নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব: উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং লাগাতার হরতাল কর্মসূচির কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন। নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না এসএসসি পরীক্ষা। এমনকি বাকি পরীক্ষাগুলো নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নষ্ট হচ্ছে শ্রেণী-কর্মঘণ্টা। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পরীক্ষার্থী-অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক এবং নীতি-নির্ধারকরাও। এই অবস্থায় আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন সবাই। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর দিন কাটছে অনিশ্চিত অবস্থায়।

গত ৩ ফেব্র“য়ারি শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। রুটিন অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত বিজ্ঞান, ব্যবসা এবং মানবিক এই তিন বিভাগ মিলিয়ে ১২টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা হয়েছে ১১টি। এর মধ্যে ২টি পরীক্ষা হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে। আগামী শুক্রবারও স্থগিত একটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ইসলামী সমমনা ১২ দল এবং জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কারণে এসব পরীক্ষা পেছাতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এই অবস্থায় টানা তিন দিনের হরতালের কারণে আবারো পিছিয়েছে পরীক্ষা। এ নিয়ে এসএসসি ও সমমানের পাঁচটি পরীক্ষা পেছানো হলো। এর আগে হরতালের কারণে তিনটি পরীক্ষা পেছানো হয়। তবে শুধু এসএসসি নয়, নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারছে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্সের পরীক্ষাও। রাজনৈতিক দলগুলোর এসব হরতাল শিক্ষাব্যবস্থায় মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত এসএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, এসএসসির ৫ মার্চের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। এরপর রয়েছে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এর জন্য সময় রাখা হয়েছে অতিরিক্ত আরো ৭ দিন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই পরীক্ষা শেষ করতে হবে। ১৮ মার্চের মধ্যে হাতে হাতে ওএমআর ফরম এবং ব্যবহারিক উত্তরপত্র, স্বাক্ষরলিপি ও অন্যান্য কাগজপত্র রোল নম্বরের ক্রমানুসারে সাজিয়ে শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় জমা দিতে হবে। এছাড়া কলেজ পর্যায়ে ভর্তির বিশৃঙ্খলা রোধ এবং শিক্ষাবর্ষ ঠিক রাখতে ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল ঘোষণার নির্দেশ রয়েছে। আজ ও মঙ্গলবারের পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষাই শেষ হচ্ছে ৯ মার্চ। ফলে কোনোভাবেই ১২ মার্চ পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না।

শিক্ষকরা বলছেন, লাগাতার হরতালে পরীক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা যেমন হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থারও। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে তাদের দিন কাটছে। পরীক্ষার কেন্দ্র হয় বলে বছরের একটি দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুই সপ্তাহ সব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পরিকল্পনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এরপর ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আবার এক মাসের বেশি সময় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কিন্তু হরতালের কারণে পরীক্ষা পেছানোতে এই দুই সপ্তাহের শ্রেণী কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।

রাজনীতিকরা বলছেন, চলমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরো হরতাল কর্মসূচির সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে চলমান এসএসসি ও অনার্স পরীক্ষা শেষ করা এবং আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে শুরু ও শেষ করা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।





তথ্যসূত্র:

Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.