![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাকুরীর জন্য চিটাগং অবস্থান করছি। অফিস শেষে কলিগ দের বললাম কাল তো ছুটি। কোথাও বেড়ানো যায় কিনা।
কিন্তু তাদের কথা শুনারপর সব মাটি।
শুনলাম কাল নাকি রাস্তা রাস্তায় মিছিল হবে,পাকিস্তান থেকে নাকি কোন ভদ্রলোক আসবেন।
পুরো রাস্তায় নাকি লোকে লোকারন্য হয়ে যাবে।কোথাও বেড়ানোর উপায় নেই।
কারণটা জানতে চাইলে তারা বলল কাল ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এই মিছিল।
কিন্তু আমার জানতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে এই দিন কি এইভাবে পালন করা উচিত?
এই দিনে আমাদের নবী (সাঃ)
শুধু জন্মই নেন নি। তিনি তো এই দিনে মারাও গেছেন।
তাহলে কিভাবে সবাই এই মিছিল করবে?
এইটা কিসের ইবাদত?
আমিতো জানি এইটা এক বিদয়াত।
আসুন এই জঘন্যতম কাজ থেকে বিরত থাকি।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০০
গোধুলী বেলা বলেছেন: অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন সব কিছু, এর পর আর কিছুই বলার থাকে না। আমি এখানেই থাকি, এদের এই সব ভন্ডামি দেখতে দেখতে চরম বিরক্ত। যেয়ে দেখবেন শতকরা ৮০ ভাগ লোক যারা এই সব আয়োজন করে তারা নামাজই পড়ে না। এদের গলাবাজি সব মাইকে.......
চমৎকার জন সচেতনতা বিষয়ক একটা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০১
গোধুলী বেলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: বড় বড় মসজিদ গুলোতে অনুষ্ঠান হচ্ছে। মাইক দিয়ে সারা এলাকা ভরে ফেলেছে। হুজুররা কি কি যেন বলে ওয়াজ করছে।
এভাবে বাইরে মাইক লাগিয়ে বিরক্ত করার কোনো মানে হয়। আমাদের নবীজী আছেন বুকের গভীরে। তার জন্য অন্যকে মাইক লাগিয়ে বিরক্ত করার কোনো মানে হয় না।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৩
গোধুলী বেলা বলেছেন: ধর্মনিয়এ যারা ব্যাবসায় জরিত তারা অল্ল জ্ঞানের মুসলিমদেরনিয়ে এই ব্যাবসায় নেমেছে।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য সুন্দর করে সব ব্যাখ্যা করে বলেছেন, নতুন করে কিছু বলবার প্রয়োজন নেই।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সচেতনতা জরুরী। কিছু লোক অতি বেশি ধর্ম পালনের নামে ঝামেলা বাধায়।
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি যেহেতু চট্টগ্রামে আছেন। সামনের গেটটুগেদারে দেখা হবে নিশ্চয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ১। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিনে জন্ম নিয়েছেন এমন সরাসরি প্রমান পাওয়া যায় না। বরং যদ্দুর হিসাব নিকাশে পাওয়া যায় তা হলো তিনি ৯ তারিখে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া সরাসরি হাদিস দ্বারা তার জন্মের বার প্রমানিত। তারিখ নয়।
২। কারও জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো কাজ নয়। কেউ মারা গেলে তার মৃত্যুতে তিনদিন পর্যন্ত সাধারণ সবাই এবং শুধুমাত্র স্ত্রী ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত শোক পালন করতে পারবেন। এর বাইরে নয়। জন্ম পালন করা বরং ইতিহাস দ্বারা প্রমানিত যে কিছু pegan এই প্রথা চালু করে; যা পরবর্তীতে খৃষ্টানদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামের দৃষ্টিতে অন্য ধর্মালবম্বীদের কোন রীতি পালন করা নিষেধ।
৩। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি মনে করতেন যে তার জন্মদিবস পালন করা উচিৎ বা সওয়াবের, তাহলে অবশ্যই তিনি তার জিবদ্দশায় তা দেখিয়ে যেতেন; কিন্তু তিনি তা করেন নাই। তাঁকে যারা সব চাইতে ভালো বাসতেন, তাঁর সাহাবা (সঙ্গী-সাথীগন), তাঁরাও এই দিন পালন করেন নাই। এভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর কয়েকশত বছর পর গিয়ে একজন শাসক প্রথম এটি চালু করেন; তাও খৃষ্টানদের বড়দিন পালন দেখে। এটাতো ইসলামে নিষিদ্ধই।
৪। সওয়াবের আশায় এমন কোন কাজ চালু করা, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে যান নাই বা করে যান নাই, তাকে বিদ'আত বলা হয়। আর বিদ'আত হচ্ছে জঘন্যতম পাপ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বহু হাদিস দ্বারা প্রমানিত যে 'সকল বিদ'আতই ভ্রষ্টতা' এবং তা জাহান্নামে নেবার জন্য যথেষ্ট।
৫। বলা হয়ে থাকে এই দিনটি নাকি সকল ঈদের মধ্যে বড়! কি আজব কথা। মুসলিমদের বাৎসরিক ঈদ দুইটি। দুই ঈদেরই নামাজ আছে, নির্দিষ্ট কাজ ঘোষণা করা আছে। আবার সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয় শুক্রবারকে; সেই দিনেরও বিশেষ নামাজ আছে এবং বিশেষ কিছু কাজ ঘোষণা আছে। তাহলে সকল ঈদের বড় ঈদ (!) যেটাকে বলা হচ্ছে, তার কাজের ঘোষণা গুলি কোথায়?
মুসলিমদের সচেতন হওয়া উচিৎ; তাদের বোঝা উচিৎ বিদ'আত কত জঘন্য পাপ; এবং এর থেকে দূরে থাকা উচিৎ।