নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র ৮০ টাকার জন্য ছাত্রীর আত্মহত্যা

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৯

সারা শহরে একটা উৎসবের আমেজ ছিল আজ। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এসেছিলেন...। পুরো শহর তাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল সারাদিন। পুরো শহর বললে ভুল হবে। বলতে হবে পুরো দেশই ব্যস্ত ছিল এক রকম।

বাংলাদেশের উন্নয়নের দারুণ প্রশংসা করে দুই দু'বার টুইট করেছেন জনাব কেরি।

বাংলাদেশের আসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মতো তিনিও সন্তুষ্ট ও উচ্ছ্বাসিত..।

আমরা সবাই যখন জনাব কেরি সাহেবকে নিয়ে ব্যস্ত....। তার টুইট বার্তা নিয়ে আনন্দে অভিভূত,... ঠিক তখনই বুক ফাঁটা আর্তনাদে ফেঁটে পড়ছিলেন চাঁদপুরের মধ্য বাগাদী গ্রামের শায়লা বেগম।

তার চিৎকার ও কান্নার শব্দ ভারী করে তুলছিল বাগাদীর আকাশ-বাতাস। কেঁপে কেঁপে উঠছিলো কলা গাছের শুকনো পাতাগুলো। তাপ মরে আসছিল ভাদ্রের প্রখর রোদেরও...

পরীক্ষার ফি বাবদ বকেয়া থাকা মাত্র ৮০টি টাকার জন্য শিক্ষকের করা অপমান সহ্য করতে না পেরে সকালে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে শায়লা বেগমের ১৪ বছরের মেয়ে সাথী আক্তার।

বাগাদী গণি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সাথী আক্তার।

একদিন উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখড়ে পৌঁছবে এই দেশ। দেশে আরো অনেক অনেক উন্নয়ন হবে। আমাদের এই পোড়া শহর ফ্লাই ওভারে ওভারে ছেয়ে যাবে। প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর বিশাল আকারের সেতু হবে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। কুয়াকাটায় নতুন বন্দর হবে। নতুন এয়ারপোর্ট হবে। পূর্বাচলে একশ' তলা বিল্ডিং হবে। শহরের রাস্তাগুলোতে এয়ার কন্ডিশন বাস চলবে। মেট্র রেল হবে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-ভাতাদি বাড়বে....।

দেশ একদিন সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া হবে নিশ্চিত।

কিন্তু.... সাথী আক্তার আর ফিরে আসবে না.....। সে চলে গেছে ঐ আকাশে, আমাদের এই উন্নয়নের বুকে কষে একটা লাথি মেরে সে চলে গেছে চির তরে...

ভালো থাকিস সাথী। ভালো থাকিস বোন আমার....উন্নয়নের নিচে চাপা পড়া তোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি....


সাথী আক্তার

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মর্মান্তিক এ মৃত্যুর জন্য সহানুভুতি রইল
এধরনের ঘটনার জন্য দায় দায়ত্ব নিরোপন করা হোক ।

Bangladesh: Female Secondary School Assistance
Xiaoyan Liang Human Development Department, World Bank ________________________

Bangladesh's Female Secondary School Assistance Project (FSSAP) illustrates another
successful example of providing monetary incentives for girls to reduce the direct cost of
schooling and to encourage participation. Bangladesh's specific economic, cultural and religious
environment combines to depress demand for girls' education so that girls either never enroll in
school or withdraw earlier than boys. The situation worsens considerably at the post-primary level,
as the direct costs of schooling rise. The FSSAP was initiated in 1993 to address gender disparity
in secondary education. It aims to close the gender gap in secondary education and to raise
female status in the economy and society.

এরকম সহায়তা কর্মসূচী থাকার পরেও কেন এমনটা হল তা কতৃপক্ষ খতিয়ে দেখতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.