নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
ইন্টারন্যাশনাল উইমেন'স ডে ২০২১। ২০১৮-২০২১ প পর্যন্ত চট্টগ্রামে অত্যন্ত জমকালো আয়োজনে উইমেন'স ডে সেলিব্রেট করেছিলাম। ২০২২,২০২৩,২০২৪ ব্যাবসায়ীক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পারায় কোন শো আয়োজন করিনি। ২০২১ এ উইমে'স ডেতে ঢাকা থেকে ফ্যাশন শোতে পার্টিসিপ্যান্ট হিসেবে যারা এসেছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল - এভ্রিল।এভ্রিল এর স্ট্রাগল এর কথা অনেকেই জানে। একটি কনজার্ভেটিভ ফ্যামিলির বিশ্রী কুসংস্কার মিশ্রিত লাইফস্টাইলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি দেশের একেবারে প্রথম সারীর সেলিব্রিটি মডেল হওয়া উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এর এক অনন্য নিদর্শন। শুধু তাই নয় ২০১৭ সালে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একেবারে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭ এ সেরার মুকুট পড়েছে। এবং সবচেয়ে প্রসংশার করার মতো বিষয় হইল - সে মূলত দেশের একজন ফার্স্ট লেডি বাইকার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
যা বলছিলাম ২০২১ উইমেন'স ডে উপলক্ষে চট্টগ্রামে ইনভাইট করা হয়। উঠে হোটেল ওয়েল পার্কে। সে আমার খুবই প্রিয় বন্ধু। বয়সে ৪ বছরের ছোট হলেও মেয়েটি উচ্চতায় আমার চেয়ে ২ ইঞ্চি লম্বা। আমি সাধারণত এভ্রিল এর মতো স্ট্রাগল করে সফল হওয়া পুরুষতন্ত্রের কাছে মাথা নত না করা নারী দের খুবই সম্মান করি। ৮ তারিখ রাত ১২.০১ মিনিটে আমি ওকে উইমেন'স ডে উইশ করলে সে সারপ্রাজড হয়।
খেয়াল করে দেখবেন যারা আল্লাহর সৃষ্টি পশু পাখি প্রাণী দের ভালোবাসে তারা সাধারণত ভালো মানুষ হয়ে থাকে ও তারা মৌলবাদী না। মৌলবাদী মানসিকতার লোকেরা কেন জানি কুকুর বিড়াল এগুলো পুষলে ঘেন্নার চোখে দেখে। এর থেকে বুঝা যায় মৌলবাদীদের মন ঘৃণায় ভরপুর। যারা অহেতুক হিংসা করে, অন্যের ভালো দেখতে পারেনা তারা মৌলবাদী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যাই হোক পরের দিন ডে লং ইভেন্ট। ঘুমাতে হবে। ওরে বাই দিলাম। লাঞ্চ টাইমের আগে ফোন দিল। বলল লাঞ্চ করবে। বললাম হোটেলে বলা আছে। ও বলল গরম ভাতের সাথে গরুর মাংস খাবে। সে বলল সে তার পরিচিত কোন ১ হোটেলে খাবে।
মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করল লাঞ্চে আমার জন্য বাজেট কত? বললাম যা ইচ্ছা খাও। তবে বাজেট ১২০০ টাকার বেশি না। সে চট্টগ্রামের মেয়ে তাই অনেক কিছুই চিনে। চলে গেল চট্টগ্রামের মিসকিন শান রহ: এর মাজার সংলগ্ন এক হোটেলে। এই হোটেলে গরম ভাতের সাথে গরুর মাংসের জন্য ঐতিহ্যবাহী। চোট্ট ১ টা হোটেল। দুপুর বেলা গরুর মাংসের সুগন্ধিতে মৌ মৌ করে। ঐ মাজারের সাথে শত শত মিসকিন বসে থাকে। আর কেউ একজন গিয়ে তাদের ঐ হোটেলে খাওয়ায়। সে এভ্রিল সে ১২০০ টাকা ১২ জন খাইয়েছিল। দেড় প্লেট ভাত, ডাল+ ৫ পিছ গরুর মাংস ১০০ টাকা।
কিন্তু এটা বাংলাদেশ। তার গেট আপ, বাইক চালানো এখানে হারাম। সে একজন পশু প্রেমি, যা ইনকাম করে তার বড় একটা অংশ দিয়ে গরীব এতিম মিসকিন দের আহার করায়। খুবই মানবিক। শুধুমাত্র পুরুষ তন্ত্রের কাছে মাথা নত না করার অপরাধে, মডেলিং করার অপরাধে সেদিন সেখানে থাকা হুজুর শ্রেণী - তকমা লাগিয়ে দিল - "সে একজন নষ্টা বেশ্যা জাহান্নামি। এসব দান কবুল হবেনা, এরা সমাজকে নষ্ট করছে- ব্লা ব্লা ব্লা "
এভ্রিল থোড়াই কেয়ার করে এগুলো। পাত্তা না দিয়ে খাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে সিগারেট জ্বালালো। নারী বিদ্বেষী দের মুখ বরাবর ধুয়া ছেড়ে বাইক স্টার্ট দিল। তার চোখে মুখে ১২ জন ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে আহার তুলে দেয়ার প্রশান্তি।
গতকাল নারী দিবস গেসে। ব্লগে তেমন কোন পোস্ট ছিল না উক্ত দিবস উপলক্ষে। মুসা ভাই এর একটা ফিচার ও কাজী ফাতেমা ছবির ১ টা কবিতা ছিল।ভালো লাগসে পড়ে।
নারী দিবসে বাংলাদেশের মৌলবাদী পরিবারে দাসত্বের শেকল পড়া নারীদের প্রতি গুরু জেমস এর ভাষায় আহবান জানাই -
" আঁধারের সিঁধ কেটে আলোতে এসো
চোখের বোরখা নামিয়ে
দেখো জোছনার গালিচা
ঘর ছেড়ে তুমি বাইরে এসো
চেয়ে দেখো রংধনু
চেয়ে দেখো সাত রং
মিছিলের ভিড় ঠেলে সামনে এসো
দুঃখের পৃষ্ঠা উল্টে
দেখো স্বপ্নের বাগিচা
ঘরে বসে থেকে লাভ কী বলো
এসো হাতে হাত রাখি
এসো গান করি
দুঃখিনী দুঃখ করো না "
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই পোস্টের সাথে কালো জিরার কি সম্পর্ক? আমাকে ১ জন রোগী দেখান তো কালো জিরা খেয়ে সুস্থ হইছে?
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:২৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যে যে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়, তা খুব অল্প কাজেই আছে যে পাওয়া যায়।
আমি মাঝে মাঝেই আমার কাছে সাহায্য চাইলে, নগদ অর্থ না দিয়ে বলি, চলেন আপনাকে খাওয়াই। বা দোকানে থাকলে বলি, কী খাবেন দোকান থেকে নেন। আমি বিল দিয়ে দিব। কাওরান বাজারের যে দোকানে আমি প্রতিদিন যাই, সে দোকানে এমন মানুষ আসে হরহামেশা। খেতে বললে আবার অনেকে খায় না। সাহায্য চায়। অথচ সাহায্য চাওয়া বেশির ভাগ ধান্ধাবাজ। যারা খায় তাদের খেতে দেখে আমার বেশ প্রশান্তি লাগে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যে যে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়, তা খুব অল্প কাজেই আছে যে পাওয়া যায়। সঠিক।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
ভালোই। শক্ত ব্যক্তিত্বের মেয়ে হলে, সবকিছু করতে পারে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: মোটের উপর সুন্দর একটি ঘটনা।
তবে আপনি কী মোল্লাদের গালি না দিয়ে কিছুই লিখতে পারেন না? বিড়ির ধোয়া কী মোল্লাদের মুখ বরাবরই ছাড়তে হবে? জাতির কাছে আমার প্রশ্ন.....
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গালি তো দেই নি শ্রাবণ ধারা ভাই। ইট'স কলড ঘৃণা প্রকাশ।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: এসব উপেক্ষা করেই সমাজে চলতে হবে।তারা পিছনেই পরে থাকবে।প্রগতিশীলরী এগিয়ে যাবে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রগতিশীল এগিয়ে থাকুক।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এটা কি এভ্রিলের ছবি? ভিন্ন চিন্তাধারার, ভিন্ন লাইফস্ট্যাইলের যে কোন ব্যক্তিকে আমার ভালো লাগে, এরাই সমাজ পরিবর্তেনের জনক, এদের হাত ধরেই সমাজ নতুনত্ব খুঁজে পায়। একটা রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হয়ে সে যে জীবন যাপন বেছে নিয়েছে তাতে ভাবতে মোটেও কষ্ট হয় না প্রতি পদে পদে তাকে কতটা স্ট্রাগল করতে হয়। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি পেড়িয়ে এভ্রিলরা এগিয়ে যাক এটা কাম্য।
এভ্রিলের গল্প পড়ে আমি তার প্রতি পুরাই ফিদ্যা হয়ে গিয়েছি, এভ্রিল সে যেন আমার সেই স্বপ্নের নায়িকা, আমি একসময় কল্পনা করতাম আমার বউ আমাকে বাইকের পিছনে বসিয়ে ছেলেদের সাথে রেস করবে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ এভ্রিলের ছবি। আমারও সেম। সমস্ত বাঁধা বিপত্তি পেড়িয়ে এভ্রিলরা এগিয়ে যাক এটা কাম্য।
বাংলাদেশে বাইকে মেয়েদের পেছনে বসা একটু দৃষ্টি কটু। আমি বাইক চালাইছি এভ্রিল পেছনে বসছে। নেভাল গেসিলাম। এমন তুখোড় একজন লেডি বাইকার কে পেছনে বসিয়ে বাইক চালানোর ফীলই আলাদা। এভ্রিলের মতো একজন বন্ধু থাকলে - "লাইফ ইজ বিউটিফুল "।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
নতুন বলেছেন: এভ্রিল থোড়াই কেয়ার করে এগুলো। পাত্তা না দিয়ে খাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে সিগারেট জ্বালালো। মোল্লাগো মুখ বরাবর ধুয়া ছেড়ে বাইক স্টার্ট দিল। তার চোখে মুখে ১২ জন ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে আহার তুলে দেয়ার প্রশান্তি।
একে তো বিড়ি খাওয়া আলগা ভাব ছাড়া কিছুনা। নিকোটিনের নেশা মাত্র।
আর কারুর মুখ বরাবার ধুয়া ছাইড়া ভাব নেওয়া মূর্খতার সামিল, যদিও যারা বিড়িখোড় তাদের কমনসেন্স একটু কমই থাকে।
মটর সাইকেল চালানো সমস্যা নাই। স্বালীনতা বজায় রাইখা পোষাক পড়লেও সমস্যা নাই। সাট প্যান্টএও সমস্যা নাই।
কিন্তু আধুনিক হইতে গিয়ে বিড়ি খাওয়া, মাল খাওয়া নেশা করা কুল এই ধারনা খুবই ভুল...
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাব নেয়নি, সে বাজে কমেন্ট কারীদের মুখে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যারা মনে করে নারী মানে দাসী তাদের ধোঁয়া ছুড়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছে।
আধুনিক হতে গিয়ে এভ্রিল বা আমি বা মিডিয়ায় অন্তত সিগারেট খায়না। ইটস এন এডিকশান।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: ভালো আইডিয়া !!
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমিও।
১০| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জেমস'এর এই গানটি আগেও অনেক শুনেছি কিন্তু গানটির গভীরতা যে এত বেশি তা আগে কখনো খেয়াল করিনি।
১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নস্টালজিয়া একটা গান।
১১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো করছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
৫২৮৬। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ কালো জিরা ’সাম’ ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ। ইবনু শিহাব বলেছেনঃ আর ’সাম’ অর্থ হল মৃত্যু। আর কালো জিরা ’শূনীয’ কে বলা হয়।