নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।
"Violation of Nature"
আধুনিক বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার সাথে সাথে রক্ষনশীল চিন্তাধারায় এই শব্দের প্রয়োগ অনেক দেখা যায়। যেন প্রকৃতি সত্য, যথার্থতা আর মঙ্গলের ধারক। মানবসৃষ্ট বা কৃত্তিম জিনিস মিথ্যা,সন্দেহ আর বিনাশের ধারক
প্লাবন, বার্ধক্য, শারীরিক ক্রুটি এইসবও প্রাকৃতিক ; কিন্তু অগনিত মৃত্যু, পীড়া ও দুর্দশার কারন। অন্যদিকে, কৃত্তিম মেডিসিন, চিকিৎসাবিদ্যা বাচায় অসংখ্য জীবন।
গোঁড়ামিভরা মধ্যযুগে মানবদেহের সম্মান দেখাতে গিয়ে মানবদেহ জানতে অন্যপ্রাণীর দেহব্যবচ্ছেদ ব্যবহার করা হত। আন্দ্রে ভেসালিআস চার্চের তোয়াক্কা না করে মৃতমানব দেহ কেটে বিশ্লেষণ করে সূচনা করেন মানব শারীরসংস্থানবিদ্যার। ইসলামের স্বর্ণযুগের উদারনীতি, সহিষ্ণুতা জন্ম দিয়েছিল ইবনে আল-হাইসাম, আল খোয়ারিজমির মত কালজয়ী বিজ্ঞানিদের। গনিতকে শয়তানের ভাষা বলে, বন্ধ করে দেয়া হয় নতুন খোয়ারিজমি আসার পথও। হাজার বছর পরও সেই দেয়ালে মরিচা পড়েনি।
কোটি কোটি টাকার "প্রাকৃতিক" ব্যবসা বসে গিয়েছে পথে পথে; রোজ বিক্রিও হচ্ছে । "প্রাকৃতিক" ঔষধ, অমুক গাছের নির্যাস থেকে বানানো। বোকার রাজ্যে প্লাসেবো প্রভাবে ব্যবসাও চুটিতে চলছে। প্রাকৃতিক ব্যাপারেও আমরা হিপোক্রেট। গরু সংকরজাতকরন করলে সমস্যা নাই, মাংস খেয়ে ঢেঁকুর ভাল আসলেই হবে। কিন্তু মানুষের জিনোমে পরীক্ষা করার গুজব আসলেই প্ল্যাকার্ড হাতে নেমে পড়বে। সমকামিদের শরীরে হরমোন প্রয়োগ করলে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু মুমূর্ষু নারীর গর্ভপাত করতে গেলেই যত সমস্যা।
প্রকৃতি আছে সবকিছুতেই। কৃত্তিমও প্রকৃতিরই অংশ। পদার্থবিজ্ঞানের নতুন ধর্ম বানিয়ে এগুলো তৈরি করা হয়নি। সমাধান প্রকৃতিতেই ছিল, আমরা শুধু সেটা উপলব্দি করে রুপায়ন করেছি। ট্যাগ না লাগিয়ে প্রকৃতির এই রুপায়নে কোনটা মঙ্গল আনবে সেদিকে তাকানো কি খুব কঠিন?
©somewhere in net ltd.