![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আদালত হলো মানুষের বিবেক।
* আমি আমার ভালোটাকেই বড় করে দেখি। অন্যের কী হলো না হলো তা নিয়ে ভাবি না।
* আমি যে কাজই করি নিজেরটা নিয়েই ভাবি। আমার মনমতো না হলে পেছন ফিরতে ও দ্বিধা করি না।
* জীবনে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হয়। ছাড় দেয়া না শিখলে জীবন হয় সংঘাতময়। এ নীতিকে আমি মেনে চলি না।
* বড় হলে তার দুটো দায়িত্ব। নিজে সংঘাতে জড়াবে না। ছোটদেরকে জড়াতে দেবে না। এ কথার কোনো মূল্য দেই না আমি।
* জীবনে একরোখা না হওয়া চাই। আমি যেটা বলি সেটাই ঠিক। আমি কিংবা আমার কাছের কেউ যা বলে সেটাই সত্য। এ মনোভাব
জীবনে সুখ বয়ে আনে না। নীতিকথার এ বাণী আমার ভেতরে কোনো কাজ করে না।
* আমি যে কথা বলি হতে পারে সেটা ভুল। কথা বলতে এ ব্যাপারটি আমি ভুলে যাই।
* আমার বড় যারা হতে পারে তাদের ভুল। সে ভুলের সংশোধনে আমার পথ কী হবে তা নিয়ে ভাবি না। নিজের মতো করে একটি পথ
বেছে নিই। যে পথ গ্রহণের অধিকার কেউ দেয়নি আমাকে। না শাস্ত্র না বিবেক না দর্শন।
* আমি কথা বলি বড় কাজ করি ছোট কিংবা করিই না। “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”।
কবির এ আক্ষেপের কথা আমার বিবেকে কভু নাড়া দেয় না।
* আমি কথা বলি বড়, কাজ তেমন না হলে অপমান কিংবা অপরাধ বোধ করি না। যেমন ছিলাম তেমন আছি ভাব দেখাই। পরাজয়ের
গ্লানিটা আমার মাঝে কোনো কাজ করে না।
* আমি নিজের মাঝে গরলতা রেখে অন্যের থেকে সরলতা আশা করি।
* আমি আমার কাজ করে যাই। সেটা কাজ হলো না অকাজ হলো। অন্যে কী বললো না বললো। তা ভেবে দেখি না।
* আমার অপরাধকে আমি অপরাধই মনে করি না। উল্টো অপরাধের সপক্ষে যুক্তির গান গাই।
* আমি কথায় কথায় যুক্তি তুলে ধরি। সব যুক্তিই যে যুক্তি হয় না। যুক্তির জন্যেও যে যৌক্তিকতার প্রয়োজন। বিষয়টির প্রতি লক্ষ্যই করি না।
* আমি মুখে কাজের স্বচ্ছতার কথা বলি। বাস্তবে তার টিকিটুকুও প্রয়োগ করি না।
* কেউ আমার কাজে তুষ্ট হয় না। তবুও আমার কাজ আমি করে যাই।
* আমার রক্ত সম্পর্কের মূল্যায়ন মানুষে করে। শুধু আমি করি না।
* আমি মিষ্টি কথা বলি। মিষ্টি কাজ করি না। আবার মিষ্টি কথার আবরণে অনেক কিছুই ঢেকে ফেলি। কিন্তু বিবেকের কাঠগড়ায়
দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করি না।
* আমি কাগজে শিক্ষিত হয়েছি। কাজে শিক্ষিত হই নি। আর হবার চেষ্টাও করি না। আর এ শিক্ষাটুকু ছড়াতে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
* আমি কথায় কথায় শিক্ষার কথা বলি। কিন্তু মানব জীবনে শিক্ষার কী দাবি তা নিয়ে ভাবি না।
* আমি নিজের দিকে তাকাই না। কিন্তু অন্যের সমালোচনায় ঠিকই পঞ্চমুখ হই।
* ‘আপন স্বার্থের মোহে পরস্বার্থকে পদপিষ্ট করতে যে কুন্ঠাবোধ করে না। সে আর যাই হোক শিক্ষিত হবার দাবি করতে পারে না’।
‘অর্থচিন্তা লোভ হিংসা হতে মুক্ত না হতে পারলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না’। সত্য যুক্তির এ প্রবাদকথায় আমার
ভেতরে ভাবের উদয় হয় না।
* আমি অন্যকে বলার পথ করে দিই। আর বলা হলে রগচটা হয়ে যাই। অথচ বলাটা তেমন দূষণীয় নয়। বলার সুযোগ করে দেয়াটা
যেমন দূষণীয়।
* আমি আমার আখের গোছাতেই সব কিছু করি। পরস্বার্থে কিছুই করি না।
* আমি আমার কাজে মানুষকে ব্যবহার করি। মানুষটার কী হবে না হবে তা নিয়ে ভাবি না।
-এ যদি হয় আমার পরিচয়। তবে কী আমার মানুষ হওয়া সাজে ! খুব ভালো হতো না !! যদি আমি অমানুষ হতাম !!!
©somewhere in net ltd.