নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে আমেরিকার নীতিগত বক্তব্য জানতে চাইলেই কি উত্তর আসবে??

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপ হবে মঙ্গলবার। ১০টির বেশি এজেন্ডা নিয়ে এই সংলাপে রাজনৈতিক ও সামরিক ইস্যুগুলোর প্রাধান্য থাকবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরিধি বৃদ্ধি ও দৃঢ় করতে বড় পরিসরে আলোচনা করবে দুই দেশ।

এবারের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে আমেরিকার নীতিগত বক্তব্য জানতে চাইবে ঢাকা। এর পাশাপাশি সংলাপে প্রতিবেশি ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান জানতে আগ্রহী থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আšত্মঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধাšত্ম নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এদিকে নিরাপত্তা সংলাপের পরপরই আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে টিকফা ফোরামের দ্বিতীয় বৈঠক।

অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিষয়ক পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন। অপরপক্ষে আমেরিকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি থমাস কেলি। এর আগে দুই দেশের প্রথম নিরাপত্তা সংলাপ ২০১২ সালের এপ্রিলে ঢাকায় এবং দ্বিতীয় নিরাপত্তা সংলাপ ২০১৩ সালের এপ্রিলে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়।



আমেরিকার সঙ্গে এই বৈঠকের বিষয়েই প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্যসহ অন্য কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। এছাড়া এই বিষয়ে গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। দুই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্র¯ত্মুতি ও প্রতিনিধিদের কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মজীনা।



পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতে চলমান নির্বাচনের পর সম্ভাব্য নতুন সরকার নিয়ে কূটনৈতিক ‘স্থিতিবস্থায়’ রয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে ভারতে সরকারের পরিবর্তন হলে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে তা এখন বাংলাদেশের কাছে একটি বিবেচ্য বিষয়। কারণ, কংগ্রেস জোট আবারও সরকার গঠন করলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরো বেগবান হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, সেখানে বিজেপি নেতৃত্বের সরকার এলে চানক্যপুরির সঙ্গে ঢাকার সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি সম্পর্ক হবে তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। এই ইস্যুতেই আমেরিকার অবস্থান জানতে উদগ্রীব বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।



এছাড়া মায়ানমারের সঙ্গে আমেরিকা এখন বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ছে। কিন্তু, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান হচ্ছে না। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি ভাবছে- তাও পরিষ্কারভাবে জানতে চাইবে বাংলাদেশ।



তবে আশার কথা হচ্ছে, দুই দফায় সংলাপের পর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র ইতিমধ্যে সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১২ সালের প্রথম নিরাপত্তা সংলাপের পর প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা বিনিময়ে, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধবিষয়ক সহযোগিতাসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা যথেষ্ট বেড়েছে।

এবারও যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি শান্তিরক্ষা, জঙ্গিবাদ দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের বিষয়গুলো আলোচনায় থাকবে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের প্রসঙ্গও আলোচনায় স্থান পাবে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশ জানতে চাইবে।



আর আমরা তাকিয়ে থাকবো, আর একদিন, দেখা যাক কী হয়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.