নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভোরের শিশিরের মাঝে, সকালের সূর্যের কিরণে খোঁজ, আমি কে চিনতে পারবে। গোধুলীর লম্বা আলোয়, আঁধারের শুরুতে আমি থাকি তোমার দিকে তাকিয়ে।

গোধুলী বেলা

ঘুম কাতুরে

গোধুলী বেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্ররাজনীতি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স গ্রহন করবেন। এই নির্বাচনী ঈশতেহার নিয়েই বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আগমন। হয়ত প্রধানমন্ত্রী তার জায়গায় আটল তারপরেও আমাদের চারপাশে যা চলছে তা দেখে একজন সাধারণ ট্যাক্স প্রদানকারী হিসেবে খুব জানয়ে ইচ্ছে করে এই সকল দূর্নীতি কি কনো দিন থামবেনা??

আমার একাউন্টে বেতন ঢুকার আগেই সরকার ট্যাক্স কেটে রেখে দেন।
অথচ যখন দেখি এই টাকা গুলোর শ্রাদ্ধ করা হচ্ছে তা দেখার পর মনে হয় কেনইবা আমারা ট্যাক্স দেই? আর এই অপরাধীদের কি কোন বিচার হবেনা?

বর্তমানে কয়েকটি আলোচিত দূর্নীতি যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে,কিন্তু এই দূর্নীতিকারীদের শাস্তির বেপারে রাষ্ট্র সরকার ব্যর্থ।
অফিস পিয়ন,বালিশ,পর্দা,শেয়ারবাজার, রেলওয়ে,পানি উন্নয়ন এর সীল, জাবির টাকা ভাগাভাগি,বনবিভাগের রক্ষনাবেক্ষন দেশের কয়েকটি দূর্নীতির চলমান উদাহরণ।

সরকারি কর্মকর্তা /কর্মচারীরা সরকার কে ফাকি দিয়ে টাকার যাচ্চেতাই অপব্যবহার করে যাচ্ছে।
দুদক,টিআইবি সহ কিছু সংস্থার কারনে এখনো অনেকেই ভয় পাচ্ছে তবুও থেমে নেই। সময়ের সাথে তাল দিয়ে হুহু করে পাড়ছে এই দূর্নীতি।

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার রাস্তা হিসেবেই কাজে লাগছে।
স্বাধীনতার পূর্বে যে সংগঠনটি সকলের মন জয় করেছিলো সেটিও আজ ব্যাবসা ও লাভজনক একটা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রধান ছাত্র সংগঠন এর বাৎসরিক আমলনামা হিসেব করলে ১/২টা গুরুত্বপূর্ণ ভালো কাজ পাওয়া যাবে তাছারা?

এমন কোন অপরাধ নাই তারা করছেনা?
একজন তার রাজনৈতিক পরিচয়ে অপকর্ম করার পর তা প্রকাশ হলে সেই রাজনৈতিক দল তার দায়িত্ব নিবেনা বলে দায়মুক্তি নিচ্ছে।ভাবতে অবাক লাগে এই সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর হাতের তৈরি ছিলো। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কেলেংকারীর ফলে ছাত্র/সংঠনের প্রধানদের বাতিল করা হয়।
অথচ সংঠনের মূল কাজ ছিলো ছাত্র/ছাত্রীর সমস্যা সমাধান ও সাধারণ জনগনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল জনক কিছু করা।
পাকিস্তান আমলে ছাত্র সংগঠন গুলো দেশের স্বাধীনতায় সবচেয় বড় ভুমিকা রেখেছিলো।
কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরে নতুন করে ভুমিকা রাখার মত কোন ক্ষেত্র নাই। আর এই সুযোগে পূর্বের দোহায় দিয়ে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে।
অথচ এই সংগঠনের উচিত ছিলো স্বাধীনতা দেশের সুফল ও স্বাধীনতা যেনো প্রতিটি মানুষ ভোগ করতে পারে সেই জন্য দেশব্যাপী উপরের দূর্নীতি গুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
দেশ আজ স্বাধীন কিন্তু এই সকল অপকর্মের ফলে সবাই অনেকটাই পরাধীন।
দূর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ, সকলের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতক। স্বাধীনতার এই সংঠনটির কাজ হবার কথা। কিন্তু আমরা কি দেখছি?
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রতিটিদল তাদের ছাত্র সংগঠন কে ব্যাবহার করছে।
এমতাবস্থায় এই সংগঠন গুলোর প্রয়োজনিয়তার প্রশ্ন থেকে যায়।
আমার মতে এখন কোন ছাত্র সংগঠনের দরকার নাই।

যে সংগঠন এর কাছে সবাই নিজেকে নিরাপদ মনে করত সেই সংগঠনের প্রতি আজ ভয়,সংশয়, নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।

যে সকল অরাজকতার জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি স্বাধীনতার ঠিক এত বছর পরেও আমরা সেই সকল অপকর্ম থেকে মুক্তিলাভ করিনি। তাহলে কি হল এই স্বাধীনতার???

এইভাবে চলতে পারেনা। এইভাবে চললে কোন এক দিন আমার মত সাধারণ ট্যাক্স প্রদানকারী, ক্ষেটে খাওয়া দিন মজুর থেকে সকল পেশাজীবিরা রাস্তায় নেমে আসবে। আর সূচনা করবে আরব বসন্তের মত কোন এক বসন্ত।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি আমি ঘৃণা করি।
আমি চাই সরকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষনা করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.