![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্তে র্যাব এখনো ডিএনএ রিপোর্টের জন্যে অপেক্ষা করছে। র্যাব মনে করছে ওই ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলে তারা এ হত্যাকান্ডের একটা কূলকিনারা করতে সক্ষম হবে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে নমুনা পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ল্যাবরেটরিতে। তবে র্যাব যুক্তরাষ্ট্র থেকে কবে নাগাদ ওই ডিএনএ রিপোর্ট আসবে তা জানে না।
সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের মোটিভ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছে না র্যাব। গত বছরের ১২ জুন ও ১৭ জুলাই সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ওই বছর আগস্ট মাসে র্যাব ডিএনএ পরীক্ষার প্রথম রিপোর্ট হাতে পেলেও এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ৮ ব্যক্তির কারো সঙ্গে নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। তবে র্যাবের তদন্ত দল দাবি করছে সন্দেহভাজন বাকি ৭ ব্যক্তির ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলে এ হত্যাকান্ডের কোনো কুলকিনারা হতে পারে।
এদিকে গতকাল র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান একটি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরি থেকে বেশ কয়েকটি ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার আশায় আছি। এছাড়া এ স্পর্শকাতর হত্যাকান্ডের তদন্তে র্যাব সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং তদšত্ম চলছে যা চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি। আর র্যাবের আইন ও মিডিয়া শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্তে আরো কিছু সময় লাগবে এবং ডিএনএ পরীক্ষা একটি স্পর্শকাতর বিষয়।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের নিউজ এডিটর গোলাম সরোয়ার সাগর ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন্নেসা রুনিকে রাজধানীর রাজবাজার তাদের বাসভবনে হত্যা করা হয়। শেরে বাংলা নগর থানায় এ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। হত্যাকান্ডের পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। দুই দিন পর পুলিশ প্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছিলেন, তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি জাতির সামনে এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে শীঘ্রই একটি সুখবর দিতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন। এর তিন দিন পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের ওপর কঠোর নজরদারী রাখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের কোনো কুলকিনারা পুলিশ কিংবা র্যাবের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট সাগর-রুটি হত্যাকান্ড মামলা র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। আদালত দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিলে সাগর-রুনির লাশ কবর থেকে তোলা হয়। তাদের ভিসেরা পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা তাদের শরীরে কোনো বিষাক্ত নমুনা পাননি। এরপর গত বছর ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দাবি করেন, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। একজন সিনিয়র র্যাব কর্মকর্তা জানান, রিপোর্ট পেলেও তাতে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। ন্যাশনাল ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির প্রধান ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, দুদিনেই ডিএনএ পরীক্ষার নতুন ফলাফল পাওয়া সম্ভব হলেও যদি হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন পর নমুনা সংগ্রহ করা হয় সেক্ষেত্রে ফল পেতে বিলম্ব ঘটে।
এদিকে সাগর ও রুনির পরিবার এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিয়ে এখন চরম হতাশায় ভুগছে। রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেছেন, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করলেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমরা জানিনা কবে নাগাদ এ হত্যাকান্ডের কুলকিনারা হবে কিংবা কেনো এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হচ্ছে না।
এর আগে সাগরের মা সালেহা মনির আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমি জানি একমাত্র সন্তান হারানোর বেদনা কত মর্মান্তিক।’ তিনি বলেন, তারা যদি এ হত্যাকান্ডের কুলকিনারা করতে না পারে তাহলে তা আমাদের বলুক। আমরা আর কত আশায় আশায় থাকব।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, র্যাব এ পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বা তথ্য উদঘাটনে ১২৭ জন ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ১শ’ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সাগর-রুনিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচী দিলেও মাঝপথে তা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে।
কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার বিষয়টি এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেল। আর কবে নাগাদ এই হত্যাকান্ডের কূল-কিণারা হবে আমরা কেউ জানি না। আদৌ এ হত্যাকান্ডের বিচার হবে কিনা তাও আমরা কেউ বলতে পারছি না....।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০০
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন....
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৪
আম্মানসুরা বলেছেন: এটাই নিয়ম হয়ে গেছে। সমাজের উঁচু তলার লোকেরা যা খুশি করতে পারে সমস্যা নাই। তাদের জন্য আইন নাই। তারা জগতের প্রভু। তাদের সব সরকার ই রক্ষা করে।