নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরবতা

উজ্জল দাস

I am a simple man.

উজ্জল দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেকদাদ চৌধুরী ও “শতাব্দীর দুই দিগন্ত”

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫০

খালেকদাদ চৌধুরী, যিনি বিষয়ের নতুন বিন্যাসে এবং শিল্পের মোহন মন্ত্রে আমাদেরকে মুগ্ধ করেছেন।
খালেকদাদ চৌধুরী, যিনি জীবন-সত্যের উপলব্ধিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে বার বারই নান্দনিক সৌকর্যের বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে তাঁর সাহিত্যকর্মে।


ছবি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে।

আমার বাবা, নীলুদাস। যিনি ষাট দশকের গল্পকার নীলুদাস হিসেবেই পরিচিত। বাবার কাছেই প্রথম জেনেছিলাম খালেকদাদ চৌধুরীকে। আমি তখন প্রাইমারী ছাত্র। সম্ভবতঃ নেত্রকোণা পাবলিক হলে খালেকদাদ চৌধুরীর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে বাবা আলোচনা করছিলেন, যা আমি মনোযোগ সহকারে শুনেছিলাম। আমি অবশ্য তখনও সাহিত্য কি তা সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। এখনও যে খুব বুঝি এমনটা নয়। তবে সেদিন অন্ততঃ এইটুকু বুঝেছিলাম যে , খালেকদাদ চৌধুরী ছিলেন একজন গুনী সাহিত্যিক, নেত্রকোণার দর্পণ।

বারভূঞা আমলে গাজীদের অন্যতম বংশাতিবংশ খালেকদাদ চৌধুরী জন্মেছেন ১৯০৭ সনে ২ ফেব্রুয়ারি, নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চানগাঁও গ্রামে তাঁর নানার বাড়িতে। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার সোনাজোড় গ্রামে। তার পিতার নাম নওয়াব আলী চৌধুরী এবং মাতা নজমুননেছা চৌধুরী। তবে জন্ম তারিখ এর নির্ভুলতা নিয়ে খালেকদাদ চৌধুরী নিজেই অনিশ্চিত ছিলেন। তিনি লিখেছেন, “ ১৯০৭ সনের দুসরা ফেব্রুয়ারি আমার জন্ম। এ সত্বেও আজ আমার কততম জন্মদিন, তা সঠিক বলতে পারি না। তিয়াত্তরও হতে পারে আবার পঁচাত্তরও হতে পারে । পল্লী অঞ্চলে জন্ম । আমার যখন জন্ম সে সময় সেকালে তো নয়ই একালে ও কারো জন্ম তারিখ বা দিন লিখে রাখা হয় না । কদাচিৎ লিখে রাখলেও হয় তা হারিয়ে যায় , নয়তো নষ্ট হয়ে যায়। তা কেউ স্মরণ রাখার প্রয়োজন বোধ করে না । সেকালের কোনো স্মরণীয় ঘটনাকে অবলম্বন করে পরবর্তী সময়ে লোকের বয়স নির্ণয় করা হত । কারো হয়তো ১২৯৮ সনের ভূমিকম্পের দুই বছর আগে বা পরে কারো বা ১২২৬ সনের বানের সময় আগে বা পরে জন্ম । এসব ঘটনা উল্লেখ করে বয়স নির্ণয় করা হয়ে থাকে । কারো জন্মতারিখ বা দিন তাই সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না । কার কতো বয়স হয়েছে তাই শুধু কোনো রকমে উল্লেখ করে সাধারণত বয়স নির্ণয় করা হয় । তাছাড়া আরেকটা ব্যাপার বয়স সঠিকভাবে নির্ধারণের পক্ষে অন্তরায় । এটা মনস্তাত্ত্বিক । চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত কারো বয়স জিজ্ঞেস করলে তা কমিয়ে বলা আবার এরপর থেকে বাড়িয়ে বলার প্রবণতা অত্যন্ত প্রকট ।
নিজের বয়স সম্বন্ধে যখন সঠিক ভাবে বলতে পারি না তখন এ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই বলে এতোকাল ধারণা করে বসেছিলাম।”

মাধ্যমিক স্কুলে অধ্যায়নকালেই খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য চর্চার প্রতি আকৃষ্ট হন। বিভিন্ন ধরনের বই, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন্যাস পড়তে শুরু করেন। স্কুলে প্রবাসী, ভারতবর্ষ, সৌরভ, পল্লী শ্রী প্রভৃতি মাসিক পত্রিকা আসতো। সেগুলো বাসায় নিয়ে পড়তেন। এবং সেই সময় থেকেই কিছু কিছু কবিতা এবং ছোট গল্প লিখা শুরু করেন। ১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত “বিকাশ” নামক একটি পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশ পায়। পত্রিকাটির প্রকাশক ছিলেন পূর্ণ চন্দ্র বিশ্বাস ও সহকারী সম্পাদক ছিলেন বন্দে আলী মিয়া।
কলেজে অধ্যয়নকালে (ইংরেজীতে অনার্স) পাঠ্য তালিকাভূক্ত ইংরেজী সাহিত্যের ইতিহাস সম্বন্ধে পড়াশুনা করার সুবাদে ইউরোপের অন্যান্য ভাষার ইতিহাস পড়ার আগ্রহ জন্মে তাঁর মনে। “বিশ্ব সাহিত্য পরিচয়” প্রবন্ধে যার ছাপ পাওয়া যায়।

একজন সৃজনশীল ও বৈচিত্রসন্ধানী মানুষ শুধুমাত্র একটি বৃত্তের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে কখনোই পছন্দ করেন না। খালেকদাদ চৌধুরীও সাহিত্যের একটি ক্ষেত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক।

খালেকদাদ চৌধুরীর রচনাবলীঃ
উপন্যাস
চাঁদ বেগের গড়
রক্তাক্ত অধ্যায় (গড় শঙ্করী)
একটি আত্মার অপমৃত্যু
এ মাটি রক্তে রাঙ্গা
অভিশপ্ত মসনদ

অনুবাদ
মরু সাহারায়
বাহারী স্থান-ই গায়বী
আলবকর দ্বীপ
বেদুঈনের মেয়ে

অন্যান্য রচনাবলী
গল্প সংগ্রহ
সাপমারির অভিশাপ
বহ্নিশিখা
বিশ্বসাহিত্য পরিচয় ও অন্যান্য প্রবন্ধ

শতাব্দীর দুই দিগন্ত

সংখ্যার দিক থেকে যদিও খুব বেশি রচনাবলীর স্রষ্টা তিনি নন, তবুও বিষয়ের ভিন্নতার দিকে তাঁর দৃষ্টি ছিল বরাবরই প্রসারিত। রূঢ় ও নিখাদ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটেই জীবনকে আস্বাদ ও উপস্থাপন করবার প্রয়াস পেয়েছেন খালেকদাদ চৌধুরী। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – “শতাব্দীর দুই দিগন্ত”। এটি একটি আত্মজীবনীমূলক রচনা। খালেকদাদ চৌধুরীর জীবন থেকে বুদবুদের মতো হারিয়ে যাওয়া যে মুহূর্ত বা খণ্ডাংশগুলো অনেকসময় অত্যন্ত তুচ্ছ মনে হয়েছে সেই মুহূর্তগুলোই শেষ জীবনে তাঁর কলমে অসাধারণ দ্যুতি পেয়েছে। জীবনের অজস্র আলো-অন্ধকারময় মুহূর্তের মধ্য থেকে তিনি নির্বাচন করেছেন সেই তাৎপর্যময় অংশটুকু , যেখানে আনন্দের স্নিগ্ধতা অথবা বেদনার বিহবলতা থমকে থাকে কিছুক্ষণের জন্য। আর সেই মুহূর্তগুলোকে খালেকদাদ চৌধুরী মেলে ধরেছেন অনিঃশেষ মমতায় দ্রবীভূত করে। সর্বোপরি, দুই বাংলায় লেখকের বেড়ে উঠা, তখনকার সময়ের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অবস্থা এবং নিজ পরিবারের গল্প নিয়েই তিনি লিখেছেন “শতাব্দীর দুই দিগন্ত”। এটি শুধু স্মৃতির বর্ণনা নয়, এতে রয়েছে প্রায় একটি শতাব্দীর ইতিহাস।

আত্মজীবনী প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে হুমায়ুন আজাদ তাঁর সীমাবদ্ধতার সূত্র প্রবন্ধে বলেছিলেন, “আত্মজীবনী এক ধরনের উপন্যাস, এক ধরনের রিমেমব্রান্স অফ থিংজ পাস্ট”। তিনি আত্মজীবনীকে আত্মজৈবনিক উপন্যাস হিসেবে মূল্যায়ন করেছিলেন। একটি আত্মজীবনী যদি সুলিখিত এবং গ্রহনযোগ্য হয়, তবে এটি সফল একটি উপন্যাসের জায়গা দখল করতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
বিখ্যাত ইংরেজ কবি-সমালোচক-নাট্যকার ড্রাইডেন বায়োগ্রাফি বা জীবনীর স্বরূপ চিহ্নিত করতে গিয়ে একে “বিশেষ মানুষের জীবনের ইতিহাস” বলে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। বোধ করি এটিই বায়োগ্রাফির গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা। “বিশেষ মানুষের” জীবনের ইতিহাস হিসেবে যখন আত্মজীবনী গ্রন্থটি বাক্যবন্দি হয়, তখন কে’ বা কার দ্বারা এ-ধরনের গ্রন্থ লিখিত হবে সেটি নির্দিষ্ট হয়ে যায়।ইংরেজি ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী রচিত হয় চতুর্থ খ্রিষ্টাব্ধে। সেন্ট অগাস্টিনের-“কনফেশন্স।”বাংলা ভাষায় প্রথম আত্মজীবনী " বিদ্যাসাগর চরিত " , বিদ্যাসাগর।

খালেকদাদ চৌধুরী কেন আত্মজীবনী (“শতাব্দীর দুই দিগন্ত”) লিখেছিলেন? এর উত্তরও তাঁর আত্মজীবনীতে প্রকাশ আছে। তিনি লিখেছেন,-
“ইদানিং বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ী সবাই তাগিদ দিচ্ছেন জীবন কথা বা স্মৃতি কথা লিখে রাখতে। প্রথম প্রথম সে কথায় কান দেইনি বা গুরুত্ব আরোপ করিনি। কারণ আমার মতো নগণ্য অখ্যাত লোকের জীবন কথা বা স্মৃতিকথা লেখার মূল্য কি? এটাতো বড় বড় বিখ্যাত লোকদের ব্যাপার। কিন্তু সাহিত্যিক ও শুভানুধ্যায়ী বন্ধুরা বলেন ভিন্ন কথা। কারো কারো বক্তব্য “তা লিখে না গেলে একটা কালের বা শতাব্দীর প্রায় অনেক কিছুই নাকি অজ্ঞাত থেকে যাবে।"
তাই দীর্ঘ দু'বছর ভাবনাচিন্তা করে দেখলাম হোক না অকিঞ্চিৎকর হোক না সামান্য তবুওতো ছাই ভস্মের মধ্যেও মূল্যবান কিছু অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকতে পারে। এই দীর্ঘকালের অর্থাৎ বর্তমান শতাব্দীর অধিকাংশ সময় যার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলো আমার জীবন তা লিখতে গিয়ে এমন সব ঘটনার সন্ধান পাওয়া যাবে যা পরবর্তীকালে গবেষক বা জ্ঞানী গুনীদের কাছে মূল্যবান বলে প্রমাণিত হবে। তাই তাদের নির্দেশ পালনের জন্য আজ থেকে সচেষ্ট হচ্ছি।”


ছবি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে।

খালেকদাদ চৌধুরী যথার্থ বলেছিলেন। সত্যি তাঁর আত্মজীবনী গবেষক বা জ্ঞানী গুনীদের কাছে মূল্যবান। এ সম্বন্ধে কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন,- “খালেকদাদ চৌধুরী রচিত শতাব্দীর দুই দিগন্তে তার পারিবারিক জীবনের উত্থান পতন ও ভাঙনের ছবি একটি আমল বিশ্বস্ততার সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে, তেমনি বিশ্বস্ততার সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে বঙ্গদেশের উত্থান-পতন ও ভাঙ্গনের ছবি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ , টংক বিদ্রোহ, নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত সারা ভারত কৃষক সম্মেলন , ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন , আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন , ছয় দফা আন্দোলন, সত্তর এর নির্বাচন , সবশেষে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ -সবই তাঁর আত্মজীবনীতে বিশ্বস্ততার সঙ্গে মুদ্রিত হয়েছে।
তিনি মনে হয় এই গ্রন্থটি রচনার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন খুবই সচেতনভাবে । তা না হলে কোথায় কলিকাতা আর কোথায় সুসঙ্গ-দুর্গাপুর, স্থান-কাল-পাত্রের বিপুল ব্যবধানে ও তার ধ্যান ভঙ্গ হয়নি কোথাও। সর্বত্রই তার কাছ থেকে আমরা ঘটনার বিশ্বস্ত বর্ণনা পাই। দিন, তারিখ ও নাম-ঠিকানাসহ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে মাতাল সময়কে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রাখা কি শুধুই স্মৃতি থেকে সম্ভব?
পরবর্তী প্রজন্মের প্রয়োজনের কথা ভেবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই গ্রন্থটি লিখে রেখে যাওয়ার জন্য আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার বিশ্বাস "শতাব্দী দুই দিগন্ত" উভয় বাংলার অতীত সন্ধানী অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কাজে আসবে।”

খালেকদাদ চৌধুরী তাঁর আত্মজীবনীতে মূলতঃ উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত সময়ের চিত্র এঁকেছেন নিপূন হাতে।প্রকাশিকা শিরীন আহমেদ “শতাব্দীর দুই দিগন্ত” গ্রন্থটির প্রকাশকের কথায় লিখেছেন,-
“শতাব্দীর সাক্ষী খালেকদাদ চৌধুরী । বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ মহান মানুষটির অনেক রচনাই় এখনো অপ্রকাশিত। তবে তার মধ্যে অন্যতম ছিল শতাব্দীর দুই দিগন্ত। এই শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত সময়ের স্রোত কে তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন অত্যন্ত সচেতনভাবে । সমাজ সংস্কৃতি বিবর্তনসহ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন সম্পর্কে বিশ্বস্ত ও বস্তুনিষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন এই গ্রন্থে। শতাব্দীর দুই দিগন্ত গ্রন্থটি তার আত্মজীবনীমূলক রচনা। নেত্রকোনার কে ঘিরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি নেত্রকোনায় বৃত্তাবদ্ধ থাকেননি । ব্যক্তি জীবনের কথা বলতে গিয়ে তিনি আমাদের সমাজের ছবিই এঁকেছেন।”


আপনি কি উভয় বাংলার অতীত সন্ধানী? তাহলে প্রবেশ করুন খালেকদাদ চৌধুরীর শতাব্দীর দুই দিগন্তে।


(বিঃদ্রঃ ভাষা ও সাহিত্যে এবছর একুশে পদক (মরণোত্তর) পেয়েছেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক খালেকদাদ চৌধুরী।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপনার রিভিও পড়ে বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে। ভাবছি কিনে ফেলবো। আচ্ছা এটা বলবেন কি উনি কি কোন দলের মানে বলতে চাচ্ছি আওয়ামী লীগ পন্থী ছিলেন? তাহলে কিনব না। সত্যই নিরপেক্ষ হলে পড়ব।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২

উজ্জল দাস বলেছেন: শুভ কামনা

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: মোগল সেনাপতি মীর্জা নাথান (আলাউদ্দিন ইস্পাহানী) রচিত 'বাহারীস্তান-ই-গায়বী' বইটি ফারসি থেকে ইংরেজি অনুবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম ইসলাম বোরা। এতে ১৬০৮ থেকে ১৬২৪ সাল পর্যন্ত বাংলা, বিহার, কোচ বিহার ও কামরূপ রাজ্যের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি অনূদিত বইটি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ করা যায়নি।এটা ছাপা হয় ১৯৩৬ সালে আসাম সরকারের অর্থানুকূল্যে। খালেকদাদ চৌধুরী ড.বোরার ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। এটাও বাংলাদেশ থেকে নয় কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় (সোপান পাবলিশার্স)। পরে দিব্যপ্রকাশ এটি বাংলাদেশে প্রকাশ করে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

উজ্জল দাস বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.