![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা গুরু সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'তের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের আকীদা-বিশ্বাসের পরিপন্থী যেসব মন্তব্য করেছেন সেগুলোকে মওদূদী মতবাদ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
(১) আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
আল্লাহ তা'আলা যালেম। কেননা যেক্ষেত্রে নর ও নারীর অবাধ মেলামেশা রয়েছে, সেক্ষেত্রে ব্যাভিচারের কারণে আল্লাহর নির্দেশ রজম প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম। (তাফহীমাতঃ ২/২৮১)
(২) ফেরেশতাদের সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
ফেরেশতারা ঐসব মাখলূকের মত যাদেরকে গ্রীক, ভারত ও অন্যান্য অঞ্চলের মুশরিকরা দেব-দেবী স্থির করেছে। (তাফহীমাত)
(৩) নবীগণ সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
অন্যদের কথাতো স্বতন্ত্র, প্রায়শই পয়গম্বরগণও তাদের কুপ্রবৃত্তির মারাত্মক আক্রমণের শিকার হয়েছেন। (তাফহীমাতঃ ২/১৯৫)
(৪) নবীজী(সাঃ) সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের উর্ধে নন এবং মানবীয় দূর্বলতা থেকেও মুক্ত নন। (তরজমানুল কুরআনঃ এপ্রিল ১৯৭৬)
আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিম্বা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।
[তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খন্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনে ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং; কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা(বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী:জুন ২০০২]
(৫) কুরআনুল কারীম সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
"কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় এ শব্দগুলোর (ইলাহ, রব, দ্বীন, ইবাদত) যে মৌল অর্থ প্রচলিত ছিল, পরবর্তী শতকে তা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এক একটি শব্দ ব্যাপকতা হারিয়ে একান্ত সীমিত, বরং অস্পষ্ট অর্থের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে পড়ে।" এক পৃষ্ঠা পর লিখেন- "এটা সত্য যে, কেবল এ চারটি মৌলিক পরিভাষার তাৎপর্যে আবরণ পড়ে যাওয়ার কারণেই কুরআনের তিন চতুর্থাংশের চেয়েও বেশি শিক্ষা এবং তার সত্যিকার স্পিরিটই দৃষ্টি থেকে প্রচ্ছন্ন হয়ে যায়।"
(কুরআন কী চার বুনিয়াদী ইসতিলাহেঃ ৮-১০)
(৬) হাদীস সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
বুখারী শরীফে বর্ণিত হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত সারা (আঃ) এর ঘটনা সম্বন্ধে বলেন, "এটি একটি মিথ্যা নাটক।"
(রাসায়েল ও মাসায়েলঃ ৩/৩৬)
হাদীস তো কতিপয় মানুষ সুত্রে বর্ণিত হয়ে কতিপয় মানুষের কাছে পৌছেছে। কাজেই এসবের সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মিতে পারে না। বড়জোর ধারনা জন্মিতে পারে।
(তাফহীমাতঃ ১/৩৫৬)
(৭) উসূলে হাদীস সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
এ আধুনিক যুগে পূর্ব যুগের বাজে কথা কে শোনে?
(তরজমানুল কুরআন ৪র্থ সংখ্যাঃ ১১১)
(৮) সাহাবায়ে কিরাম সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
সাহাবায়ে কিরাম সত্যের মাপকাঠি বলে জানবে না এবং তাদের অনুসরন করবে না।
(দস্তুরে জামাতে ইসলামীঃ ৭)
(৯) দাড়ি সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
হাদীসে শুধু দাড়ি রাখার হুকুম আছে। সুতরাং পরিমাণ যাই হোক হাদীসের উপর আমল হয়ে যাবে।
(১০) তাকলীদ সম্পর্কে মওদূদী আকীদাঃ
আমার মতে দ্বীনী ইলমে বুৎপত্তি রাখেন এমন ব্যক্তির জন্য তাকলীদ (মাযহাবের অনুসরণ) শুধু না-জায়েয ও গোনাহ নয় বরং এর চেয়েও জঘণ্যতম।
(রাসায়েল ও মাসায়েলঃ ১/২৪৪)
উপরোক্ত আকীদাসমূহ ছাড়াও মাওলানা মওদুদীর আরো অনেক ভ্রান্ত আকীদা রয়েছে। নমুনা হিসেবে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করা হল।
মওদুদী ফেতনা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে পড়ুন:
১. ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) -জাস্টিস তাকী উসমানী (রশীদ কল্যান ট্রাস্ট)
২. মাওলানা মওদূদীর সাথে আমার সাহচার্যের ইতিবৃত্ত – মাওলানা মনজুর নোমানী (রহঃ) (ঐ)
৩. মওদূদী সাহেব ও ইসলাম -মুফতি রশীদ আহমাদ লুধীয়ানভী (রঃ) (দারুল উলুম লাইব্রেরী-৩৭,নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার)
৪. মওদূদীর চিন্তাধারা ও মওদূদী মতবাদ -ইজহারে হক ফাউন্ডেশান; প্রাপ্তিস্থানঃ (দারুল উলুম লাইব্রেরী-৩৭,নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার)
৫. ফিতনায়ে মওদুদীয়াত – মাওলানা যাকারিয়া (রহ.)
৬. ভুল সংশোধন -মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী (রহ.)
৭. সতর্কবাণী -মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)
৮. হক্ব বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্ব- আল্লামা আহমাদ শফী, হাটহাজারী।
৯. ঈমান ও আক্বীদা -ইসলামিক রিসার্স সেন্টার, বসুন্ধরা।
১০. ফতোয়ায়ে দারুল উলূম (আংশিক)
১১. বিদেশী ও স্বদেশী ফেরাকে বাতেলাহ
(আল-কাউসার প্রকাশনী, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা)
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৬
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: উপমহাদেশের খ্যাতনামা উলামাদের প্রায় সবাই মওদুদী সাহেবের চিন্তাধারায় যেসব মারাত্মক ভুল-ভ্রান্তি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে, প্রথমে তা মওদুদী ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিভিন্নভাবে অবহিত করে সেগুলো প্রকাশ্যে প্রত্যাহার করতে বলেছেন। কিন্তু দেখা গেল, মওদুদী বা জামায়াতের নেতারা তা প্রত্যাহার করার পরিবর্তে দলের স্বার্থে বাড়তি কিছু বিভ্রান্তি যোগ করে ক্রমাগত তা প্রতিষ্ঠিত করতেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন মুসলিম জনসাধারণকে গোমরাহি থেকে বাঁচানোর স্বার্থে উলামায়ে কেরাম মওদুদীর মৌলিক ভুলগুলো সুদৃঢ় প্রমাণসহ মুসলিম উম্মাহর সামনে তুলে ধরতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি মওদুদীর প্রাথমিক পর্যায়ের তুলনামূলক ভ্রান্তিমূলক রচনা-প্রবন্ধ ইত্যাদি দেখে বিদগ্ধ উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী বুদ্ধিজীবীরা জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠালগ্নে মওদুদীকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। অতঃপর মওদুদীর ক্রমশ ভুল পথে চলতে থাকা দেখে তাঁকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। মওদুদীর ভুল বুঝতে পেরে ওই সময় জামায়াতের উচ্চপদস্থ নেতারা একে একে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন_নায়েবে আমির মাওলানা মনজুর নো’মানী, সেক্রেটারি কমরুদ্দীন বেনারসী (এমএ), মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য হাকিম আ. রহীম আশরাফী ও মাওলানা আমীর আহসান এসলাহী, বিশ্ববরেণ্য দাঈয়ে ইসলাম মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী। জামায়াতের অন্যতম রুকন ও মওদুদীর জন্য নিবেদিতপ্রাণ ডক্টর এসরার আহমাদ প্রমুখ প্রথমসারির প্রায় আরো ৭০ জন জামায়াতে ইসলামীর নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেন (ফাতাহওয়ায়ে রাহমানিয়া প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৯)। এ থেকে বোঝা যায়, জামায়াতে ইসলামী একটি অনৈসলামিক ও ত্রুটিপূর্ণ রাজনৈতিক দল।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৮
েমাসেেলহ বলেছেন: সম্ভব হলে বই গুলোর লিঙ্ক দিয়ে দিন।জামাতীদের বক্তব্য হল এসব লাইন বই থেকে তুলে নিয়ে আগে পরের কথা গুলোকে মুছে দিয়ে ভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।তাই আপনাকে বলছি আমাদের মত সাধারন মুস্লিমদের পরিস্কার ধারনার জন্য বইগুলোর লিঙ্ক দিবেন।
এর আগেও অনেকের কাছ থেক এমন কোটেশন শুনে নিজে কয়েক টা বই ও পড়েছি।পড়ার পরে আমার কাছে মনে হইনি উনি ভুল কিছু বলেছেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: উপরে যেসব বইয়ের নাম দেয়া আছে সেগুলো পড়লে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৩৬
রাহি বলেছেন: Sagu ra ashtase...ektu por ledanu shuru hobe..toiyar thaken
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৬
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: জামাত-শিবিরের আদর্শ মওদুদীর কুফরী মতবাদের উপর ভিত্তি করে। তাই তাদের গায়ে চুলকানি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৫
েমাসেেলহ বলেছেন: ভাই তাফহীমাত বই টা কোথাও পাচ্চি না।একটু লিঙ্ক দিলে ভাল হত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩০
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: http://www.books4islam.com/book_3028.htm
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
দৃক বলেছেন: তাফহীমাত, তরজমানুল কুরআন এই বইগুলো কি বাংলায় অনুবাদ হয়েছে? যেগুলো বাংলা বইএর কোটেশন দিয়েছেন, সেগুলো আরো বিস্তারিত হলে ভালো হয় (কোন বই, কত সালে প্রকাশিত, কত পৃষ্ঠা ইত্যাদি)।
অ.ট. লিখা টা কি আপনার মৌলিক লিখা?
ভালো থাকবেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: তাফহীমাত, তরজমানুল কুরআন এই বইগুলো বাংলায় অনুবাদ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
এটি আমার মৌলিক লেখা নয়। বিভিন্ন ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৯
জিন্নাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ। এরকম অনেক লেখা আমি পড়েছি। বাস্তবে ঘেঁটে দেখা হয়নি। সত্য কথা হল ক জন ঐ রেফারেন্স বুক ঘেঁটে দেখবে। এই যেমন আপনি নিজেই পোষ্ট দিলেন কিন্ত একবার ও কি ঐ বইগুলু দেখে যাছাই করেছেন? করেন নি। আমার ও করিনা। ঐ মওদূদী যদি এরকম জঘণ্য কথা বলে থাকে তাহলে ওরে......থাক আর কিলাম না।
প্লিজ রেফারেন্সের লিন্ক দেবেন। না পারলে নিজে পড়ে যাছাই করে লিখুন।ধন্যবাদ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৪
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: ধর্মীয় ব্যাপারে ব্যাখ্যা বা সিদ্ধান্ত দেয়া আলেম-উলামাদের দায়িত্ব। আমরা যারা সাধারণ মুসলমান তাদের দায়িত্ব আলেম-উলামাদের ব্যাখ্যা বা সিদ্ধান্ত মেনে চলা। উপমহাদেশের খ্যাতনামা উলামাদের প্রায় সবাই মওদুদী সাহেবের চিন্তাধারার মারাত্মক ভুল-ভ্রান্তি স্পষ্টভাবে বলেছেন। উপরে যেসব বইয়ের নাম দেয়া আছে সেগুলো পড়লে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩৭
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: ++++সহ প্রিয়তে।
এই বইগুলা কোন কোন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫১
আবুল হাসান নূরী বলেছেন:
ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকায় বইগুলো পাওয়া যাবে।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৬
ইন্তাজ ভাই বলেছেন: + সহ প্রিয়তে নিলাম
৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৪৫
সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: এটি আমার মৌলিক লেখা নয়। বিভিন্ন ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ সত্য কথা বলার জন্য। আমিও মওদুদী খারাপ ভাবতাম শুধু আমার শ্রদ্ধেও হুজুরদের মুখ থেকে মওদুদীর বিরুদ্ধে শুনে। আপনার উল্লেখিত রেফরেন্স বইগুলোর মধ্য থেকে আমিকয়েকটি বই পড়েছি। আর এই বই পড়তে গিয়েই আমার ভুল ভেঙ্গেছে।
আমার যা মনে হয়েছে, বর্তমান যুগে এই বিশ্বকে ইসলামের আলোয় রাঙ্গিয়ে দিতে মওদুদী এক বীর মুজাদ্দীদ
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১২ রাত ২:১৯
রংধনু ইসলাম বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ ইসলামের শত্রু মওদুদীকে নিয়ে লেখা পোস্টটির জন্য। আশা করি সবাই বুঝতে পারবে।
১১| ০১ লা জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: এ জঘন্য আকীদার লোকটাকে সবার সামনে হাটে হাড়ি ভেংগে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০৩ রা জুন, ২০১২ ভোর ৪:০৯
রুমি আলম বলেছেন: পোস্টদাতাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুরু থেকেই এই দলের সংগঠক ছিলেন ও নেতা ছিলেন মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী। এই মওদুদী তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর আগে উরদু মাসিক 'তরজুমাতুল কোরআন' নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন। এই মাসিকের মাধ্যমেই তিনি তার মতাদরশ প্রকাশ ও প্রচার করতেন। আল্লাহর রাজত্ব প্রতিস্টার আদরশিক দিকগুলো নিজের মতো ব্যাখ্যা করে প্রকাশ করতেন। তিনি লিখতেন বংশ, জন্মভুমি, ভাষা ও বরণ এসবের ভিত্তিতে তৈরি জাতীয়তা মানব জাতির জন্যে এক বিরাট ও ভয়াবহ বিপদের কথা এবং এই সবই হচ্ছে অশান্তি, বিশ্রিংখলা, নিরাপত্তাহীনতা ও হানাহানির চির উতস। এগুলোই হলো খোদার সবচেয়ে বড় অভিশাপ ও শত্রু এবং এগুলো শয়তানের সারথক হাতিয়ার, যার দ্বারা শয়তান তার আদি দুশমন ইসলামকে নিপাত করে।
১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্থান প্রস্তাব গ্রহন করার পরে মাওলানা মওদুদী তার 'তরজুমাতুল কোরআন' পত্রিকার অফিসে তার সঙ্গে সুসম্পরকিত ও সমমনাদের একটি মিটিং ডাকেন। সেই মিটিং এ ৭৫ জন উপস্থিত ছিলেন। এই মিটিং ই সম্মেলনে পরিনত হয়ে ৪ দিনব্যাপি স্থায়ী অধিবেশন শেষে মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীকে আমীর নিরবাচন করে ১৬ সদস্যবিশিস্ট মজলিশ-ই-শুরা নামক কেন্দীয় কমিটি গঠিত হয়। দলের আমীরকে প্রায় সরবময় ক্ষমতার অধিকারী করে গঠনতন্ত্রও গ্রিহীত হয়। জন্মলাভের শুরু থেকেই ধরমীয় উন্মাদনা স্রিস্টিকারী এই দলটি গঠিত হয় ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ব্রিটিশ ভারত আমলে। নাম ছিল জামায়াতে ইসলাম হিন্দ।
প্রতিস্টার পর থেকেই মাওলানা মওদুদী মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ও এইসব দলের নেতাদের চরম বিরুদ্ধাচরন এবং পাকিস্থান আন্দোলনের বিরুদ্ধে পত্রিকা ও দলীয়ভাবে মাঠে নামেন।
মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী ব্যাপক বিলাসী জীবন যাপন করতেন। সেজন্য ১৯৪২ সালের মজলিশ-ই-শুরার বঠকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয় ও পদত্যাগের তুমুল দাবি উঠে। কিন্তু এই বৈঠকে কোনোরকমে দলীয় আমীরের পদটি রক্ষা করতে সক্ষম হন।
১৯৪২ সালের অক্টোবরে মাওলানা মওদুদী দলের ভিতরে তার একক আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয় অফিস লাহোর থেকে সরিয়ে ইস্ট পাঞ্জাবে নিয়ে যান।
১৯৪৭ সালের ১৭ এপ্রিল দলের পাঠানকোট বৈঠকে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মিয়া তোফায়েল মোহাম্মদকে। এই বৈঠকেই দলের সদস্যদের আরবী ভাষায় কথা বলার অভ্যাস তৈরির স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৪৫ সালের ১৯ থেকে ২১ এপ্রিলে পাঠানকোটে দলের প্রথম রোকন সম্মেলন অনুস্টিত হয়। তখন দলের রোকনের সংখ্যা ৭৫০ জন এবং আঞ্চলিক শাখা কমিটি ছিল ৩৭টি। এই রোকন সম্মেলনেও অতি বিলাসী জীবন যাপনের কারনে মাওলানা মওদুদীর তীব্র সমালোচনা ও বিরোধীতা করা হয়, কিন্তু আগেরবারের মতোই পদ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হন অতি ধুরন্ধর মাওলানা মওদুদী। এবং এই মাওলানা মওদুদীর বিরোধীতা করায় ৬টি আঞ্চলিক শাখা কমিটি ও ৪০০ জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
১৯৪৬ সালে এলাহাবাদে অনুস্টিত হয় দ্বিতীয় রোকন সম্মেলন এবং ১৯৪৭ সালের ৯ ও ১০ মে তারিখে পাঠানকোটে অনুস্টিত হয় নিখিল ভারত জামায়াতে ইসলামের রোকন সম্মেলন। এই সম্মেলনে মাওলানা মওদুদী ধরমনিরপেক্ষতা, মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর ভাষন দেন এবং রুখে দাড়ানোর কথা বলেন। এই বক্তব্য প্রদানের পরে তার দলেরই কিছু উদারপন্থীরা তার প্রাননাশের চেস্টা চালিয়েছিল বলে প্রচার করা হয়।
১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট পাকিস্থান ও ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে মাওলানা মওদুদী পাকিস্থান চলে যান। সেসময়ে জামায়াতের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৩৩ জন। ভারত থেকে মাওলানা মওদুদীর সঙ্গে পাকিস্থান চলে যান মাত্র ৩০৬জন সদস্য।
১৯৪৮ সালের মারচ মাস থেকে পাকিস্থানে জামায়াতে ইসলাম পাকিস্থান যাত্রা শুরু করে।
১৬ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৫
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: পোষ্টের বিরুদ্ধে লেখকের কাছে রিপোর্ট
রিপোর্টের কারন
মৌদুদু কে মাওলানা কেন বললেন?(যেমন আমি দেলু রাজাকারের নামের আগে বা পরে Pig use করি )
এদেরতে তুই করে বলার বিধান আপনি লংঘন করেছেন (আপনি সন্মানের খাতিরে "আপনি" শব্দটা use করছেন) ঘাবরায়েন না কম্লেনটা আপনার কাছে করলাম । পরবর্তিতে সুধরিয়ে নেবেন। এবার আসি সিরিয়াস মন্তব্যে
এরকম লেখা পড়ছি আরো bt মওদুদি pig টার থিউরি অব রিলেটিভিটি বাস্তবে ঘেটে দেখার দুর্ভাগ্য এখনো হয় নি ।
১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৪
উদাসীফাহিম বলেছেন: +++++++++
সিলেটে বই গুলো কই পাই?
০১ লা নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০
আবুল হাসান নূরী বলেছেন: সিলেটে বইগুলোর প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে আমার জানা নেই। দুঃখিত।
ঢাকা থেকে পরিচিত কারো মাধ্যমে বইগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
নায়করাজ বলেছেন: ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান :
Click This Link
১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
অতলের মাছ বলেছেন: ১নং অভিযোগ : এ যায়গায় ভুলের কি পেলেন?? ইসলাম আগে প্রতিরোধমূলক সব ব্যাবস্হা ন্যায়। তারপর কেউ সীমালঙ্ঘন করলে শাস্তি দেয়। হযরত ওমর(রা) এর শাসনামলে মদীনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি কিছুদিনের জন্য চোরের হাত কাটার শাস্তি উঠিয়ে দেন।তিনি বলেন "আমি কসাই হয়ে যাব নাকি??" কই ওমরের সিদ্ধান্তে তো কোনো সাহাবী আপত্তি করল না!!
আপনি পতিতালয়ের লাইসেন্স দিয়ে রাখবেন আবার রজমও চালু করবেন এটা কেমন হল??
এ জায়গায় আল্লাহ সম্পর্কে ভ্রান্ত আকিদার কি পেলেন?? বুঝিয়ে বলুন।
১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
অতলের মাছ বলেছেন: ৩নং অভিযোগ:
প্রসঙ্গঃ নবীদের
নিশ্পাপ হওয়া ।
মওদূদীর বক্তব্য : "এটি একটি সূক্ষ্ন রহস্য
যে আল্লাহ ইচ্ছা করে প্রত্যেক
নবী থেকে কোন না কোন সময় তাঁর
হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে দুএকটি ভুল
ত্রুটি হতে দিয়েছেন যাতে মানুষ
নবীদেরকে খোদা না বুঝে ।"
(তাফহীমাত ২/৪৩)
আশরাফ আলী থানবীর বক্তব্য : "কোন কোন
সময় নবীদের থেকে ভুল ত্রুটি হওয়ার
যে ঘটনাসমূহ কুরআনে উল্লেখিত
হয়েছে এগুলো প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর হেকমত
ও রহমত । এর মধ্য এক বড় ফায়দা এও
যে মানুষের মনে যেন নবীদের খোদা হওয়ার
সন্দেহ না হয় ।"
(মাজালিসে হাকীমুল
উম্মাতঃ মুফতী শফী ৬৫ পৃষ্ঠা)
মওদূদী আর থানবীর বক্তব্যের
মাঝে কি অমিল পাওয়া গেছে? না । তবুও
এই কারনে মওদূদী কাফের । কিন্তু
থানবী কাফের নন ।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম
আল্লামা সুলাইমান নদভীর বক্তব্য : "মানুষ
হিসেবে তাদের থেকেও ভুল
ত্রুটি হতে পারে । কিন্তু আল্লাহ তাঁর ওহীর
দ্বারা এসমস্ত ভুল ত্রুটিরও সংশোধন
করে থাকেন ।"
(সিরাতুন্নবী ৪/৭০)
নদভীকে কিন্তু এই কথা বলার কারণে কেও
কাফের বা ভ্রান্ত বলেনা । কিন্তু
মওদূদী বললেই...
ফারায়েয শাস্ত্রের ইমাম ফখরুদ্দীন রাযীর
বক্তব্য : "আম্বিয়া কিরাম নবুওত প্রাপ্তির
পর থেকে ইচ্ছাকৃত কবীরা ও সগীরা গুনাহ
থেকে পবিত্র । কিন্তু ভুলবশতঃ কবীরা ও
সগীরা গুনাহ হতে পারে ।"
(ইছমতে আম্বিয়া ২৮ পৃষ্ঠা ।) "আদম
আঃ অবাধ্য ছিলেন । আর অবাধ্য
হওয়াকে আমরা কবীরা গুনাহ মনে করি ।" (৩৬
পৃষ্ঠা)
এই কথাটি মওদূদী বললে কেমন হত?
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের
আকীদাঃ "ভুলবশতঃ কবীরা গুনাহ হওয়ার
ব্যপারে অধিকাংশ আলেমদের মত
হলো তা জায়েয ও সম্ভব । এমনকি জমহুর
উলামার মতে নবীদের থেকে ছগীরা গুনাহ
ইচ্ছাকৃতও হতে পারে ।"
(কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসায় পাঠ্য আকীদার
কিতাব
শরহে আকাঈদে নসফীঃ ইছমতে আম্বিয়া)
ধৈর্য্যশীল ব্লগ পাঠক এবার চিন্তা করুন,
মওদূদী বলেছেন ভুল হতে পারে । তাতেই
তাঁকে ভ্রান্ত, কাফির ইত্যাদি বলা হয় ।
তাঁর বিরুদ্ধে একশ্রেণীর কওমী ঘরানার মূর্খ ও
মিথ্যাবাদি ব্লগার অপবাদ দেয়
তিনি নাকি নবীদেরকে নিশ্পাপ মনে করেন
নি! তাদের দলিলঃ উপরোল্লেখিত মওদূদীর
বক্তব্য । অথচ যেসকল ইমামরা গুনাহ
হতে পারে বলেছেন তাদেরকে কিছু
বলা হয়না ।
১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
অতলের মাছ বলেছেন: ৪নয় অভিযোগ:
.
মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার আগে একটি বিষয় পরিস্কার করে দেই যে, উপরের উদ্ধৃতিটি মওদূদীর (রহঃ) নিজের নয়, এটি তাফসিরে জালালাইন শরীফের সূরা নসরের তাফসির। যার হাতে এই মুহুর্তে জালালাইন শরীফ আছে তিনি দেখতে পারেন। তারপরেও এই অংশের ব্যাখ্যা দেওয়া জরুরী যে, নবীদের ত্রুটি বিচ্যুতি বলতে মওদূদী (রহঃ) কি বুঝিয়েছেন। আমরা আগেও বলেছি যে, মওদূদীর (রহঃ) কোন লেখার ভাব বুঝতে ব্যর্থ হলে তাফহিমের অন্য অংশে তালাশ করে দেখা উচিত। অন্য কোন কিতাব দেখে নয় বরং মওদূদীর (রহঃ) অন্যান্য রচণাবলী থেকেই আমি প্রমাণ দিতে চাচ্ছি। প্রথমে সূরা মুহাম্মাদের একটি আয়াত নিয়ে চিন্তা করে দেখুন-
.
“অতএব, হে নবী! ভাল করে জেনে নাও, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ইবাদাতের যোগ্য নয়। নিজের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। এবং মু’মিন নারী ও পুরুষদের জন্যও। আল্লাহ তোমাদের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত এবং তোমাদের ঠিকানা সম্পর্কেও অবহিত। সূরা মুহাম্মাদ-১৯ ”
.
উপরোক্ত আয়াতে নবীকে (স) বলা হচ্ছে, তোমার গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করো। অত্যান্ত স্পষ্ট করে গোনাহ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। নবীদের ইসমত সম্পর্কে নেতিবাচক কোন ধারণা নিতে চাইলে মওদূদী (রহ) এই আয়াত থেকেই নিতে পারতেন কিন্তু তিনি কি সেটা করেছেন ? তিনি কি লিখেছেন সেটা ভালো করে পড়লেই বুঝা যায় যে তিনি ইসমতে আম্বিয়া সম্পর্কে পাঠকদের কতটা স্বচ্ছ ধারণা দিয়েছেন। সূরা মুহাম্মাদের এই আয়াতে ব্যাখ্যায় তিনি লিখেন-
.
“ইসলাম মানুষকে যেসব নৈতিকতা শিক্ষা দিয়েছে তার একটি হচ্ছে বান্দা তার প্রভুর বন্দেগী ও ইবাদাত করতে এবং তাঁর দীনের জন্য জীবনপাত করতে নিজের পক্ষ থেকে যত চেষ্টা-সাধনাই করুক না কেন, তার মধ্যে এমন ধারণা কখনো আসা উচিত নয় যে, তার যা করা উচিত ছিল তা সে করেছে । তার বরং মনে করা উচিত যে, তার ওপর তার মালিকের যে দাবি ও অধিকার ছিল তা সে পালন করতে পারেনি । তার উচিত সবসময় দোষ-ত্রুটি স্বীকার করে আল্লাহর কাছে এ দোয়া করা যে, তোমার কাছে আমার যে ক্রুটি-বিচ্যুতি ও অপরাধ হয়েছে তা ক্ষমা করে দাও ।’’
.
"হে নবী ( সা) তোমার ক্রুটি-বিচ্যুতি জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো" আল্লাহর এ আদেশের অর্থ এ নয় যে, নবী ( সা) জেনে বুঝে প্রকৃতই কোন অপরাধ করেছিলেন । (নাউযুবিল্লাহ!) বরং এর সঠিক অর্থ হচ্ছে , আল্লাহর সমস্ত বান্দার মধ্যে যে বান্দা তার রবের বন্দেগী বেশী করে করতেন নিজের এ কাজের জন্য তাঁর অন্তরেও গর্ব ও অহংকারের লেশমাত্র প্রবেশ করতে পারেনি । তাঁর মর্যাদাও ছিল এই যে, নিজের এ মহামূল্যবান খেদমত সত্ত্বেও তাঁর প্রভুর সামনে নিজের অপরাধ স্বীকারই করেছেন । এ অবস্থা ও মানসিকতার কারণেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করতেন । আবু দাউদ, নাসায়ী, এবং মুসনাদে আহমাদের বর্ণিত হাদীসে নবীর ( সা) এ উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে যে, "আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে একশ, বার ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি"
”।
.
এর পরে আরো একটি আয়াতের দিকে তাকাতে পারেন। সূরা ফাতেহ’র প্রথম আয়াতে বলা হচ্ছে-
“হে নবী, আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি যাতে আল্লাহ তোমার আগের ও পরের সব ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করে দেন,তোমার জন্য তাঁর নিয়ামতকে পূর্ণত্বা দান করেন- সূরা ফাতেহ-১-২।
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মাওলানা মওদূদী কি লিখেন তাও প্রনিধান যোগ্য কারণ নবী (স) কে গুনাহগার প্রমাণ করার জন্য এখানেও মালমশলা রয়েছে কিন্তু তিনি অত্যান্ত পরিস্কার ভাবে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন-
.
“যে পরিবেশ পরিস্থিতিতে একথাটি বলা হয়েছে তা মনে রাখলে স্পষ্ট বুঝা যায়, ইসলামের সাফল্য ও বিজয়ের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের মুসলমানগণ বিগত ১৯ বছর ধরে যে চেষ্টা -সাধনা করে আসছিলেন তার মধ্যে যেসব ক্রুটি -বিচ্যুতি ও দুর্বলতা রয়ে গিয়েছিলো এখানে সেসব ক্রুটি -বিচ্যুতি ও দুর্বলতা ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে । এসব ক্রুটি-বিচ্যুতি কি তা কোন মানুষের জানা নেই । বরং মানবীয় বিবেক-বুদ্ধি এ চেষ্টা -সাধনার মধ্যে কোন ক্রুটি ও অপক্কতা খুঁজে পেতে একেবারেই অক্ষম । কিন্তু আল্লাহ তা'আলার দৃষ্টিতে পূর্ণতার যে অতি উচ্চ মানদণ্ড রয়েছে তার বিচারে ঐ চেষ্টা সাধনার মধ্যে এমন কিছু ক্রটি -বিচ্যুতি ছিল যার কারণে মুসলমানগণ আরবের মুশরিকদের বিরুদ্ধে এত দ্রুত চূড়ান্ত বিজয় লাভ করতে পারতেন না । আল্লাহ তা'আলার বাণীর তাৎপর্য হচ্ছে, তোমরা যদি ঐ সব ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে চেষ্টা সাধনা করতে তাহলে আবর বিজিত হতে আরো দীর্ঘ সময় দরকার হতো । কিন্তু এসব দুর্বলতা ও ক্রটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে কেবল নিজের মেহেরবানী দ্বারা আমি তোমাদের অপূর্ণতা দূর করেছি এবং হুদাইবিয়া নামক স্থানে তোমাদের জন্য সে বিজয় ও সফলতার দ্বার উন্মক্ত করে দিয়েছি যা স্বাভাবিকভাবে তোমাদের প্রচেষ্টা দ্বারা অর্জিত হতো না ।
.
এখানে একথাটিও ভালভাবে উপলব্ধি করা দরকার যে, কোন লক্ষ ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যে দল চেষ্টা -সাধনা চালাচ্ছে তার ক্রুটি-বিচ্যুতির জন্য সে দলের নেতাকে সম্বোধন করা হয় । তার অর্থ এ নয় যে, ঐ সব ক্রুটি ও দুর্বলতা উক্ত নেতার ব্যক্তিগত ক্রুটি ও দুর্বলতা । গোটা দল সম্মিলিত ভাবে যে চেষ্টা-সাধনা চালায় ঐ সব ক্রুটি ও দুর্বলতা সে দলের সম্মিলিত চেষ্টা -সাধনার । কিন্তু নেতাকে সম্বোধন করে বলা হয়, আপনার কাজে এসব ক্রুটি -বিচ্যুতি বর্তমান ।
.
তা সত্ত্বেও যেহেতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর পূর্বপর সব ক্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়েছেন, তাই সাধারণভাবে এ শব্দগুলো থেকেএ বিষয়টিও বুঝা যায় যে, আল্লাহর কাছে তাঁর রসূলের সমস্ত ক্রুটি-বিচ্যুতি ( যা কেবল তাঁর উচ্চ মর্যদার বিচারে ক্রুটি -বিচ্যুতি ছিল) ক্ষমা করে দেয়া হয়েছিল । এ কারণে সাহাবায়ে কিরামের যখন নবীকে ( সা) ইবাদাতের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের কষ্ট করতে দেখতেন তখন বলতেন , আপনার পূর্বাপর সমস্ত ক্রুটি-বিচ্যুতি তো ক্ষমা করা হয়েছে । তারপরও আপনি এত কষ্ট করেন কেন৷ জবাবে নবী ( সা) বলতেনঃ "আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দাও হবো না৷" ( আহমাদ, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ) ।”
.
এগুলো হলো মওদূদীর (রহঃ) নিজের লিখিত ব্যাখ্যা। এরপরেও কেউ যদি আম্বিয়াদের, বিশেষ করে হুজুর স কে গোনাহাগার বলার, এমন আজগুবী অভিযোগটি নিজের মুখে দ্বিতীয়বার আনার সাহস করেন তাহলে ধরেই নিতে হবে তিনি মানসিক রোগী, নয়তো মওদূদী আতংক নামক সিলিসিলার রোগে ভুগছেণ
২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
অতলের মাছ বলেছেন: ৮নং অভিযোগ : "সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি" এ আজব তথ্য কোথায় পেলেন??
২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০০
অতলের মাছ বলেছেন: ৯নং অভিযোগ : দাড়ি সম্পর্কে বহু স্কলারের মত এটাই। তাদেরকে কিছু বলবেন না,শুধু মওদুদীকে বলবেন কেন???
নবী (স) উটে চড়েছেন বলে কি আপনাকেও উটে চড়ে চলাফেরা করতে হবে নাকি????
২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
অতলের মাছ বলেছেন: ও আচ্ছা মওদুদী বিরোধী বইয়ের লিস্ট দিয়েছেন।আসলে সেগুলো মূলত হিন্দু-মুসলিম একজাতি ভাবা মাদানীর কপি পেস্ট। মওদুদী হিন্দু-মুসলিম দুই জাতি বলায় মাদানী গং দারুন ক্ষেপেছিল
আচ্ছা সেসব বইয়ের জবাবেও আলেমরা বহু বই লিখেছে। খবর রাখেন?? আমি কয়েকটার লিস্ট দিলাম
১। ওলামা কি নজর মে মাওলানা মওদূদী- উর্দু,
২। মাওলানা মওদূদী আওর জামায়াত ইসলামী কি খেলাফ ফতোয়াবাজি কি জায়েজা- উর্দু
৩।ফতোয়ায়ে দেওবন্দ কি তাহকিকি জায়েজা।-উর্দু।
৪।ফতোয়ায়ে দেওবন্দ কি বারে ম্যে আল্লামা আমের ওসমানী দেওবন্দী রহ-উর্দু
৫।জামায়াত ইসলামী পার ইলজিমাত কি জাযেজা- উর্দু।
৬। ক্যায়া জামায়াত ইসলামী হক পার হ্যাঁ- উর্দু।
৭।জামায়াত ইসলামী ও মাওলানা মওদূদী পার ই’তিরাজী কা ইলজাম কি জওয়াব- উর্দু -1,2,3 খন্ডে।
৮। মাওলানা মওদূদীর ওপর আনিত অভিযোগের তাত্বিকপর্যালোচনা-1,2 খন্ড। - বাংলা।- মাওলানা ইউসুফ রহ দেওবন্দী।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৫
তীর্থযাত্রী বলেছেন: জামাতিরা কি আসলেই ইসলাম ধর্মের অনুসারি?