নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি হওয়ার প্রাচীনতম ইতিহাস

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৫


আমার জন্মের পরেই একটি ‌অন্ধকার কফিন জন্মেছিলো আমার অপেক্ষায়,
শুধু আমারই অপেক্ষায়।

কেউ জানেনা একমাত্র আমিই জানি,
শহরের এই ‌অবেলায়
বড্ড এই অবেলায়
মরনের ভয়ে কবে থেকেই লুকিয়ে আছি আমি সেই দরজা জানালাহীন কফিনে।
বুকের ভিতরে না দেখা এক মরনের ভয়ে বুক অন্ধকার করে বেঁচে থাকি কোনমতে।

কেউ বুঝেনা
আমি সেই অন্ধ কফিনের ভিতরে একটু স্বাধীন বাতাসের জন্য হাসফাস করে মরছি প্রতি মুহূর্তে।

আকাশের খোঁজে যে পাখি প্রতিদিন উড়ে যায়
আমার কফিনের উপড় ছায়া পড়ে তার।
সেই ছায়া প্রতিদিন চিৎকার করে আমাকে ডেকে বলে,
এভাবে মানুষ বাঁচে!
অন্তত একদিন আলোতে বেঁচে থাকো
প্রতিদিন এভাবে মরে যাবার বদলে
অন্তত একদিনই বাঁচো।

তাইতো সূর্যের তীব্র আলোতে ‌অন্তত একদিন বাঁচার আশায়
সেই কফিন থেকে নিজেকেই নিজে টেনে হিচড়ে শহরের ব্যস্ত রাজপথে দাঁড় করিয়ে দেই মেরুদন্ড সটান করে।
তারপর সেই কফিনের উপড়েই দাঁড়িয়ে পড়ি
বুকের সমস্ত না দেখা ভয় শহরের রাজপথের তপ্ত পিচে ঢেলে দেই সাহস করে।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম সেই বিপ্লবীর মতো করে আকাশ বাতাস কাপিয়ে বলি
‘প্রতিবাদ’।

ভয়হীন বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য প্রতিবাদ
ক্ষুধাহীন বেঁচে থাকার অধিকারের
জন্য প্রতিবাদ
সত্য কথা বলার অধিকারের জন্য প্রতিবাদ
স্বপ্ন দেখার অধিকারের জন্য প্রতিবাদ
একটি শিকলমুক্ত কবিতার অধিকারের জন্য প্রতিবাদ।

তারপর,
তারপর সেই কফিনটি শহরের ব্যস্ত রাজপথে ফেলে দিয়ে
নির্ভিক ভাবে নিজেকে নিয়েই হেটে বাড়ি ফিরি আমার প্রিয় কবিতার খাতার কাছে।

শুধু শহরের সবাই দেখে একটি কফিন ব্যস্ত রাজপথে শুয়ে আছে
আর তার গায়ে লাল রঙের জ্বলজ্বলে কালিতে বড় বড় করে লেখা,
-কফিনটির ভিতরে যে মানুষটি আটকে ছিলো এতোদিন
সে এখন কবি
সে এখনো বেঁচে আছে।
——————————————
র শি দ হা রু ন
২৬/১০/২০২০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মরনের ভয়ে কবে থেকেই লুকিয়ে আছি আমি সেই দরজা জানালাহীন কফিনে
বুকের ভিতরে এক না দেখা মরনের ভয়ে বুক অন্ধকার করে বেঁচে থাকি কোন মতে ।


তবে কফিনের ভিতরে অনেক দিন পড়ে থেকে অবশেষে ছোট্ট এক পাখীর নিত্য চিৎকারে
দীর্ঘদিন পরে সাহসী হয়ে কবির প্রতিবাদী হওয়ার প্রাচীন ইতিহাস পাঠে কিছুটা বিস্ময় জাগে ।


যাহোক, কবি যে শেষ পর্যন্ত একটি ছোট্টপাখীর চিৎকারে মরনের ভয় দুর করে প্রতিবাদী
হয়ে উঠতে পেরেছেন সেটাই আজকের দিনের এই ঘনঘোর তমানিশায় একটি আশার কথা।

শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১১

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১১

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.