নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার ৫১\'বছর পরও আমদের দেশের মেয়েরা স্বাধীন নয়। (১৮ +)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪


বাংলাদেশের মেয়েরা বিদেশী দের মতো পোশাক পড়াকে যারা অশ্লীল মনে করে পোস্টটি তাদের জন্য ১৮+।

আজ বিজয় দিবস। আজ মৌলবাদী রাজাকারের দোসরদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার দিন। রাজাকাররা মৌলবাদী গোষ্ঠী সবসময় চেয়েছে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে। পর্দার নামে নারীদের কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে চেয়েছে। দাসী বাদী করে রাখতে চেয়েছে।

পুরুষতন্ত্র এই পৃথিবীকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করা শুরু করছে। অথচ সৃষ্টিকর্তা একজন পুরুষের সাথে একজন নারীকে সৃষ্টি করেছেন এটা বুঝাতে নারী পুরুষ দুইজনই পৃথিবীতে সমান গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্বামীর রুল প্লে করবে আরেকজন স্ত্রীর রুল প্লে করবেন। অথচ মোল্লা গোষ্ঠী পুরা সিস্টেম উলটো করে দিয়েছে।

এই পৃথিবীটাই দখল করে নিয়েছে কথিত পুরুষরা।মোল্লারা পরিবার গুলোতে স্টাবলিশ করেছে পুরুষই কর্তা, ধর্মকে নিজের সুবিধামত এডিট করে স্টাবলিশ করেছে নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ, নারীদের দাসী বানিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়ার রীতি চালু করেছে সমাজের পুরুষ প্রধান।

যে সব নারীদের পুরুষরা পায়ে শেকল পড়িয়ে বেঁধে রেখেছে তারা পরাধীনতার বাঁধন ছিড়ে যখনই খোঁড়া পায়ে হাটতে চেয়েছে তখনই পুরুষ বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের মডেল এভ্রিল একবার স্যাটাস দিয়েছিল,

"তোরা নারী, তোরা দাসী, তোরা সর্বোচ্চ পুরুষের সাথে শুতে পারবি।
তোরা রাতের রাণী হবি ক্যা ?!
রাত রাজাদের অধীনে থাকে, তোরা রাতের রাজাদের সাথে বসে মদ খাবি, উশৃঙ্খল হবি, মাতলামি করবি—— ভাবা যায় ?!! "


একটা মেয়ে চাকুরী করলে সমস্যা, মডেলিং করলে সমস্যা, খেলাধুলা করলে সমস্যা, গান গাইলে সমস্যা, নাচলে সমস্যা, অভিনয় করলে সমস্যা। নিজের পছন্দ মতো স্টাইল/ফ্যাশন করলে অশ্লীল, কোন মেয়ের মন খারাপ হলে রাতে রুফটপ রেস্টুরেন্টে ওয়েস্টার্ন পরে একা বসে মদ খেলে মনে করে নষ্টা, একই কাজ পুরুষ করলে মনে করছে স্বাভাবিক।বয়ফ্রেন্ডের বাইকের পেছনে গার্লফ্রেন্ড বসলে স্বাভাবিক, গার্লফ্রেন্ড বাইক চালালে বয়ফ্রেন্ড পেছনে বসলে অস্বাভাবিক। স্বামীর জব নেই তাই ঘরের কাজ করা অস্বাভাবিক কিন্তু স্ত্রীর জন্য জব না করে হলেও ঘরের কাজ করা স্বাভাবিক। একটা ছেলে খালি গায়ে রাস্তায় হাঁটলে নরমাল, একটি মেয়ে উপরে দেয়া ছবি গুলোর মতো মর্ডান ড্রেস আপ করলে অশ্লীল, রাতের আঁধারে বাইক চালালে নষ্টা। আরও কত বিশ্রী অপবাদ!


আজ বিজয়ের এতোগুলা বছর পরও আমাদের দেশের মেয়েয়া পরাধীন। পুরুষদের ভোগের সামগ্রী।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: মেয়েরা যা ইচ্ছা তা পরিধান করুক। নো প্রবলেম। অন্য পুরুষের কু-নজরে না পরলেই চলে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরুষ কূনজর দিলে এটা পুরুষের মগজের সমস্যা।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: এ দেশে মেয়েদের পরিধেয় বস্ত্র নিয়ে যত গবেষনা হয় তার বিপরীতে ছেলেদের মেয়েদের দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকানোর সমস্যা নিয়ে তত গবেষনা হয় না।

এটা যে একটা গুরুতর সমস্যা তা ছেলেরা স্বীকারই করেন না। উল্টো এটা তাদের কাছে স্বাভাবিক একটা বিষয়। তাই সমস্যার সমাধান তো আরও পরের ব্যাপার।

আমি আশা করব যে একটা মেয়ে আমার কথা মেনে নিবে। মেনে নিতেই পারে। মন থেকেই হয়তো সে মেনে নিবে। কিন্তু তাকে তো আগে নুন্যতম সম্মান করতে হবে। আমি তাকে তার প্রাপ্য সম্মানও দিব না আবার আশা করবো যে আমার কথা শুনবে। এতো আশা নয়, দুরাশা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের মৌলবাদী মানসিকতার লোকেরা চায়, স্ত্রীদের দাসী বানিয়ে রাখতে। তাদের বিয়েই করে স্ত্রীকে দিয়ে ফুট মাসেজ করানোর জন্য। সকালে দুপুরে বিকেলে রাতে খাবার প্রস্তুত করে দেয়ার জন্য। অথচ একজন স্ত্রীরও পা ব্যাথা করতে পারে। তারও অসুখ করতে পারে, ফ্রেন্ডস ফ্যামিলি নিয়ে হ্যাং আউট করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু মৌলবাদীরা এটা এমন কখনোই হতে দিবেনা। পুরুষত্ব ও ককর্তাগিরি ফলাবে।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ পর্দার নামে মেয়েদের কালো কা্পড় দিয়ে ঢেকে রাখতে চেয়েছে।

তাহলে আমি ঠান্ডা মাথায় মেনে নিবো যে আমার মেয়ে, স্ত্রী, আমার বোন কিংবা আমার মা বারে গিয়ে রাত বিরেতে পোল ড্যান্স দিক? অথবা এটাও মেনে নিবো যে আমার মেয়ে, স্ত্রী, আমার বোন, আমার মা তাদের কর্পোরেট জব টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেরাই প্রোডাক্ট হয়ে যাবে? কারন আমি মনে প্রানে প্রগতিশীল এবং নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

কর্পোরেট দুনিয়ার রথি মহারথিরা কিন্তু রাজাকার মৌলবাদী গোষ্ঠী নয়। এরা স্বাধারনতঃ এদের ব্যবসায়িক পন্যের সাথে মেয়েদের আকর্ষনীয় মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করে। একদিকে ব্যবসার স্বার্থে বড় বড় গ্রাহকদের ম্যানেজ করা অন্যদিকে অফিসের বড়কর্তার মন জুগিয়ে চলা।

জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ.........মেয়েদের পরিস্হিতি এরকম।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেখুন মনের পর্দা বড় পর্দা।পুরা বিষয়টি মানসিকতায় । যে নোংরামি করবে বোরখা পড়লেও করবে। বিকিনি পরলেও করবে। কেউ চাবেনা তাদের স্ত্রী/বোন/মেয়ে বারে গিয়ে ড্রিংকস করুক কিংবা মদ্য পান করুক।

কর্পোরেট লম্পট বলেন আর মৌলবাদী বলেন পুরা বিষয়টিই মগজের।

“রাতের বেলা পথে নামলেই

বেশ্যা বলে ডাকো।

বেশ্যা তোমার মগজ,

পুরুষ মগজ সামলে রাখো।”

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি আমি ভালো মানুষ। কিন্তু এমন ভালো ছেলে কয়জন পাবেন, যারা মেয়েদের দিকে কু নজর দেয় না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিষয়টি পারিবারিক শিক্ষার। একটি সুন্দর মেয়ের প্রতি সব পুরুষই আকৃষ্ট হবে। কিন্তু মগজকে সংযত রাখতে হবে।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মিডিয়ার ঐ শ্রেণীর মেয়েরারা কি বিপ্লব করছে, মোল্লাদের বিরুদ্ধে?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ। মোল্লাদের বাঁধাকে এখন কেউ পাত্তা দিচ্ছেনা। বিপদে আছে মোল্লাদের পরিবারের মেয়ে লোকরা।

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে মেয়েরা অনেক স্বাধীন। আজ থেকে ৩০ বছর আগে করুন অবস্থা ছিলো। দিন দিন মেয়েরা আধুনিক হচ্ছে। লেখাপড়া করছে। ভালো চাকরি করছে। মেয়েরা এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

হ্যা একথা সত্য আজও কিছু মেয়ে একা রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। একটা মাস্টার্স পাশ মেয়ে কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে একা যেতে সাহস পায় না। তাহলে বুঝুন সমাজের অবস্থা!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অধিকাংশ পুরুষ নারীদের কেও মানুষ মনে করে না। খোলা মেলা পোশাক হোক অথবা বোরখা দেখলেই ধর্ষণ করতে ইচ্ছা করে ওদের। শিশুরা পর্যন্ত নিরাপদ না এই বাস্টার্ড দের কাছে। এমন কি ছেলে শিশুরাও নিরাপদ না। এদের মগজে সমস্যা।

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: মেয়েদের স্বাধীনতা ছেলেদের সৎ হওয়ার উপর নির্ভর করে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টে দারুনভাবে সহমত পোষণ করলাম এবং অনেকগুলো ++++++ দিলাম।

কিন্তু পোস্টে ১৮+ ট্যাগ দেওয়ার মতো এমন কি লিখলেন বা করলেন?

কিছু মানুষ চিরকাল অজ্ঞ থেকে যাবে, সমাজ তাদের জন্য সাফার করবে।

এর ভিতর দিয়ে আপনার মতো কিছু লোক সমাজটাকে ভালো করার জন্য লড়াই করবে।

.
.
চলতে থাকবে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ।

অনেক আগে মারিয়া নুরের ব্লাউজ বিহীন শাড়ি পরা একটা ছবি ইউজ করছিলাম। বিম্পি-জামাত গং অশ্লীলতার অভিযোগ আনছিলেন। ৫ দিন ধরে ক্যাচাল চলছিল। তুলকালাম কান্ড হয়েছিল। তখন আপনি ব্লগে ছিলেন না। অথচ আমাদের নানী দাদীরা ব্লাউজ ছাড়াই শাড়ি পড়তেন। তাই ১৮+ এলার্ট দিসি।

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: সামুতে কিছু বিজ্ঞাপন দেখায় যেগুলো এই ছবির চেয়েও নগ্ন। তাহলে আপনার এত দ্বিধায় থাকা কোনো মানে হয় না।
আর বিম্পি-জামাত গং কি করলো না করলো তাতে কিছু যায় আসে না।

আপনি তো ভয় পাওয়ার মানুষ না!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি বলে ছবি অপ্রাসঙ্গিক। আবার বলে অশ্লীল। অথচ কদিন আগে সামুতে চটি কবিতা লিখছে এক বলদ।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: কু নজরে দেখলে সমস্যা নাই, কু কাজ না করলেই হলো।চোখে দেখলে আইনগত সমস্যা হয় না।কিন্তু অনুমতি ছাড়া স্পর্শ করলে দন্ডনীয় অপরাধ।
নারীকে নিজেই এই গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।পুরুষ তাকে সাহায্য করতে পারে। শুরুটা করতে হবে নারীকেই।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক, মগজের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে।

১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম ব্লগে একটা ঢু মেরে যাই। সামনেই আপনার এই লেখাটা পরল। তাই লগইন করে মন্তব্য করতে আসা।

"নারীরা আজও স্বাধীন নয়" এই বোগাস শিরোনামটা দিয়ে আপনি কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন আমি জানি না। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে নারীর অবস্থান সেখানে এই শিরোনাম আমার কাছে একটা বোগাস ছাড়া কিছু না। মৌলবাদীদের কথা বলেছেন সেটা আমিও জানি তারা কি করতে চেয়েছে।

আমার মনে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সময় মেয়েরা শার্ট প্যান্ট পরে আসতে এখন হিজাব বোরখা পরে আসে আবার স্যালোয়ার কামিজ পরে আসে। তো যারা হিজাব বোরখা পরে তারা সবাই কি মৌলবাদীদের ভয়ে পরে আসে? নাকি এটা তাদের চয়েস?

যারা এক্সট্রিমিস্ট তাদের কথা আলাদা আমি সাধারণ ভাবে বলছি, আপনি পুরোটাই পুরুষদের উপর চাপিয়ে দিলেন। তো নারী নির্যাতনের জন্য এত এত আইন করা হয়েছে সেসব ফায়দা নারীরাই পাচ্ছে পুরুষদের জন্য আলাদা কোন আইন করা হয়েছে?

আপনি একজন মডেলের কথা বলেছেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে চিনি। যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বড় কথা লিখতে ও বলতে পারে। তার কি কি আছে ও কি কি সে করেছে সেগুলোর কথা আমার ভাল ভাবে জানা আছে। তাই কারো কথা উল্লেখ করার আগে তার আগে পিছনে সব জেনে সেসব উল্লেখ করলে ভাল হয়।

আমার মনে হয় না কোন বিবেকবান স্বামী, বাবা, ভাই, বন্ধু কখন মেয়েদের জন্য বাধার সৃষ্টি করেছে। তবে মেয়েদের সমস্যা একটাই ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে এটাই কেউ মানতে চায় না। আপনি এটা মেনে নিয়ে কেন নিতে পারবে না।

আপনি বলছেন রাত বিরাতে নারীরা বের হতে পারে না। এটা কি শুধু পুরুষের দোষ নাকি আইনেরও দায় ভার আছে। পৃথিবীতে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ নয় যেখানে নারীরা রাতে বের হতে ভয় পায় না। আপনি এক তরফা শুধু পুরুষদের দোষ দিয়ে গেলেন। তাদের মগজে দোষ মগজে দোষ।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে শালীনতা কি শুধু পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য হবে? মানে পুরুষ চোখ নামিয়ে চলবে। তারা সব কিছু থেকে নিজেদের দূরে রাখবে। শালীনতা ও ভদ্রতা শুধু পুরুষ পালন করবে। বিষয়টা যদি এমন হয় তবে আমার বলার কিছু নেই।

সৃষ্টা ছেলে ও মেয়ে কে আলাদা ভাবে তৈরি করেছেন এটা তো বেসিক। এটা আগে মানুন। তারপর সব কিছুই মেনে নেয়ে যাবে।

আমার কাছে মেয়েদের কোন কিছুই সমস্যা নয়। কিন্তু কখন কোন কিছু অতিরিক্ত ভাল নয়। সেটা পুরুষ নারী সবার জন্য প্রযোজ্য। আমি ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ করি না। আমার কথা হচ্ছে আপনার ভাল লাগলে আপনি সেটা করুন। আমি বাধা দেয়ার কেউ নই। আপনি আধুনিক পরুন, ট্রেডিশনাল পরুন, আপনি বারে যান, মদ খান, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি কাউকে সেটার জন্য ইনফুল্লুয়েন্স করতে পারেন না।

সবার ব্যক্তিগত পছন্দ আছে তাকে সেই জায়গাতে থাকতে দেয়া দরকার।

আপনার প্রোফাইলে একটা লেখা দেখলাম যে, সত্য মিথ্যা যাচাই না করে আপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে আপনার বন্ধু হবার দরকার নেই। তো আপনি যা শেয়ার করেন যাদের ব্যাপারে শেয়ার করেন তার সত্য মিথ্যা যাচাই কখনও করার চেষ্টা করেছেন?

সবশেষে একটা কথা বলে যাই, কিছুদিন আগে কোন একটা ফেসবুক পোস্ট পেয়েছিলাম, সেখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কর্পোরেট জব করেন যারা নারী তাদের ছবি ছিল। আমি পোস্টটা পেলে সেটা শেয়ার করে যাব।

আমিই সব সময় সঠিক এটা ভাববেন না। ধন্যবাদ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দয়া করে আমার পোস্টে আমার পোস্টের চেয়ে বড় মন্তব্য করবেন না। আপনি মডারেটর এর পোস্টে সিন্ডিকেট সদস্যের মত পক্ষপাতিত্ব করেছেন। সত্য হক কথা বলেন নি। আপনার মন্তব্যের জবাব দিলে আপনি মডুকে গিয়ে আবার বিচার দিবেন। তার চেয়ে আজকের পর থেকে আমার ব্লগে আপনাকে নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত করা হলো।

খোয়াড়ে আরো ১০ জন আছে। আপনি সহ ১১ জন হলো। একটা ফুটবল টিম হয়ে গেছে।

১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫২

নাহল তরকারি বলেছেন: যে সকল পুরুষ আমার বউ এর দিকে কাম-দৃষ্টি তাকাতো, তাদের পিটাতে ইচ্ছা করতো।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইচ্ছা করত কি। ডাইরেক্ট থাপ্পড়। আমার বউ নিজেই থাপড়াই দিত। আমাকে লাগত না।

১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম পোশাক নিয়ে কোন বক্তব্য নাই( মেয়েটাকে মানিয়েছে- ভাল লাগছে)

আচ্ছা দ্বিতীয় পোশাকটা যদি আপনাকে পরে কোন কফি হাউসে যেতে আমন্ত্রন জানানো হয় তবে আপনার বক্তব্য কি হবে??
প্রথম পোশাকটা পড়েছে শখে- নিজের ভাল লাগা থেকে আর দ্বিতীয় পোশাকটা নিজের পছন্দের পাশাপাশি দেহ প্রদর্শনের একটা ব্যাপার থেকে যায়- সে জানে তার দিকে ঘুরে ফিরে বহু পুরুষ তাকাবে। পোশাকের অশালীনতা আসলে এখানেই-এই পোশাক ইউরোপে কোন মেয়ে পরলে কেউ ফিরেও তাকাত না, কেননা তারা এর থেকেও অনেক সল্পবসনা নারীদের দেখে অভ্যাস্ত! কেউ ন্যুড বিচে যদি বোরকা পরে ঘোরে তাহলে উলঙ্গ নারীদের বাদ দিয়ে সবার নজর ঘুরবে ওই বোরকা পরা রমণীর দিকে। এখানে সবার শুধু কৌতুহল থাকবে সেটা নয় কিন্তু- এক অংশ কল্পনা করবে ঢেকে রাখা রমণীর বিবসনা শরিরটাতেই সব সৌন্দর্য আর যৌনতা যেন লুকিয়ে আছে।
যে পরিবেশে মানুষ যেটা দেখে অভ্যাস্ত- তার অন্যথা হলেই সেটা নিয়ে আলোচনা হয় তর্ক চলে। আমাদের দৃষ্টি কেন খারাপ হোল সেটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা যায়। মেয়েরা কি ছেলেদের উদোম শরির দেখে কি যৌন আকাঙ্খা অনুভব করে না?
উত্তরঃ খুব করে কিন্তু প্রকাশ ভঙ্গী ভিন্ন থাকে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কে কি পোশাক পরবে সেটা তার ব্যক্তি ব্যাপার। সে সিডিউজ করার জন্য পরুক অথবা স্টাইলের জন্য পরুক। দ্যাট নট আওয়ার বিজনেস।

১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওকে।

১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এখনকার অনেক মেয়ে নিজেই বন্দী থাকতে চায়। এদের মনস্তত্ব বদলানোর সুযোগ নেই।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওরা তো গোনার বাইরে। নিজের সর্বনাশ নিজে করলে আমাদের কি করা?

১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: মেয়েরা আমাদের দেশে স্বাধীন না এটা এক রকমের ঠিক।

কিন্তু আপনার ২য় ছবিটি অস্বালীন।

যখন কোন পোষাকে শরীর দেখানোটাই মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সেটা অস্বালীন পোষাক।

এই পোষাকে আপনার বোন, স্ত্রী, মা, মেয়ে পরে বেড়াবেনা।

এমনকি পস্চিমারাও এই পোষাক খুব কম পাটিতে পরে যাবে। ক্লাবে, বা সমবয়সী বন্ধুদের পাটিতেই যাবে, সামাজিক কোন অনুস্ঠানে না।

নারীদের পোষাকের উপরে এতো করাকরির কারন নারীর উপরে নিয়ন্ত্রন বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের দেশে নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে ধর্মের নিয়মের ওয়াজের প্রচার বেশি।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কে কিভাবে তার লাইফ লিড করবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এই যুগের মেয়েরা স্বেচ্ছায়ই বোরখায় ঢুকে যাচ্ছে।
আগের ঢাবি, বুয়েট, বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই।
সবই এখন বৃহত্তর মাদ্রাসা।
আফসোস!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ বিষয় টি হতাশার।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: জীব জগতে মানবকুল শুধু শ্রেষ্ঠ নয় মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রানী।
মানুষ পুরুষ হউক বা মহিলা হউক সবাই নিজেদের পছন্দের মানানসই পোষাক পরিধান করে'। যদি না পরিবার সমাজ থেকে বাধা না আসে।
পুরুষ নারী সবাই সুন্দর পোষাক কেন পড়ে?
এটি দেহ প্রদর্শনের একটা ব্যাপার নয়। মানুষের মনস্তত্ত হচ্ছে নিজেকে যেকোন ভাবে পরিবারের কাছে বন্ধুদের কাছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বা চাকুরিস্থলে নিজেকে সুন্দর ফ্রেস ও গুরুত্বপুর্ন করে উপস্থাপন করে নিজের ভাবমুর্তি তুলে ধরা। শুধু সুন্দর পোষাক না, সুন্দর জুতো দামী ঘড়ি, বস্ত্রটি ছোট না বড় সেটা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছে, কোন পরিবেশে যাচ্ছে। কোন ধরনের পার্টিতে যাচ্ছে নিজেকে সুন্দর ফ্রেস ও গুরুত্বপুর্ন করে উপস্থাপন করে নিজের ভাবমুর্তি তুলে ধরা। যার যার অভিরুচি। যৌনতা প্রদর্শন তার অতি সামান্য একটি অংশ মাত্র।
আপনার দ্বিতীয় ছবির পোশাকটা অফিসে অস্বাভাবিক, সত্য। কিন্তু পৃথিবীর যে কোন টুরিষ্ট জোনের কোন কফি হাউসে বা রাস্তায় খুবই কমন। এমন কি আরবেও (মরক্কো তিউনিশিয়া লেবানন আরব আমিরাত ইত্যাদি)
হিজাব বোর্খা না পড়া হলে নারীকে যদি বেশ্যা বলা হয় তাহলে পুরুষ বা বৃদ্ধরা কেন সুন্দর দামী আকর্ষনীয় পোষাক পরে?
কারনটা একই নিজেকে সুন্দর ফ্রেস ও গুরুত্বপুর্ন করে উপস্থাপন করে নিজের ভাবমুর্তি তুলে ধরা।
কিন্তু আমাদের দেশে একটি মহলের কাছে মেয়েরা ৩ পরত কাপড় পরিধান করার পরও বলা হয় খানকি বেশ্যা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এগুলো নতুন ভাই আর শেরজা ভাই মানতে চাচ্ছেন না।

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্য সহ পড়ে গেলাম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ লিটনের ভাই।

২০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মেয়েদের ন্যাংটা হয়ে থাকাটাও একধরনের স্বাধীনতা! তাই না ভাই?
তাছাড়া পুরুষ মানুষের তো আবার মগজের সমস্যা আছে?
কি আর বলবো ভাই? আপনিই বলেন। আমরাই শুনি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরুষ ল্যাংটা থাকলে হুজুররা খুশী। তারা ল্যাংটা নারীদের চেয়ে ল্যাংটা পুরুষ বেশী পছন্দ করে।

২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পুরুষ মানুষের তো আবার মগজের সমস্যা তাই এদেরকে বোরখার মধ্যে রাখা দরকার। আর মেয়েদের ন্যাংটা হয়ে থাকার স্বাধীনতা দেওয়া দরকার। আসলে পৃথিবীটা এমনই তো হয়ে যাচ্ছে! তবে এটা সত্যি- মেরী ওরষ্ট্রানজক্রাফটের পর আপনাকেই নারীবাদী সার্টিফিকেট দেয়া দরকার।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইস! কেন যে দিলনা!

২২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পুরুষ ল্যাংটা থাকলে হুজুররা খুশী। তারা ল্যাংটা নারীদের চেয়ে ল্যাংটা পুরুষ বেশী পছন্দ করে। হুজুরদের প্রতি এত গোস্মা কেন ভাই? আপনি তো হুজুর নয়। তাই আপনার পছন্দ নারীরা ন্যাংটা থাকুক। তো যাই হোক আসলে লুচ্চামি করার জন্য নারীদের ন্যাংটা থাকার দরকার। ন্যাংটা থাকলেই লুচ্চামি করা যাবে। তাই না ভাই?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সামুর একজন ব্লগার লুলু আম্মান সুরা আপু স্ট্যাটাস দিসেন যা আপনি ও আপনার স্বজাতির জন্য নিবেদন করলাম।


এদেশের পুরুষরা, নারীদের অনেক কিছু শেখায়- কিভাবে হাসতে কাশতে হবে/হবে না, কিভাবে জামা পরতে হবে, কিভাবে কথা বলতে হবে, হাটতে হবে, কাঁদতে হবে, হাসতে হবে,,,,
অথচ তারা নিজেরা যদি একটু ঠিকঠাক মুততে শিখতো, তাহলে শহরের অনেক রাস্তা বা ফুটপাত হাটাচলার উপযুক্ত থাকতো!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.