নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুবকটি হিমু হতে চেয়েছিল

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫


যুবকটি হিমু হতে চেয়েছিল
প্রথমে নিজের নাম বদলে রাখল হিমু,
তারপর পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরা শুরু করলো,
পায়ের স্যান্ডেল জোড়াও বিসর্জন দিল নির্দ্বিধায়।

তারপর সারাদিন শুধু হেঁটে বেড়ায় উদ্দেশ্যবিহীন, উদ্দেশ্য বিহীন
শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথা।
খিদে পেলে কারো কাছে হাত পেতে খেয়ে নেয়,
অথবা কোনো বিয়ে বাড়িতে ঢুকে খেয়ে নেয়।
দু’একবার ধরা খেয়ে অপমানিত হয়েছে,
হিমুদের ভালোবাসা আর অপমান গায়ে মাখতে হয় না।

রাতে পাগল করা জ্যোৎস্নায়
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
ফুটপাতে এক সময় ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্ন দেখে
রুপা নীল শাড়ি, নীল টিপ পড়ে তাকে ডাকছে,
আর বলছে" হিমু আমি সারাদিন তোমার অপেক্ষা থাকি, তুমি আসো না কেন?"

কখনো বা বৃষ্টিতে ঘুম ভেঙে যায়
-জ্যোৎস্না আর বৃষ্টির জলে
মাখামাখি হয়ে যায় শরীর আর মন।

প্রতিদিন সকালেই সে তার
রুপার বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে,
রাতের স্বপ দেখার মতো
তার রুপা কিন্তু তাকে ডাকে না,
দেখাও দেয় না।
একসময় হতাশ হয়ে আবার হাঁটতে শুরু করে।

একদিন,
বুকের পায়রা উড়ে যায় অভিমানে,
পাঞ্জাবীর রঙ নষ্ট হয়ে
স্বপ্নের রঙ অস্পস্ট হতে থাকে,-
গায়ের রঙ ঝলসে যায়
মনের জ্যোৎস্না বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায়।

গল্পের হিমুদের জন্য রুপারা সবসময় অপেক্ষা করে,
বাস্তবের রুপারা অপেক্ষা করে মাঝেমাঝে।

তাই যুবক একসময়ে ঠিকই বুঝে যায়
-শুধু নাম বদলালেই হিমু হওয়া যায় না,
হিমু হয়ে জন্মাতে হয়।
--------------------------------

র শি দ হা রু ন
কাব্যগ্রন্থ- ভালো থেকো মনোলীনা
১৬/০৯/২০১৭

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বাস্তবে হিমু হওয়া যায় কিন্তু বাস্তবে রূপাদের পাওয়া যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.