নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অফ" লাইনের অনেক কিছুই চিরতরে "অফ" হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে, সমাজ থেকে... সেদিকে হয়তো খেয়াল নেই কারোই...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

ফেলে আসা শৈশব আর কৈশরকে মঝে মাঝেই খুব মনে পড়ে।

সভ্যতার ক্রম বিকাশ আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে শৈশবের খেলাধূলা। এক সময় গ্রামীণ লোক সমাজের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধূলার মাধ্যমে অবসর সময় কাটাতো। আর সেই সব দুরন্তপনা জড়িয়ে থাকতো শৈশব আর কৈশরে। আজও আমাদের স্মৃতির মনি কোঠায় ঠাঁই হয়ে আছে আমাদের ফেলে আসা সেই সব দুর্দান্ত দুরন্তপনায় ঠাসা শৈশব- যার কথা ভেবে মাঝে মাঝে গভীর দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে বুকের গহীন থেকে।

গ্রামীণ খেলা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। এক সময় গ্রামীণ খেলাধূলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করত। বর্তমানে গ্রামীণ খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
কতো কতো খেলা যে খেলতাম আমরা। যার অনেকগুলোর নামই জানে না এখনকার শিশু কিশোররা।

সেদিন একজন "দাঁড়িয়াবান্ধা" খেলার নাম শুনে বলল, "এটি একটি বিশেষ খেলা, যা দড়ি দিয়ে বেঁধে খেলতে হয়!" শুনে অবাক হইনি মোটেও।

"গোল্লাছুট" এর নাম বললে অনেকে প্রথম আলোর "গোল্লাছুট" মনে করে। গোল্লাছুট যে অসাধারণ একটি শীতকালীন খেলা। ধান-কাটা জমিতে স্কুল ছুটির পর পরই শুরু হতো যে খেলা। যে খেলা খেলে হাত-পা ব্যথা করে সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফেরতাম। সেই গোল্লাছুট খেলার নামও জানে না আজ অনেক শিশু কিশোর।

‘ইচিং বিচিং’ একটি জনপ্রিয় শৈশবের খেলা। মূলত মেয়েদের খেলা হলেও, ছেলে-মেয়ে একসাথে মিলে খেলা হতো এটি। এছাড়া ছিল মাংস চুরি, ডাংগুলি, মোরগ লড়াই, হাডুডু, কানামাছি, বরফপানি, ছোঁয়া-ছুঁয়ি, সাতচাড়া, মার্বেল, টুকপালানতিস, নারকেলের পাতা দিয়ে চশমা ও ঘূর্ণি ফ্যান বানানো, বিমান কিংবা পাখিকে লক্ষ্য করে গুলাইল দিয়ে গুলতি মারা, ফটাস খেলা, বর্ষায় বিলের পানিতে ভেলায় চড়া, কাদা-জলে ফুটবল খেলাসহ আরো অনেক খেলা ছিল যার নাম আমি নিজেও ভুলে গেছি আজ।

স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় খেলা হতো, অঙ্ক দৌড়, বিস্কিট দৌড়, বস্তা দৌড়, বালিশ বদল, চেয়ার খেলা, হাড়িভাঙ্গা, গুপ্তধন উদ্ধার, গোলক নিক্ষেপ, লংজাম্প, হাইজাম্প, বেলুন ফুটা করা, দড়িলাফ, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ নানা ধরণে খেলা ছিল।

আজকাল স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার আসরগুলোও হারাতে বসেছে অনেকটাই।

একসময় আকাশে ঘুড়ি উড়তো অনেক। পলিথিন কিংবা কাগজ দিয়ে নিজেরা ঘুড়ি বানাতাম ইচ্ছা মতো। সুতোয় খুব যত্নকরে মাঞ্জা লাগতাম। কাটাকাটি খেলতাম।

আজ আর আকাশে রঙবেরঙের ঘুড়ির উড়াউড়ির দেখা মেলে না।

অনলাইনে থাকতে থাকতে অফলাইন জীবনের অনেক কিছুই চিরতরে "অফ" হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে, সমাজ থেকে... সেদিকে হয়তো খেয়াল নেই কারোই...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

দর্পণ বলেছেন: অনলাইনে থাকতে থাকতে অফলাইন জীবনের অনেক কিছুই চিরতরে "অফ" হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে, সমাজ থেকে... সেদিকে হয়তো খেয়াল নেই কারোই... কথা সত্য কিন্তু সভ্যতার ক্রমবিকাশ অনেক কিছুই কেড়ে নেয়, দেয়ও অনেক।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কিছুই তো করার নেই।সময় যখন যেমন।

আজকাল বাচ্চাদের সব খেলা ট্যাবেই সীমাবদ্ধ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

রুমেল আহমেদ বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কিছুই তো করার নেই।সময় যখন যেমন। আমিও সহমত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.