![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
রাতে বাসায় ফিরে দেখা যায়, হয়তো ঘরময় পায়চারি করছেন ছেলের অপেক্ষায়। নতুবা একটু আগেই ক্লান্ত দেহখানা বিছানায় এলিয়ে দিয়েছেন।
দরজায় বেলের শব্দ পেলেই রুমের ভেতর থেকে মায়ের মায়াভরা প্রিয় কণ্ঠস্বর শোনা যায়, "কি রে এত রাত হইলো কেন?"
কে এসেছে সে কথা জিজ্ঞেস করার দরকার পড়ে না মায়েদের। মায়েরা বুঝতে পারেন। কে এসেছে। কলিং বেলের শব্দ শুনেই মায়েরা ধরতে পারেন তার ছেলে এসেছে কিংবা মেয়ে এসেছে।
এটা বিধাতা প্রদত্ত মায়েদের বিশেষ ক্ষমতা।
"এত রাত করলি কেন বাজান?"
"একটু কাজ ছিল। তাই দেরি হয়ে গেল।"
তারপর বিছানা ছেড়ে ওঠে ছেলের জন্য ভাত তরকারি গরম করবেন। কোথাও আলাদা করে লুকিয়ে রাখা তরকারিটা টেনে আনবেন। ছেলের বয়স হয়েছে। বউ রয়েছে। তারপরও মায়েরা নিজ হাতে ছেলের ভাতটা তরকারিটা গরম না করলে যেন শান্তি পান না। রাতে ভালো ঘুম হয় না তাদের...।
কোন দিন যদি অসুস্থ জনিত কারণে। কিংবা ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ নিয়ে একটু আগে ঘুমিয়ে যাওয়ায় এ কাজটি করতে না পারেন। তবে পরের দিন বলবেন, "আহা রে পোলাডায় রাত্রে কি দিয়া জানি খাইছে।"
একবার নয়। বার বার বলবেন এই কথা। বার বার বলাতেই যেন কিছুটা সুখ মায়েদের.....।
মায়েরা চিরকাল এমনটিই হয়ে থাকেন।
আমার শতবর্ষী দাদিজানকে দেখি একটু পর পর বালিশ থেকে মাথা তুলে দরজা দিয়ে রুমের বাইরে তাকান।
জানতে চাই, "দাদি কি দেখেন এইভাবে?"
দাদিজান বলেন, "দেখি, তোর বাপে আইছে নি। রাইত তো কম হইলো নাহ।"
তারপর দাদি জান জানতে চান, "কয় ঘড়ি (কয়টা) বাজে রে?"
"দশ ঘড়ি(দশ টা) বাজে। আপনে ঘুমান।"
"ফোন দিয়া দ্যাখ কই আছে। কতো রাইত হইছে..। এত রাইত বাইরে কি করে?"
আব্বা না ফেরা পর্যন্ত দাদি জানের চোখে ঘুম নামে না। ওয়াকারে ভর দিয়ে দিয়ে পায়চারি করতে থাকেন। পায়চারি করতে করতেই তার ছেলের জন্য রাতে কি কি তরকারি রান্না হইছে কিংবা কালিজিরার ভর্তাটা বাটা হইছে কিনা সেই খবর নেন।
মায়েরা চিরকাল এমনই হন। এটাই মায়েদের ধর্ম...।
দরজা খোলার পর আমি জিজ্ঞেস করি, "মা কোথায়?" আমার বাবাও দরজা খোলার পর সবার প্রথম জিজ্ঞেস করেন, "মা কোথায়? মা? মা'র শরীর ঠিক আছে তো?"
সব সন্তানের কাছেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধন "মা।" শ্রেষ্ঠ সুন্দর মুখ মায়ের মুখ। মায়ের চে আপন কেহ সত্যিই এই পৃথিবীতে নাই। সত্যিই নাই.......।
এই পৃথিবীতে একমাত্র মায়েরাই কখনো অভিযোগ করেন না। শুধু নীরবে চেখের জল ফেলেন। আর দু'হাত তুলে সন্তানের জন্য দোয়া করেন.....।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
খোরশেদ আলম সৈকত বলেছেন: মনে হল আমার কথা গুলো কেউ লিখেছে .।