![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুকেঃfacebook.com/ghunpokareturnঘূণেধরা সমাজের আমি এক ঘূণপোকা। ধ্বংশ করে চলেছি নিজের সমাজ, সংসার, প্রিয়জনের স্বপ্ন, রাষ্ট্র।মাঝে মাঝে নিজেকে কেবল সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। ছোটকালে স্কুলের সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে পড়া অধিক জনসংখ্যা কুফলগুলোতে মনে হয় আমিও একটু মাত্রা যোগ করেছি।জীবনে কোন কিছুই সিরিয়াস মত করি নাই। না জীবন-যাপন,না পড়াশোনা, না প্রেম। আর ব্লগিং তো নয়-ই। এইজীবনে যেই জিনিসটা নিরলসভাবে করেছি তা হচ্ছে আইলস্যামি।আইডিয়া মাথায় কিলবিল করে, আমারও সামর্থ্য ছিলো সমাজ পরিবর্তনের। কিন্তু আইলস্যামির জন্য করা হয়নি কিছুই। না ফুল, না কাটা।
তেজগাঁয়ের একটি বিখ্যাত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের জন্য কিছু করার জন্য যখন ব্যাকুল হয়ে আইডিয়া খুজে মরছিলো, তখন তাদের মধ্যের যে বরিশাইল্ল্যা সে বলল, “চল মাহির অগ্নি দেখে আসি, আজ বাংলা সিনেমার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। আমরা না গেলে কেমন করে উদ্ধার হবে এই দুর্যোগের”। মাহির নাম শুনে বুড়িগঙ্গার ওপাশ থেকে আসা ছেলেটি নড়েচড়ে বসে। “আহা মাহি”! বলে তার হার্টবিট পুরা তিন মিনিট অফ হয়ে যায়। কত রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই মেয়েটি। এঞ্জেলিনা জোলির কপাল পুড়েছে এই মেয়েটি। শুধু তাই না, বাংলাদেশের কত মেয়ের মা-বাপের চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই মেয়েটি। বুড়িগঙ্গার ওইপাড় থেকে আশা ছেলেটি পাত্র হিসেবে সৎ, আদর্শবান, মেধাবী, ভবিষত ইঞ্জিনিয়ার। এমন একটি ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়ে যেকোন মেয়ে মা-বাপ নিশ্চিত হতে পারে। কিন্তু ছেলেটির ধরেছে ভীমরতি। সে মেয়ে মানুষ তো দুরের কথা তাদের কাপড় দেখলেই ওদিকে তাকায় না। তার একটাই চাহিদা তোরা যে যাই বলিস ভাই, আমার মাহিকে চাই। আর মেয়েকে সুপাত্রস্থ করতে না পেরে কত মেয়ের মার যে চুল পেকে গেলো।
তাই এই ছেলেটি তার গ্যাঙের বাকীদের ফুসলানো শুরু করলো। অল্প টাকায় দেশপ্রেমের সুযোগ পেয়ে প্রায় সবাই রাজী হয়ে গেলে। কিন্তু কয়েকজন যারা নিজেরদের মনের সাথে তাদের মেরুদণ্ডও প্রেমিকাকে দিয়ে দিয়েছে তারা গেলো না।
অবশেষে পবিত্র দিন দেখে তারা ১৫ জন (১৩:২=পুরুষ:নারী) নেমে পড়ল দেশপ্রেমে। সেদিন ছিল মহান একুশে ফ্রেব্রুয়ারী ২০১৪ সাল। ১৯৫২ সালের পরে বাঙ্গালির জীবনে এত তাৎপর্যময় একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আর আসেনি। লুপ্তপ্রায় বাংলা সিনেমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছে সারাদিন হলিউড-তামিল-বলিউড ঘুরা ১৫ যোদ্ধা। সকাল দশটায় তারা গিয়ে হাজির হলো বলকা সিনেমার হলে সামনে। সেখানে হাজির হয়ে সবার চোখে জল চলে আসার অবস্থা। এই সেই নিউমার্কেট এরিয়া। যেখানে তারা এর আগে এসেছে সেই প্রাগতৈহাসিক কালে পাইরেসি করা হলিউড-তামিল-বলিউডের আর বিশেষ ধরনের নীল-লাল-খয়েরী সিডি কিনার জন্য। তাদের মধ্যে একজন যে সালমান খানের একজন মরন হৃদয় (ডাইহার্ট) ফ্যান, যে সালমানের হিসু করা দেখেও আনন্দে থ্রী কোয়াটার খুলে ফেলে সে বলে বুড়িগঞ্জার অপর পাশ থেকে আসা ছেলেটাকে চল সিগারেট ফুকে শুরু করি আজকের এই বাংলা সিনেমা নামক প্যারার যাত্রা।
১০ঃ১০ মিনিটে সবাই তিনবার দুরুদ পড়ে বলাকার ভিত্রে প্রবেশ করে। আসন খুজে ভেতরে বসার সময় তাদের কানে ভেসে আসে একটি শব্দ, এই পিচ্চি পোলাপাইনের সাথে বসে কেমন করে সিনেমা দেখব। ডিজে নামক বগার মত দেখতে ছেলেটা সাথে সাথে প্রতিউত্তরে বলে উঠে সাইজ ডাস নট ম্যাট্যার ফর চপ উড। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা সবাই আনন্দের আপ্লূত হয়ে পড়ে। তাদের পিছনের পুরোটা জুড়ে রয়েছে ইডেন থেকে আসা চিয়ার্স লেডিরা। যাক তাহলে টাকাটা বৃথা যাবে না, সিনেমা যাই হউক। মজা ভালোই করা যাবে। কিন্তু কয়েক মিনিট পড়েই তাদের আনন্দ শঙ্কায় পরিনিত হয়। চিয়ার্স লেডিদের প্রধান যখন দাউদ ভাইয়ের নম্র-ভদ্র ছেলেটার ঘাড়ে এসে বসে। কিন্তু তাদের সাথে থাকা সুর্য্যের ন্যায় উত্তপ্ত আর প্রতিবাদী ছেলেটা বলে উঠে আপু উঠেন, এটা কী করেছেন।
মেয়েটি তখন মুখটা চুন করে তার আসনে গিয়ে বসে।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সিনেমা শুরু হয়, আর সবাই ফিরে যায় তাদের স্কুলের জীবনের স্মৃতিতে। এসেমব্লি করার সেই প্যারার দিনে। শীতের রোদে কপালের সামনে সুর্যকে রেখে প্রতিদিন সঠান দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কে পেইন মনে হলেও কিন্তু আজকে সবাই খুব সহাস্যেই দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে শ্রদ্ধা জানায়।
মর্নিং শোজ দ্যা ডেই। সিনেমার শুরুটা দেখেই সবাই নড়ে চড়ে বসে।
সিনেমার কাহিনী, সেই গতানুতিক বাংলা সিনেমার মতই। গুন্ডারা নায়িকার মা-বাবাকে মেরে ফেলে। মেয়েটি বড় হয়ে তার প্রতিশোধ নেয়। কিন্তু পরিচালকের মুন্সিয়ানায় এই সিনেমাটি হয়ে উঠেছে অনন্য।
চমৎকার লাল একটা ড্রেস পড়ে সিনথিয়া নামক এক লালপরি দেখা করতে যায় গাউস নামক এক আমেরিকা ফেরত ব্যবসায়ীর কাছে- যে কিনা । আহা কি সুন্দর মেয়েটার ব্যাক ভিউ। রিসিপসন থেকে গাউসকে ইনফর্ম করা হলে, সে বলে দেয় সিনথিয়া নামের কাউকে সে চিনে না। কিন্তু ওয়েব ক্যামে ব্যাক ভিউ দেখে সে তার মন পালটায়। রিসিপসনিস্ট মেয়েটিকে বলে সিনথিয়ার চেহেরা তোর চেয়ে ভালো হলে ভেতরে পাঠিয়ে দে। এই ডায়লগ শুনে পুরো হলো চিল্লানো দিয়ে উঠে আর, এটা ছিলো শুরু। সারা সিনেমা জুড়েই সবাই চিৎকার করেছে। যদিও তেজগাঁয়ের বিখ্যাত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চেয়েছিল চিল্লানোতে তারা প্রথম হবে, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার শিরোপাটা নিয়ে গেছে ইডেন কলেজ।
তারপর মাহির লিফটে এন্ট্রি, আর লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাবার একেবারে শেষ মুহর্তে মাহিকে পর্দায় উপস্থাপনে পরিচালক যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তা একেবার অনন্য। বাংলা সিনেমায় এই রকম দৃশ্য খুব কমই হয়েছে। পুরা হলিউড মানের।
গাউস যে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছে, দেশি মুরগী খাওয়ার জন্য, কারন ফার্মের মুরগী খেতে খেতে তার রুচি নস্ট হয়ে গেছে। সে অবাক হয়ে দেখলো যে, দেশি মুরগীর কী ধাঝ। কিন্তু মারামারি এক পর্যায়ে মাহিকে আটকে ফেলা হয়। তাকে বেধে রাখা হয় চেয়ার সাথে হাতে পায়ে গিঁট দিয়ে। কিন্তু উল্লসিত গাউসকে মাহি জানায় যে সে নিজে ইচ্ছে করে এখানে এসেছে। তারপর পায়ের দিক থেকে চুরি বের করে সে পায়ের বাধন খুলে ফেলে কিন্তু চেয়ারে হাত বাঁধা থাকে। এই হাত বাঁধা অবস্থায়ই সে মারা মারি করে নিজের মিশন সাকসেস করে, ফলস সিলিং ভেদ করে চলে আসে।
একশন দৃশ্যের চিত্রায়ন ছিল বাস্তবসম্মত ও সুন্দর। মাহির ডেলিভারিও ছিল সেই, এক্কেরে সেই।
তারপরেই মাহিকে চলে যেতে হয় থাইল্যান্ড। কারন সেখানেই বর্তমানে থাকে তার সব টার্গেট- গুলজার গংরা।
থাইল্যান্ডে ইতিমধ্যে গুলজার গংদের মাঝে পৌছে যায় তাদের পার্টনার মারা যাবার খবর। তখন তাদের বস, মিশা সওদাগর নিজেদের নিরাপত্তার জন্য শঙ্কিত হয়ে পড়লে গুলজার রুপি আলী রাজ জানায় যে তাদের কোন ভয় নেই। কারন ড্রাগন তাদের নিরাপত্তা দেবে। কে এই ড্রাগন? ড্রাগন হচ্ছে, থাই বক্সিং এ দুইবার চ্যাম্পিয়ন আরেফিন শুভ। আরেফিন শুভর পর্দায় এন্ট্রিটা অসাম ছিল। এইটার জন্য পরিচালক ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
ইতিমধ্যে ঢাকার বলাকা প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয়ে গেছে সেই মানের টু ভার্সেস টু। একজন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এসে আরেকজনের স্ত্রীর জায়গায় বসে পড়ছে। সাহস তো কম না। এটা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে সেই মানের ঝগড়া। স্ত্রী বৈধ আর গার্লফ্রেন্ড অবৈধ এটা বোঝানোর জন্য দেখি ভদ্রলোকের ওয়াইফও ফার্লফ্রেন্ডওয়ালা ছেলেটার সাথে চিল্লানো শুরূ করছে। আর গার্লফ্রেন্ডটি মাথা নিচু করে বসে ছিল। মনে হয় ভাবছিলো, দেশে নাই হরতাল-অবরোধ। টিভি চ্যানেলগুলো এখন ভেরেন্ডা ভাজছে। টিআরপির এই অবস্থা, সিনেমা হলে ঝগড়া নিশ্চয় অনেক হট নিউজ। যদি চলে আসে এইখানে। কেমনে মুখ দেখামু বাসায়। তাদের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে আশেপাশে থাকে দাবী উঠল তাদের বের করে দেয়ার জন্য। এই দাবী শোনার পর থাদের ঝগড়া থামে।
থাইল্যান্ডে এসে এক উইকেট ফেলে দেয় তানিশা মানে মাহি। কিন্তু স্লো বলার করার কারনে পিছনে পিছনে বাইক নিয়ে দৌড়েও ড্রাগন ধরতে পারে না। বাইক নিয়ে রেসটা অনেক দিন মনে থাকবে। কিছুক্ষন বাইক রেস করার পর মাহি লুকিয়ে পড়ে এবং তার ড্রেস চেঞ্জ করে ফেলে। কিন্তু আরেফিন শুভ রুপি ড্রাগন চুপি চুপি এসে অস্ত্র তাক করে তো অবাক হয়ে যায়। কোথায় সেই কিলার মেয়ে, এই তো দেখি লালপরি। আর মাহিও বাচ্চা মেয়েদের মত বাচাও বাচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। যেন জীবনেও সে অস্ত্র দেখে নাই। এইম্নেই মরে পোলাপাইন। রুপের মোহে পাগল হয়ে যায়। কেন ভাই জানস না তোর হৃদয় নাই, মাথা আছে মাথা খাটা। হৃদয় কেন খাটাইতে যাস।
তারপর কাকতালীয়ভাবে ড্রাগনের বাসায়ই সাবলেট থাকে মাহি। আর অনেক জোস অভিনয় করতে থাকে যে সে অস্ত্র দেখলে ভয় পায়। কিলার এই মেয়েটাকেই ভালোবেসে ফেলে ড্রাগন। কিন্তু ফুলের বদলে সকাল বেলা অস্ত্র নিয়ে গিয়ে আবারও অজ্ঞান করে ফেলে মাহিকে।
ইতিমধ্যে সব খোলাসা হয়ে যায়, গুলজার গংদের কাছে। আর ড্রাগনের বাসায় সাবলেট থাকার কারনে তাকেও ভুল বুঝে গুলজার গং। আর মেরে ফেলে ড্রাগনের বাংগালি মামা আর থাই মামীকে। বিশ্বাসের প্রতিদান না পেয়ে আর ভালোবাসার জন্য বেইমানী করতে বাধ্য হয় ড্রাগন। আটকে রাখা মাহিকে উদ্দার করতে যায় ড্রাগন। এইখানে অনেক ভালো চিত্রায়ন করেছেন পরিচালক।
আর এইভাবে শেষ হয় একটি সফল বাংলা সিনেমার দেখার মিশন। যখনই পর্দায় মাহি-শুভর রসায়ন দেখানো হয়েছে (যদিও পরিমানে কম) তখনই আমরা চিল্লানো দিয়ে উঠেছি ফিলিং মারুফ বলে। আর কোন দৃশ্য একটু বাজে হলে হালায় পুরাই বস্তি বলে।
সিনেমার ভালো দিকঃ
- মাহির অনেক ভালো ফাইট করেছে।
- আরেফিন শুভর অভিনয় অসাধারণ, বাংলার নেক্সট সালমান।
- ছোট কালের মাহির অসাধারণ অভিনয় (মেয়েটা ব্যাফুক সুন্দর)।
- গানের দৃশ্যায়ন, কথা, সুর চমৎকার।
- ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিকে ব্যাফুক পরিবর্তন।
- প্রথম থেকেই নায়ক-নায়িকার রোমান্স না দেখানো। (ইনফ্যাক্ট এমন কোন দৃশ্য নেই, খালি লাস্ট সিন ছাড়া)
- তুমারে ছাড়া বাচুম না, এমন ডায়লগ না থাকা।
- চিত্রায়ন, ক্যামেরার কোয়ালিটি জোস।
সিনেমার খারাপ দিকঃ
- কলাম্বিয়ানা মুভির কাহিনী মেরে দেওয়ার একটু ট্রাই করা। (বলিউড এমন অহরহ করে)।
- থাই ভাষা ব্যাবহারের সময় সাবটাইটেল না দেওয়া।
- কাবিলা ও তার থাই বউয়ের মধ্যকার বাংলা-থাই গ্যাঞ্জাম।
- মাহির একই এক্সপ্রেশোন বার বার দেয়া।
- আর মাহির পা বার বার দেখানো। গানে, একশন দৃশ্যে, নরমাল কথা বার্তায় মাহির পাকে কেন জানি বার বার দেখানো হয়েছে।
- আরেফিন শুভর বারবার স্টপ, স্টপ ডায়লগটাও কানে লাগছে।
- সিনেমার চলাকালীন সময়েই ওয়েলকাম টিউনের এড দেয়া।
র্যাকিংঃ
৯.৫/১০ (ব্যক্তিগত)
ভালোমানের একটি একশন মুভি বলতে যা বোঝায় তার সবই করার চেস্ট্রা করা হয়েছে এই মুভিতে। সময় থাকলে দেখে আসতে পারেন। সময় কিংবা টাইম কিছুই নষ্ট হবে না। খালি মাহির দিকে নজর দিয়েন না। মাহি কিন্তু আমার ক্র্যাশ ভাইয়েরা। গরিবরে মাইরেন না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নীল ভোমরা
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯
অনেকের মধ্যে একজন বলেছেন: apnar shate ekmot hote parlam na vhai. Desher movie manei ei na je doya dekhai dekhte jete hobe. Eta ek koruna cheye unnoti korar moto. Valo maner cinema toiri hok emni dekhte jabo. At least Deshi bole doya dekhate jete raji noi.
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ভিন্ন মত থাকবেই।
মনে করেন, মিস্টার "ক" আর "খ" প্রতিবেশি। দুইজনের ছেলেই পরিক্ষা দিয়ে ক এর ছেলে ৪.৫ আর খ এর ছেলে ৫ পেয়েছে।
এখন ক কী করবেন?? একবার হয়ত বা তার নিজের ছেলেকে বকা দিবেন?? কিন্তু খ এর ছেলেকে নিজের ছেলে বলে পরিচয় দেবার জন্য কি উঠে পড়ে লাগবে??
রুগ্ন শিল্প সব সময় একটু ভর্তুকি পায়ই।
আর আপন জনেরা একটু বেশি বেশিই পায়।
আমার যে র্যাঙ্কি দিয়েছে আমি জানি তা এটি পায় না। কি করব ভাই। নিজেদের জিনিস তো।
অনেক শুভ কামনা
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২
নিশাত তাসনিম বলেছেন: রিভিউ দারুণ লাগলো
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নিশাত তাসনিম
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮
অথৈ সাগর বলেছেন:
ভেরি গুড । আমার রেটিং ১০/১০ না দেখেই ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
যাক রিভিউ দিয়ে তাইলে আমি সিনেমাটার উপকারই করলাম।
ধন্যবাদ
অথৈ সাগর
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অথৈ সাগর বলেছেন:
ভেরি গুড । আমার রেটিং ১০/১০ না দেখেই ।
আমারো !
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ মুন ভাই।
দেখে আসুন সিনেমাটা একেবারে খারাপ লাগবে না
বাংলা সিনেমা অনেক এগিয়ে গেছে
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
মুহম্মদ আলমগীর তৈমূর বলেছেন:
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪
আছিফুর রহমান বলেছেন: দিলডা কেমুন মোচর দিয়া উঠলো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কার জন্য মাহির জন্য???
ভাই দিলডারে থামান
গরিবরে মাইরেন না ভাই
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিভিউ বা 'দর্শন' ....
ভালই লেখছেন!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ কালবৈশাখী ভাইয়া
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
কিউরিয়াস মাইন্ড বলেছেন: ছবিটা দেখেছি মোটামুটি , তার চেয়ে বেশী ভালো লাগলো আপনার রিভিউ ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ কিউরিয়াস মাইন্ড
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী বানিজ্যিক ছবির যে মন্দাভাব যাচ্ছিল, অগ্নি ছবিটি এই ধারা থেকে কিছুটা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে অবশ্যই নির্মানগত কিছু ত্রুটি আছে, কিছু কিছু ব্যাপারে সেই তথাকথিত বাংলাছবির চিরচেনা রসায়নের প্রভাব আছে এবং সর্বপরি কিছু দৃশ্যায়নের কন্টিনিউশনের অভাব, অসামঞ্জস্যপূর্ন চিত্রায়ন (যেমন ব্যাংককের হাসপাতালে মাম পানির বোতল) যা হয়ত সাধারন দর্শকদের কাছে ঠিক বোধগম্য হবে না তথাপি সব মিলিয়ে এটা একটি ভালো প্রচেষ্টা। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এই ছোটখাট ভুলগুলো যদি শুধরে নেয়া যায় তাহলে ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক ভালো সিনেমা উপহার পাব।
মাহিয়া মাহিকে বাংলা ছবির নায়িকা সংকটের উত্তোরনের সিঁড়ি বলা যেতে পারে। দীর্ঘদিন পর আমরা একজন বাংলাছবির নায়িকাকে পেলাম যাকে পশ্চিমা পোষাক কিংবা তথাকথিত আধুনিক পোষাকে দৃষ্টিকটু লাগে না। তাছাড়া নায়িকাসুলভ যে সকল আবেদনময়ী অংগভংগী থাকা দরকার সেখানেও তিনি মোটামুটি সফল। শুধু দরকার এক্সেপেশনের সঠিক গাইডেন্স এবং অভিনয়ের কিছুটা কিছুটা বার্নিসিং। যদি এই সকল বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে তিনি দীর্ঘদিন তার গ্রহনযোগ্যতা ধরে রাখতে পারবেন।
আরেফিন রুমি বেশ ভালো করেছেন, যদিও তিনি 'স্টিল' এ বেশ ভালো তারপরও 'রানিং' এ তাকে আরো ভালো করার সুযোগ আছে। অর্থাৎ তার বিভিন্ন এক্সপেশন স্টিল ছবিতে দূর্দান্ত এসেছে, সেই তুলনায় সিনেমায় তিনি এক্সপ্রেশন ধরে রাখতে পারে নি। এই ক্ষেত্রে মনে হয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় পর্দা এবং ছোট পর্দার অভিনয়ের পার্থক্যটি নির্ধারন না করতে পারার বিষয়টি। আশা করি অতিদ্রুত তিনি এই দূর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠবেন।
সর্বপরি আমার কাছে মাহি এবং শুভ জুটিকে ভালো লেগেছে। আশা করি ভবিষ্যতে পরিচালকরা তাদের নিজেদের মান উন্নয়ন করার মাধ্যমে অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছ থেকে সেরা কাজ আদায় করে নিবেন।
এই ছবিতে যার অভিনয়ের কথা আমি আলাদা করে বলতে চাই, তিনি হলে শিশু শিল্পী পুজা। এত চমৎকার পরিনত অভিনয় তিনি করেছেন যা অবশ্যই সাধারন মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। আমি মনে করি, তার যদি ভবিষ্যতে বাংলাছবিতে কাজ করার ইচ্ছে থাকে বা আমরা যদি আরো একজন অসাধারন অভিনেত্রীকে পেতে চাই তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে এখন থেকেই কিছুটা পরিকল্পনা মাফিক পরিচর্যার কাজ করতে হবে। নইলে মেয়েটির অবস্থা হয়ে 'দীঘীর' মত।
আপনাকে ধন্যবাদ এই রিভিউ পোষ্টটি দেয়ার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কি বলব, আপনার মন্তব্য আমার পোস্টের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিলো কিংবা পোস্টটাকে সম্পুর্ণ করলো।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
অপ্রচলিত বলেছেন: রিভিউ অনেক ভালো লাগলো
নজর দিতে মানা করলেন ভাই, আমারে মানা করলে কিন্তু আমি আরও বেশি করে করি
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ধন্যবাদ দিমু না
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসার মধ্যে সত্যিকার অর্থেই পান্ডিত্যের ভাব আছে সুতরাং তার সংগে আমি পুরাপুরি একমত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আবার জিগায় পান্ডিত্যের ভাব আছে মানে, সেই লেভেলে আছে। সহমত পোষন না করে উপায় আছে।
ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী
১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
আমিজমিদার বলেছেন: এক কথায়, ইহা বঙ্গদেশের 'কিলবিল' মুভি। আর কিসু কওয়া নাগবে, বাহে
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৬
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
রি হোসাইন বলেছেন: ভাই আমি একটি নতুন অনলাইন ম্যগাজিন চালু করেছি। নাম সমসাময়িক । আমি আপনাদের মত কিছু লেখকদের খুজছি। কিন্তু সমস্যা হলো আমার সাইট টি এখনো নতুন হওয়ায় আমার ম্যাগাজিনের আয় নেই বল্লে-ই চলে। তাই শুরুতেই আমি আমার লেখকদের সন্মানী দিতে পারছি না। কিন্তু আপনাদের মতো লেখকরা যদি এগিয়ে এসে আমার ম্যাগাজিনে নিয়মিত কিছু ভালো লেখা দিতে থাকে তাহলে ম্যাগাজিন টা দ্রুত সমৃদ্ধ হতে পারে এবং এতে ভালো আয়ো হতে পারে। ভালো আয় হলে আমি অবশ্যই লেখকদের যথাযথ সন্মানী দেবার চেষ্টা করবো।
আমার অনলাইন ম্যাগাজিন টা একটু দেখুন। ভালো লাগলে ও ভালো মনে হলে কিছু মৌলিক লেখা দিয়ে সাহায্য করবেন। আমাকে নিয়মিত ফেসবুকের রি হোসাইন আইডি তে পাবেন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ঘুরে আসলাম আপনার ম্যাগাজিন থেকে ভালোই লেগেছে।
বাট আপনি আসলে কি নিয়ে কাজ করতে চান বুঝি না। আপনার সাইট টা আমার কাছে তো অনলাইন নিউজ সাইটের মত লাগলো।
আর দিমুনে লেখা
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে। তবে শুনেছি এটা নাকি কোন এক মুভির নকল। যাইহোক, আমার কথা হল সিনেমা যেন অবশ্যই দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি হয়, এর বেশি কিছু চাই না।
০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
হ্যা কলাম্বিয়ানা মুভির নকল করার একটা ট্রাই ছিলো। বাট কিং কং টাইপের নকল না। ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ
১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চরম একটা রিভিউ লিখছেন ভাই। যদিও সিনেমাটা এখনও দেখা হয়নাই কিন্তু রিভিউ পড়ে মনে হলো যেন সিনেমটা দেখলাম।
০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
সময় পেলে দেখে নিয়েন, ভালো না লাগলে খারাপ নাই হয় লাগবে।
১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
ইখতামিন বলেছেন: রিভিউটাও অসাধারণ
দেখবো
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ ইখতামিন
মুভিটা দেখেন ভালো লাগবো
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৬
কালোপরী বলেছেন: ভাল লাগল
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ কালোপরী
১৯| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
সামুস কিং বলেছেন:
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
২০| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
তুষার মানব বলেছেন: ভালোই লেখছেন
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
নীল ভোমরা বলেছেন: জটিল!