নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বালক, বালিকাটির প্রেমে পড়েছিল"

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫৪

আচ্ছা, বয়স তার কতো হবে
বড় জোর বারো অথবা তেরো,
বালকটি নতুন পাড়ায় ভাড়া বাসায় উঠেছে,
বন্ধু বলতে কেউ নেই,
সময় আর কাটেনা।

সারাদিন সুযোগ পেলেই ছাদে ঘুড়ি উড়ায়,
ঘুড়ির সুতো কেটে গেলে,
একদিন চমকে উঠে হাসির শব্দে।
পাশের বাসার ছাঁদ থেকে তারই
বয়সী একজন বালিকা হেসে উঠে,
সে কি হাসি, হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে।

বালিকার বুকটা আকাশ হয়ে গেল,
ঘুড়িটা হয়ে গেল খোলা চিঠি,
সাদা চিঠি, যা খুশি লিখে নেয়ার চিঠি,
কাটা ঘুড়ির জন্য বালকের মন
বালিকার আকাশে উড়ে।

তারপর থেকে বালক প্রতিদিন ছাঁদে গিয়ে
ঘুড়ি উড়ায় আর নিজেই কেটে দেয়,
বালিকার আর দেখা দেয়না,
বালিকার হাসির শব্দ ঘূড়ির সাথে আকাশে হারায়।

বালক প্রতিদিন একটি হাসির শব্দের জন্য
মন খারাপ করে নেমে আসে,
ছাঁদ থেকে নেমে আসে,
বালিকার আকাশ থেকে নেমে আসে ।

বালিকা বুঝলো না,
ঘুড়ির উড়ানোর ছলে
বালক তার মনটা কে আকাশে উড়ায়,
তারপর কেটে দেয় তার বালক মন।

সুতো কাটে,মন কাটে
ঘুড়ি উড়ে, মন উড়ে
ঘুড়ি হারায়, মন হারায়
বিশ্বাস হারায়, বালক হারায়।

আকাশে ভাসতে ভাসতে মন
কোথায় গিয়ে যে পরে
বালকরা জানে না।

বালক মন উড়তে উড়তে কোথায় গিয়ে পরে
বালক বয়স কখনোই জানেনা,
আর কখনি যদি জেনে যায়
সেই সময়েই বালকটি কিশোর হয়ে যায়,
আর বুঝে যায় একটি প্রাচীন
অথচ একেবারে নতুন আবিষ্কার,
" বালক, বালিকাটির প্রেমে পড়েছিলো"।
---------------------------------------------------------
জি এম হারুন অর রশিদ
১৬/০৮/২০১৭

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: চমৎকার ;)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সরল, সাবলীল কবিতাটি ভালোই লাগল।
শুভেচ্ছা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.