![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না।স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি।কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি,তাহলে বেঁচে থাকার মানে কি।
বসন্তের শেষ বিকালের মৃদু হাওয়ায় অনেক কষ্টে পুরাতন ডায়েরি টা খুঁজে পেলাম । ধুলোবালি জমে একাকার হয়ে আছে । শেষ কবে স্মৃতি কথা লিখে রেখেছি মনে করতে পারছি না । কাপা কাপা হাতে আজ আবার লিখতে শুরু করলাম,
আমি অদিতি সেন । দুরন্ত কৈশোর পাড়ি দিয়ে কখোন যে এতোটা বছর পাড়ি দিলাম ,ভাবতেই পারছি না, চোখের সামনে শৈশব স্মৃতি আজও দৃশ্যমান । বাবার সরকারি চাকরির দরুন আজ এখানে তো কাল ঐখানে ,এমন ভাবে আমি বারবার স্কুল পাল্টাচ্ছিলাম ,প্রতিবার কাঁদতে কাঁদতে নতুন শহরে পাড়ি জমাতাম ।
একদিন পা রাখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে । এখন আর শহর ছাড়ার ভয় নেই । হোস্টেলে থাকা শুরু করলাম ,হাসি আনন্দে কাটছিল বেশ । গল্পের আড্ডায়, গানে গানে আর পড়াশোনায় কেটে যাচ্ছিল ক্লান্ত প্রহর ।
বর্ষা কাল সবে শুরু হয়েছে, সারাদিন একটানা বৃষ্টি, কাদায় একাকার সব কিছু ।
সেদিন ছিল আষাঢ়ের শুরুর দিক, বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি , একি তো বৃষ্টি তার উপর বাড়ি যাবার তাড়া ,নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম কিছু বই কিনতে ,সাংঘাতিক বিপদে পড়েছি বুঝতে দেরি হলোনা । ভিজে একাকার অবস্থা, জ্বর বাধবে নিশ্চিত । ঠিক সেই সময় হিমেল আসলো , বেচারার অবস্থা আরো করুন , একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা, সে শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত, কোথায় থেকে জানি একটা সি এন জি জোগাড় করলো , তাতেই যাবার জন্য সে ডাকতে এলো । এভাবেই প্রথম পরিচয় টা আমাদের হলো । তারপর তিনটি বসন্ত কেটে গেল । এক কথায় বলতে গেলে আমার দেখা সে অসাধারণ কোন মানব ,যার মুখে হাসি , বিরক্তি যেন তাকে কিছুতেই ছুতো না , আমার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ,তার চোখের তীব্র মায়ায় আমি যেন সুখের সাগরে ভাসছিলাম ।
হঠাৎ বাড়ি থেকে খবর এলো বাবা ভীষন অসুস্থ ,এখুনি বাড়ি যেতে হবে । বাড়ি যেয়ে জানতে পারলাম বাবার ক্যান্সার ধরা পড়েছে, লাস্ট স্টেজে আছেন ,ঢাকায় আনা হলো ,কেমো চলছিল । বাবা উঠে পড়ে লাগলেন আমার বিবাহের জন্য ,আমি কিছুতেই রাজি হচ্ছিলাম না ,ওনারা কোন এক ছেলের ছবি হাতে ধরিয়ে দিলেন , একেই বিয়ে করতে হবে বললেন । আম্মু কে বারান্দায় নিয়ে হিমেল এর কথা বললাম ,আম্মু মানতে নারাজ । হিমেল এ আর কেমন চাকরি করে, যাকে দেখা হয়েছে ,এমন ছেলে পাওয়া নাকি ভাগ্যের ব্যাপার ।
হিমেল কে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলাম । বাবার অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছিল, দেশের বাহিরে নেবার চেষ্টা করেও থেমে যেতে হলো ।এক সন্ধ্যায় আব্বু মাথায় হাত দিয়ে বললেন , অদিতি মা আমার , তোর কাছে এটাই আমার শেষ চাওয়া ,তোকে আমি সুখী দেখতে চাই ।
বাবা মায়ের ইচ্ছেতেই অনেক টা তাড়াহুড়ো করেই বিয়েটা হয়ে গেল । তার দুই দিন পর বাবা মারা গেলেন । সেদিনই আমার বর এর সাথে প্রথম দেখা হলো । বিয়ের দিন একবারও তার দিকে তাকাইনি । সাদামাটা চেহারায় মায়া খুঁজে পেলাম না, রাগি রাগি দৃষ্টি , বুকের ভিতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগলো । সে এলো মাথায় হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দিতে , হাত না যেন মনে হচ্ছিল কোন এক পাথর আমায় ছুঁয়ে গেল । একে তো বাবা হারানোর কষ্ট তার উপর হিমেল কে হারিয়ে ফেলা ।
মাস তিনেক পর তাদের বাড়িতে আমাকে তুলে দেয়া হলো । সেদিন প্রথম বউ সাজে সজ্জিত হলাম ,সবাই যখোন মুগ্ধ নয়নে আমায় দেখছিল ,আমার বর তখন লোকজনের সাথে গল্পে মশগুল ,আমাকে দেখার সময় কই, বুঝে নিলাম এই লোকের সব কিছুতেই আগ্রহ কম ।
বিয়ের যখন এক বছর হতে চলল , সবাই বলছিল বউকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আয় অনেক দিন তো হলো । একদিন ডেকে বলল চলো তোমায় নিয়ে গ্রাম ঘুরে আসি । মনে মনে তাকে হাজার টা গালি দিলাম ।
তার জন্মদিনে সারাদিন খেটে যখোন আয়োজন করলাম ,আমার বর মশাই বাড়ি ফিরে অবাক তো হলেন এ না , উল্টো বিরক্ত হলেন । দায়সারা কেক কেটে ঘুম দিলেন ।
অবশেষে বর আমায় নিয়ে শহরের কাছে কোথাও বের হলেন , রোদে আমার গা ঝলসে যাবার অবস্থা সেদিকে তার দৃষ্টিপাত নেই বরং সে আরোও সরে গিয়ে রৌদ্র কে আহ্বান জানাচ্ছিল ।
শেষবার এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলাম ,বর আমার বলল প্যারাসিটামল খাও ঠিক হয়ে যাবে , সারা রাত ঘুমাতে পারিনি । সকালে সে অফিস চলে গেল, পাশের ফ্লাটের ভাবীকে ডেকে আনলাম । ওনি হাসপাতালে ভর্তি করলেন । সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম ।
আমার বরের এতো অবহেলা আমার ভালো লাগছিল না , আমার খুব হিমেল কে মনে পড়ে । খুব তাকে দেখতে ইচ্ছে করে , খবর নিয়ে জানতে পারি সে চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে ।
মাঝে মাঝে ফ্রেন্ডের বাসায় যেতে ইচ্ছে হতো , বরমশাইর তাতে বারন । তার ভালোবাসা পাবার অনেক চেষ্টা করেও কাজ হলো না । ওনি আলাদা মানুষ ধরেই নিলাম ।
বিয়ের আজ ছয় বছর প্রায় । ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে ফেললাম । সাজসজ্জা ছেড়ে দিলাম । লোকজন ভালো লাগে না । একা একা থাকি সারাদিন । রাতের পর রাত জেগে থাকি আমার বর তখোন গভীর ঘুমে থাকে । চোখের নীচে কালির রেখা ফুটে উঠলো । আমার মাথায় সমস্যা আছে ভেবে একদিন ,আমার চার বছরের ছেলেটাকে শাশুড়ি নিয়ে গেলেন । আমি আরও একা হয়ে গেলাম। রোজ জমানো ঔষধের শিশিটার মুখ খোলার দিন আজ । অনেক কষ্টে পঞ্চাশ টা ঘুমের ঔষধ জমা করেছি । সব পানি দিয়ে গিলে ফেললাম । হাত এখন আরও কাপছে , লিখতে পারছিনা ।
চোখ মেলে অদিতি তার বর এর মুখ টা দেখতে পেলো , ঝাপসা লাগছে খুব । এই প্রথম তার চোখে অদিতি মায়া দেখতে পেলো, ওর হাত ধরে সে কাঁদছে । ওর খুব বাঁচতে ইচ্ছে করছে । ধীরে ধীরে দৃষ্টি আরও ঝাপসা হচ্ছে ।
তার কিছু মুহূর্ত পর অদিতি মৃত্যুবরন করলো ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: একটা দিন নারী দিবস পালন করে কি আর হবে । অলরেডি কালকের মিছিলে নারী লাঞ্ছনা আরো অনেক কাহিনী পড়া হয়ে গেল।
লেখা টা কাল লিখেছিলাম ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে।এমন গল্প পড়লে মন খারাপ হয়।
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পের প্রধান চরিত্র গুলো বাস্তবিক এক পরিচিতের প্রেক্ষিতে লেখা ।
তবে শেষ অংশ টা মৃত্যুর কৌশল টা স্যার হুমায়ুন আহমেদ এর থেকে ধার করে নেওয়া ।
এই কৌশল টা আমার দারুন লেগেছিল ঐ গল্প পড়তে গিয়ে ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ হয়েছে, কিন্তু তবুও লেখা খুব ভালো লেগেছে।
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যে ।
আপনার নতুন একটা পোষ্ট লিখবেন বলেছিলেন । তার অপেক্ষায় র ইলাম
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
গতকাল মিছিলে কি হয়েছে?
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: Click This Link
এখানে লেখা আছে ।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
কষ্টের সাথে ভালোলাগা প্রকাশ করলাম।
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগল জেনে ভালো লাগলো ।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাংলা সিনেমার ছায়া পড়েছে গল্পে...
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সিনেমা তো জীবনের এ গল্প ।
ধন্যবাদ মন্তব্যে
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্পটি
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো ।
অনেক ধন্যবাদ
৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
বাহাউদ্দিন আবির বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্পটি
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় বলি- ''বাঙালি পুরুষের আসলে মানুষ হওয়া উচিত।''
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এরা মানুষ হিসেবে খারাপ হয়না । সমস্যা ভালোবাসার ক্ষমতা থাকে না । অন্য কে বুঝার মানসিকতা থাকে না ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
১০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন খারাপের গল্প। তবে এরকম অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে।
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মেয়েরা অভিমানী আর আবেগী বেশি হয় ।
বরের অবহেলা সহ্য করতে পারেনা ।
তবুও অনেক মেয়েই করছে ।
অনেক ধন্যবাদ ।
১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ,
শিরোনামটি সুন্দর । একটি মেয়ের দীর্ঘশ্বাসের কাহিনী ।
তবে শেষের লাইনটি না থাকলেই মনে হয় ভালো হতো ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সবার সহ্য ক্ষমতা এক না । কেউ সারাজীবন নীরবে কষ্টে জীবন কাটাতে পারে আর কেউ এক মুহূর্তের জন্য ও পারেনা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
১২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১২
সোহানী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: ধুর, আজকে নারী দিবসে কোথা থেকে কি এলো আপনার মাথায়?
..........১০০% সহমত!
গল্পে অনেক ভালোলাগা হাফসা মনি......... একটি মেয়ের সাধারন কাহিনী তারপরও অনেক ভালোলাগা।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু দিবস মানে আজকাল শুধু একদিন এ পালন করা ।
তাই দিবস নিয়ে কখনো উচ্ছ্বাস হয়না ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যে।
১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
আটলান্টিক বলেছেন: আচ্ছা আপু আপনার এই গল্পের প্রথম চার লাইন যদি আমি আমার লেখায় ব্যবহার করি তাহলে কিছু হবে???
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সমস্যা নেই ,তবে নাম নিচে উল্লেখ করলেই হবে ।
১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ,
শিরোনামটি সুন্দর । একটি মেয়ের দীর্ঘশ্বাসের কাহিনী ।
তবে শেষের লাইনটি না থাকলেই মনে হয় ভালো হতো ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
শিখা রহমান বলেছেন: বিষণ্ণ একটা গল্প। খুব চেনা চেনা মনখারাপ করা গল্প।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: গল্পটা স্বার্থক কারণ যেভাবে এর পরিণতি হলো তারজন্য। যার অবহেলায় অদিতি প্রাণ দিল তার চোখে অবশেষে মায়া দেখে অদিতি বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু তা কী আর হয়? সুন্দর গল্প নারী দিবসে নারীর প্রতি অবহেলার চিত্র সহ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পের মূল ভাব বুঝতে পারার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
সুন্দর করে বলেছেন বেশ ভালো লাগলো
১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
কালীদাস বলেছেন: ভুতুড়ে গল্প নাকি?
ফিনিশিংটা ভাল লাগেনি, স্যরি। আমি মনে করি, আপনার মত দায়িত্বশীল লেখকের কাছে এন্টি-সুইসাইডাল লেখা আশা করে সমাজ এবং ব্লগ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পের প্রধান চরিত্র গুলো বাস্তবিক এক পরিচিতের প্রেক্ষিতে লেখা ।
তবে শেষ অংশ টা মৃত্যুর কৌশল টা স্যার হুমায়ুন আহমেদ এর থেকে ধার করে নেওয়া ।
এই কৌশল টা আমার দারুন লেগেছিল ঐ গল্প পড়তে গিয়ে । ওনার লেখার ভঙ্গিমায় মেয়েটার করুন পরিনতি ফুটে উঠেছিল ।
এমন অভিমানী চরিত্র কিছু মেয়ের মাঝে সত্যি থাকে ।
বাস্তবতা কঠিন হলেও সত্য ।
পত্রিকায় বেশ কিছু দিন আগে পড়লাম , স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে বাচ্চা সহ নিজে সুইসাইড করেছে ।
অনেক ধন্যবাদ নিজের মতবাদ প্রকাশ এর জন্য ।
এরপর থেকে আপনার কথা মাথায় রাখবো ।
১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুমন কর বলেছেন: ৫০টি ঔষধ খেলে মরার কথা না.....গল্পই ছিল আরো একটু বাড়িয়ে দিলে পারতেন। তবে গল্প খারাপ লাগেনি।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হুমম বেশ কিছু ঘুমের ঔষধ আছে ১০০ টা খেলেও কাজ করেনা ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন লিখেছেন। সুন্দর।
নারী দিবসে লিখা কবিতায় উৎসর্গে আপনার নাম বাদ পরেছে। এড করে দিবো।
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভকামনা।
২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিছু কিছু গল্পে দেখি প্রেমের কারণে নারীদের স্বামীর প্রতি অবহেলা; এখানেও এমনটাই হতে পারত, যেহেতু মেয়েটার অন্য কোথাও প্রেম ছিল। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। এখানে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর নির্লিপ্ততা বোধগম্য হলো না। তার কি অন্য কারও সাথে সম্পর্ক ছিল?
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কিছু মানুষ ব্যতিক্রম থাকে , ওনারা মানুষ হিসেবে খারাপ হয়না ।
ব্যাপার টা হচ্ছে, স্বামী অনেকেই হতে পারে ,প্রকৃত বর কয়জন হতে পারে ,কয়জন তার বউকে বুঝার চেষ্টা করে ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
২১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১২
উম্মে সায়মা বলেছেন: সুন্দর গল্প আপু। মন খারাপ করা
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।
২২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
২৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: জোর করে বিয়ে দেয়া বন্ধ করা উচিত।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হুমম , ঠিক ।
এভাবে বিয়ে না হলে হয়তো এতো ঘটনা ঘটতো না ।
২৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহা ! অদিতির জন্য মায়াই হচ্ছে।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মায়া আছে বলেই মানুষ বেঁচে থাকার প্রেরনা খুঁজে পায় ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে
২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহারে নারী জনম, দুখের শেষ কোথায় ?
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৮
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো বলেছেন । আসলেই তো ।
হুমায়ুন আহমেদ এর একটা গল্পে শেষ টা তে একটা চরিত্রের এভাবে মৃত্যু ঘটে ।
ঐ চরিত্রের কারনে গল্পের প্রধান চরিত্র গুলো আকর্ষণ করেনি । সেদিন অনেক খারাপ লেগেছিল ।
সবচেয়ে কষ্টের হয়তো অবহেলা আর অবজ্ঞা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন সর্বদা ।
অনেক শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধুর, আজকে নারী দিবসে কোথা থেকে কি এলো আপনার মাথায়?