![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কাজেই সেরা হতে চেষ্টা করি ।
জিন ও শয়তান নির্জন জায়গা, পুরোনো ভাঙ্গা বিল্ডিং বা স্থাপত্য, নোংরা জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে।
অনেক সময় মানুষের লোকালয়ে বা বাসা-বাড়িতেও থাকতে পারে।
মানুষের বাসাবাড়ির যে জায়গায় জিনেরা থাকতে সবচাইতে বেশি পছন্দ করে, সেটা হলো টয়লেট বা বাথরুম। কারণ সেখানে আল্লাহর কোনো নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেহেতু অধিকাংশ জিনেরা হচ্ছে কাফির, সেইজন্য এইরকম অপবিত্র জায়গা যেখানে আল্লাহর নাম নেয়া হয় না, সেখানে থাকতে পছন্দ করে। ঈমানদারগণ ঠিক এর বিপরীত, যারা পবিত্র জায়গা ও যেখানে আল্লাহর নাম সবচাইতে বেশি নেয়া হয় অর্থাৎ মসজিদে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ অনুভব করে।
এই কারণে রাসুলুল্লাহ (সা: ) বাথরুমে প্রবেশ করার আগে জিনের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। কারণ, সেখানে চান্স বেশী থাকে শয়তান কারো ভেতর ঢুকে পড়ে তাকে শারিরীক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার। আমাদের উচিত সবসময় এই দুয়াগুলো পড়া, কারণ বাথরুমে জিন থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর দুয়া না পড়ে গেলে প্রত্যেকবার সম্ভাবনা থাকবে জিনের আসর করার।
যেই দুয়া পড়তে হবে বাথরুমে যাওয়ার আগে,
"বিসমিল্লাহ" .
কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে বাথরুমে প্রবেশ করে তাহলে শয়তান তাকে আর দেখতে পারে না, যেমনটা আমরা তাদেরকে দেখতে পাই না (তিরমিযীর এক হাদীসে এই কথা বলা হয়েছে) .
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আ'উযুবিকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবাঈসি" .
হে আল্লাহ, আমি অপবিত্র পুরুষ জিন ও অপবিত্র নারী জিন থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
বি. দ্র. : বাথরুমে জিন থাকতে পারে, এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, যেমনটা অনেকেই রাতের বেলা ভয় পেয়ে থাকেন বিশেষ করে অল্প বয়সী ও নারীরা। জিনেরা আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি, তারা তাদের মতো জীবন যাপন করছে, আমরা আমাদের মতো জীবন যাপন করছি। আমরা যদি সুন্নাহ মেনে জীবন যাপন করি, জিন ও শয়তানের বিরুদ্ধে যে দুয়াগুলো রাসূলুল্লাহ (সা: ) পড়তেন সেইগুলো পড়ি তাহলে শয়তান আমাদের ক্ষতি করাতো দূরের কথা, তাকানোরই সাহস পর্যন্ত পাবে না, বি ইজনিল্লাহি তাআ'লা।
©somewhere in net ltd.