নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্ত হত্যাঃ দায় আমাদেরও আছে!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

সীমান্ত হত্যা সংক্রান্ত ঘটনায় মুদ্রার অপর অংশ দেখে একটা কথা না বললেই নয়, যে, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা'র একটা বড় দায় আমাদের নিজেদের কাঁধেই!



বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা ও সীমান্তবর্তী মানুষগুলো ভীষনভাবে ভারতের উপর নির্ভরশীল। অবৈধ চোরাচালান, অবৈধভাবে মানুষ যাতায়াত, এবং বাংলাদেশে'র তরফ থেকে গার্ডহীন অরক্ষিত সীমান্ত স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ঐতিহাসিকভাবেই এমনটা হয়ে আসছে।



অবৈধভাবে মানুষ ও পণ্য'র সীমান্ত পাড়ি কোনভাবেই বাংলাদেশের উপকারে আসে না। না পাই আমরা শুল্ক, না পাই বাজারের সঠিক চিত্র, উল্টো আমাদের দেশের অপমান এবং মানুষের মৃত্যু।



বাংলাদেশীদের এই অবৈধ প্রবনতার কারনে বিডিআরও পারে না সীমান্ত রক্ষায় কঠোর হতে।



এটা বন্ধ না হলে কিন্তু সীমান্ত হত্যাও বন্ধ করা যাবে না।



ভারত-বাংলাদেশের একাধিক স্থল বন্দর থাকা স্বত্বেও উভয় দেশের মানুষই চোরাচালান করে। কিন্তু মরে শুধু বাংলাদেশীরাই।



চোরাচালান বা অবৈধ যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ভারত'কে বহুলাংশে দায়ী করা সম্ভব কিন্তু আমরা তো জানি যে আমাদেরও সংশোধনের প্রয়োজন আছে। আত্মশুদ্ধি ছাড়া সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।



চীন-পাকিস্তানের সাথে ভারতীয় সীমান্তে এজন্যই হত্যাকান্ড ঘটে না কারন সেখানে উভয় দেশই নিজ নিজ সীমান্ত সুরক্ষায় সমান সচেতন। বাংলাদেশে'র মত সীমান্ত উন্মুক্ত করে রাখে না।



এমনকি দেখবেন যে, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তেও কিন্তু বিএসএফ এত আগ্রাসী হতে পারে না কারন ঐ অঞ্চল দিয়ে অবৈধ যাতায়াত একটা সীমিত।



যুক্তি আসতে পারে যে, গরীব মানুষেরা আর কি করবে? গেলে কি মেরে ফেলতে হবে নাকি?



আমি বলবো, এটা কাঙ্গালীপনা, যা দারিদ্রে'র চেয়ে শতগুন ভয়াবহ।



আরো যুক্তি আসতে পারে যে, কমমূল্যে গরিব মানুষ পণ্য পাবে কিভাবে?



আমি বলবো, ভারতের সাথে অবৈধ সব সম্পর্ক ছিন্ন করলে বাজারে যেসব কর্মসংস্থান ও পণ্যে'র ঘাটতি দেখা যাবে সেগুলো চাহিদা অনুযায়ী আজ না হয় কাল ঠিকই লোকালী উৎপাদিত হবে। আর যেসব মানুষ ভারতে কাজ করতে যেতে চায় ওরা চাইলেই ঢাকা বা অন্যান্য যে কোন বিভাগীয় শহরে যেয়ে ভারতে যা পাবে তার বেশী না হলেও সমান রোজগার ঠিকই করতে পারবে।



আসল কথা হলো, বাংলাদেশ তো মহল্লা'র বস্তি না, যে, মহল্লা'র লোকজন নিরাপদেই আসা যাওয়া করবে, কিন্তু বস্তিবাসী'র ফ্ল্যাটে ঢোকা দাড়োয়ানের মুডে'র উপর নির্ভর করবে???



আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, বাংলাদেশ যদি আজ থেকে নিয়ম অনুযায়ী সীমান্ত প্রোটেক্ট করে তাহলে বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশী হত্যা শুণ্যে'র কোঠায় নেমে আসবে, এরপরও যদি জান-মালে'র ক্ষতি হয় তবে সেটা অবশ্যই একতরফা হবে না। সেইসাথে আমরাও অসীম যন্ত্রনা ও জাতিগত লজ্জা কাটিয়ে ওঠা'র পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল জাতি হয়ে দাড়াতে পারবো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

খাটাস বলেছেন: প্রথম বার পড়ে বুঝতে পারছিলাম না, সহমত জানাব কিনা। দুইবার পড়লাম। খুব ভাল লিখেছেন। পোস্টে সহমত, তবে পোস্ট আরেক টু সহজ ভাষায় লিখলে ভাল হত।

বাংলাদেশে'র মত সীমান্ত উন্মুক্ত করে রাখে না।
আপনার এই লাইন এ দ্বিমত, বাংলাদেশ কি ইচ্ছা করেই সিমান্ত খুলে রাখে? এটা কি আমাদের উদসিনতা, দয়া নাকি বাধ্যবাধকতা - যেটা খালি চোখে দেখা যায় না, তবু ও বাধ্য।

যাই হোক, লিখতে থাকুন , তবে এক তরফা ভাবে নয়, নিরপেক্ষ ও যৌক্তিক ভাবে বিবেকের দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে। শুভ কামনা।
পোস্টে প্লাস।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপাতদৃষ্টিতে বাধ্য মনে হলেও আমার মতে এটা কাঙ্গালীপনা। দরিদ্রদের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরন। অবৈধ সীমান্ত ব্যাবহারের কারনে আমরা কিন্তু কোনভাবেই লাভবান হচ্ছি না। মানুষগুলো কিছু একটা করে খাওয়া'র চেষ্টা বাদ দিয়ে অবৈধ পাচারকারী'তে রুপান্তরিত হচ্ছে, অবৈধ ট্রেসপাসিং ছাড়া অন্য কোন স্কিল ডেভেলপ করছে না এসব জনগণের আর কমমূল্যে ভারতীয় পণ্যের কারনে লোকাল উৎপাদন হচ্ছে না, উৎপাদকও তৈরী হচ্ছে না, এবং রাষ্ট্রও শুল্ক হারাচ্ছে।

বড় ক্ষতি হচ্ছে যে লং টার্মে আমাদের বাজার ও মানুষ অবৈধ ভারতীয় পণ্যে'র উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, এবং ফলশ্রুতি'তে আমরা যেই কাঙ্গাল, সেই কাঙ্গালই থেকে যাচ্ছি।

সেজন্যই আমাদের উচিত, আত্মনির্ভর হবার জন্য প্রথমেই ভারতের সাথে সকল অবৈধ সম্পর্কের সম্ভাবনা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

খাটাস বলেছেন: আপনার এই কথায় এক মত নই। আমরা বাঙ্গালিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আউট পুট দেখি, ইনপুট প্রসেস টা দেখি না।

বাংলাদেশের সিমান্ত বন্ধ করে দেয়া দরকার , সেটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু কেন দেয় না সরকার?
একটা সরকার তো রাজনৈতিক দল এর, তাই না? তো দল চালাতে শুধু দেশের দুর্নীতির টাকা দিয়ে কুলোয় না, অন্যান্য দেশের বড় বড় দল বা পুজিবাদি দের ও অর্থ সাহায্য লাগে। যার অর্থে পেট চলে, ক্ষমতায় গেলে টাকে তো ফায়দা দিতেই হবে, সিমান্ত বন্ধ করলে কি আর দাতার সাথে সম্পর্ক থাকবে? তাই কে মরল, কে বাচল, কে আন্দোলন করল, সরকারের চোখে গেলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না, নেবে ও না। যদি ও কখন ও নেয় তা যে সামান্য লোক দেখান ব্যাপার, তা নানা বিষয়ে তো আমরা দেখেছি ই।


আর দেশের অন্য বড় দল ইসলামী বিসসের সহায়তা পায়। তারা কারা সেটা জানেন ই। ক্ষমতায় যেতে হলে বড় দের ছাতা হিসেবে লাগবেই। এক দল যেহেতু বাম দের নিয়েছে, আর এক দল ডান দের কে নেয়। ফলাফল- বি এন পি, জামাত - মিলেমিশে একাকার।


ভাই বেক্তিগত ভাবে একটা কথা বলতে চাই আপনাকে। আমি এসব বলছি, তার কোন উপাত্ত আপনাকে দেখাতে পারব না। শুধু বোঝার ব্যাপার এগুলো। আর আমাদের দেশ এ এখন পর্যন্ত সমর্থন দেয়ার যোগ্য কোন দল নেই। আমরা যদি বাঙ্গালদেস কে ভালবাসি, ইসলাম কে ভালবাসি - তবে অন্য ধর্ম না মানলে ও তাতে জোড় করে বাধা দিতে পারিনা।
আমাদের নিজেদের মাঝে চেতনা জাগাতে হবে যে আজ আমরা যে ইন্দিয়ান প্রোডাক্ট ব্যাবহার করছি, সেই প্রডাক্টের টাকায় ই ইন্ডিয়ান রা আমাদের দাস করে রাখবে। তাই আমরা নিজেরা ই যত টা সম্ভব ভারতীয় পণ্য বর্জন করা শুরু করলে, সিমান্ত খোলা থাকলে ও দাদাদের তেমন লাভ হবে না।
বাজারে চাহিদা সৃষ্টি হলে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে- তখন কেও আর ঐ সিমান্ত দিয়ে দাদাদের দেশে যেতে চাইবে না। এ ই কথা গুলো আমি মনে করি, আপনি ও আপনার পোস্টে সুন্দর করে লিখেছেন।
আমাদের নিজেদের পাল্টাতে হবে, গাল্গালি আর অন্য কে দোষারোপ যত দিন করব, ততদিন একবার দাদাদের লালসায় পড়ব আর একবার ইসলাম এর নামে বেবসা করা মুহান কাণ্ডারিদের হাতে।
অনেক কথা বললাম। ক্ষমা করবেন। লিখুন সত্তের জন্য নিরপেক্ষ ভাবে বিবেকের দৃষ্টি ভঙ্গি তে। আপনার লেখায় বলবে আপনার দৃষ্টি ভঙ্গি কি? আপনার আগের পোস্টের হিসাব বাদ দিলাম। এই পোস্ট বলে আপনার সুন্দর দৃষ্টি ভঙ্গির শুভ সুচনার কথা।
অনেক অনেক শুভ কামনা।
ভাল থাকবেন অসিউর ভাই। :) আপনার প্র পিক টা সুন্দর, দেশের পতাকা দেখে গর্বে বুক ফুলে গেল। :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বড় দেশের সমর্থনের সাথে সীমান্ত হাট খোলা রাখা'র সাথে সম্পর্ক কোথায়? ধরলাম ভারত আওয়ামী লীগের বড়ভাই, কিন্তু ওরাও তো এই আচরনে খুশী না, খুশী থাকলে তো মানুষ মারতো না।

যাইহোক, ভাল থাকবেন, দেশের প্রতি ভালবাসা অটুট থাকুক সবার।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

খাটাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: বড় দেশের সমর্থনের সাথে সীমান্ত হাট খোলা রাখা'র সাথে সম্পর্ক কোথায়?
ইন কামিং ফ্রি, আউট গোয়িং রেস্টরিক্টেড । ফ্রি হউয়ায় মাদক সহ নানা পণ্য সহজেই আসে, আনার সময় কেও মরে না। মাদকের টাকা র জন্য ভারত সরকার ও রাজস্ব পায় না, পায় কাল টাকা। রাজনৈতিক দল কাল টাকা ছাড়া চালান যায় না। বাট রেসটিকটেড আরিয়ায় কিছু মূর্খ বাঙালি যায় কাজের সন্ধানে- এ অনুমতি দাদারা দেয় না। খুশি - অখুশির কারন নাই, প্রভাব সাধারনের মনে বজায় রাখার জন্য গুলি করে। কারন ভয় না দেখালে সীমান্তের গরিব মানুষ গুলো পেটের দায়ে তাদের দেশে কাজ খুজতে যাবে।
যাই হোক, আমার মতে আমি একটা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম। দ্বিমত থাকতেই পারে, উদ্দেশ্য সবার ভাল হলেই ভাল।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সেটাই, উদ্দেশ্য থাকুক ভাল, সেই সাথে শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.