নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন পক্ষে না গিয়ে কিভাবে সমাধানে আসা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করাটা তো অস্বাভাবিক, বিপদজনক, শাস্তিযোগ্য

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২৮




নিউজফিডে সিরিয়া, প্যালেস্টাইনের মানুষদের দুর্ভোগ দেখে অনেক কষ্ট লাগে। যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মানবতাবোধ আছে, তাদের একটু হলেও চোখে পানি এসেছে তাদের অবস্থা দেখে। কিন্তু নিউজফিডে কষ্ট যেমন লেগেছে, অনেকে যারা শেয়ার করেছে তাদের ক্যাপশন দেখে আরও বিরক্ত লেগেছে। মানুষের পক্ষপাতগ্রস্থ মানবতাবোধ আসলেই বিরক্তিকর। বাঙালির হিপোক্রেসির আসলেই অতুলনীয়

সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে একটা অংশ অমুসলিমও আছে। তাঁরাও পদে পদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারি জমিয়েছে ইউরোপে। কিন্তু আবেগি বাঙালি সেই বড় বড় ঢেউয়ের উপর চলা নৌযানে ধর্মের পতাকাই দেখছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যখন এদের গ্রহণ করলো না তখন কারো স্ট্যাটাসে ক্ষোভ দেখলাম না। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করে তার দেয়ালনীতির জন্য। আর ওইদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যে স্বজাতি ট্রাম্পে ভরা সেটা কারো চোখে পরে না। ইউরোপের মানুষ যখন এসব মানুষদের গ্রহণ করলো তখনও সবাই চুপ, মনে মনে ভাবছে নিশ্চয়ই কোন গভীর উদ্দেশ্য আছে। কিন্তু আইএস কে বানিয়েছে, বাগদাদি আসলে কে সেই কন্সপিরেসি থিউরিগুলো গুদাম ভরে ভরে শেয়ার হয়। এই শরণার্থীদের যে খাদ্য যোগান করা, থাকার ক্যাম্প, প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর আসে বিশ্ববাসির ডোনেশন থেকে। সর্বনিম্ন ৫ ডলারও তো দেয়া যায়, নেটে হায় হায় না করে। লিস্টে ইন্দোনেশিয়ান,মার্কিন, ব্রাজিলিয়ান, জাপানিস দেখলাম; বাঙালি আর একটাও পেলাম না।


আমরা বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলি। ক্লাসে একদিন স্যার বলেছিল অনলাইনে নিজেদের মত প্রকাশ নিয়ে; সবাই ভিত। কারণ দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। একটু উলটাপাল্টা কিছু বললেই সমস্যা। আর সেই আমরাই এমন দেশগুলোর নীতিকে সাপোর্ট করছি যেখানে এই শব্দটাও মনে হয় অভিধানে নেই। আমেরিকার উপর মানুষ ক্ষ্যাপা বলে রাশিয়া সাপোর্ট করে, এই রাশিয়াতে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে শুধুমাত্র ভিন্নমতের জন্য।



আমেরিকা বলি রাশিয়া বলি সবাই নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য যেকোন পন্থায় যেতে পারে। প্রয়োজনে মানবঅধিকারকে জুতো দিয়ে পিষে দিতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ নেতারা যে নীতি অনুসরণ করে তাঁরাও যদি ওয়ার্ল্ড ডমিনেশনে থাকতো এটার বিপরীত হত না। কিন্তু "জাত ভাই খুনি তবে সাত খুন মাফ"। এরা যে সময়ে সময়ে ক্ষমতার নামে চাটুকায় হয়েছে, ধর্মকে অপব্যবহার করে গদিতে বসেছে, সময়ে সময়ে নিপীড়ন চালিয়েছে নিজের মানুষের উপর এইসব জিনিস ইতিহাস, রাজনীতি জেনে পরখ করার মত সময় আমাদের হাতে নেই।


আমাদের বিচারবুদ্ধি এতই সীমিত যে আমরা পক্ষ নেয়ার সময় A or B তে আটকে থাকি। B আমার জানের জান, তাই A কে নফরত করি। কোন পক্ষে না গিয়ে কিভাবে সমাধানে আসা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করাটা তো অস্বাভাবিক, বিপদজনক, শাস্তিযোগ্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

মাহিরাহি বলেছেন:
Data as of Feb 2016, unless otherwise noted; includes estimated cross-border arrivals, UNHCR registered refugees, asylum applicants, worker visa overstays and resettled refugees. Does not include foreign citizens leaving Syria.
Turkey 2,733,850 (registered, July 2016)[2] 2,748,367 (the highest number, registered, 3 March 2016)
Lebanon 1,500,000 (estimated arrivals Dec 2015)
1,048,275 (registered)[3]
Jordan 1,265,000 (census results Nov 2015)[4]
657,422 (registered July 2016)[5]
Germany 600,000 (registered by April 2016)[6]
Greece 496,119 (arrivals to May 2016)[7]
54,574 (estimated in country May 2016)[7]
5,615 (applicants to Dec 2015)[8]
Saudi Arabia 420,000 (estimated overstays 2015)[9]
Macedonia 400,000 (estimated arrivals)[7]
2,150 (applicants to Dec 2015)[8]
Serbia(incl. Kosovo) 313,314 (applicants to Dec 2015)[8]
Iraq (incl. Iraqi Kurdistan) 239,000 (estimated in Iraqi Kurdistan)
6,000 (estimated rest of Iraq March 2015)
249,395 (registered)[10]
United Arab Emirates 242,000 (estimated overstays, government source, 2015) [11][12]
Kuwait 155,000+[9][13] (estimated overstays to June 2015)
Egypt 117,702 (registered March 2016)119,665 (high registered March 2016)[14]
Sweden 110,333 (applicants to Dec 2015) [8]
Hungary

72,505 (applicants to Dec 2015) [8]
Croatia 55,000 (estimated September 2015)[15]
386 (applicants to Dec 2015) [8]
Canada 51,706 (applicants to July 2016)
34,183 (approved July 2016)
31,707 (resettled July 2016)[16][17]
Algeria 43,000 (estimated Nov 2015)
5,721 (registered Nov 2015) [18]
Qatar 40,000 (estimated overstays 2015)[9]
42 (registered 2015)[9]
Austria 39,131 (applicants to July 2016)[8]
Netherlands 31,963 (applicants to July 2016) [8]
Libya 26,672 (registered December 2015)[1]
Denmark 19,433 (applicants to Dec 2015)[8]
Bulgaria 17,527 (applicants to Dec 2015)[8]
Armenia 17,000 (estimated July 2015)[19]
Belgium 15,951 (applicants to July 2016) [8]
Norway 13,993 (applicants to Dec 2015)[8]
Singapore 13,856 (applicants to Dec 2015)[8]
Switzerland 12,931 (applicants to July 2016)[8]
France 11,694 (applicants to July 2016)[8]
Brazil 9,000 (approved ) [20]
2,097 (Nov 2015)[21]See: Syrians in Brazil
United Kingdom 9,467 (applicants to July 2016)[8]
5,102 (resettled 2015) [22]
Spain 8,365 (applicants to Dec 2015)[8]
United States 7,123 (resettled to July 2016) [23]
Russia 5,000 (estimated 2015)[24]
Malaysia 5,000 (estimated August 2015)[citation needed]
Australia 4,500 (2015)See: Syrians in Australia
Tunisia 4,000 (September 2015)[25]
Cyprus 3,527 (applicants to Dec 2015)[8]
Bahrain 3,500 (estimated June 2015)[9]
Montenegro 2,975 (applicants to Dec 2015)[8]
Italy 2,538 (applicants to Dec 2015)[8]
Romania 2,525 (applicants to Dec 2015)[8]
Malta 1,222 (applicants to Dec 2015) [8]
Somalia 1,312 (January 2016)
Finland 1,127 (December 2015)[8]
Gaza Strip 1,000 (December 2013)[26]
Language: Arabic, Kurdish, Armenian, Aramaic
Religion: Sunni Islam, Christianity, Shia Islam, Yazidism, Druze

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

মাহিরাহি বলেছেন: Turkey is the largest host country with over 2.7 million Syrian refugees.

তুরস্ক সবচাইতে বেশি শরনার্থী নিয়েছে।

https://en.wikipedia.org/wiki/Refugees_of_the_Syrian_Civil_War

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

জিএমফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ। ইনফরমেশনমেশনগুলো জানা আছে। তবে আপনি মনে হয় কথার মুল অর্থ বুঝতে পারেননি। প্রথমত আমি এখানে এটা বুঝাতে চেয়েছি যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শরণার্থী নিচ্ছিল না তখন কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না অধিকাংস বাঙ্গালির কাছ থেকে। ইউরোপকে নিয়েও কোন কথা নাই। এটা খুবই পক্ষপাতগ্রস্থ ব্যাপার ছিল।

তুরস্ক সাময়িক আস্রয় দিচ্ছে, আর শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিতদেরকে নাগরিকত্ব দিতে রাজি। সৌদি আরব তাদের নিতে রাজি হয়েছিল যাদের পরিবারের কেউ সৌদিতে ইতমধ্যে অবস্থান করছে। লেবাননে রেসিডেন্সি পারমিট সময় বৃদ্ধি করারকে সরকার এতই কঠোর করেছে যে শরণার্থীরা বাধ্য হচ্ছে সেখান থেকে চলে যেতে। এই সবই হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। আর মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংস দেশই কূটনীতিক চাপের কারনে শরণার্থী গ্রহন করছে। বিগত কয়েক বছর চুপ থাকার উপর, গত বছরের দিকে তারা একটু সিথিল হয়েছে। আর ইউরোপে রক্ষনশীল পার্টিগুলো আর সেই মতাদর্শের মানুসের হাতেও সিরিয়ান শরণার্থীরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছে, সেটা নিয়ে আরেকটা মেগাপোস্ট দেয়া সম্ভব। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের অধিকাংস দেশ এদের সুবিধা নিসচিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

তবে আমরা আশা রাখি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আরও শিথিল হবে। সবাই মিলে আরও দ্রুত সমাধান করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.