নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন ওএসডি?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

ব্যাংকের ভেতর ম্যানেজারের রুমে বসে কথা হচ্ছিলো একজন মানুষের সাথে। খানিকটা তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে বেশ মুগ্ধ হয়ে কথাগুলো শুনছিলাম আমি। জীবনের অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করছিলেন তিনি।

ভদ্রলোক একজন যুগ্ম সচিব। বর্তমানে জনপ্রশাসনের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি অবস্থায় আছেন।

আরেকটু অবাক হলাম যখন শুনলাম, বিএনপি জোট সরকারের আমলেও তিনি ওএসডি ছিলেন। সততার জন্য চাকরি জীবনে বদলি হয়েছেন ৪৪ বার।

তাঁর দোষ তিনি মন্ত্রণালয় কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের অন্যায় কাজে কখনো সহযোগিতা করেন নি। আপোষ করেন নি।

এক পর্যায়ে দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, "সরকার জনগণের টাকায় বসিয়ে বসিয়ে আমাকে বেতন দিচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র কিংবা জনগণের কোন কাজে আসতে পারছি না।"

একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের জানুয়ারি ও মে মাসে দুই দফা দাখিলকৃত তালিকা অনুযায়ী দেখা যায় যে, ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ওসডি কর্মকর্তা ছিলেন ১৬১৬ জন। এর ভেতর ১৯ জন সচিব ৮৮ জন অতিরক্তি সচিব।২৮০ জন যুগ্ম সচিব। ৮৭৮ জন উপসচিব, ২৪৪ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ১০৭ জন সহকারী সচিব। ওই সময় তাদের পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭০ টাকা।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ওএসডি ছিলেন ১৯৮৯জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১৩ জন সচিব, ১৬৬ জন অতিরিক্ত সচিব, ৪৯০ জন যুগ্ম সচিব, ৭৯০ জন উপসচিব, ৪৬০ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৭০ জন সহকারী সচিব। এই সময়ে তাঁদের পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে ১০৩ কোটি ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭ টাকা।

....অন্যান্য দেশে ওএসডি বা অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি শব্দটির যেই অর্থ, বাংলাদেশে সেই অর্থ বহন করে না। সেসব দেশের জনপ্রশাসনে কিছু কর্মকর্তার ওপর বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়; যাঁরা অন্য কর্মকর্তাদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে বিবেচিত। সরকারের প্রয়োজনে তাঁদের ওপর সেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আবার দায়িত্ব শেষে আগের পদে ফিরিয়ে আনা হয়।

....জনগনের টাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেবার কোন মানে হয় না। এটি তাঁদের জন্য অপমানজনকও বটে। সরকারি কর্মকর্তা শৃঙ্খলাবিরোধী কিছু করলে ওএসডি না করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে জনগন তাদের সেবা থেকে যেমন বঞ্চিত হবে না। তেমনি সরকারও বদনামের হাত থেকে বেঁচে যাবে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭

রাজীব বলেছেন: ওএসডি হইতে মন চায়।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসলেই কি তাই? ব্যাপারটা সম্পর্কে প্রথম জানলাম। ভেবে দেখার মতো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.