![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ুন মুঘল বংশের ২য় সম্রাট ছিলেন। বাবা বাবর এবং মা কেউই ভারতীয় ছিলেন না।
বাবরের মৃত্যুর পরে সম্রাট হতে গিয়ে জীবনের প্রায় পুরো সময়টাতে ভারতের তখনকার রাজা বা সম্রাটদের দাবরানিতে সারা ভারত পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
তিনি বাবরের ৩ স্ত্রী থেকে পাওয়া চার পুত্রের মধ্যে বড়জন। অন্য তিন ভাইয়ের একজন ডাকাতি করতে গিয়ে আরেকজন ডাকাত ভাইকে ভুল করে খুন করে। খুনি ভাই মনোকষ্টে হুমায়ুনের কাছে ধরা দিয়ে মক্কায় হজ করতে বাসনা করলে হুমায়ুন তাকে হজে পাঠান। হজে গিয়ে জাহাজ ডাকাতদের হতে মারা যায়।
বেঁচে থাকা ৩য় জনকে ধরে চোখ অন্ধ করে দিলে তিনিও মক্কায় হজ করতে যান।
পালিয়ে বেড়ানোর এক সময় রাজস্থানের মরুভূমিতে ছোট ভাইয়ের প্রমিকা হামিদাকে জোর করে বিয়ে করেন এবং মরুভূমির অমরকোট নামক স্থানের নিকটে "আকবর" নামে এক সন্তানের পিতা হন।
পলাতক অবস্থায় কাবুলে থাকতে ভারতের সম্রাট শের শাহ আলতরার ড্রাম বিষ্ফরোনের কারনে মারা যায় এবং শেরশাহের সন্তানেরা আত্ব কলহ করে মেঝ ছেলে ক্ষমতা দখল করলেও কয়েকদিন পরে অজ্ঞাত রোগে তিনিও মারা যান।
এমতাবস্থায় হুমায়ুন লাহোর হয়ে দিল্লীতে সম্রাট হিসাবে প্রবেশ করেন। সম্রাট থাকা অবস্থায় গ্রহ নক্ষত্রের উপর নির্ভর করায় তার প্রায় সেনাপতি গনই হতাশ হয়ে তাকে ত্যাগ করতে থাকে।
দিল্লীতে আসার পর বহুতলার ছাদে দাড়িয়ে আকাশ দেখার মুহুর্তে নীচ থেকে ডাক শুনে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে গায়ের চাদরে সিড়ির রেলিং আটকে গিয়ে গড়াতে গড়াতে নীচে পড়ে মারা যান, আকবরের বয়স তখন ১৩ বছর।
©somewhere in net ltd.