নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাঙ্গালি। বাংলা আমার ভাষা, নিভৃত আবাস ও অহংকার। বিঃ দ্রঃ- ব্লগে ছন্দ নামে দ্বন্দ্ব নাই।

কবি হাফেজ আহমেদ

অসাধারণ মানুষগুলো সাধারণ হয়, অতিসাধারণ মানুষগুলো মানুষ হ্য়, মানুষ হতে হলে সাধারণ হতে হয়। হাফেজ আহমেদ

কবি হাফেজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের হদিস নাই, হাদিস ছাড়া ইসলাম নাই।

০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব আল-জুহরি সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তার সংকলিত হাদীসগ্রন্থের কোনো হদিস বা সন্ধান পাওয়া যায়নি।

হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রামান্য হাদীসগ্রন্থ।

ইমাম মালিক মদিনা হতে হাদিস সংগ্রহ ও গবেষণা শুরু করেন। তিনি সর্বমোট এক লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেন এবং এসব হাদিসে তিনি সন্দেহ পোষণ করে শুরুতেই ৯০ হাজারেরও বেশি হাদিস বাদ করে দিলেন। বাকি দশ হাজারে ৪০ বছর গবেষণা করে উনি উনার "মুয়াত্তা" গ্রন্থে মাত্র ৫০০ টি হাদিসের যায়গা দিলেন।

ইমাম মালিকের এই গ্রন্থ প্রণয়নে প্রায় ৪০ বছর লেগে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বিশুদ্ধ হাদিসের খোঁজে যাচাই-বাছাই আর কাট-ছাট করে একেকটি হাদিসকে সুসংঘবদ্ধরুপে , সজ্জিত,নির্ভুল ও শৃঙ্খলিত করতে ব্যস্ত ছিলেন।

ইমাম সুয়ূতীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, যাছাই বাছাই শেষে, শেষ পর্যন্ত একলক্ষ হতে ৯৮ হাজারেরও বেশি হাদিস বাদ করে দিয়ে মুয়াত্তা গ্রন্থে মুহাম্মাদের সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিয়ীদের থেকে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা হল মাত্র ১৭২০টি। কিন্তু এ নিয়েও ছিলো ভিন্ন মতামত। তাই পরিশেষে ৫০০+ লিপিবদ্ধ হয়। [আগামাথা নেই]

তন্মধ্যে সনদযুক্ত মাত্র ৩০০টি
আর মুরসাল হাদীস হল ২২২টি
মওকূফ হল ৬১৬টি এবং তাবিয়ীদের হল ২৮৫টি। [[আগামাথা নেই]]

ইমাম হাযম বলেন, আমি মুয়াত্তা গ্রন্থের হাদীস গণনা করেছি। গণনা করে যা পেলাম মুসনাদ হাদীস ৫০০ এর চেয়ে কিছু বেশী এবং মুরসাল ৩০০ এর মত। এছাড়া ৭০টি হাদীস এমন আছে যে, যার অনুসরণ ইমাম মালেক নিজেও কখনই করেননি।

আর এক লক্ষ হাদিসের মধ্যে বহু হাদিসের আমল মানুষ আগেই চালু করে দিয়েছিলো। যা এখনো বিদ্যমান। মাত্র ৫০০ হাদিস যখন সিলেক্ট করা হলো তখন সবাই ইমাম মালেককে প্রশ্ন করলেন যে, হাদিসের উপর আগে থেকেই মানুষ আমল শুরু করে দিয়েছে। এখন আপনি বাদ দিয়েছেন বইতে, কিন্তু বাস্তবে যারা আগের হাদিস শুনে, আগে থেকেই আমল করছে সেটা বন্ধ করা কি সম্ভব হবে? আসলে আজও তা সম্ভব হয়নি। তাই ইসলামের বহু আমল মানুষ এখনও করে কিন্তু কোরআন বা হাদিসের কোথাও তার লেশমাত্র হদিস পাওয়া যায় না। কারণ, বহু হাদিস বাদ এবং যোগ হয়ে গেছে।
______________________________________
ইমাম আবু হানিফা সন্দেহ পোষণ করে বাদ দিলেন আরো বহু হাদিস।

অন্যদিকে

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল হাদিসের ভান্ডার দেখে ২৭০০০ হাদিসে সন্দেহ পোষণ করলেন।

অতঃপর আব্বাসিয় যুগের পর আর কেউ হাদিস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করেননি।

প্রশ্ন হলো ৫০০ হাদিস হতে কিভাবে আজ হাজার হাজার হাদিস হয়? বুখারী কে?মুহাম্মাদ কি বোখারীকে চিনতেন?

কোরআন যখন সর্বশেষ গ্রন্থ তখন হাদিসের গ্রন্থ আসে কোথা হতে? মুহাম্মাদের মৃত্যুর ১৫০ হতে ২০০ বছর পর কে ওহী নিয়ে এসে বুখারিকে হাদিস লিখতে বললেন? আপনি কি তাহলে সৃষ্টিকর্তাকে মানছেন নাকি বোখারীকে মানছেন? নবী বিদায় হজ্জে বোখারীকে মানতে বলেছন নাকি কোরআন মানতে বলেছেন?

কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন,
পৃথিবীর সব পন্ডিত ও জ্ঞানী মানুষদের ভালো প্রবাদগুলো হাদিস হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রশ্ন:- বুখারীকে মানতে হবে এমন কোনো নির্দেশ কি কোরআনে আছে?

উত্তর:- নাই।

প্রশ্ন:- তাহলে তাকে মানতে হবে কেনো?

উত্তর:- কোরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। হাদিস ছাড়া কোরআন অচল। আগামাথা কিছুই পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে মানতে হয়।

প্রশ্ন:- বোখারীকে না মানলে কারো ঈমান চলে যাবে?

উত্তর:- না। তবে বোখারীকে না মানলে কোরআনের ইসলাম আর ধর্ম থাকে না। কোরআন অগোছালো একটা বই। যা দিয়ে কোনো কিছুর সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব না। তাই মানুষ ইসলামকে ধর্ম বানাতে চাইলে বোখারীকে মানতেই হবে।

প্রশ্ন:- বোখারীর সব হাদিস বিশুদ্ধ?

উত্তর:- বোখারী নিজেও নিশ্চিত না। নবী মরার ২০০ বছর পর পৃথিবীর যত ভালো প্রবাদ সব তাঁর নামে লিপিবদ্ধ করে মানুষের মুখে শোনা বানোয়াট কথাবার্তাই বেশি। কারণ ঈমাম মালেক যেখানে ৪০ বছর গবেষণা করে ৫০০ হাদিস রাখে ,সেখানে ছিয়াহ ছিত্তার হাজার হাজার হাদিস যে ১০০% জাল। তা আর বলার অবকাশ রাখে না।

প্রশ্ন:- তাহলে কি জালের উপর ভিত্তি করেই ইসলাম?

উত্তর:- হ্যা ১০০%। জাল হাদিস ছাড়া ইসলাম পঙ্গু। অস্তিত্বই নাই।

তাই অনেকে হাদিস মানতে চায় না। কিন্তু ছাড়তেও পারেনা। কারণ ,হাদিস ছড়া ইসলামের হদিস নাই। আবার ইসলাম খুঁজতে গেলে হাদিসের হদিস নাই।

হাদিসেই আছে নবী একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো।অনেকে বলে এ হাদিস ভূয়া। অনেকে বলে যে হাদিস বলেছে সে ভূয়া।অনেকে বলে সবে বরাত ভূয়া, কেউ কেউ বলে সবে মেরাজ ভূয়া, আসলে খুঁজতে গেলে দেখি সবই ভূয়া। পুরো ইসলামই ভূয়া।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রশ্ন উত্তর পর্ব কি আপনার বানানো ?

১০ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:২৮

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: জ্বি । ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে ইসলামের সঠিক পথে থাকা যায়। সুতরাং তাঁদের আমলে যেসব হাদিস রয়েছে সেসব হাদিসের আমল করলেই যথেষ্ট। সুতরাং ইসলাম নিয়ে আপনার উত্তেজীত হওয়ার সংগত কোন কারণ নাই। আপনি ইসলামের প্রথম বিরোধী নন। ইসলামের এমন বহু বিরোধী এসেছে এবং চলে গেছে। কিন্তু ইসলাম চিরকাল এগিয়ে গেছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ ইসলামের সাথে আল্লাহ আছেন।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইসলামেরই হদিস নেই আর আপনি আসছেন হাদিস নিয়ে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ এখন প্রশ্ন করতে শিখছে। সৌদি নিজেই হাদিস থেকে সরে আসছে।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:২৭

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হাদিস বাদ দিলে আর ইসলাম কোথায় ? কোরআনের হিসাব এলোমেলো , অগোছানো , হদিসবিহীন হাদিসগুলো কোনোরকমে জোড়া দিয়ে ইসলামকে ধর্ম হিসেবে টিকিয়ে রেখেছিলো।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। কিন্তু কুরআন হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড। হাদীসে যাই বলা থাকুক - তা যদি কুরআনের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক হয়, তাহলে সেগুলো মানা যাবেনা। কুরআনে যেসব আদেশ নিষেধ আছে, তার সীমা পরিসীমা নির্ধারণে হাদীসের ভূমিকা আছে। তাই হাদীসের গুরুত্ব অস্বীকার করার কিছু নেই। এই দুই বইয়ের পাশাপাশি রাসূলের (সা) জীবনী অর্থাৎ সীরাত গ্রন্থ পাঠ করাও গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনে মিলে হয় পূর্নাংগ বেসিক ইস্লামিক নলেজ।

আসলে প্র্যাকটিক্যাল মুসলিমদের জন্য এত গবেষণার প্রয়োজন নেই। কুরআন এবং হাদীসের গাইডেন্স ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কাজে লাগছে কিনা এবং এগুলো অনুসরণ করে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটছে কিনা আর মুসলিম হিসেবে যেসব দায়িত্ব - সেগুলো সন্তুষ্টি অর্জনের মত করে পালন করা যাচ্ছে কিনা - সেটা নিশ্চিত করাই গুরুত্বপূর্ণ।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি বরং আলেম মুহাদ্দিসদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে জেনে নিন, আপনার মাথা নষ্ট তাই বলে কি সবার মাথা নষ্ট হবে ?

৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


কোন হাদিসের কথা বলছেন!!!

মিনিটে একটা হাদিস উৎপাদনকারীদের হাদিস!!! :)

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি হাদীস মানি না।

১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০২

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হাদিস ছাড়া কোরআন অচল। কোরআন ব্যর্থ হয়ে এসব অচল হাদিসের কাছে ধরনা দিয়ে মানুষকে গোজামিল খাইয়ে ইসলামকে ধর্ম হিসেবে টিকিয়ে রাখে। হাদিস নাই তো ইসলাম নাই। তবে হাদিস ৯৯% জাল। এটা ১০০% সিওর।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

Hasan Hiron বলেছেন: নবী নিজেই হাদিস লিখতে নিষেধ করেছিলেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.