নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
শেষ রাত থেকে আকাশটা একটু একটু কাঁদতে শুরু করেছে। বেলা এগারোটা-সাড়ে এগারোটার দিকে সেই কান্না গগণ বিদারী কান্নায় রূপ নিল যেন। মুষুলধারার ঝুম বৃষ্টিতে কিছু সময়ের ভেতরই তলিয়ে গেল সব।
দুপুরের পর পর বারান্দার গ্রিলের সাথে কপাল ঠেকিয়ে দূর দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আছে শফিক। একটু আগেই অফিস থেকে তার বাবা ফোন দিয়ে ছিলেন।
বেশ কিছুক্ষণ রিং বাজার পর কাঁপা হাতে মোবাইলটা নিয়ে রিসিভ করলো শফিক।
"হ্যালো বাবা"
"সেই কখন থেইকা ফোন দিতাছি ধরছ না ক্যান?"
গভীর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো শফিক। তারপর বলল, "একটু দূরে ছিলাম। টের পাই নি।"
"একটু আগে খবর পেলাম, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিছে। কই কিছুই তো জানাইলি না। এদিকে অফিসের সবাই আমার কাছে তোর খবর জানতে চাচ্ছে।"
মুহূর্তে চোখ দুটো জলে ভরে এলো শফিকের। কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে আছে সে।
"কি রে চুপ করে আছস ক্যান?"
"বাবা আমার হয় নি। আমি টিকিনি বাবা।" কান্নাভেজা কণ্ঠে বলল শফিক।
"অ.......পরীক্ষা তো ভালোই দিয়ে ছিলি শুনলাম। তাহলে...." বলে খানিক চুপ করে থেকে লাইনটা কেটে দিলেন শফিকের বাবা। চোখ দুটো জ্বালা করে উঠলো তার। পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছতে লাগলেন তিনি।
শফিক দাঁড়েয়ে আছে। জানালার গ্রিলে কপাল ঠেকিয়ে দাঁড়েয়ে আছে সে। দু চোখের কোণ বেয়ে নিঃশব্দে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ছে তার। তার বাবার অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন অর্থের বিনিময় কিনে নিয়েছে কিছু মানুষ....।
এ দেশে শফিকদের কিংবা তার বাবাদের স্বপ্ন দেখতে নেই.....
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে শফিকদের স্বপ্ন দেখার কোনো অধিকারই নেই।