![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
ফেলানী হত্যার বিচার নিয়ে ভারত সরকারের বিচারের নামে প্রহসনের পর বাংলাদেশে এ বিষয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগে এ বিষয়ে অনেক বেশি সোচ্চার ভ‚মিকা পালণ করেছে এবং করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিচারের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে বলাও হয়েছে। কিন্তু এই বিবৃতির কোনো রকম কার্যকলাপ এখনো দেখা যায়নি। এমনকি এই বিচার নিয়ে দুয়েকটি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রচার হয়েছে। ঠিক তখনই ‘ফেলানী হত্যার বিচার নিয়ে বাংলাদেশের সরকার রাজনীতি করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ (মাসুম)-এর সেক্রেটারি কিরিটি রায়। পুরো ব্যাপারটি জানার পর কেমন যেন মনে হলো। অবশ্য এ ব্যাপারে সরকারের কোনো কার্যক্রম মনেও করতে পারছিনা, যেটা দিয়ে মনকে সান্তনা দিতে পারি যে, ‘সরকার চেয়েছিল কিন্তু হয়নাই’!
বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামসহ পারিবারের সদস্য ও কুড়িগ্রাম আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্রাহাম লিংঙ্কনের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনে মামলার কাগজপত্র ও অন্যান্য নথিপত্র সংগ্রহ করে ফেলানীর পরিবারকে কোনো আইনি সাহায্য দেয়া যায় কি না সে ব্যাপারেও আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু আজ বুধবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন থেকে কিরিটি রায়ের ভিসার আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। কলকাতার স্থানীয় একটি অনলাইনে সংবাদটি প্রকাশ করা হয় আজ সন্ধ্যায়। সংবাদটি পড়ে জানলাম, কিরিটি রায় অভিযোগ করেছেন, ভিসা না দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ‘বেআইনি কাজ’ করেছে। তিনি বলেন, ভিসা দেয়ার নামে প্রায় ছয়দিন ধরে কলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশন তাকে হয়রানি করেছে। এমনকি কী কারণে ভিসা মঞ্জুর করা হয়নি তারও কোনো ব্যাখ্যা হাইকমিশন থেকে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভোট রাজনীতিকেও দায়ী করেছেন এই মানবাধিকার কর্মী। তার অভিযোগ, ‘নির্বাচনের আগে ভারত সরকার কিংবা বিএসএফ’র বিরাগভাজন হতে চাইছে না বাংলাদেশ সরকার।’ তিনি ভিসা না দেয়াকে ফেলানী হত্যা মামলার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা বলেও অভিযোগ করেন।
যদিও আমরা সবাই জানি, তবুও আরেকবার মনে করে দেয়ার জন্য বলছি, ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিএসএফ’র ‘জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্ট’ ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জওয়ান অমীয় ঘোষকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করে ভারতীয় আদালত। এতে ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশের মানুষ, ক্ষুব্দ হয় নিহত ফেলানীর পরিবারও। অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিও ক্ষোভ প্রকাশ করে তখন। যদিও এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়নি বা আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো বক্তব্য রাখেনি। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলেই ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা ক‚টনৈতিক বিষয়গুলো সমাধান হবে বলে অনেকেই আশা করেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েই সরকারের কোনো সফলতা নেই। এমনকি এসব বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে বলেও আমরা দেখছি না। নীরবে ট্টানজিট হচ্ছে, যদিও ট্টানজিট চুক্তি এখনো হয়নি। এ বিষয়ে সরকার কিন্তু কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না। অথচ এই ট্টানজিট চুক্তির সঙ্গে জড়িত কোনো সুবিধা আমরা পাইনি বা সরকার আদায় করতে বা সমাধান করতে পারেনি। সীমান্ত নিরাপত্তা চুক্তি, চিটমহল সমস্যার সমাধান, তিস্তা চুক্তি, শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি ক‚টনৈতিক বিষয়গুলোতে আমাদের সরকার চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের সর্ম্পক বিকাশের পথ এখনো অনেক দূর। সান্ত্বনা দেয়ার মধ্যে একটা হলো ভারতে আমরা কৌটা মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পেয়েছি। এই অবস্থায় শুধুমাত্র নির্বাচনকে মাথায় রেখে ফেলানীর মতো নিরীহ একটি মেয়ের হত্যার বিচার নিয়ে সরকার যদি কোনো নির্বাচনী রাজনীতি করে, তবে সেটা হবে জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই হতাশার, লজ্জারও বটে।
কলকাতার ওই সংবাদে দাবি করা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিএসএফ বৈঠকে বসেছে। এই মামলা পুনর্বিচারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিএসএফ। সংবাদে দাবি করা হয়েছে, ‘এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সরকার চাইছে না, কোনো মানবাধিকার সংগঠন ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করুক, যা নিয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। সেদিক বিবেচনা করেই মানবাধিকার নেতা কিরিটি রায়ের ভিসা নামঞ্জুর করা হয়। যদিও ভিসা না পাওয়ার কারণ হিসেবে কোনো কথাই বলতে চাননি কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কোনো কর্মকর্তা।’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার সীমান্তে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানি খাতুন ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রবেশের পথে বিএসএফ’র গুলিতে মারা যায়। বিএসএফ’র গুলিতে মারা যাওয়া ফেলানির দেহ কাঁটাতারের বেড়ার উপরে কয়েক ঘণ্টা ঝুলে থাকে। ঝুলে থাকা দেহের ছবি সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হয়। দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর তীব্র সমালোচনা করে। প্রায় আড়াই বছর তদন্ত শেষে গত ১৩ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে সোনারিতে ১৮১নং বিএসএফ’র কেন্দ্রীয় ব্যাটালিয়নের বিশেষ আদালতে বিচার ট্রাইব্যুনাল বসে। প্রথম দফায় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই ফেলানী হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমীয় ঘোষের জবানবন্দিও নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় বিএসএফএফ’র আদালতে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত ছিলেন নিহত ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: মামলাকারীকে ভিসা অস্বীকার বাংলাদেশের বাল সরকারের বেহায়াপনা সীমা ছাড়াচ্ছে ।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে এই বিষয়ে আপনি শিশু । যেখানে বিএসএফ প্রতিদন বাংলাদেশী দের পাখির মত গুলি করে মারছে সেই প্রতীবাদ ই সরকার করার সাহস পায়না আর সেখানে ফেলানি তো বহুত আগেই মরে গেছে।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
জহির উদদীন বলেছেন: এটা কি আজকে বুঝলেন......
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সবটাই এদের প্রহসন