![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
নব্বই'র গোড়ার দিকে একজন নারী এনজিও কর্মী জিন্স প্যান্ট পরে একটি সিডি ৮০ মটর সাইকেল চালিয়ে আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে সকালে থানা সদরে অফিস করতে যেতেন। আবার বিকেলে একই পথে ফিরে আসতেন।
তার যাবার সময় সব বয়সি নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোররা হৈ হৈ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতো। তাকে দেখার জন্য।
বিভিন্নজন বিভিন্ন টিপ্পনি কাটতো। আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলতো, "দেখ দেখ টেডি পড়া মাইয়্যা হুন্ডা চালাইয়া যায়!"
টেডি মানে জিন্স প্যান্ট।
বিকেল বেলা নির্দিষ্ট সময়ে আবার সবাই দাঁড়িয়ে থাকতো। তাকে দেখার জন্য। ঐ নারী কখনোই কিছু বলতেন না। তিনি স্বাভাবিকভাবেই তার কর্মস্থলে যাতায়াত করতেন।
গত পরশু একজন নারীকে দেখলাম স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পেছনে একজন পুরুষ বসা। হয়তো অফিসে যাচ্ছেন। তা দেখে নব্বই'র দশকের গোড়ার মতো কিছু মানুষ হা করে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ টিপ্পনিও মারছে।
একজন বলল, "জামানা উল্টাইয়া গেছে গা।"
গতবছর যখন ইন্দোনেশিয়ার বালি ভ্রমণে গেলাম। দেখলাম, সেখানে সকাল বেলা সারি সারি স্কুটিতে চড়ে মেয়েরা যার যার কর্মস্থলে যাচ্ছ। আবার বিকেলে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছে। তাদের অনেকেই স্বামী, ভাই কিংবা সহকর্মীকে পেছনে বসিয়ে স্কুটি চালাচ্ছেন। কেউ কারো দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। প্রত্যেকে যার যার মতো পথ চলছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা 'মধ্যম আয়ের দেশ' কিংবা যা-ই বলি না কেন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি সে কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু মানসিকতা কিংবা দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে আমরা একটুও কি এগিয়েছি?
আমার তো মনে হয়, এদিক থেকে আমরা সেই ২৫ বছর পেছনেই রয়ে গেছি...
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের মেয়েদের কাছে স্কুটি কেনার পয়সা নেই, না হয়, আপনিও পেছনের সীটে বসার সুযোগ পেতেন।