নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসপাতালই এখন রোগী হয়ে গেল..!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে কারাগারে প্রেরণ, বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুর, মিটফোর্ড হাসপাতালে বিনা অনুমতিতে সংবাদ সংগ্রহের অভিযোগে সাংবাদিকদের ওপর চিকিৎসকদের হামলার ঘটনার পর রবিবার রোগীর স্বজনের হাতে এক ইন্টার্নি চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তাঁরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। গতকাল হামলা ও ভাঙচুরে অশান্ত হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। কিছুদিন ধরেই এমন অশান্ত পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে একের পর এক হাসপাতালে। এতে মানুষের চিকিৎসা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।

অবস্থা এমন হয়েছে, মনে হচ্ছে এখন হাসপাতালেরই চিকিৎসা করানো জরুরী হয়ে পড়েছে।



এবার ঘটণার পটভূমি শুনুন..।

গত ১৩ এপ্রিল দায়িত্বে অবহেলায় একজন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে এক চিকিৎসকসহ চারজনকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দুই দিন অবিরাম কর্মবিরতি চললেও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওই কর্মবিরতির পরিধি কমিয়ে দিনে এক ঘণ্টায় নিয়ে আসা হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। ডাক্তারদের এ কর্মবিরতির ফলে প্রতিদিনই কম-বেশি ভোগান্তির মুখে পড়েন বারডেমের রোগীরা।

শনিবার হঠাৎ করেই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটে আরেক অপ্রীতিকর ঘটনা। মিটফোর্ড হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় অবহেলার অভিযোগে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার হালচাল নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির একটি টিম যায়। এ সময় রোগীদের যথাযথ সেবা না দেওয়ায় চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগী ও তাঁর স্বজনদের বাগ্বিত-া হয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই। এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চিকিৎসকরা। তাঁরা একুশে টিভির অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখ’-এর ক্যামেরাম্যানসহ ছয় সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি হাসপাতালের পরিচালকের নেতৃত্বে তাঁর রুমে সাংবাদিকদের আটকে রেখে তাঁদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা, বুম ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। পরে র‌্যাব-পুলিশের সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার সময় হাসপাতালজুড়ে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসা নিতে আসা বহির্বিভাগের রোগীরা দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে। ডাক্তাররাও রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ রেখে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাতে ছুটে যান বলে জানান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজন।

গত মাসে সবচেয়ে বেশি অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে রাজশাহীতে। চিকিৎসকদের সর্বজনীন সংগঠন ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ’সহ সাতটি সংগঠনের সমন্বয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটানা কয়েক দিন চলে ডাক্তার ধর্মঘট। এর আগে একই মাসের প্রথম সপ্তাহে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্মঘট পালন করেন চিকিৎসকরা। একইভাবে ফেব্র“য়ারি মাসে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জানুয়ারি মাসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালেও ডাক্তাররা ধর্মঘটের ডাক দেন। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরের ৯ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত একটানা আট দিন ধর্মেঘটে ছিলেন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। একই মাসে ধর্মঘটে ছিলেন সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এভাবে গত বছর সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০ বারেরও বেশি বিভিন্ন কারণে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, চলে ডাক্তার বা কর্মচারীদের ধর্মঘট।

জানা যায়, এসব অশান্ত পরিস্থিতির বেশির ভাগের পেছনে রয়েছে দায়িত্বে অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, কর্মচারীদের সঙ্গে মারামারি ও রোগীর স্বজনদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা। যদিও এবার বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনার পেছনে রয়েছে হোস্টেলে ডাকাতি। আর গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে।



এই অবস্থার উত্তরণ হবে কবে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আর অধিদপ্তরই বা করছে কী?

কিছুই বুঝি না...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

বেলা শেষে বলেছেন: This are the way how we may destroy our Nation!

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

বেলা শেষে বলেছেন: ..step by step ....kill Armies
kill all doctores!
kill all professors!
kill all students!........

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ভাই, এটা কী সমাধানের কথা বললেন? নাকি আন্দামানে যাওয়ার বন্দোবস্তের কথা বললেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.