নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।
বন্ধুদের জীবন গড়ার প্রস্তুতি দেখে ভালই লাগছে। কেউ বিজনেসের জন্য, কেউ এমএনসি- প্রাইভেট কোম্পানির জন্য, কেউ সরকারি ব্যাংক কেউ বা বিসিএসের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। ২০২১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হউক বা না হউক আমার অধিকাংশ বন্ধুরা তাদের মন-মত জায়গায় থাকবে এই আশা করি। (স্পয়লারঃ সবাই থাকবে না)। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ আশা করলেও তাদের মনমত ভবিষ্যৎ যাতে অন্যের ভবিষ্যতকে রসাতলে না নিয়ে যায় সেটা আরও বেশি আশা করি, আর লেখাটা সে জন্যই
আমি মোটেও জাতীয়তাবাদকে পছন্দ করি না। তবে যে দেশে আমার জন্ম হয়েছে, নাগরিক সুবিধাগুলো আমি পেয়েছি; সে দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা নিজের সামর্থ্যমত উন্নয়নে অংশীদার হওয়া আমি আমার দায়িত্ব মনে করি। ১৯৭১ সালে যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন এক প্রকারের মানুষ তাদের বিদ্বেষে এতই মগ্ন ছিল যে অবর্ণনীয় নিপীড়নগুলো তারা "প্রয়োজনের তাগিদে" বলে মনেমনে যথার্থ ধরে নিয়েছিল, শুধু তাই না সাথে সাথে সে দৌরাত্ম্যে সহযোগিতাও করেছে। আমরা তাদের "রাজাকার" বলি। সে সময় অন্ধবিশ্বাস, স্বার্থপরতা আর লোভ ছিল তাদের প্রেষণা। স্বার্থপরের সংখ্যা কম ছিল তাই হয়তো জিততে পেরেছিলাম।
স্বাধীনতা পেলাম। যুদ্ধ শেষ ? না।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে এক নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল । স্বাধীনতা রক্ষা করার যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে কোন পরাশক্তি এসে আমাদের নিপীড়ন করে না। এ যুদ্ধে আমরা নিজেরা অদূরদর্শিতা ও স্বার্থপরতা দিয়ে নিজেদের নিপীড়ন করছি। আর এই যুদ্ধেও আছে অন্ধবিশ্বাস, স্বার্থপরতা আর লোভ। এই যুদ্ধের রাজাকার হচ্ছে দুর্নীতিবাজরা। দুর্ভাগ্যবশত, এই যুদ্ধে আমরা এখনো পরাজিত, কারন এই যুগে রাজাকারের সংখ্যাটা মারাত্মকরকম বেশি। আর সবচেয়ে অবাক হওয়া ব্যাপার হচ্ছে রাজাকার হওয়া এখন এতই স্বাভাবিক যে রাজাকার না হওয়া হাস্যকর ঠেকায়। যেন দুর্নীতি করা, ফাকি দেয়া, অন্যের কথা চিন্তা না করা এগুলো Grownup Maturedদের কাজ।
অনেক বন্ধু এমন পেশায় যাবে যেখানে প্রতিনিয়ত রাজাকার হওয়া সুযোগ থাকবে আর অনেকে হবেও। ব্যাপারটা পার্সোনাল না তাই আগেই জানিয়ে রাখি (আমি করে থাকলে আমার ক্ষেত্রেও আরও কঠোর হওয়ার অনুরোধ রইল) ,
" যেসব বন্ধুদের মাঝে এমন প্রবনতা আছে, চিন্তাধারার পরিবর্তন করার ইচ্ছা নাই, আর ভবিষ্যতে খুবই আনন্দের সাথে করবে তারা এখনই আমার ফ্রেন্ডশিপ নামের সম্পর্ক থেকে সরে যান। আর ভবিষ্যতে কর্মজীবনে যদি কেউ এমন কাজ করেছে প্রমান পাই আর বলার পরও নিজেদের পরিবর্তন করার কোন ইচ্ছা তাদের না থাকে তাহলে তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকবে না। রক্তের সম্পর্ক হোক বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হোক। "
"সবাই তো করছে আমি করলে কি সমস্যা" "কেউ টেবিলের নিচে টাকা রেখে দিলে আমি কি করবো" "ঘুষ দিয়ে যদি চাকরি নেই সেই টাকা তো উঠিয়ে আনা লাগবে" এ ধরনের কথা নিজের কাছে রাখাই শ্রেয়। আমাদের বয়সের মানুষ ন্যায়ের স্বার্থে একসময় কপালে বুলেট লাগাকেও ভয় পাইনি। সেই তুলনায় নিজের স্বার্থপর অজুহাত কোথায় ঠেকে ? কেউ এখন বুলেট খেতে বলছে না। তবে যদি কেউ বলতোও সেটাও কি কম হত? ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১২
অবনি মণি বলেছেন: ভালোই লেগেছে।