নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতৃঋণ -৪

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১


ঘর থেকে বের হবার মুখে দরজার পাশেই একটা জুতার সেল্ফ।
সেখানে পনেরো বছরের পুরোনো বাটার একজোড়া কালো জুতা এখনো চকচক করে।
মা প্রতিদিন সকালে বাবার অফিসের জুতা ধুলো পরিষ্কার করে এখনো কালো রঙের পালিশে ঝকঝকে রাখেন-
যেন বাবা একটু পরই অফিসে যাবেন!!

মা বোধহয় ভুলে গেছেন,
-মৃত মানুষ কখনো অফিসে যায়না,
তাদের অফিসে বসার কোনো জায়গাও নেই,
তারা শুধু থাকে আপনজনেরই বুকে।

জুতার পালিশের রঙ ফুরিয়ে গেলেই
আমি বাটার দোকান থেকে আবারও কিনে এনে রেখে দেই মার জন্য।

আমার অফিসে যাবার সময় মা প্রায়ই বাবার জুতা জোড়া এগিয়ে দিয়ে বলেন-
“দেখতো তোর পায়ে এখন হয় কিনা?”
আমি মাকে বুঝাতেই পারিনা আমার পা আর বড় হবেনা,
আমি যতই বড় হইনা কেনো
-আমার পা বাবার পায়ের সমান কখনোই হবেনা!
———————————————
রশিদ হারুন
২৮/০৪/২০২০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনবদ্য প্রকাশ। ভালো লাগলো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: গুড ওয়ান।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪১

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.