নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচন্ড গরমের দায়ও নাকি সরকারের, নেপথ্যে তিস্তা!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৩

রাজনীতিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকবেই। তাই বলে গরম বেড়েছে, এটাও নাকি রাজনৈতিক বিষয়। আজ বিএনপির এক নেতা এমন একটি মজার অভিযোগ করেছেন। আবার এদিকে আওয়ামী লীগের একটি জেলা কমিটির লোকজন তিস্তার চুক্তির বিরোধীতা করে মানববন্ধন করেছেন। সব মিলিয়ে রাজনীতিতে যে কী হচ্ছে, তা আমাদের জ্ঞানের বাইরে চলে গেছে, বলা যায়।..



প্রচন্ড গরমের দায় সরকারের ওপর চাপালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের নতজানু নীতির কারণে তিস্তায় পানি নেই। এজন্য দেশে ৫৪ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাবদাহ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকার অবৈধ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সরকার জনকল্যাণে কাজ করতো।’ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমানসহ কারাবন্দি সব নেতার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মাহবুবুর রহমান এসব কথা বলেন।



তিস্তার পানির দাবীতে যখন আন্দোলন চলছে, ঠিক তখন মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই’ এমন দাবি তুলেছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।



শুক্রবার সকালে ওই উপজেলার পারুলিয়ার চরে মানববন্ধন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ‘তিস্তা পুর্ব তীর রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে এ দাবী তুলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খাঁন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, এবার তিস্তার পানি না আসায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৬ টি ইউনিয়নের ১ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টাসহ বিভিন্ন চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া ৬০ হাজার পরিবার তাদের বসত বাড়ি ফিরে পেয়েছে। যে কারণে তিস্তার পানি না আসায় উত্তম।



তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘সৌদি আরবে নদী নেই, সেখানে জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। আমাদের এ অঞ্চলে নদী না থাকলে এলাকাজুড়ে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। তাছাড়াও বন্যা ও নদী ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও এ অঞ্চলের মানুষ রক্ষা পাবে।‘



চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ তিনি জানিয়ে বলেন, ‘তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই। ভারতের গজালডোবা ব্যারেজে সব পানি আটকে রেখে তিস্তা নদী আবাদযোগ্য করা হোক।‘



তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে সারাদেশ আন্দোলিত এমন সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা সিপিবির সভাপতি আবদুর রউফ বলেন, ‘হয়তো বা তারা কোনো মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।



উল্লেখ্য, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে বিএনপি। লংমার্চটি গাইবান্ধা পৌঁছার আগেই হঠাৎ করে তিস্তার পানির ঢল নামে, চালু হয় সেচ প্রকল্পগুলো। এ নিয়ে তখন বিএনপি ও সরকার তাদের নিজ নিজ কৃতিত্ব দাবি করে। সরকার বলে, তাদের অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ভারত পানি ছেড়েছে। আর বিএনপি বলে, এটা তাদের লংমার্চের প্রাথমিক সাফল্য।



এর কয়েকদিন আগে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ করে বাম দলগুলো। তারা বলে, ভারত এর মাধ্যমে প্রতারণা করছে। তারা তাদের আন্দোলন দমাতেই এমন কৌশল নিয়েছে বলে বামদের ধারণা।

অবশ্য পরদিন ২৩ এপ্রিল থেকেই তিস্তার পানি কমতে শুরু করে। সেই মৃতপ্রায় তিস্তা এখন আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২১

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ভারতের দেওয়া বাধের কারনে বিভিন্ন নদীর পানি কমে যেয়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মরুকরণ হচ্ছে। যার ফলে প্রতিবছর দাবদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৩

এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই...

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:০৪

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: কি কথা কি বেশী উল্টা-পাল্টা লাগছে? তাইলে কি পিলার তত্ত্ব মনে করায় দিবো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.