এ জোট সরকার অর্থাভাবে চীন থেকে যা কিনতে পারে নি সেটা এই সরকার কিনে দেখায় দেয়। এই সরকারের আমলে ইউএসএ থেকে তাদের একটা ফ্রিগেট নিয়ে আসা হচ্ছে। আমার বড় ভাইয়া আর এঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্তা ব্যাক্তিরা এই মুহূর্তে ইউএসতে আছে সেটার কারগরি দিক বুঝে নেবার জন্য। সাবমেরিনের জন্য নৌ বাহিনীর ক্রু দের প্রশিক্ষন চলছে ইউরোপে। বিমান বাহিনীর একটা স্কোয়াড্রন প্রশিক্ষন নিচ্ছে কাতার এবং বেলজিয়ামে। এই সম্বন্ধে আপনার মতামত চাই। (পার্টস ধরে ধরে বললে ইউএসএ আর ব্রিটেন থেকে কেনা অস্ত্র আর ইঞ্জিনের লিস্ট দিলে দশটা পোস্ট হয়ে যাবে। উইকি ঘাটেন পেয়ে যাবেন। আমার কাছে ব্রোশিউর সহ আছে। কনফিডেন্সিয়াল বলে ব্লগে প্রকাশ করলাম না।)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আরে ভাই, এটাতো এম্পেরিক্যাল এ্যানালাইসিসের বিষয় না যে কার থেকে কয়টা মেশিন কিনছে তা দেখে ফলাফলে পৌছে যাবো!

তা ছাড়াও আপনি যেই চলমান প্রোগ্রামগুলোর কথা বললেন সেগুলো'র চুক্তি কবে হয়েছে সেটাও দেখেন।

গ্রামীন-পদ্মা'র বিশ্বব্যাংক কাহিনীর সাথে সাথেই এই ভিয়েতনাম-বেলরুশ-রাশিয়া'র সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার প্রয়াস এককভাবেই সিগনিফিকেন্ট। প্রয়াস বলতেছি কারন সরকার তার নিজ আচরনেই কনফিডেন্ট না, কারন তারা বেকুব না যে পশ্চিমাদের গুরুত্ব না বুঝেই ওদের সাথে কাপঝাপ করবে ( বিশ্বব্যাংকের ফান্ডে'র জন্য অপেক্ষা'র প্রহর গোনা দ্রষ্টব্য)

আমি বলতেছি যে, সরকার ফরেন রিলেশনে অল্টার্নেটিভ খুজতেছে এবং জিদ্দি আচরন করতেছে, যেটা ইর‌্যাশনাল এবং ব্যাক্তি'র ইচ্ছায় হচ্ছে যা অগ্রহনযোগ্য!

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১২

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: এই সরকারের সমালোচনা করার একটা অস্ত্র তুলে দেই। সমুদ্র বিজয় একটা ট্যাক্টিকাল ফাকা বুলি। ভারতের বিরুদ্ধে কেস ঠিক আছে। কিন্তু মায়ান্মারকে চুদে দেয়া ক্ষমতা নৌ বাহিনীর ছিল। হ্যা শোনা ভাষাটা এইরকমই। যাই হোক। এটা ভালোর মন্দ বলতে পারেন(মন্দের ভালোর উলটো)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অস্ত্র হিসেবে থ্রি নট থ্রি'র মত মনে হইলো :) তবুও আপনার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।

সমুদ্র বিজয় যে ফাঁকা বুলি সেটা অনেক আগেই প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু ঐ কেসটার রায় আমাদের পক্ষে আসাতে অনেক আইনি জটিলতা কমছে, বিনিয়োগ সহজ হইছে এবং রায়টার আইনি সিগনিফিকেন্স ছিল বলে সরকারকে ধন্যবাদ দেয়াটাও সঠিক ছিল।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: আপনি নির্বাচনে দাড়ান । ভোট দেই। আপনি দিন দিন জাতীয়তাবাদী থেকে সুশীলে রূপান্তরিত হচ্ছেন। ব্যাপারটা খুব খেয়াল করে দেখে বুঝতে পারতেসি। তবে খুব একটা খারাপ লাগছে না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: মানুষ তার ভেতর মহাবিশ্ব ধারন করে, ব্ল্যাকহোল নিয়া ভাবে, সেই মানুষ হয়ে আমি যেদিন ফিক্সড ক্যারেক্টারে আটকে যাবো সেদিনই আমি শেষ হয়ে যাবো।

সুশীল বা জাতীয়তাবাদী, কোনটাতেই আমি নাই, যেদিকে সত্য, যেদিকে কল্যাণ, আমি সবসময় সেদিকেই থাকতে চেষ্টা করি / করবো।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
এজাবৎ বাংলাদেশে যত ডিফেন্স ইকুপমেন্ট কিনা হয়েছিল তার সব কিছু হয়েছিল গোপনেই।
এবারই প্রথম এসব কেনার আগেই জানতে পারলো, দাম ও ডিটেইলস জানতে পারলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কিন্তু কেনা নিয়ে খোদ সংসদেই কোন কথা হয় নাই!

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

সুখোই-৩৫ বলেছেন: রাশিয়া পারমানবিক প্লান্টগুলি করে দিয়ে যাচ্ছে, তাহলে রাশিয়ার সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের প্রয়াস গড়বে না তো কার সাথে গড়বে? আমেরিকার সাথে? আর ভবিষ্যতে আমাদের এরোনটিকাল, এটমিক, স্পেস সহ অনেক ক্ষেত্রেই এই রাশিয়াকে দরকার হবে। টেকনিকাল এডুকেশন আর টেকনোলজি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়া যতটুকু উদার, আর কোন দেশ এতটা উদার নয়। চীন এখনও রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনে, রাশিয়ার ডিজাইন নিয়ে অস্ত্র বানায়। চীনা বিজ্ঞানীরা হচ্ছে কপিক্যাট বিজ্ঞানী, নিজেদের কিছু করার ক্ষমতা ওদের এখনও নাই। শুধু শুধু চীনের কাছে হাত পাতব কেন? আর বাংলাদেশ যে "বলীয়ান" গাড়ীগুলো বানায় তার ইঞ্জিনগুলো রাশিয়া থেকেই আনে। ভবিষ্যতে আমাদের বিজ্ঞানীরা পারমানবিক প্লান্ট নিজেরাই বানাতে গেলে রাশিয়ার কাছ থেকে যে সাপোর্ট পাব আর কোন দেশ সেরকম সাপোর্ট দিবে না। ইরান এখন যে রকম সাপোর্ট পাচ্ছে রাশিয়া থেকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে, আর কোন দেশ দিবে এরকম সাপোর্ট?

রাশিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক টাকা পয়সার না, টেকনোলজীর। ভালো হোক, মন্দ হোক, ওদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যাচ্ছে। অন্যরাতো দিতে যেয়ে বিশাল দাবী আর সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেয়।

আমেরিকার কাছ থেকে আট হাজার নয়, ষোল হাজার টাকার অস্ত্র কিনার প্রস্তাব দিয়ে দেখেন, আমেরিকা পাওয়ার প্লাট বানাইয়া দিয়া যায় কিনা। আর কত টাকা দাবী করে দেখেন আর কতটুকু টেকনিক্যাল জ্ঞান আমাদের বিজ্ঞানীদের দিতে রাজী হয় আমেরিকা দেখেন।

২০২১ এর মধ্যে একটা লাইট ইন্টারসেপটর/ফাইটার বিমানের প্রোটোটাইপ বানানির জন্য কতটুকু টেকনিকাল এসিস্ট্যান্স আমেরিকা/ইংল্যান্ড দিবে একটু জিজ্ঞাসা কইরা দেখেন।

সারাজীবন ঐ পশ্চিমের কাছে ভিক্ষার থলি হাতে বসে থাকলে বাঙালি জাতি জুতার নীচেই থেকে যাবে। এখন আমাদের এগিয়ে যাবার সময়। বার্ষিক বাজেট বৈদেশিক ঋণমুক্ত, কৃষিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে কোন দুর্ভিক্ষও নাই, দেশ মহামন্দাতেও নাই। যে সকল আইন শৃংখলার অবনতি, সেটা সামলানোর জন্য পুলিশ বাহিনীকে মন্ত্রীরা ফোন না দিলেই যথেষ্ঠ। এখন আমাদের এগুবার সময়। আমরা তো আর কারও সাথে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না, কাউকে আক্রমণ করতে যাচ্ছি না, কোন ঝামেলাতে জড়াতে যাচ্ছি না। আমরা দেশের উন্নয়ন করার, দেশকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। তাবেদারি বাদ। কমদামে দিলে যদি জন্মশত্রু রাশিয়া আর চায়নার কাছ থেকে জিনিস নিতে পারে, তাহলে আমাদের কাছ থেকেও নিবে। ব্যাবসায়ীরা দেশ, ধর্ম, আদর্শ কিছুই চিনে না, চিনে টাকা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতি এতটা ফেয়ার না, সবাই সেল্ফ ইন্টারেস্ট ড্রিভেন

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

ডাব্বা বলেছেন: ডিফেন্স এর জন্যে কেনাকাটা বিষয়টা খুব সংবেদনশীল বলে সব দেশই একটু লুকোছাপা করে। এবং দূর্নীতি ও হয়। জ্বী। হয়। তবে পার্থক্য আছে দুটো।

১। কেনার আগে মোস্ট সভ্য দেশই একটা গ্রহনযোগ্য লেভেলএ আলোচনা করে বিষয়টা নিয়ে।
২। দূর্নীতি প্রকাশ হলে তদন্ত হয় এবং দোষী হলে শাস্তি ও হয়।

বাংলাদেশে এগুলোর কোনটাই হয় না।

ইউরী গ্যাগারীন এর যুক্তিটি হাস্যকর। লাভ কি কিছু হয়েছিল তাতে? ঘরবন্দী করে রাখলে আরো ভাল হোত? ভুমিকম্পে মারা গেলে তখন কি যুক্তি আসতো? আর এটাই যদি আদর্শ হয় তাহলে তো রবীন্দ্রনাথ কে আর লিখতেই না দিলে ভাল হোত। কি জানি কখন কি সব লিখে নিজের স্ট্যাটাস্‌ নামিয়ে ফেলেন!

এগুলো কোন যুক্তি না। হওয়া উচিত না।

দেশের আলোকিত মানুষজন যদি দেশের হাল ধরতে এগিয়ে না আসেন তাহলে তো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলা যাবে না। আমি মনে প্রানে চাই ড: ইউনুস, ড: কামাল এবং স্যার আবদুল্লাহ আবু সাঈদ এর মত মানুষদের অবশ্যই রাজনীতিতে জড়ানো উচিত। নইলে আজকে যাদের বয়স ২০ তারা আইডল মানবে কাকে? তাদের হিরো হবে কে? পেটকাটা জসিম? গালকাটা কামাল? কানকাটা রমজান? নাকি ডেংগু মিজান, মূর্খ সোহেল?

ভারতের পররাস্ট্রনীতি কে ফলো করলে যদি আমার দেশের লাভ হয় আমি অবশ্যই করব। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কে ফলো করলে যদি আমার সেনাদল সুশৃংখল হয় তবে তাই হোক। দেশটা আমার। দেশটার নাম বাংলাদেশ। আমি একজন বাংলাদেশী। Right or wrong, my country.

নিজের কোমর শক্ত করে দাড়ানোর সময় আর কখন হবে? বয়স তো ৪২ হয়ে গেল।

গার্মেন্টস এর সমস্যা গার্মেন্টস নিজেই। ন্যুনতম সুবিধা না দিয়ে ব্যবসা করে যাবেন, মন্দ লোক এর সুযোগ তো নেবেই। সুন্দরী বউকে যদি ঠিকঠাক না রাখেন তো হয় পালিয়ে যাবে নয় তো অন্যের নজরে পড়বে।

সম্পদের যত্ন করতে হয়। যত্ন করতে জানতে হয়। আমাদের অনেক কিছু নেই সত্যি। কিন্তু যা আছে তার ও কদর নেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বাংলাদেশের একটা ফরেন পলিসি নেই, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি। এখানে সরকার প্রধানের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর ভিত্তি করে ফরেন পলিসি! ২০১৩ সালে জনসংখ্যায় বিশ্বের ৮ম বৃহৎ একটা দেশে এই কাহিনী অবিশ্বাস্য!

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

ডাব্বা বলেছেন: ফরেন পলিসি থাকার তো কথা। আপনি কি নিশ্চিত যে নেই?

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বলে কিছু বোধহয় আর নেই। যানজট এর কথা ভাবুন, ১৯৯০ থেকে শুনে আসছি অসহ্য যানজট এর কথা। কোন প্ল্যান এর কথা শুনলাম না। ১০ বা ২০ বছর মেয়াদী একটা প্ল্যান থাকলে আজকে হয়ত অনেকটাই মুক্ত থাকতাম এই সমস্যা থেকে।

আমাদের দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান হয় টিনের চালে ছিদ্র সারাই করার মতন। একটা ছিদ্র হোল তো লাগাও পুটি। আরেকটা হলে আরো পুটি। কয়েকটা একসংগে হয়ে গেলে আরেকটা ছোট টিন যোগাড় করে ঝালাই। পুটি আর ঝালাই দিতে দিতে চালটাই শেষ। একটু সময় নিয়ে টাকা জমিয়ে চালটা বদলে ফেলার কথা কেউ ভাবে না।

সবাই ভাবে, পাঁচ বছর আছি, আমার দায়ীত্ব এই বছরের জন্যেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: একটা পলিসি'র কথা বলা হয় যে, 'সবার সাথে বন্ধুত্ব'। যেটা আসলে একটা ননপ্রোডাক্টিভ ও ফাঁকা বুলি।

সবার সাথে বন্ধুত্বের নামে আসলে যা হচ্ছে তা হলো, সাহায্যপ্রার্থী তকমা লাগিয়ে সবচেয়ে সোজা কাজ, মানে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাঠে সকলের দয়া প্রার্থনা করছে এবং দূর্বল পরিচয় দিয়ে শত্রুতা এড়িয়ে চলছে।

এ্যাবিলিটির অভাব এবং ভিক্ষাপন্থা সহজ বলেই এই অবস্থ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.