![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রীকৃষ্ণ কেন দ্রৌপদীকে বিয়ে করতে চাইলেন না? বিশুদ্ধবাদীরা কানে আঙুল দিলেও এই সঙ্গত প্রশ্ন উঠতেই পারে | কারণ দ্রৌপদী ছিলেন ওই সময়কার ডাকসাইটে সুন্দরী এবং যাকে বলে 'মোস্ট চার্মিং' | এরকম একজন নারীকে বিয়ে না করে শুধু তাঁর সখা হয়েই থেকে গেলেন পীতাম্বর |
এর পিছনে অবশ্য আমি সে ও সখার কোনও গল্প নেই | কোনও কোনও সূত্র বলে, স্বয়ং দ্রুপদেরও ইচ্ছে ছিল, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর জামাই হোন | এই বাসনার নেপথ্যে আবার লুকিয়ে আছে প্রতিশোধের বাসনা |
দ্রোণাচার্য একসময় দ্রুপদের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন | কিন্তু ক্রমে তাঁদের সেই সম্পর্ক পাল্টে যায় | দ্রুপদের শত্রু হয়ে ওঠেন দ্রোণাচার্য | একদা প্রিয় বন্ধু দ্রোণের হাতে অপমানের কথা ভুলতে পারেননি দ্রুপদ | তিনি চেয়েছিলেন এমন একজন কেউ তাঁর জামাই হোক, যিনি অনায়াসে হারাতে পারবেন দ্রোণকে | সেক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণর থেকে যোগ্যতর আর কে হতে পারে?
শোনা যায়, কন্যার পাণিগ্রহণের প্রস্তাব কৃষ্ণের কাছে পেরেওছিলেন দ্রুপদ | কিন্তু স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মনে অন্য কিছু ছিল | তিনি দ্রুপদকে বলেন, পাঞ্চালীর জন্য তিনি অন্য পাত্র দেখে রেখেছেন |
পাত্র হিসেবে অর্জুনের নাম শোনার পরে কিছুটা সন্দিগ্ধ হন দ্রুপদ | কারণ তৃতীয় পাণ্ডব ছিলেন আচার্য দ্রোণের প্রিয় শিষ্য | কিন্তু দ্রুপদকে রাজি করালেন বংশীধারী |
এরপর স্বয়ম্বর সভায় অর্জুনের দ্বারা মাছের চোখ বিদ্ধ এবং দ্রৌপদীর বরমাল্য গ্রহণ | তার আগে অবশ্য দ্রৌপদীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে আবদ্ধ হন শ্রীকৃষ্ণ |
এবং কৃষ্ণ-কৃষ্ণার এই ফ্রেন্ডশিপ অটুট থেকেছে মহাকাব্যের শেষ পৃষ্ঠা অবধি | সে দ্যূতসভায় বস্ত্রহরণই হোক বা অজ্ঞাতবাসে দুর্বাসা মুনির শাপের হাত থেকেই হোক | সখা কৃষ্ণের বরাভয় সবসময় রক্ষা করে এসেছে তাঁর সখী, দ্রুপদ-কন্যাকে |
পুনশ্চ:শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে বিয়ে হলে নিখাদ বন্ধুত্ব হয়তো হারাতে হতো | কিন্তু পাঁচ পাঁচটা বরের ঝামেলা পোহাতে হত না দ্রৌপদীকে |
সংগ্রহিত
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা হয়ত ঠিক আছে । তবে পূরান মতে শ্রীকৃষ্ণ নারায়নের অবতার আর রুকমিনী লক্ষীর অবতার আর তাদের বিয়েটাই শাস্ত্রসম্মত। দ্রৌপদী দ্রুপদ কন্যা আর যজ্ঞ থেকে জন্ম যাজ্ঞসেনী, তিনি কোন দেবী নন। তার সাথে দেবতার তথা শ্রীকৃষ্ণের বিয়ে হতে পারেনা! আশা করি বোঝাতে পেরেছি।