নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা চাপাতি , একটা বদরুল ও একজন খাঁদিজার গল্প

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

-----------------------------------------------------------------
কয়েকদিন যাবত বদরুলের মনে খুব অশান্তি চলছে।রাতে যখন গভীর ঘুম শুরু হয় তখনই আজব এক স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। ছোটবেলা ,একবার ভাংগারীর দোকন থেকে লম্বা একটা লোহার টুকরা চুরি করেছিল, সারাদিন সেই লোহা নিয়ে ঘুরতো, সেই লোহা দিয়ে অনেক গুলি কুত্তা মারছিল রাতের বেলায়, মারা খুব সহজ ছিল, ঠিক মত মাথার মাঝ বরাবর একটা বারি মারতে পারলেই সবশেষ , আহা , মাথা ফাটার একটা আওয়াজ হইত আর কুত্তার মরন আওয়াজ, এই দুয়ে মিললা যে মধুর শব্দ হইতো তা শুনলে মনটা বইরা যাইতো ।
একটা বিলাই মারার খুব সখ ছিল । বিলাই হইলো দুনিয়ার চালাক , বদরুলরে দেখলেই পলায় ।সেই লোহাটারে স্ব্প্ন দেখে।স্বপ্নে কয়েকদিনে লোহাটা বদলে গিয়ে চাপাতির মত হইয়া গেছে। কি এক আজব অস্হিরতা চলছে, ঘুমের মধ্যে শুধু চাপাতি ডাকে , বলে আয়, আয়… , কি অসম্ভব রকম সুন্দর চাপাতি , একটু হাত বুলাইয়া দেখতে মনে চায়। হাতলটা কি অদ্ভুত রকমের খাঁজকাটা, সারদিন চাপাতিটা কোলে নিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করে। কাউকে বলতে ও পারছে না। যদি কেউ ভাবে, পাগল হইয়া গেছে , তা হলে বিশাল সমস্যা। স্কুলের চাকুরিটা চলে যাবে। তা হলে না খেয়ে থাকতে হবে। বহু কাটখর পোড়াইয়া একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি যোগাড় হইছে। বড় ভাইটা দর্জির কাম কইরা খুব কষ্টে লেখাপড়া শিখাইছে।বেকুব মানুষ, ছোট ভাইটারে মানুষ করতে গিয়ে নিজে বিয়ে পর্যন্ত করলো না।
লেখাপড়া করছে কিনা সন্দেহ আছে নিজেরই , তবে ডিগ্রীটা যে কোন ভাবে যোগাড় হইছে , মাথায় তার ভালো বুদ্ধি আল্লায় দিছে , এই জন্য সরকারী দলের ছাত্র সংঘঠনের একটা পদ ভাগায় লইছে। কিছু হইলে তো তারা পাশে দাড়াবে।
একদিন স্কুল শেষ করে বাসায় ফিরছে ,হঠাৎ মনে হইলো কেউ যেন ডাক দিছে, তাকিয়ে দেখে দা বটির দোকানের সামনে দাড়িয়ে আছে। একটা চাপাতির থেকে কি রকম আশ্চর্য রকম লাল আলো দেখা যা্চছে, হবহু স্বপ্নে দেখা চাপাতিটা ।অদ্ভুত ভালো লাগায় মনটা ভরে গেল,কোনরকম দামাদামি ছাড়া ৩৫০ টাকায় চাপাতিটা কিনে ফেললো। দামদামি করলে হয়তো কিছু টাকা কমানো যেত, কিন্তু এর মধ্যেই যদি অন্য কেউ কিনে ফেলে।
দোকানদার একটা পেপাড়ে করে চাপাতিটা সুন্দর করে পেঁচিয়ে দিয়েছে। বদরুলর চাপাতিটা বুকের কাছে ঝরিয়ে ধরে মেছে চলে আসলো। যতক্ষন চাপাতিটা বুকের সাথে লাগানো ছিল ততক্ষন কি রকম শান্তি যে লাগছিলো কাউকে বুঝানো যাবেনা।
রাতে চাপাতিটা বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতে গেল। রাতের বেলা আবার স্বপ্ন দেখলো , চাপাতটি বলছে “ বদরুল, তুই তো খাইয়া ঘুমাইছোত, আমারে না খাওয়াইয়া শুইতে গেলি ,আমারে তো তই ভালোবাসছ না”।
মনে অনেক কষ্ট নিয়া ঘুম ভাংগলো, কিছু একটা করা দরকার। চাপাতিটা নিয়ে মেছের বারান্দায় এসে দাড়ালো। মেছের পালা বিলাই টা মাথা উচু করে আবার ঘুমাইয়া গেল। হারামজাদা বিলাই কাউরে ডরায় না। সবার পায়ের কাছে ঘুরঘুর করে। হঠাৎ মনটা ভালো হইয়া গেল, ছোটবেলার স্বপ্নটা বোধহয় আল্লায় এইবার পুরন করবে।
খুব সকালে ঘুম ভাংগলো মেছের মানুষের চিৎকার চেচামিতে । সবাই বলাবলি করছে, রাইতে নিশ্চই কোনো পিচাঁশ আইছিলো। বিলাইডারে এমনে কোনো মানুষে মারতে পারেনা। পিচাঁশ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে এই ভাবে কোনো জন্তু জানোয়ার মারা সম্ভব না।
দু একদিন মনটা খুব ভালো গেল বদরুলের। রাতের ঘুম টা খুব হইলো। হঠাৎ আবার স্বপ্ন দেখলো, চাপাতিটা স্বপ্নে কয় “আমার মানুষের রক্ত খাইতে মনে লয়”
বদরুলের সারাদিন অস্হিরতার মধ্যে কাটে, হঠাৎ মনটা ভালো হইয়া গেলো আবারো।
খাদিজার কথা মনে পড়লো, তার লোজিং ছাত্রী, কতো বড় সাহস তার প্রেমের ইশারা বুঝেনা।
একবারতো বাজার ভর্তি মানুষের সামনে প্রেমের ইশারায় করায়, চিৎকার করে পাবলিকেরে দিয়া এমন একটা ধোলাই খাওইলো যে, সাতদিন বিছানা থেকে নামতে পারে নাই।তখন বুদ্ধি কইরা এইডারে রাজনৈতিক আক্রমন বলে চালাইয়া দিছিলো ।এই মাইরের একটা লাভ হইছিলো , অনেক সাহায্য পাইছিলো দলের কাছ থেকে। দলের বন্ধুরা ও আসল ঘঠনা টের পায় নাই।
সকাল থেকেই মহিলা কলেজের পাশে বদরুল দাড়াইয়া , শার্টের ভিতর বুকের কাছে চাপাতি টা আগলাইয়া দাড়াইয়া আছে । চাপাতির তাপটা কইলজায় খুব আরাম দিতাছে।
হঠাৎ খদিাজারে দুর থেকেই দেখতে পেলো। মেয়ে মানুষের এত বড় সাহস , তার ইশারা বুজঝেনা , আবার পাবলিক রে দিয়া মাইর খাওয়ায়, আজ দেখবি আমি বদরুল কত বড় বদ , আহ নামের সাথেই এত বড় মিল আগে বুঝেনাই।
খদিজা সামনে আসতেই চাপাতিটা বের করে মাথা বরাবর একটা কোপ, একটা ঠাস আওয়াজ, আশেপাশের সবাই ভয়ে দৌড়, দুর থেকে অনেকে মোবাইলে ছবি রেকর্ড করতাছে, নিজেরে নায়ক নায়ক লাগতাছে, ।
বদরুল খাদিজারে আরো কয়েকটা কোপ দিল, খাদিজার রক্ত তার ঠোটে এসে লাগো, জিহব্বা দিয়ে একটু চেটে দেখলো, খুবই মিষ্টি, আরো কয়েকটা কোপ দিল।
-------------
বদরুল বুঝে নাই খাদিজারা হারার জন্য জন্ম নেয় নাই । এইবার তার দল ও তার বিরুদ্ধে দাড়াইবে স্বপ্নে ও ভাবে নাই । সব মানুষ যে এক হয়ে তার বিপক্ষে যাবে তাও বুঝে নাই। বদরুল জেলে বসে মনে মনে ভাবে এদেশের উন্নতি আর হবে না, যে দেশে মানুষের আর কামকাজ নাই, একটা সাধারন মাইয়ার জন্য রাস্তায় আন্দোলন করে।
বদরুল এখনো আশায় দিন গুনে চাপাতিটা একদিন আবারো বুকে জড়াইতে পারবে--
--------------------------------
*****এইটা একটা গল্প এবং সবই কাল্পনিক ঘটনা। কারো সাথে মিলে গেলে খুবই বিব্রত হবো**************।
----------------------------------
জি , এম হারুন- অর- রশিদ
১০/১০/২০১৬

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

মিজানুর রহমান হৃদয় বলেছেন: বানান ভুল কম বেশি সকলের হয়, তবে সেটা সুখি, সুখী হইলে ঠিক আছে। কিন্তু হাত যদি হয় হতা তাহলে লেখাটা পড়ার ইচ্ছেটাই নষ্ট হয়। রাগ করবেন না, যদি লেখার পর পোষ্ট করার আগে আরেকবার নিজেই পড়ে নেন, তাহলে অসঙ্গতি অনেকটা ঠিক করা যায়।
তবে হ্যা লেখা টা ভালো ছিলো ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি কষ্ট করে পড়েছেন এবং সত্যি কথাটা বলেছেন , আমি এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর লেখা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.