নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই দিনই নিয়া আইছে, এই দিনেরও কাছে!!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

এক ভাই বললো, একটা নিকৃষ্ট মানের পাগলা গারদে যা হওয়া সম্ভব বাংলাদেশে বর্তমানে তার চেয়েও বেশী বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা তো তাদের নিকৃষ্টটা দিচ্ছেই, সেই সাথে জনগণও নিকৃষ্ট প্রতিক্রিয়াটাই দিচ্ছে।



আমার মনে হলো, বর্তমানে দেশে যা চলছে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আজকের এই দিনটিতে আমাদের এভাবে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসিয়ে রাখার জন্য তৈরী করা হয়েছে বহুদিন ধরেই।



অতি যত্নের সাথে বিশৃঙ্খলার সাথে আমাদের সহনশীলতাকে বৃদ্ধি করে করে আজকে এই মূহুর্তে উপনীত করা হয়েছে।



দেশে যখন জয়নাল হাজারী, আলহাজ্ব মকবুল, হাজী সেলিমরা রাজত্ব করছিল, তখন পরিক্ষায় নকলের মহাউৎসব আয়োজন করে মেধাবীদের অসৎ বানানো হয়েছে যেন ওরা নৈতিক জায়গায় দাড়াতে না পারে। মিডিওকার যুবকদের আইডল বানানো হয়েছে হিন্দি ছবি'র 'ভাই'দের, যেন ওরা দুশ্চরিত্রের নেতৃত্ব মেনে নেয় আর অবশিষ্টের অর্ধেককে ফেন্সিডিলের ভাসানো হচ্ছিল সকল অসামাজিকতা পাশ কাটিয়ে চলতে শেখানোর জন্য আর অবশিষ্টদের কর্পোরেট দাস অথবা রোমিও বানানো হয়েছে যে ওরা সমাজ ও রাজনীতি বিমুখ হয়ে যায়।



বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কদর কমানো হয়েছে, ছাত্রদের আবেগে সুশাষনের জায়গায় ঢুকেছে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন বিদ্যা'র বিবিএ!



এরপর, ক্রসফায়ারের নামে রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড ঘটানোর মাধ্যমে সুশীল ও সংবেদনশীল নতুন প্রজন্ম ও সুশীল-সুজন মানুষগুলোর কাছেও মানুষের জীবনের সংহারের রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া জায়েজ করে প্রানকে মূল্যহীন করে ফেলা হয়েছে।



ফলে কি দাড়াল?



সমাজের শত্রুদের ভক্ত, বাস্তবতা ও সমস্যাবিমুখ একটা যুবক প্রজন্ম কর্মক্ষেত্রে ঢুকলো। শূন্য নৈতিক চরিত্রের ছাত্র সমাজ যারা প্রচন্ড মাত্রায় ব্যাক্তিকেন্দ্রিক।



এরপর শুরু হলো ঐতিহাসিক দূর্নীতি, শেয়ার মার্কেট- আবুল-হলমার্ক, জনগণ শিখলো তাদের ফুটোকড়ি মূল্যও দেয় না রাষ্ট্র। এরপর আসলো তাজরীন- রানা প্লাজা, মানুষ আরো শিখলো তারা কাতারে কাতারে, শ'য়ে শ'য়ে এমনকি হাজারে হাজারে মরলেও সেটা কিছু মেকি আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে বেশি কিছু পায় না।



তাই, আজকে ১৬ কোটি মানুষের বিশাল দেশটার প্রতিটা প্রতিষ্ঠান যখন ক্ষমতার লোভে'র আগুনে জ্বলছে সাথে সাথে জনগণও জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে আর যারা পুড়ছে না তারা এতদিনের শেখা সহ্যশক্তি'র সাহায্যে সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই গ্রহন করছে।



সবাই ধরে নিয়েছে, চিকেন ফ্রাই কেনার সময় সরকারকে যেই ট্যাক্সটুকু দেই আমাদের সেই ট্যাক্সের টাকাই রিটার্ণ পাচ্ছি সরকারী মেডিকেলে মানুষ ফ্রাই হয়ে চিকিৎসা নিয়ে।



আপনাদের দীর্ঘদিনের শিক্ষা কাজে লেগেছে সরকার বাহাদুর। আমরা আজ সফলভাবে শিখে গেছি কিভাবে জ্বলে-পুড়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনতে হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: মিলিটারী স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত হয় এই কঠিন সময়ে, আপনার কি মনে হয় না এটা একটা আইওয়াশ।
এর আড়ালে র' এর বেজম্মা গুলা বাংলার মাটিতে স্যাবোট্যাজ করার জন্য বসে আছে, করতেছে।
এটলিস্ট এটাইতো ভালো একটা আন্ডার কাভার।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বাংলাদেশ যখন পুড়ছিল, চৌরাসীয়া তখন আর্মি স্টেডিয়ামে বাঁশী বাজাচ্ছিল

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবাই ধরে নিয়েছে, চিকেন ফ্রাই কেনার সময় সরকারকে যেই ট্যাক্সটুকু দেই আমাদের সেই ট্যাক্সের টাকাই রিটার্ণ পাচ্ছি সরকারী মেডিকেলে মানুষ ফ্রাই হয়ে চিকিৎসা নিয়ে।

আপনাদের দীর্ঘদিনের শিক্ষা কাজে লেগেছে সরকার বাহাদুর। আমরা আজ সফলভাবে শিখে গেছি কিভাবে জ্বলে-পুড়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনতে হয়



:( :( :( :( :( :( :( :( :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.