![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মোটামুটি ইচ্ছে থেকেই ব্লগে ঢু মারি। ভাল লাগে বই পড়তে আর নিজের ইচ্ছে মতো লিখতে।
ইসলামি বিশ্বে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে যে বিশ্ব পারিপার্শিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলাম ও মুসলমানদের বর্তমান পরিচয়টি কি হতে পারে?
এই ধরনের প্রশ্ন আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করে যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ধমনিরপেক্ষ রাজনীতির সাথে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটানোর অপচেষ্টা করে। বাংলাদেশের মত দেশ যেটি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জন করে, সেই দেশেও সময়ে পরিবর্তনে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটানোর সকল ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এটি সত্য যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত তৎপরতা সহজেই সফলতার মুখ দেখবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে জাতীয়তাবাদ ভর করা শুরু করেছে। যদিও স্বাধীনতার পর থেকে এই ধরনের জাতীয়তাবাদ সংক্রান্ত অনুভূতি রাজনৈতিক নেতাদের মনে দাগ কাঁটতে পারেনি।
এছাড়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট একটি জনসংখ্যা মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সেই শ্রেণীর মানুষ যারা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তারা এখন দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উঁকিঝুঁকি দেখে কিছুটা হলেও বিব্রতবোধ করছেন। এই ধরনের চ্যালেঞ্জর কারণে নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে প্রগতিশীল মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে বিশ্বের চতুর্থ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আজ বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠছে। সুতরাং বাংলাদেশের মুসলিম উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করাটা যৌক্তিক কি না তা ভেবে দেখতে হবে। এটি সত্য যে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করেছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। তাহলে কি বাংলাদেশে মুসলিম পরিচয়টি কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে?
মূলত সম্পর্কের ভিত্তিতেই মানুষের পরিচয়টি নির্ধারণ করা হয়। পরিচয়ের বিষয়টি আসলে সম্পর্ক ও খামখোয়ালীর উপর নির্ভর করে। তবে এটি অবশ্যই এই ব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক। যেমন ধরেন, দাবা খেলার বিষয়টি। দাবা খেলাটি কিন্তু অন্যান্য খেলার চরিত্রের উপর নির্ভর করে। সুতরাং মনে রাখা উচিত প্রতিটি জিনিসই কিন্তু একে অন্যের সাথে জড়িত। এই মুহূর্তে এসে বাংলাদেশে মুসলিম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট একটি অংশ চায় যে দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের মাঝখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ধর্ম। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে একজন মানুষ যিনি নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ অথবা ধর্মীয় চেতনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে তাদের কি হবে? তারা কি কখনো নিজেদের মুসলমান হিসেবে দাবি করতে পারবেন?
ইসলাম কি মুসলমানদের নিরপেক্ষ আদর্শ লালন করার অনুমতি দেয়? এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো উত্তর খুঁজে পাওয়াটা হয়ত কষ্টকর হতে পারে। তবে অনেকেই হয়ত এই ধরনের জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হবেন না অথবা বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাবেন।
কোনো কিছুর বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করার আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ আদর্শ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মূলত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির আদর্শ ধারণ করে। অন্য দিকে জামায়াত-ই-ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলগুলো ধর্মের আদর্শকে রাজনীতিতে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। পাশাপাশি বিএনপি জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতাবাদ রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী। এটি সত্য যে রাজনৈতিক ফায়দা লুফে নেওয়ার জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ধর্ম ও নিরপেক্ষতবাদকে ব্যবহার করে। তবে এরশাদের জাতীয় পার্টি কোন আদর্শ লালন করে সেটি কিন্তু স্পষ্ট করে বলা যাবে না। তবে সব কিছু বিবেচনা করে বলা যায় দেশের মূলত দুটি ধারার আদর্শ প্রচলিত রয়েছে। প্রথমটি হল ধর্মনিরপেক্ষ এবং স্বপক্ষ জাতীয়তাবাদ এবং দ্বিতীয়টি হল ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ যেটি ইসলামকে সমর্থন করে। তবে যারা এই দুই আদর্শের বাহিরে আদর্শ লালন করে তাদের বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
সুতরাং এই আধুনিক বিশ্বপরিক্রমায় নিজেদের অস্তিত্ব ও স্বার্থ রক্ষা করতে হলে নিজেদের আদর্শ স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সকে উল্লেখ করা যেতে পারে। ৯/১১ এর পর থেকে দেশটিতে যেমন ইসলাম বিদ্বেষী আদর্শের জন্ম হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে উদার ধর্মনীতি আদর্শের জন্ম হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল দুটি ভিন্ন ভিন্ন আদর্শ যেগুলো একে অপরের প্রতিপক্ষ, দুটি আদর্শ কিন্তু সুন্দরভাবে সহবস্থান করছে।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট থেকে অনুদিত
২| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:০২
পংবাড়ী বলেছেন: বলছেন পরেন; কি পড়েন?
৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:২৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: বাংলাদেশের মত দেশ যেটি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জন করে,
বিশেষ করে সেই শ্রেণীর মানুষ যারা ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন
দয়া করে একটু দেখাবেন কি ?? কবে কে কোথায় কখন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে বা মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন ধর্ম নিরপেক্ষতা নামক গার্বেজটির উল্লেখ করেছিল? একদম প্রমান সহ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলেন। তা না হলে বুদ্ধিজীবী খ্যাত কিছু দালালের কথায় কান দিবেন না। এরা নিজেরাই ১৯৭১ সালে পাকি বাহিনীর মুরগী সাপ্লাইয়ার ছিল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কখনই ধর্ম নিয়ে ছিল না। এটা ছিল বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। পাকিস্তানীরা একে হিন্দুদের ষড়যন্ত্র বলতো। কিন্তু আমরা কেন তাদের সাথে সুর মিলাচ্ছি? মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিমরাই তো বেশি প্রাণ দিয়েছে। সেইজন্য এদেশের মুসলিমরা যদি এখন বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার সিদ্ধান্ত নেয়?
২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
এম এ হাসান মাহামুদ বলেছেন: জাত- ধর্ম ভুলে সম্পূর্ন নিরপেক্ষভাবেই আমরা স্বাধীণতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম, কথাটাই বলতে চাওয়া হয়েছে এখানে। যখন ধর্ম টানতে হতো না। আর এ জন্যই আমরা আজ স্বাধীন।
-এই কথাগুলোই বলা হয়েছে এখানে, আপনি হয়তো ঠিক ভাবে কথাগুলো নেন নাই। তাই এমন মনে হচ্ছে আপনার।
কথা হচ্ছে, বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে যেভাবে টানাটানি হচ্ছে, তখন তা থাকলে প্রেক্ষাপট অন্যরকম হলেও হতে পারতো।
তাই ধর্মভিত্তিক দলের কথা কেন বাংলাদেশে আসবে, এটাই একমাত্র প্রশ্ন।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম কি মুসলমানদের নিরপেক্ষ আদর্শ লালন করার অনুমতি দেয়?
হ্যা, মক্কা বিজয়ের পর সেটাই করা হয়েছিল, ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকেই।
যার যার ধর্ম পালন করার স্বাধিনতা দেয়া হয়েছিল, মেয়েদের পোষাক পরিবর্তনের কোন হুকুম জারি হয়নি। মক্কার ইহুদি ও কুরাইসদের জোরপুর্বক ধর্মান্তরিত করা বা ভিন্নমতাবলম্বিদের একঘরে করা নিষেধ করা হয়েছিল।
৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: জাত- ধর্ম ভুলে সম্পূর্ন নিরপেক্ষভাবেই আমরা স্বাধীণতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম, কথাটাই বলতে চাওয়া হয়েছে এখানে। যখন ধর্ম টানতে হতো না।
যদি ধর্ম নাই টানা টানি না হয়ে থাকে তখন তাহলে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা আসলো কিভাবে?
যে ২ টা লাইন আমি আপনার পোষ্ট থেকে উদ্ধৃত করেছি ১৯৭১ এ সেটা নিয়ে কোন প্রমান দেখান। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া আর ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ২ টার ভিতরে আকাশ-পাতাল ফারাক
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৫৯
পংবাড়ী বলেছেন: " ইসলাম ও মুসলমানদের বর্তমান পরিচয়টি কি হতে পারে? "
'লৌহ ও পেট্রোলিয়াম যুগের মানুষ"