![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা
গতকালকে তুরস্কে একটা ঘটনা ঘটে গেল!
ইস্তানবুলের বিখ্যাত একটা চত্বর হলো, তাকসিম। ওখানে একটা পার্কের জায়গায় শপিং মল বানানোর বিরুদ্ধে ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের আতর্কিত হামলা হয়। টিয়ার গ্যাস, পেপার স্প্রে ব্যাবহার হওয়ায়, জনগণ ব্যাপক ক্ষুদ্ধ হয়।
এমনিতে শিক্ষিত তুর্কিরা ক্ষমতাসীন একে পার্টি আর তার প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ানের উপর ব্যাপক ক্ষুদ্ধ, তাই এই পুলিশি হামলার ঘটনায় সকল সরকারবিরোধীদের রাগের বিস্ফোরন ঘটে।
তাকসিমের ঘটনার প্রতিবাদে, আংকারা, ইজমির, এসকিশেহিরসহ সারা তুরস্ক জুড়ে সরকারবিরোধীরা পথে নেমে আসে।
ঘটনাটা এতদুর গড়ানোর পেছনে একটা বড় কারন হলো, বিরোধী দল সিএইচপি'র, ১লা জুন সমাবেশের কথা ছিল ইস্তানবুলে, যা ক্যানসেল করে তাদের সমর্থকদের তাকসিম ও অন্যান্য এলাকায় পাঠায় দলটি। তবে সকল পার্টি পতাকা বা নেতারা অনুপস্থিত ছিল। কারন, ওদের সংশ্লিষ্টতা দেখা গেলে বিক্ষোভটা রাজনৈতিক রূপ পেয়ে যেত।
তবে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল তুর্কমেনিস্তান সফর থেকে ফিরেই পুলিশ এবং প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর নির্দেশ দেয় যেন বিক্ষোভকারীদের দমনে নতুন করে কোন কঠোর ব্যাবস্থা না নেয়া হয়। যার ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
তুর্কি'র এই ঘটনা আরব বসন্তের মত কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। এটা ছিল অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের আদলে কিছু একটার আশায় পশ্চিমা এবং লিবেরাল মিডিয়াতে অতিরঞ্জিত একে পার্টি বিরোধী হেভি প্রোপাগান্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান বিরোধীদের বড় ধরনের শো-ডাউন।
তবে, এটা নিশ্চিত যে, এরদোয়ানের উত্তরোত্তর ক্ষমতাবৃদ্ধি, এবং অপ্রতিদ্বন্দী মনোভাব যে পশ্চিমা বিশ্ব এবং লিবের্যাল তুর্কিরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করছে না সেটা পরিস্কার বোঝা গেল!
০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ৯৯% মুসলমানের দেশে উপর থেকে চাপায়া দেয়া পশ্চিমা আইন লম্বা সময় ধরে টিকে থাকা আসলেই কঠিন।
এই পরিস্থিতি এরদোয়ান কিভাবে হ্যান্ডেল করে সেটা দেখার বিষয় হয়ে দাড়াইছে।
২| ০২ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
জেনো বলেছেন: সিরিয়া ইস্যুতে লেখা চাই। বেশ অনিয়মিত ইদানিং।
০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ইনশাল্লাহ, চেষ্টা করবো
৩| ০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
রাফােয়ল িসদ্িদক বলেছেন: লেখাটা আরো কোথাও দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।
০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ফেসবুকে?
৪| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
রাফােয়ল িসদ্িদক বলেছেন: Yes.
০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৫
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমার প্রোফাইলেই দেখছেন হয়তো, অসিউর রহমান এর নামে।
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
নষ্ট ছেলে বলেছেন: তুরস্কে মুসলমানদের উপর যে রকম বিধি নিষেধ ছিল খোদ আমেরিকাতেও নাই। কিছুদিন আগেও পাবলিক প্লেস ও ইউনিভার্সিটিতে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিতে পারত না, বোরকা পরা তো দূরের কথা। সেকুলার (আসলে ইসলাম বিদ্বেষী) মাইকে আজান দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। ৯৯.৮% মুসলমানের দেশে মাইকে আজান দিতে পারবে না! এরা আবার নিজেদের সেকুলার বলে!!
এখন তুরস্কে যা হচ্ছে এটা কামাল আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বিরোধী দলের (CHP) মদদেই হচ্ছে।
এরদোগানের নেওয়া সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেন এই সেকুলার নামধারী ইসলাম বিদ্বেষীরা মেনে নিতে পারছে না। প্রকাশ্য এলকোহক বিক্রি ও বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটা আইন পাশ করা হয়েছি কিছুদিন আগে। এর কিছুদিন আগে এয়ার হোস্টেজদের লিপস্টিক ব্যবহার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন একটা শপিং নির্মান কেন্দ্র করেই সরকার বিরোধীরা দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।
তার্কির ইসলাম বিদ্বেষীরা যতই লাফালাফি করুক এরদোগানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। রিপাবলিকানরা এরদোগানের কাছে খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না। ১৯৯৮ সালে সেনাবাহিনী ক্যু করে ইসলাম পন্থী দল ওয়ালফেয়ার পার্টি নিষিদ্ধ করে দেয়। এরদোগান ছিল সেই পার্টিরই মেম্বার। পরে তিনি ২০০১ সালে জাস্টিস ও ডেভেলমেন্ট পার্টি নামে নিজেই একটা দল গঠন করেন (সেনাবাহিনী ও আদালত কতৃক তুরস্কে মোট ৪টি ইসলামী দল নিষিদ্ধ করা হয়)। মাত্র এক বছর পরেই ২০০২ সালে ৩৪% ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে এরদোগান, ২০০৭ সালে ৪৭% ভোট পেয়ে পুনরায় আবার ক্ষমতায় আসে, ২০১১ সালে ৪৯% ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসে।
তুরস্কে এরদোগানকে আতাতুর্কের পর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা মনে করা হয় সেটা ইসলাম পন্থী দলের প্রধান হওয়ার কারনে নয় বরং দেশ চালানোর দক্ষতার জন্য। ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে তুরস্কের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুন! আরবের দেশগুলো যেখানে অস্ত্র কিনার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে সেখানে তুরস্ক এখন নিজেরা অস্ত্র বিক্রি করছে। ২০১২ সালে অস্ত্র বিক্রিতে তুরস্ক ওয়ার্ডে ৬ষ্ঠ ছিল। বুঝাই যাচ্ছে তুরস্ক সামরিক শক্তিতেও স্ট্যাবল হয়ে যাচ্ছে।
তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র থেকে নেই। ২০১০ সালে সেনাবাহিনী ক্যু করার চেষ্টা করে। ১৯৯৮ সালে সফল হলেও এবার ব্যর্থ হয়ে যায়। গ্রেফতার হয় প্রায় ৩০০ সামরিক অফিসার ও প্রায় ২৫০ জন অবসর প্রাপ্ত সামরিক ও সরকারী কর্মকর্তা। এদের বিচার এখনো চলছে। অনেককে সম্ভবত সাজাও দেওয়া হয়েছে।
দোয়া করি, সামনের নির্বাচনেও যেন এরদোগান বিপুল ভোটেই জিতে।
০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১২
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে +++++
৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: নষ্ট ছেলের লেখা পড়ে মনেহল উনি তুর্কিতে থাকেন। তো আজান ব্যাপারটা কবে বন্ধ আর কবে চালু হল যদি জানাতেন। আর মাথায় কাপড় দেয়া বা না দেয়ার ব্যাপারটা একটু খুলে বলবেন কি? যতদূর শুনেছি, এই (২০১৩ সালের) গ্রীষ্মে মাথায় কাপড় না দিতে সরকার থেকে হুকুম এসেছে, তা মনেহয় ইসলামি মিডীয়ায় আসে নাই, তাই জানতেও পারেন নাই।
লেখক, আপনার শেষের কথার সাথে খুব একমত। এরদোয়ানের ক্ষমতা যত বাড়ছে, ততই দেশের জনগণ উনার উপরে ক্ষিপ্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি অনেক ভাল করেই সমাধানের পথে হাঁটছেন এবং উনার কারণেই এই যাত্রায় এরদোয়ান বেঁচে যাবে।
৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: নষ্ট ছেলের আরেকটি কথার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওদের এয়ারলাইন্সের এয়ার হোস্টেজদের লিপস্টিক ব্যবহার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। কারন খুব পরিস্কার!
ব্যবসা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।
এয়ার হোস্টেজরা কম লিপস্টিক ব্যবহার করায় কাস্টমার স্যাটিস্ফেকশন আসছিল না।
এরা ইসলামি সরকার, কিন্তু ব্যবসা ভাল বোঝে। ইসলামের নামেই তারা ব্যবসা করে, ইসলামের নামেই সব খারাপ কাজকে "হালাল' করে দেয়ার চেষ্টা করে।
৮| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৯
নষ্ট ছেলে বলেছেন: @নিষ্কর্মা,
মাইকে আজান দেওয়া বন্ধ ছিল। এটা আমি চ্যানেল আইয়ের একটা ইসলামী অনুষ্ঠান দেখেছিলাম।
মাথায় কাপড় দেওয়ার ব্যাপার এখানে দেখুন।
এরদোগানের উপর জনগণ ক্ষিপ্ত হলে প্রতি নির্বাচনে ভোট বাড়ে কিভাবে? প্রধান বিরোধী দল তো এরদোগানের অর্ধেক ভোট পায়।
লিপস্টিক ব্যান করা হয়েছিল শুনেছিলাম। তুলে নেওয়া হয়েছে জানতাম না। কিন্তু সেটা ব্যবসা খারাপ যাওয়ার জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে এটা আপনার মনগড়া মন্তব্য এটাও পরিস্কার। কাস্টমারের কথাটা সম্ভবত নিজেকে দিয়ে বিচার করে বলেছেন।
এরা নিজেদের কখনো ইসলামী দল বলে দাবি করে নাই, রক্ষণশীল দাবি করে। পশ্চিমারা এদের ইসলামী দল মনে করে।
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:০৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: @নষ্টছেলেঃ এরদোয়ানের ক্ষমতা বাড়ছে এবং উনি ইচ্ছা মত যা খুশি তাই করছেন, এটা সরকার সমর্থিত পত্রিকাতেই এসেছে। এর জন্য Today's Zaman এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক কলামগুলো পড়ে দেখতে পারেন। সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট গুল বলেছেন যে "গণতন্ত্র মানে কাউকে ভোটে জিতিয়ে ক্ষমতায় পাঠানো (শুধু) না . . . প্রতিবাদকারীদের ম্যাসেজ আমরা শুনতে পেরেছি"।
কাস্টমার চাহিদা ঐ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহীর কথা, আমি কেন বলতে যাব? উনিই আদেশ জারি করেছিলেন, উনিই তা (কাস্টমার চাহিদা বুঝে) তুলে নিয়েছেন।
মাথায় কাপড় না-দেওয়া নিয়ে সরকারি আদেশটি অতিসম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলেছিলাম, যে ইসলামি মিডিয়ায় না আসায় তা জানতেও পারেন নাই।
আজান বন্ধ হয় নাই কখনো। আরবীতে আজান না দিয়ে তুর্কি ভাষায় আজান দেওয়া হয়েছে, তাকে আজান বন্ধ করা বলে কি? আরেকটু জানিয়ে রাখি, তুরস্কে জুমার খুতবার মূল বয়ানটুকু তুর্কি ভাষায় করা হয়। এর মানে কি তুরস্কে জুমার খুৎবা বন্ধ?
চ্যানেল আই-এর অনুষ্ঠান আমিও দেখেছি। সেখানে তুর্কি সুলতান কানুনি সুলেমান-কে উপস্থাপক মওলা্না নুরুল ইসলাম সুলেমান (আঃ) বললেন। কিন্তু সুলতান কানুনি সুলেমান নবী ছিলেন না। উপস্থাপকের অতিরিক্ত শ্রদ্ধা জাগ্রত হলে সুলেমান (রহঃ) বলা যেত। এমন একটা অনুষ্ঠানের রেফারেন্স কি সঠিক হতে পারে?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ০৯ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
নষ্ট ছেলে বলেছেন: ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই সম্ভবত গুল আর এরদোগানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুতা দ্বন্দ্ব কাজ করছে।সেটা তাদের কথা থেকেই স্পষ্ট যেমন এরদোগান বলেছে, "গণতন্ত্র আসে ব্যালট বাক্স থেকে"। এরদোগান চাইছে সে নিজে প্রেসিডেন্ট পার্থী হতে আর গুল চাইলে তার সে তার পদে বহাল থাকতে।
ব্যবসা খারাপ কিংবা কাস্টমারের চাহিদার কারণে আনব্যান করা হয়েছে এটা আমার চোখে পড়ে নি। তবে এক এক মিডিয়াতে এক একভাবে আসতে পারে । তবে এটা স্পষ্ট সেকুলারদের চাপের কারণেই এটা হয়েছে। ব্যবসার মন্দাভাবই যদি কারণ হত তাহলে এত তাড়াতাড়ি করে আনব্যান করা হত না।
মাথায় কাপড় দেওয়ার ব্যাপারটি অনেক পুরানো ইস্যু। আমি সেটাই বলেছি। এরদোগান ও আবদুল্লাহ গুল এদের দুজনের স্ত্রীই মাথায় কাপড় দেয়। গ্রীষ্মে মাথায় কাপড় না দিতে সরকার থেকে হুমুক আসবে কথাটা উদ্ভট মনে হচ্ছে। ইসলামী মিডিয়াতে না আসলেও সেকুলার মিডিয়াতে তো আসার কথা। আর এই ধরনের হুকুম হলে নিজের দলের সমর্থকদেরই সমালোচনা শুনতে হবে।
আমার শোনার ভুল হতে পারে। হয়তো "আরবী ভাষায় আজান বন্ধ" কে "আজান বন্ধ" শুনেছি।
আরবী ভাষায় আজানই বা কেন বন্ধ করবে? এমনকি তারা "আল্লাহ" নামকেও তুর্কি ভাষায়(তানরি) প্রতিস্থাপিত করেছে। খুতবা আরবি ভাষায় দিবে নাকি স্থানীয় ভাষায় দিবে এটা নিয়ে সুন্নীদের মাঝেই বিভিন্ন মতাদর্শ আছে। এটা ভুলা না। যেমন, ইমাম আবু হানিফা নিজে মাতৃভাষায় নামাজ পড়তেন। পরে অন্য হানাফী মাজহাবের ইমামরা ফতোয়া দিয়ে এটা বন্ধ করে দেন।
কানুনি সুলতানকে (আঃ) বলেছে এটা আমি শুনিনি। ইচ্ছাকৃত ভুল না হলে এটা বিশাল কোন দোষ না। অনুষ্ঠানের রেফারেন্স ক্ষেত্র বিশেষে সঠিক হতেও পারে আবার নাও পারে! আমি যেহেতু চ্যানেল আইয়ের এই অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক নই তাই এটার কোয়ালিটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না।
১১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: কই এরদোগান.. কই আমাদের হাসিনা খালিদা !!
তুরষ্ক কে নিয়ে না চিন্তা করলেও চলবে !
াহাহহাহহা
কামাল আর্তাতুকও তো আমাদের কপালে পড়ে নাই.. পড়লে কিছু হলেও অন্যরকম হত বাংলাদেশ যে দুইজন ছিল তাদের নিজেদের কারনেই হারিয়েছি তাদের
...
১২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৬
নিষ্কর্মা বলেছেন: @ http://www.somewhereinblog.net/blog/nostochele [নষ্ট ছেলে]:
অর্থ হিসাবে GOD কে TANRI বলেছে, আল্লাহকে না। এইটুকু google থেকে জানি। প্রেসিডেন্ট আর প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীরা মাথায় কাপড় দেয় যেমন সত্য, তেমনি এই গ্রীষ্মে মেয়েদের মাথায় কাপড় না দেওয়ার হুকুমটাও সত্য। আপনার এতো জানাশোনা, কাউকে জিজ্ঞেশ করে দেখুন না ওদেশের।
এয়ারলাইন্সের মেয়েদের লিপস্টিক আনব্যান করে দেওয়াটাকে যেভাবে আপনি সেকুলারদের চাপ বলে চালিয়ে দিলেন, তা হলে তো আপনাকে মানতেই হবে তুরস্কের জনগণের ভেতরে ৪৯% (আপনার দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে ব্যবহার করলাম) ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে AKP-র জনসমর্থন এখন অনেক কমে গেছে। লিপস্টিক সংক্রান্ত যে লিংক দলেন, তাতে এয়ারলাইন্সের CEO-র দায় এড়ানোর চেষ্টা চোখে পড়ার মত বৈ কি!
আপনার মন্তব্য থেকেই ধরে নিচ্ছি যে সেকুলারদের আয়োজিত সাম্প্রতিক সরকার-বিরোধী বিশাল সমাবেশগুলোতে সত্যিকারের জনমতের প্রতিফলন ঘটছে। যদি তাই হয়ে থাকে, আপনার কথা মোতাবেক সেকুলাররা এখন আগের চেয়ে বেশি জনমত প্রভাবিত করতে পারছেন। সে সাথে এইটাও পরিস্কার হয় যে তুরস্কের জনগণ অধিক ক্ষমতাশালী এরদোয়ানকে চায় না। মূল লেখায় এইটাই (অধিক ক্ষমতাশালী এরদোয়ান) ছিল মূল আলোচনার বিষয়।
আপনি ঘুরিয়ে হলেও এরদোয়ানের সেই ক্ষমতার মাটির হারানোর দিকেই ইঙ্গিত করলেন প্রকারান্তরে! ধন্যবাদ।
১৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আমি উইকিপেডিয়াতে দেখেছি।
Atatürk and his colleagues also attempted to Turkify Islam through official encouragement of such practices as using Turkish rather than Arabic at devotions, substituting the Turkish word Tanri for the Arabic word Allah,
সেকুলারদের সমর্থন কিছুটা বেড়েছে সত্য তবে সেটা কি নির্বাচনে জয় লাভ করার মত?
2007 সালে CHP এর ভোটার ছিল 7,300,234 (20.88%) আর AKP এর ভোটার ছিল 16,340,534 (46.66%)
2011 সালে CHP এর ভোটার ছিল 11,155,972 (25.98%) আর AKP এর ভোটার ছিল 21,399,082 (49.83%)
২০০৭ এর পরে ২০১১ সালে দুই দলেরই ভোটার বাড়ছে। CHP এর বাড়ছে প্রায় ৩৮ লাখ ভোটার। তার মানে সেকুলারদের সমর্থন বাড়লেই যে AKP এর কমে যাবে এটা ঠিক না। আর যদি কমেও সেটা হিউজ পরিমানে কমতে হবে তা নাহলে আবার AKP ই ক্ষমতায় আসবে!
সরকার বিরোধী সমাবেশে সেকুলারদের সাথে কতজন AKP এর সমর্থক যোগ দিয়েছে সেটাও দেখার বিষয়, তা না হলে কিভাবে বলবেন যে এরদোগানের জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে?
২০০৭ সালেও নির্বাচনের আগে তুরস্কে সরকার বিরোধী বিশাল একটা আন্দোলন হইছে। সেখানে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ মানুষ হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলকে কি খুব বেশি প্রভবিত করতে পেরেছিল? সেই তুলনার এই সমাবেশ তো ছোটই বলতে হয়!
AKP এর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তারা তুরস্কের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পরেছে। আর এটা নিয়ে বিরোধীরা সম্ভবত সমালোচনা করে না।
একটা সময় ছিল সেকুলার পন্থী সেনাবাহিনী ইচ্ছা করলেই কোন দল নিষিদ্ধ করে দিতে পারত এবং করেছেও। এখন সম্ভবত সেনাবাহিনীতেও এরদোগানের বেশ প্রভাব আছে না হলে এই ধরনের কথা বলার সাহস পেত না।
"Today we are not at May 27, 1960, nor are we at September 12, 1980, nor are we at February 28, 1997," he said, referring to two coups led by a staunchly secular military and a third in which a conservative-led government was forced to resign.
তুরস্কের সব জনগণ না, বিরোধীরাই অধিক ক্ষমতাশালী এরদোগানকে চায় না।
যাই হোক, সব প্রশ্নের উত্তর পরবর্তী নির্বাচনের ফলাফলই বলে দিবে।
ভাল থাকুন।
১৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: তরস্কের নির্বাচনে কোন দল যদি ৩১% ভোট পায়, এবং কাছে দলের ভোট ৩০% হলে ৩১% ভোট পাওয়া দলটিই ক্ষমতায় আসবে। আমাদের দেশের মত প্রত্যেক আসনের এমপির জেতা লাগে না। সেই হিসাবে আগামী নির্বাচনে এরদোয়ানের ভোট বাড়বে না কমবে, তা এখন আন্দাজ করা যাচ্ছে না। তার সাথে যুক্ত আছে আভ্যন্তরীন কিছু সামাজিক আন্দোলনের প্রবল স্রোত। মূলত এরাই ভোটের বাজারকে নিয়ন্ত্রন করে।
একটা সময় ছিল যখন আভ্যন্তরীন গোলযোগের কারনে মানুষ প্রায় অভুক্ত থাকত। এখন সেই সমস্যা নাই, এর জন্য এরদোয়ানকে মানুষ অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু সামান্য গাছ কাটা আর তার থেকে উদ্ভুত প্রতিবাদের কারনে উনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা জনগনের বৃহত্তর একটা অংশ ভালোভাবে নেয় নি। এইখানেই সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশে বসে এই সমস্যাকে আমাদের মত করেই ভাবছি আমরা। কিন্তু এদের পত্রিকা পড়ে সমস্যা অন্য কোথাও বলেই মনে হচ্ছে।
আমাদের ধারণা হয়েচে যে ঢাকাতে ইসলামি দল মাইর খেয়েছে, আর তুরস্কে ইসলামি দল মাইর দিচ্ছে। ব্যাপারটা ওত সোজা হিসাবের না। আম্লীগের ভেতরে যারা দলের বিভিন্ন কাজের বিরোধীতা করে, তারা কি বিম্পি বা জামাতের সাথে হাত মিলায়? সে কারনে তুরস্কের রাজনীতিতে এরদোয়ানের সাফল্য বা ব্যর্থতায় আমাদের উদ্বলিত না হলেও চলবে।
তবে এই মূহুর্তে প্রয়োজন এরদোয়ানের একটি কাজের উত্তম অনুসরন করা, আর তা হল যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দেওয়া। এরদোয়ান যেমন বিচার করছেন সেই দেশের ক্যু করা জেনারেলদের।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৫:০৩
শিপন মোল্লা বলেছেন: এরদোয়ানের উত্তরোত্তর ক্ষমতাবৃদ্ধি, এবং অপ্রতিদ্বন্দী মনোভাব যে পশ্চিমা বিশ্ব এবং লিবের্যাল তুর্কিরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করছে না সেটা পরিস্কার বোঝা গেল! এটাই সত্য কথা। কিন্ত এরদোয়ান বাপের ব্যাটা একজন খাটি নেতা নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম করেছে কামাল তাতাতুকের তুরস্কে।