নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।
"If Liberty means anything at all, It means the right to tell people what they do not want to hear" - George Orwel
আমাদের একটা বড় খ্যাতি হচ্ছে আমরা নিজেদের আদর্শের বাইরে কিছু শুনতে পারি না। কানে যখন প্রবেশ করে না, অন্তরে কিভাবেই প্রকাশ করবে ? দশমতের দশ জিনিস বুঝে ভালমন্দের পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য যেমন ১০টা ভাল জিনিসের প্রচারকে সুযোগ দিতে হয়, ১০টা মন্দ জিনিসের প্রচারেরও সুযোগ দিতে হয়। হতে পারে আমরা যেটাকে মন্দ মনে করছি কেউ কেউ সেটাকে চরম সত্য মনে করছে। এখন সেই ভুল ততক্ষণ না ভাঙ্গবে যতক্ষণটা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আমাদের দেশের সরকার, সেটা যেই আমলের সরকারই হোক; আইন করে হোক আইন না করে হোক, বিরোধী হটানোর পন্থা হিসেবে সবার আগেই ছিল মতপ্রকাশের অধিকার নষ্ট করা। জনগণ রাজনীতি নিয়ে এত বেশি চিন্তা করে না, তাই এইসব আইন নিয়ে মানুষের চিন্তা খুবই কম। তাদের কথা হচ্ছে "দরকার কি আজাইরা ঝামেলায় যেয়ে " । যখন এই সব মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন এই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাষানো খুবই স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে হয়তো তেমন কোন লোকসান হয় না , তবে সামগ্রিকভাবে আমরা বাকস্বাধীনতা হারিয়ে ফেলি। গণতন্ত্র তখন সংবিধানে লেখা একটা অর্থহীন শব্দ আর কিছুর থাকে না।
গুনশালের ঘটনার পর,দেখলাম নিয়ম জারি করা হল যে, যারা জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত বিষয় শেয়ার করবে তাদের উপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি দেখলাম এটা নিয়ে কোন মানুষে কোন চিন্তাই নাই। যেন তারা এটার ক্ষতিকারক প্রভাব তাদের চোখে পড়ছে না।
ধরুন একটা মানুষ বিশ্বাস করে "পৃথিবীর আকার বক্সের মত দেখতে" আপনি তার ভুল তখনই ভাঙ্গতে পারবেন যখন সে এটাকে প্রকাশ্যে বলবে। হতে পারে আপনি যে যুক্তিটা দিচ্ছেন সেই যুক্তিটার পাল্টা উত্তর তার কাছে আছে, কিন্তু আপনার বলার অধিকার যেমন আছে, তার সেরকম নেই। ফলে তার ভুল বিশ্বাসের গভীরে যাওয়ার ও সেটা ভাঙ্গালোর ক্ষমতাও আপনার থাকবে না । বলার অধিকারই যদি খর্ব করা হয়, তাহলে তার মনে এটাই চলে আসবে যে "সত্যকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে" "চুপ থাকার 'বুদ্ধিমান' এর কাজ"। আর এটার মাধ্যমে মনের ভ্রম মনের ভিতর এক অভেদ্য দুর্গ বানিয়ে রাখবে। গোঁড়ামি, অন্ধবিশ্বাস ও মিথ্যা তাদের মনে জয়যুক্ত হবে।
বিগত কয়েকদিন ধরে ডঃ জাকির নায়েক ও পিচ টিভির উপর দেখলাম ভারত সরকার ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে। বিষয় ধীরে ধীরে আরও খারাপ হচ্ছে। এই সময় মুসলিম বিশ্বের প্রয়োজন ধর্ম সম্পর্কে তাত্ত্বিক জ্ঞান আরও ভাল করে জানার । তার ইউটিউব চ্যানেলে দেখলাম তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, যে আয়াতের কথা উনি বলেছেন সেটা অধিকাংশ সচেতন মুসলিমদের কাছে জানা আছে। আইএস এর সদস্য যারা তারা কেউই এটা জানে না এমন হওয়াও অবিশ্বাস্য। আত্মঘাতী হামলা ও তাদের হত্যার আদর্শের মধ্যে অবশই কোন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। ডঃ জাকির নায়েক ও অন্য বড় বড় স্কলারদের উচিত যা যা আইএস করছে তার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করে, ইসলামের সঠিক জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।
আর পিচ টিভি বন্ধ করারও আমি ঘোর বিরোধী। পিচ টিভি হোক, হিন্দু টিভি হোক, খিস্টান টিভি হোক, নাস্তিক টিভি হোক বা এমনকি আইএস টিভি হোক; প্রচার বন্ধ করা এমন কোন দেশের করা উচিত না যারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বরং এটা করার মাধ্যমে যে যে তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাগুলোর কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে তার প্রত্যেকটির জানা ও তার পাল্টা ব্যাখ্যা দিতে পারার ক্ষমতা আমরা হারাচ্ছি। সশস্রভাবে জঙ্গিবাদ উত্থান করা সহজ, আদর্শের মৃত্যুই কঠিন। দশজনের দশমত জেনে, যুক্তির যুদ্ধ করেই মনের ব্যাধিকে আমরা চিরতরে মুছে দিতে পারবো।
১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
জিএমফাহিম বলেছেন: নিরপেক্ষভাবে লেখার চেষ্টা করেছি ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৯
কিংকর্তব্যবিমূঢ়-২০৯৩ বলেছেন: লেখার তেজটা ঠিকাছে। কিন্তু পিস টিভি নিয়ে আপনার অপরিপক্ক মতামতে আঘাত পেলাম। কেউ ভাল চষ্টা করলে তাকে প্রেরনা দেওয়া উচিত।