নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের হাই কমিশন, হয়রানির সমার্থক শব্দ। আর কতদিন ?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭



কার কাছে অভিযোগ করবো ? (আইনগত পরামর্শ থাকলে সবচেয়ে ভাল)

ভারত হয়ে ভুটান যাওয়ার জন্য ভারতীয় ট্রানজিট ভিসার জন্য দুইবন্ধু আবেদন করি গতমাসের ৩০ তারিখ (আমি করি ৩১ তারিখ)। আমি সময়মত ভিসা পেয়ে যাই ৬ তারিখ। আজকে আমাদের বুরিমারির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বনধুর পাসপোর্ট এখনো তাকে ফিরত দেয়নি। ওরা ভিসা আবেদনের জন্য আগে বুড়িমারির টিকেট চায়। টিকেটও পাসপোর্ট এর সাথে যুক্ত করে রাখে। ফলে ভিসা পাওয়ার আগেই বাধ্য হয়ে প্রায় ১৮০০ টাকার যাওয়া আসার টিকেট কাটতে হয়েছিল। গত ৪ দিন ধরে প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছে ওদের গুলশান হাই কমিশন অফিসে। গতকাল তো রাত ৮টা পর্যন্ত বসে ছিলাম আশায়। ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট ফিরত দিলে না হয় অন্য ব্যবস্থা করার সুযোগ ছিল। আর আবেদন করে যে ৬০০ টাকা নষ্ট হল সেটারও কোন জবাবদিহিতা নেই। আমরা তাদের দেশের নিরাপত্তার সম্মান প্রদর্শন করে যা যা নথিপত্র চেয়েছিল সবগুলো যথাযথভাবে দেখাচ্ছি। আর তারা প্রতিশ্রুতিই ভিসা হোক বা না হোক একটা নির্দিষ্ট দিনে তারা পাসপোর্ট ফিরত দিবে। তারপরও এমন হায়রানির শিকার হচ্ছি।।

ব্যাপারটা শুধু আমার আর আমার বনধুর ২৪০০ টাকা গচ্চা যাওয়ার ব্যাপার যদি হল, ব্যাক্তিগত যদি হত; তাহলেও আমি পোস্টটা করতাম না। কিন্তু খেয়াল করলাম মেডিক্যাল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসার মানুষরাও একই রকম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। একজন দেখলাম তার পরীক্ষা ঈদের পরপরই, কিন্তু ভিসা পাচ্ছে না। ঘুরাচ্ছি খালি ওরা। অনেকের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে খুবই গুরুত্বরভাবে অসুস্থ থাকার পরও কোন আশার আলো দেখছে না।



ভিসা জমা দেয়ার দিন ১৫জন সিরিয়ালেরটা জমা নিতে (ট্রানজিট/ স্টুডেন্ট/ মেডিক্যাল সিরিয়াল) তাদের একজনের প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। জমা নিচ্ছিল শুধু একজনই। ১০ মিনিট পরপর উঠে জাচ্ছিল উনি। তারপর কলিগদের সাথে আড্ডা, আধা ঘণ্টা পর ফিরে আসা;; কত কিছু দেখলাম। বক্সে রাখা অভিযোগপত্রে অভিযোগ রেখেছিলম। বক্সে দেখলাম অনেকগুলো ইতমধ্যে আছে, জানি না কতমাস ধরে পরে আছে এগুলো। ম্যানেজারকে সরাসরি অভিযোগ কোর্টে গিয়েছিলাম , দেখি ম্যানেজারও অনুপুস্থিত। এই হচ্ছে অবস্থা।
ব্যাপারটা শুধু বাংলাদেশিদের স্বার্থের ব্যাপার হলেও একটা কথা ছিল। তাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা যাচ্ছে, তাদেরকে আমরা লাভবান করছি। তারপরও এমন কেন?

কিভাবে তাদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডকে ঠিক করা যায় ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.