নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীরব কথামালা

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে আসতেই হয়, ভাবনা প্রকাশে......!

এম এ হাসান মাহামুদ

লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।

এম এ হাসান মাহামুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একেই বিলাসিতা বলে কী না, আমার জানা নেই (১৬ বৈমানিক নিতে বিজ্ঞাপন)

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৬

ব্যবসা শুরুর পর থেকে এখনো যে প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখেনি, যে প্রতিষ্ঠানের কারণে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে, বছরের পর শুধু লোকসানই দিচ্ছে না, সরকারকে প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হচ্ছে। তেমন একটি প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর ধরে ৮জন লোককে বসিয়ে রেখে আবার একই পদে আরো ১৬জনের নিয়োগ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। একেই বিলাসিতা বলে কী না, আমার সত্যি জানা নেই!!!



মূল কথায় আসি। ফ্লাইট সঙ্কটের কথা বলে ৮ ক্যাডেট বৈমানিককে ৩ বছর ধরে বসিয়ে রাখা হলেও এয়ারবাস ৩১০ ও বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের জন্য বৈমানিক চেয়ে নিজস্ব ওয়েবসাইটে সোমবার বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই সার্কুলারের মাধ্যমে ১৬ জন বৈমানিক নেওয়া হবে বলে বিমান সূত্রে জানা গেছে। তবে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে বৈমানিককে বসিয়ে রাখা অন্যদিকে আবার নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা দুটোই বিমানের জন্য অলাভজনক।

সংশি¬ষ্ট সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বিমান ১০ জন ক্যাডেট বৈমানিককে নিয়োগ দেয়। এদের ৬ মাসের ট্রেনিং সম্পন্ন হয়। শুধুমাত্র সিমুলেটর ট্রেনিংসহ দুই মাসের ট্রেনিং হলেই এরা ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেতেন। সেই অবস্থায় ১০ জনের মধ্য থেকে ৪ জনকে সিমুলেটরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুইজন ফেল করে। বাকি দুইজন উত্তীর্ণ হয়ে এরই মধ্যে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। দুইজন ফেল করেছে বাকিরাও ফেল করবে এই অজুহাত দিয়ে বাকিদের আর সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়নি।

বিমানের একজন বৈমানিক জানান, বিমানের বৈমানিকদের এ ধরনের ফেল করার নজির নতুন নয়। পরবর্তীতে তারা পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বিমানে চাকরি করছেন। অথচ পরীক্ষা দেওয়ার আগেই এরাও ফেল করবে-এ ধরনের ঠুঁনকো অজুহাতে ৮ বৈমানিককে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তারা প্রতি মাসে বেতনও পাচ্ছেন। কিন্তু অজানা কারণে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, এই ক্যাডেট ৮ বৈমানিক সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে পাঠানোর জন্য পে-অর্ডার দিয়ে যেতে রাজি হন। যদি তারা সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে ফেল করেন তাহলে তারা ট্রেনিং বাবদ খরচ হওয়া অর্থ ফেরত দিয়ে বিমান থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই বিমানের কর্তাব্যক্তিদের এই বৈমানিকদের প্রতি মন গলেনি। অথচ বিমানে এই সময়ে ৮০ জনের বেশি বৈমানিক প্রয়োজন। বৈমানিক না থাকায় বিদেশ থেকে ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার মার্কিন ডলার বেতন দিয়ে বৈমানিক আনা হয়েছে। সেখানে দেশীয় একজন বৈমানিক পান মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার।

এ বিষয়ে বিমানের ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক ক্যাপ্টেন ইশরাত হোসেন জানান, চাইলে বসে থাকা এসব ক্যাডেট বৈমানিকেরা এবার আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদেরও নেওয়া হবে। এরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ৬ মাস ট্রেনিং করে আবার কেন পরীক্ষা দেবে প্রশ্ন করা হলে ক্যাপ্টেন ইশরাত বলেন, এবারের বিজ্ঞাপনে এক হাজার ঘণ্টা ফ্লাই করার অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। আগের নিয়োগ পাওয়াদের ফ্লাইং আওয়ার কম ছিল। তাদের ১৫০- ৫০০ ঘণ্টার ফ্লাইং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তবে একজন বৈমানিক জানান, বিশ্বের সব এয়ারলাইন্সই ১৫০ থেকে ২০০ ঘণ্টা ফ্লাই করা বৈমানিকদেরই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে বোয়িং ৭৩৭ কিংবা এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে উপযুক্ত করে তোলে। এজন্য বোয়িং কোম্পানি কিংবা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। ক্যাডেট বৈমানিকদের মাঝপথে ট্রেনিং বন্ধ করে বসিয়ে রাখার এ ধরনের নজির বিশ্বের কোথাও নেই বলেও জানান তিনি।



আপনারা কী জানেন, বাইরের দেশ থেকে আসার সময় সবচেয়ে যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে আসে। এর কারণ সেবার মূল্য বেশি, কিন্তু সবচেয়ে বাজে সেবার জন্য।

তাদের এই নিয়োগ সিদ্ধান্ত কী কারণে সকলেই কিন্তু বুঝে! শুধু উনারা বুঝতে পারছেন না যে, আমরা কিছু বুঝি!



কাটের্সী: আমাদের সময় ডট কম





ফেসবুক পেজ লিংক:

https://­www.facebook.com/­pages/Hasan-Mahamud/­1420843581502615

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.