নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ginipig bolchi

my country creat me a ginipig

গিনিপিগ

গিনিপিগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বন্দি জীবন ও মিসেস মিলনের কারাগারে যাওয়ার অপেক্ষা

১৭ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:৫৩

গত ১৫ মে দৈনিক ইনকিলাবে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলনের স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবীর 'কারাগারে যাওয়ার অপেক্ষায়' শিরোনামের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটি ব্লগারদের সাথে শেয়ার করলাম--



কারাগারে যাওয়ার অপেক্ষায়

নাজমুন নাহার বেবী, আ ন ম এহছানুল হক মিলনের সহধর্মিনী



সংসদ সদস্য শেখ হেলাল ও তার স্ত্রী রূপা চৌধুরী বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাদের সেই কারাগারের অবস্থান হলো রাজধানীর গুলশান অভিজাত এলাকায়। অর্থাৎ সরকারি নথিপত্রে তারা কারাগারে গেলেও বাস্তবে তারা রয়েছেন গুলশানের একটি নামকরা হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল স্যুটে। সেখানে তাদের চলাফেরায় কোনো বিধি-নিষেধ থাকা দূরের কথা, উল্টো তাদের হরেক রকম আরাম-আয়েশ নিশ্চিত করার কাজেই ব্যস্ত কারা কর্তৃপরে লোকজন। শেখ হেলালের পরিচয় হলো, তিনি দিনবদলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই।

শেখ হেলাল ও তার স্ত্রী রূপা, দু’জনই দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে এতদিন পুলিশের খাতায় পলাতক ছিলেন (যদিও বাস্তবে তারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়িয়েছেন, স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন)। গত ৯ মে রবিবার হঠাৎ করেই তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থণা করলে আদালত স্বাভাবিকভাবেই জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর আদালতের হুকুম তামিল করতে গিয়েই হেলাল-রূপা দম্পতিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে মর্মে সরকারি নথিপত্রে দেখানো হলো। নি:সন্দেহে এটি একটি বিরল ঘটনা। কিন্তু হেলাল-রূপা দম্পতির বিরল সুবিধা লাভের ঘটনা দিনবদলের সরকারের আমলে এটিই প্রথম নয়। এই সরকার মতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালের ১১ জানুয়ারী তারা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের সামনে গিয়ে হাজির হন। দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হওয়া সত্বেও সেখান থেকে তারা জমিন পেয়ে যান। গত ৯ মে একটি জাতীয় দৈনিকে সেই খবরটি বিস্তারিত ছাপা হয়েছে।

দিনবদলের সরকার মতায় থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল কোথায় কি সুবিধা পেয়েছেন বা পাচ্ছেন তা নিয়ে আমার মাথাব্যথার কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আমি আজ এমন দু:সহ দিনবদলের শিকার হয়ে চলেছি, যা প্রতিমুহুর্তেই আমাকে বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ভয়ংকর সব বৈষম্যমূলক আচরণের ঘটনাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

এই লেখাটি যখন পত্রিকার পাতায় ছাপা হচ্ছে ঠিক তখনও হয়তো আমি ত্রস্ত গতিতে রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর অথবা অন্য কোনো দূরপথে ছুটে চলেছি। নাওয়া-খাওয়া, ঘুম-বিশ্রাম ভুলে আমাকে এভাবেই ছুটতে হচ্ছে প্রতিদিন। সত্যিই দিন বদলে গেছে আমার জীবনে। দূরন্ত শৈশব, উচ্ছল কৈশর কিংবা টগবগে যৌবনের দিনগুলোতেও এভাবে কখনো ছুটে চলার প্রয়োজন হয়নি আমার। কিন্তু আজ না ছুটে যে আর উপায় নেই। আমাদের একমাএ কিশোরী মেয়েটির গত ১১ মে “০” লেবেল পরিা অনুষ্টিত হয়েছে। অথচ সকালে নাস্তা না করে, অশ্র“ সজল নয়নে চোখ মুছতে মুছতে বাবা মা ছাড়া আমার ঘনিষ্ট বান্ধবী কে নিয়ে পরিা দিতে যায়। সারাণ বিষন্ন-মনমরা হয়ে বসে থাকে প্রাণহীন বাসাটিতে। পড়াশোনা তার লাটে উঠেছে, বাবার চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমুতেও পারে না।



আমি মিলনের কথা বলছি। আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক শিা প্রতিমন্ত্রী। একজন নির্ভেজাল দেশপ্রেমিক রাজনীতিক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। কিন্তু এর বাইরে তিনি আমার স্বামী। আমাদের একমাত্র সন্তান তানজিদা নাহার হকের বাবা। গত প্রায় দু’মাস ধরে মিলন কারাগারে বন্দী। শুধু বন্দী বললে ভুল হবে, দেশের দূর দূরান্তের এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে তাকে টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছে প্রতি নিয়ত। আর সেই কারণে আমাকেও ছুটে চলতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কি অপরাধ মিলনের ? অনেক কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত মার্কিন নাগরিকত্ব বিসর্জন দিয়ে মাটির টানে দেশে ফিরে আসা ? নাকি জীবন বাজি রেখে নকলমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়া ?

প্রিয় পাঠক, এতদিনে হয়তো আপনারা পত্রিকা মারফত জেনে গেছেন যে, আপনাদের প্রিয় মিলন ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজন ছিনতাইকারী হিসাবে। প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি নাকি এলাকার লোকজনের মোবাইল ফোন, ভ্যানেটি ব্যাগ, মোটারসাইকেল ইত্যাদি ছিনতাই করেছেন। অন্যের গাড়ি ভাংচুর, এমনকি ষাটোর্ধ এক মহিলাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরূদ্ধে।

অনেকেরই নিশ্চয়ই জানা আছে, আবার কেউ কেউ হয়তো জানেন না যে, আজকের রাজনীতিক এহছানুল হক মিলন এক সময়ের কৃতী অ্যাথলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ব্লু পদকপ্রাপ্ত এবং আন্তজাতিক ভলিবল টিমের খেলোয়াড় তিনি। ছাত্রজীবনে ক্যাম্পাসে দারুন জনপ্রিয়তা ছিল তার। প্রচলিত ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মিলন কখনোই সংঘাত, সহিংসতা বা অস্ত্রবাজির মতো নোংরামির সঙ্গে নিজেকে জড়িত করেননি। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে আরও উচ্চতর শিা গ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি জীবন ধারণের জন্য কঠোর পরিশ্রমও করেছেন নিরন্তর। তিলে তিলে নিজেকে তৈরী করেছেন দেশে ফিরে ভাল কিছু করার মহান ব্রত নিয়ে। মার্কিন শাসনব্যবস্থার কল্যাণমুখী ও টেকসই ব্যবস্থাগুলো স্বদেশের মানুষের কল্যাণে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও সব সময় আলোচনা করতো সে।

এমন ভাবনা থেকেই নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে নিজের বাপ-দাদার জন্মস্থান চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় গিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে আজকের মতাসীনরা। তাদের একজন টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, যার বাড়ি কচুয়ায়। প্রচন্ড প্রতিহিংসা পরায়ন সেই প্রতিমন্ত্রীর দোর্দন্ড প্রতাপে প্রকম্পিত হয় গোটা কচুয়া। তার বাহিনীর অত্যাচারে হাজার হাজার বিএনপি সমর্থক এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। বিএনপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির কারণে নাভিশ্বাস উঠে কচুয়াবাসীর। টানা পাঁচ বছর ধরে চলে এমন অরাজক পরিস্থিতি।

এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এহছানুল হক মিলন। দায়িত্ব পান জোট সরকারের শিা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে। আওয়ামী লীগ আমলের পাঁচ বছরে নির্যাতিত-নিষ্পেশিত বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা কচুয়ায় ফিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিশোধের স্পৃহায় ফুঁসে উঠে। পরিস্থিতি আাঁচ করতে পেরে মিলন দ্রত এলাকায় ছুটে যান এবং নিজ দলের সকল কর্মী-সমর্থককে সম্পূর্ণরূপে শান্ত থাকতে বলেন। প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধপরায়নতার রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে জনকল্যাণে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে কচুয়ায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের প্রায় সকলেই ধৈর্যের পথ বেছে নেন। প্রতিপরে ওপর হামলা বা প্রতিশোধ গ্রহণের পথ থেকে ফিরে আসেন তারা। হাতে গোনা কিছু লোক উশৃঙ্খল আচরণের চেষ্টা করলে মিলন তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ জন্য নিজ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। তবুও নিজের অবস্থান থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। অথচ সেই মিলনই আজ দিনবদলের সরকারের রাজনৈতিক জিঘাংসার অন্যতম শিকার।

২০০৩ সালের কথিত একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গত ১৪ মার্চ এহছানুল হক মিলন চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন রাতেই তাকে স্থানান্তর করা হয় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ২২ মার্চ তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় পিজি হাসপাতালে। সেখানে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে তাকে আবার প্রিজন সেল থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ এপ্রিল তাকে চাঁদপুর কোর্টে হাজির করা হয়। ওইদিনই আবার তাকে কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দশদিন পর ২৩ এপ্রিল তাকে কুমিল্লা কারাগার থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ২৫ এপ্রিল তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখানে ডাক্তার তাকে জরুরী ভিত্তিতে ভর্তির জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেও হাসপাতালের পরিচালক জনৈক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সাহেব জোরপূর্বক তাকে জেলখানায় ফেরত পাঠিয়ে দেন। এরপর ২৮ এপ্রিল মিলনকে আবার ঢাকা থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ এপ্রিল নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপুর। সেখানে কোর্টে হাজিরা শেষে আবার তাকে কুমিল্লা কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। ৬ মে কুমিল্লা থেকে মিলনকে আবার চাঁদপুর নেয়া হয়। সেখানে হাজিরা শেষে ফিরিয়ে নেয়া হয় কুমিল্লা কারাগারে। গত ৭ মে সকাল বেলায় কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই মিলনকে হঠাৎ কুমিল্লা থেকে রংপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কুমিল্লা থেকে তাকে রংপুর নেয়া হয় অত্যন্ত জরাজীর্ণ একটি গাড়িতে করে। মাত্র ৫ দিনের মাথায় ১১ মে সকাল বেলায় আবার তাকে রংপুর থেকে নিয়ে আসা হয় কুমিল্লা কারাগারে। কেন তাকে এভাবে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছে এর কোনো জবাব নেই কারা কর্তৃপরে কাছে।

এই মুহুর্তে মিলনের পরিবারের সদস্য বলতে আমি এবং আমাদের মেয়ে তানজিদা। গ্রেফতারের পর থেকে আমাদের সঙ্গে খুব কমই দেখা হয়েছে মিলনের। অনেক বার চেষ্টা করে হয়তো কয়েক মিনিটের জন্য একবার সাাত হয়। তাকে কখন কি কারণে কোথায় নেয়া হচ্ছে তাও জানতে দেয়া হয় না আমাদের। এমনকি এক কারাগার থেকে অন্য কারাগার নেয়ার েেত্র কখনোই কোনো অফিস আদেশ জারি করা হয় না। সে কারণে সারাণই উদভ্রান্তের মতো ছুটতে হয় আমাকে। বিশেষ করে আজকাল মিলনের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে নানা আশঙ্কায় থাকি আমরা। এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরের নামে কখন তাকে আরও কোন বড় বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হয়, তারই বা নিশ্চয়তা কি ? আর তাই কোনো সূত্রে খবর পাওয়া মাত্রই দু:স্বপ্নের সেই প্রিজন ভ্যানের পিছু পিছু ছুটে চলি আমি এবং তানজিদা। ব্যাপারটা আজকাল অনেকটা রুটিন হয়ে গেছে। হায় রে দিনবদল ! এমনই বদলেছে দিন যে, কোনো যুক্তগ্রাহ্য অভিযোগ ছাড়াই একজনকে হয়রানী করা হচ্ছে অমানবিকভাবে। অথচ দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের দন্ড মাথায় নিয়েও আরেকজন কাটাচ্ছেন গুলশানের অভিজাত হাসপাতালে, পাঁচতারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন স্যুটে।

নকলমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগের অংশ হিসাবে মিলন এক সময় দেশের প্রতিটি অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। এদেশের আপামর জনতা অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল তার সেই চেষ্টার প্রতি। ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের নেতারাও স্বীকার করেন সেই কথা। দিনবদলের মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও কোনো একদিন এক ব্যক্তিগত পরিবেশে নকল বিরোধী সংগ্রমের জন্য মিলনের উচ্ছসিত প্রশংসা করে তাকে দারুন উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। এদেশের সাংবাদিক সমাজ তো মিলনের সেই সংগ্রামের সাথে রীতিমতো এককার হয়ে গিয়েছিল। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নেয়ার পরও মিলন যখনই যেখানে গেছেন, মানুষের অকুন্ঠ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা পেয়েছেন। ৭ মে মধ্যরাতের পর মিলনের প্রিজন ভ্যান যখন রংপুর কারাগারের সামনে পৌঁছায়, সেই গভীর রাতেও কয়েক হাজার জনতা সেখানে কয়েক ঘন্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিল মিলনকে এক নজর দেখার জন্য।

গ্রেফতার হওয়ার পর মিলন এ পর্যন্ত ৬টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু প্রতি সপ্তাহেই তার বিরূদ্ধে এক বা একাধিক নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রতিটি মামলায়ই ৬ থেকে ৭ বছর আগের ঘটনার উল্লেখ করে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। অথচ কথিত এসব ঘটনার সময় মিলন কখনোই এলাকায় ছিলেন না। এমনকি কোনো কোনো ঘটনার সময় তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করেছেন। অথচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য দিনবদলের সরকার একের পর এক গোয়েবলসীয় সব অভিযোগে তাকে মামলার আসামী করছে। একটি পুরনো হত্যা মামলায় তাকে জড়ানোর জন্য পুলিশকে চাপ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার সঙ্গে আমাকেও আসামী করা হয়েছে।

কয়েক দিন ধরে শুনতে পাচ্ছে যে, মিলনের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে ছুটাছুটির কারণে আমার ওপরও বেজায় নাখোশ মতার মদমত্ততায় অন্ধ লোকেরা। তারা নাকি এবার আমাকেও জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী করার ফন্দি চুড়ান্ত করেছে। হয়তো যে কোনো মুহুর্তে আমিও হয়ে যাবো জেলখানার বাসিন্দা। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি আমিও। সেই আশির দশকের প্রথমার্ধেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের বাইরে যতদিন কাটিয়েছি, কখনোই রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে ছিলাম না। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে রাজনীতি আর জেল-জুলুম তো সমান্তরালেই চলে। সুতরাং জেলখানায় যাওয়ার প্রশ্নে আমি একেবারে অপ্রস্তুত নই। ভয় শুধু মেয়েটিকে নিয়ে। বাবা-মা দু’জনকে ছাড়া ওর চলবে কি করে ?



লেখক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১১/-২

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:১১

ফিরোজ-২ বলেছেন: কিছু বলার নাই সবই ক্ষমতা যখন যার ........

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

গিনিপিগ বলেছেন: কি আর বলবেন, এটা হলো দিন বদলের নমুনা।

২| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:২১

তাহির বলেছেন: খুব এ দুখখিত হলাম লেখা তা পড়ে.........ব্যাক্তিগতভাবে আমি বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনীতিবিদ দের ঘ্রিনা করি.........কিন্তু এই মিলন লোকটারে তার এই নকল দূর করার কাজ এর জন্য খুব ভাল লাগত.।....।...।।...। আমি দুখখিত তার এই পরিনতির জন্য।.।...।।...।।...।।...। :(

দেশে ফিরা আসার সিধধান্ত কি ভুল তাইলে?

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫

গিনিপিগ বলেছেন: না ভুল হয়নাই। তার কারণেই তো আজ দেশটা নকল মুক্ত। সে না এলে এটা হতো কিভাবে?

৩| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

কথা সত্য বলেছেন: ম.খা.র মিলনের উপর যে বহুত রাগ সেইটা বুঝা যায়, মিলনের জীবনের যে আশস্খা আছে এতে ভুল নাই..

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬

গিনিপিগ বলেছেন: আশঙ্কাতো আছেই।

৪| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই বলার নাই।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭

গিনিপিগ বলেছেন: কিছু করার সামর্থ যাদের আছে তারাই তো চুপ করে আছে।

৫| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪০

আকাশবার্তা বলেছেন: এহছানুল ভাই কি আর করবেন যখন যার হাতে ক্ষমতা , তো কারাগারে আপনার সহপাঠিদের নিয়ে শিক্ষার ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫০

গিনিপিগ বলেছেন: কিন্তু ক্ষমতা কারো চিরদিন থাকে না।

৬| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮

জানপরী বলেছেন: ম.খা. তার ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে মিলনকে আমি পছন্দ করি তার নকল বিরোধী অভিযানের কারণে।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

গিনিপিগ বলেছেন: আপনার মত অনেকেই তার নকল বিরোধী কাজের প্রশংসা করে। শুধু ক্ষমতাবানরা এর ব্যতিক্রম।

৭| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

বাঁশ বাবা বলেছেন: আমরা মুক্তি চাই..আর কত আন্যায় সহ্য করব?
কুত্তার বাচ্চাদের বাঁশ দিয়ে খাড়া করে রাখতে হবে..

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

গিনিপিগ বলেছেন: আপনার মনের ক্ষোভ লাগবে আশাকরি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

৮| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

দ্বীপ রয় বলেছেন: দুঃখজনক!! রাজনীতির কারনে রাজনৈতিক নেতাদের প্যাঁচাপ্যাঁচি নতুন নয়, সাবের হোসেন চৌধুরীর মত সাদাসিধা ভদ্রলোককেও ফেরি থেকে খাবার প্লেট চুরি করার অপবাদ দিয়ে মামলা করা হয়েছিল,এবং তাঁকে গ্রেফতার ও করা হয়েছিল,তিনিও মিথ্যা মামলায় অনেক দিন কারা যন্ত্রনা ভোগ করেছিলেন। আসলে যারা প্রকৃত দোষী তাদের কিছু হয় না, অন্যের পাপে সাজা ভোগ করে নীরিহ গো-বেচারা মানুষগুলো। যা কখনই কাম্য নয়, আমি ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী হলেও মিলন সাহেবের ব্যাক্তিত্বকে ভালবাসি। তাঁর এমন পরিনতি হতে পারে এটা আমার কল্পনাতেও ছিলনা। তাই, আমাদের মত সাধারন মানুষের শুধু মিলন সাহেবের জন্য দোয়া আর সুবিচার কামনা করা ছাড়া কিই বা করার আছে? তাঁর পরিবার পরিজন এই দুঃসময়ে ধৈর্য ধারন করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন,ঈশ্বরের কাছে সে প্রার্থনা রইল।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

গিনিপিগ বলেছেন: আপনার প্রার্থনা যাদের শুনা দরকার তারা শুনলেই দেশবাসী উপকৃত হবে।

৯| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০৩

জানপরী বলেছেন: ক্ষমতাবানরাইতো নকলের মহা উৎসব শুরু করেছিল, তাই তারা মিলন সাহেবের প্রশংসা করবে না এটাই স্বাভাবিক। নাহিদ সাহেবের মত লোককে কিভাবে নাজেহাল করছে একবার ভাবুন। অথচ একজন বাটপাড়কে(শিক্ষা উপদেষ্টা) কিভাবে ফ্রন্ট লাইনে নিয়ে আসছে।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

গিনিপিগ বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন। আর মিলন পরিবারের ভয়টা সে কারণেই। যারা নিজেরা নকলের মহোৎসব শুরু করেছিল তারা মিলনের অবধানের গুরুত্ব বুঝবে কি করে ?

১০| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬

শিরোনাম বলেছেন: বাংলাদেশে নকলের যে মহা উৎসব চলতেছিলো সেটা বন্ধ করছে এই মিলন।
একজন শিক্ষিত, ভদ্র রাজনীতিবিদ এই মিলন।

মখা আলমগীর এককালের ডাকসাইটের বড় সন্ত্রাসী। আজকে বেহায়ার মতো দুদককেও আদালতে দাঁড় করাতে চায়।

মিলনের মুক্তি চাই। সুস্থ রাজনীতি আমাদের সবার কাম্য।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬

গিনিপিগ বলেছেন: মিলনের মুক্তি চাই। সুস্থ রাজনীতি আমাদের সবার কাম্য।

আপনার এই দাবী সচেতন সকল নাগরিকেরই দাবী।

১১| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৪

মিজান আনোয়ার বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশে ১ কেজি স্কারাপ এর দাম আছে ১৮ টাকা।অথচ আমাদের মন্তি এবং এম পি এক পয়সা দাম ও নাই।এখন মিলন জেলে আছে।পরে আলমগীর যাবে জেলে ।ক্ষমতার দাপট
মিলন হ্মমতা আসলে আলমগীরের মত কাজ করবে।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩০

গিনিপিগ বলেছেন: তারপরও মিলনের অবধান অবশ্যই একটু হলেও আলাদা।

১২| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

জাতীয়তাবাদী শুভ বলেছেন: ...নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে সবকিছু...দেশের বাহিরে থেকে দেশের জন্যে স্বপ্ন দেখি প্রতিমূহূর্ত কিন্তু কেন দেখি?? এই পরিনতি যখন ভবিতব্য...

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৮

গিনিপিগ বলেছেন: তবুও তো মানুষ স্বপ্ন দেখে। দেশকে ভালবাসে।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: জাস্ট ব্যাক টু ২০০১-২০০৬।
খুনের মিছিলে মিছিলে....কিবরিয়া, আহসানুল্লাহ, মমতাজ, মনিরুল ইসলাম এবং আরো অনেকে।
আর কারান্তরীন ছিলেন, তোফায়েল, মখা আলমগীর, বাহাউদ্দীন নাসিম, মোহাম্মদ নাসিম, কামাল মজুমদার, ইকবাল, আখতারুজ্জামান, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন আরো অনেকে।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

গিনিপিগ বলেছেন: সবার বিশ্বাস নিশ্চই একরকম হতে পারে না।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৩৯

সামদ বলেছেন:
আরে জেলে না গেলে বড় নেতা হওন যায় নাকি? ম্যাডামের কাছে সামনের বার আরো বড় পোষ্ট চাইয়েন ।

তয় সাংবাদিকরাও জানি কেমন, সব কিছু ভরা মজলিশে ফাঁস কইরা দেয়-


গেলেন হুইল চেয়ারে, বের হলেন হেঁটে

চাঁদপুর, এপ্রিল ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চারদলীয় জোট সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে তিনটি মামলায় হাজির করতে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা কারাগার থেকে মাইক্রোবাসে চাঁদপুরে আনা হয়। তবে দেরি করে পৌঁছানোয় তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি।

বিএনপি নেতা মিলনকে নিয়ে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুর আদালত এলাকায় পৌঁছায়। তার উপস্থিতিতে মাইক্রোবাসটি ঘিরে ধরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা।

এভাবে কিছু সময় পার করার পর পুলিশ মিলনকে হুইল চেয়ারে করে আদালত এলাকায় অবস্থিত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে প্রায় ১০ মিনিট তিনি পুলিশি পাহারায় অবস্থান করেন। তখন ওই কক্ষে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপর মিলন ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে হুইল চেয়ারে না বসে হেঁটেই এগুতে থাকেন।
B-) ;)


মিলন আইনজীবী সমিতি থেকে বের হলে চাঁদপুরের পুলিশ কর্মকর্তারা তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

এরপর পুলিশ মিলনকে নিয়ে মাইক্রোবাসটির দিকে এগুতে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, গাড়িটি আদালত এলাকায় নেই। তখন চাঁদপুরের পুলিশ কুমিল্লা থেকে আসা পুলিশের সদস্যদের ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ হন। কুমিল্লার পুলিশ সদস্যরাও গাড়িটি খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে চালক গাড়িটি নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে জানান, গ্যাস ভরতে গিয়েছিলেন।

এসব ঘটনার সময় প্রায় পৌঁনে এক ঘণ্টা মিলন হুইল চেয়ারে বসেননি। দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। বেলা ১টার দিকে গাড়ি আসার পর নিজের চেষ্টায় গাড়িতে ওঠেন। তারপর গাড়ি কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়। B-)

কুমিল্লা থেকে আসা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুরে কোনো কিছু ঠিকভাবে চিনতে না পারার কারণে এমনটি হয়েছে।

এর আগে চাঁদপুর জজ কোর্ট এলাকায় মিলন সাংবাদিকদের বলেন, "মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। এরা আমার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছে। আমি অসুস্থ। জেলে রেখে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা পিজি হাসপাতালে ঠিকভাবে চিকিৎসা না দিয়ে আমাকে আবার কুমিল্লা জেলে পাঠানো হয়েছে।"

কচুয়া উপজেলায় ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের মামলাসহ তিনটি মামলায় হাজিরা দিতে এদিন কুমিল্লা থেকে মিলনকে চাঁদপুর আনা হয়।

চাঁদপুর কোর্টের উপপরিদর্শক (সিএসআই) মো. বখতিয়ার কামাল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, মিলন যে তিনটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন তার নতুন তারিখ পড়েছে। আগামী ১৬ ও ৩০ মে মামলা তিনটিতে পুনরায় মিলনকে হাজির হতে হবে।

তিনি আরো জানান, চাঁদপুরের বিচার বিভাগীয় হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মিলনের বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দেরি করে আসায় তাকে বিচারকের সামনে হাজির করা সম্ভব হয়নি। তবে মিলন পুলিশি হেফাজতে থাকায় এবং মামলার অন্যান্য আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় নতুন তারিখ পড়েছে।

১৭ ই মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫

গিনিপিগ বলেছেন: কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে?

১৫| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৮:০৯

সাপিয়েন্স বলেছেন: এই বদ মানুষটির প্রতি সহানুভূতি দেখে আমি বিস্মিত হচ্ছি।

ছাত্র জীবনে ক্লাস না করেই তিনি রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে পারসেন্টেজ ছাড়া পরীক্ষা দিয়েছেন এবং নকল করে পাশ করেছেন। নকলের সব কলাকৌশল তাঁর চাইতে আর কে ভালো জানে? সেই কেরামতিই পরে উপমন্ত্রী হয়ে দেখিয়েছেন। হেলিকপ্টারে স্টান্টবাজি করেছেন। বাংলাবাজারের বই প্রকাশকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতেন বলে তাঁর আমলেই খবরের কাগজে বেরিয়েছে।

বেগম জিয়া তাঁকে পছন্দ করতেন না, কিন্তু সম্ভবত নিউ ইয়র্কে ট্যাক্সি ড্রাইভার জীবনে তারেকের সাথে সখ্যের ফলেই এতটা উঠেছিলেন। এমন কি শিক্ষার পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী ডঃ ওসমান ফারুকও মন্ত্রণালয়ে তাঁর দাপটে অসহায় বোধ করতেন।

ছাত্র দলের বান্ধবীদের অনুরোধে শামসুন নাহার হলে পুলিশের অত্যাচারের নির্দেশ তাঁর ও বাবরের। বিচারপতি তফাজ্জল হোসেনের তদন্ত কমিটি রিপোর্টে তাঁদের নাম আছে, যা তারেকের নির্দেশে পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশ করা যায় নি।

তাঁর বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের পার্কিং স্পেসে এখনো কোটি টাকার ব্যক্তিগত গাড়ীটি ধূলা কুড়াচ্ছে। আয়ের উৎস হিসেবে বলেন নিউ ইয়র্কের ব্যবসার কথা! টাকা আনার ও আয়করের কাগজ কোথায় ?

১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৯

গিনিপিগ বলেছেন: সত্যিই আপনার এবং আপনার সরকারের জন্য দু:খ হচ্ছে। আপনার কাছে এত দুর্নীতি আর অপরাধের প্রমাণ থাকতে মিলনকে গ্রেফতার করতে হলো ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের মামলায় আর মোবাইল চুরির মামলায়। তার উপর মিলন নাকি ৬০ বছরের বিধবাকে ধর্ষণ করতে চাইছিল!!

১৬| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ১০:০২

সাফির বলেছেন: জানপরী বলেছেন : ম.খা. তার ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে মিলনকে আমি পছন্দ করি তার নকল বিরোধী অভিযানের কারণে




স হ ম ত

১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:১৪

গিনিপিগ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:১২

সাপিয়েন্স বলেছেন:
আমার পছন্দের কোন সরকার এখনো বাংলাদেশে দায়িত্বে আসে নি (জনতা ক্ষমতা দেয় না, দায়িত্ব দেয়)। মখাআ বা হেলালও মোটেই ভালো লোক নন, কিন্তু এহছান মিলনকে শ্রেয় বলার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। মখাআর কারণেই দুদকের আজ মরণাপন্ন অবস্থা। দুদক এবং বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে এই তিন জনকেই (এবং আরো অসংখ্য রাজনীতি ব্যবসায়ীকে) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার মত প্রমাণ আছে।

১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

গিনিপিগ বলেছেন: কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি সত্যযুগের সরকারের কথা বলছেন। কিন্তু আগামী ১০০ বছরে সে সরকার কি আপনি আশা করতে পারেন? আমাদের রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের মধ্যে যদি তুলনা করেন তাহলে আপনাকে মিলনের অবদানকে স্বীকার করতেই হবে।

১৮| ০২ রা জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৬

ফেরিওলা বলেছেন: বাকশাল তো বাকশাল!


এরা নিক পাল্টাইছে, আচরন পাল্টায় নাই!

০২ রা জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৩

গিনিপিগ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৯| ১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৫

মুঘল সম্রাট বলেছেন: গণতন্ত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.