![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
৬: আর যারা সত্যকে অস্বীকার করেছে, (হে নবী!) তাদের তুমি যতই সতর্ক করো না কেন, তারা কখনো বিশ্বাস করবে না। ৭: আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন, কানকে করেছেন বধির আর চোখ ঢেকে দিয়েছেন পর্ষায়। ওদের জন্যে অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
৮-১০: আবার কিছু মানুষ মুখে বলে, আমরা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী। কিন্তু ওরা আদৌ বিশ্বাসী নয়। ওরা আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের ঠকাতে চায়। আসলে ওরা নিজেদেরই ঠকাচ্ছে, যদিও ওরা তা বোঝে না। ওদের অন্তর রোগগ্রস্ত কলুষিত আর আল্লাহ ওদের এই রোগ ক্রমান্বয়ে জটিল করে দেন। ক্রমাগত মিথ্যাচার (ও ভন্ডামির) পরিনামে ওদের জন্যেও অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।
১১-১৩: ওদের যখন বলা হয়, "পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না", ওরা বলে, "আমরাই তো শান্তি বজায় রাখছি।" সাবধান! ওরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু ওরা তা বোঝে না। যখন ওদের বলা হয়, "সত্যিকার বিশ্বাসীদের মতো তোমরাও বিশ্বাসী হও", তখন ওরা বলে, "আমরা কি নির্বোধদের মতো বিশ্বাস স্থাপন করব?" সাবধান! আসলে ওরাই নির্বোধ। কিন্তু ওরা তা বোঝে না।
১৪: বিশ্বাসীদের কাছে এলে এই বিভ্রান্তরা বলে, "আমরা তো (তোমাদের মতোই) বিশ্বাসী।" আবার যখন দুরাচারীদের কাছে যায় তখন বলে, "আসলে আমরা তো তোমাদের সাথেই রয়েছি। বিশ্বাসীদের সাথে তো শুধু তামাশা করি।"
১৫-১৬: আল্লাহ ওদের তামাশার প্রতিফল দেবেন। তিনি কিছু সময়ের জন্যে ছাড় দিয়ে রেখেছেন, যাতে ওরা ওদের অহমিকা, অবাধ্যতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে ঘুরপাক খেতে পারে। ওরা নিজেরাই হেদায়েতের সহজসরল পথের বিনিময়ে বিভ্রান্তির পথ বেছে নিয়েছে। এই বিনিময় ওদের জন্যে লাভজনক হয়নি। বরং ওরা বিভ্রান্তির বৃত্তে আটকে গেছে। ওরা আসলেই পথ হারিয়েছে।
১৭-১৮: ওদের উপমা হচ্ছে এমন জনতার, যারা আগুন জ্বালাল। আগুনে চারপাশ আলোকিত হওয়ার পরই আল্লাহ সে আলো সরিয়ে নিলেন। ওরা ঘোর অন্ধকারে ডুবে গেল। অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখার থাকল না। ওরা বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং ওরা অন্ধকারেই ঘুরপাক খাবে। আলোয় ফিরে আসতে পারবে না।
১৯-২০: অথবা ওদের উপমা হচ্ছে এমন যে, ঘোর অন্ধকারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে; এর সাথে বজ্রের গর্জন আর বিদ্যতের চমক। বজ্রের গর্জনে মৃত্যভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওরা কানে আঙুল দিয়ে রাখে। আল্লাহ সত্য অস্বীকারকারীদের এক বৃত্তে আবদ্ধ করে রেখেছেন। বিদ্যুতের ঝলকানিতে ওদের দৃষ্টিশক্তি আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আবার বিদ্যুতের আলোয় যখন হঠাৎ সামনের কিছুটা দেখতে পায়, তখন ওরা এগোতে থাকে। আবার যখন ঘোর অন্ধকার চারপাশ ছেয়ে ফেলে, তখন ওরা থমকে দাঁড়ায়। আল্লাহ ইচ্ছে করলে ওদের শ্রবন ও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নিতে পারতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
[আল কোরআন; সুরা বাকারা:২; আয়াত ৬-২০]
[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]
১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
গ্রীনলাভার বলেছেন: আল কোরআন সুরা বাকারা এর রুকু ২ এর অনুবাদ।
২| ১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
মাহিরাহি বলেছেন: অনুবাদের লিংক দিলে ভাল হয়।
১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
গ্রীনলাভার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। সুত্র না উল্লেখ করাটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।
৩| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সকাল বেলা পোষ্ট টি পড়ে কেমন মনটা শান্ত হয়ে গেল।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভালোই লিখেছেন । সূরার অনুবাদ হয়তো