নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে নিজেদের ঠিক করুন স্যার...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের নোংরা কলুষিত রাজনীতি নিয়ে লিখেছিলাম "অন্ধকারের মানুষ" উপন্যাসটি। গ্রাম থেকে সহজ সরল একটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে কিভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। কিভাবে একজন শিক্ষক তার হীন স্বার্থে একের পর এক তাকে ব্যবহার করে যান।

শিক্ষকদের প্ররোচনায় একদিন সে একটা খুন করে বসে। সেই খুনের জন্য একসময় খুব মর্মান্তিকভাবে তার ফাঁসি হয়। যে ফাঁসির বর্ণনা লিখতে গিয়ে কেঁদে ছিলাম আমি নিজেও।

আমি লিখেছিলাম, কিভাবে একজন ভিসি তার গদি ধরে রাখার জন্য নানান কুুট কৌশল অবলম্বন করে। এবং সেই ভিসি কে একজন "বিচি" বলে গালি দেয়।

লিখেছিলাম, কিভাবে একজন মা তার সন্তানের শোকে পাগল হয়ে মারা যান।

আরো লিখেছিলাম, কিভাবে কিছু মেয়েকে নোংরা রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়।

আমার একজন শিক্ষক একদিন লেখাটি পড়ে আমাকে বললেন, "ওয়েল ডান বয়!" তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, শিক্ষকদের রাজনীতি নিয়ে আমার লেখায় যেটুকু উঠে এসেছে, তার চেয়ে অনেক জঘন্য ও ঘৃণ্য ঘটনাও ঘটে শিক্ষক রাজনীতিতে।

এর আগে ২০০৫ সালে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে উত্তমপুরুষে লিখেছিলাম "রঙিন ফানুস"। আমি যা দেখেছি, খুব সাদামাটাভাবে তাই লিখেছি এ উপন্যাসে।

গতকাল জাফর ইকবাল স্যারদের সাথে যেটা ঘটেছে, সেটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তাদের নোংরা রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা মাত্র। একদল শিক্ষার্থী গতকাল তাদের লাঞ্চিত করেছে। ঠিক তাদের মতোই আরেকদল শিক্ষার্থী আরেকদিন ভিসির শার্টের কলার টেনে ছিড়বে। এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

আগে নিজেদের ঠিক করুন। তারপর দেখবেন, সবই ঠিক হয়ে গেছে স্যার।




মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ছেলে মেয়েরা ভার্সিটিতে ঢুকে ১৮-১৯ বছর বয়সে। এই বয়সে চিন্তাভাবনা কতজনেরই পূর্নতাপায়? আবেগ, ক্ষমতার মোহ, ভাব নেয়া এসবই বেশি খেলা করে। ছাত্ররাজনিতির নামে যদি এসবও শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে যায় তবে এর খারাপ প্রভাবই বেশি পরে যেটা বিগত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখছি। রাজনোইতিক আন্দোলনের হাতিয়ার হয় এইসব উহতি বয়সের ছেলেমেয়ের। আবার এদের নেতা হিসেবে দেখা যায় টাক পরা মাথার বুড়াভামদের। উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোকনা কেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি থাকা ঠিক না। রাজনীতি কেউ করলে শিক্ষাঙ্গনের বাইরে গিয়ে করুক। রাজনীতির মারপ্যাচে পরে সাধারন ছাতরাই ভুগে, সেশন পেছায়, সময় নস্ট হয়, বহু ছেলে অকালে ঝরে যায়। শাহজালালের ঘটনা সারা বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতির একটা স্যাম্পলমাত্র। উনার লজ্জা পাওয়ার কিছুই নাই, পেলে আগেও পাওয়া উচিত ছিলো যখন অন্য আরো অনেক জায়গায় একই ঘটনা ঘটছিলো। নিজের গায়ে আঘাত না আসা পর্যন্ত আমরা বুঝিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.